গাজা পুনর্গঠনে মিশরের পরিকল্পনা গ্রহণ আরব দেশগুলোর, হামাসের হুঁশিয়ারি – ইউ এস বাংলা নিউজ




গাজা পুনর্গঠনে মিশরের পরিকল্পনা গ্রহণ আরব দেশগুলোর, হামাসের হুঁশিয়ারি

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ৪ মার্চ, ২০২৫ | ১১:১৯ 25 ভিউ
গাজার পুনর্গঠনের জন্য মিশরের পরিকল্পনা আমলে নিয়ে একটি খসড়া বিবৃতি দিয়েছে আরব দেশগুলো। মিশরের উদ্যোগে আয়োজিত আরব সম্মেলনে মিশরের প্রস্তাব গ্রহণ করে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে দ্রুত এই পরিকল্পনায় সহায়তা দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। গত ১৫ মাস ধরে ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধের ফলে ধ্বংসপ্রাপ্ত এই ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের ভবিষ্যৎ নিয়ে নানা আলোচনা চলছে। হামাস স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে যে, গাজায় কোনো বাইরের চাপিয়ে দেওয়া সমাধান তারা গ্রহণ করবে না। গাজার জন্য মিশরের পরিকল্পনা মিশরের পুনর্গঠনের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে প্রায় ৫৩ বিলিয়ন ডলার খরচ হবে বলে মঙ্গলবার রয়টার্সের হাতে আসা একটি নথিতে উল্লেখ করা হয়েছে। এই ১১২-পৃষ্ঠার পরিকল্পনায় গাজার ভূমির পুনর্বিন্যাসের জন্য ম্যাপ, আবাসন প্রকল্প, উদ্যান

এবং কমিউনিটি সেন্টারের মতো স্থাপনাগুলোর ডিজাইনসহ রঙিন এআই-উৎপন্ন ছবি রয়েছে। পরিকল্পনায় একটি বাণিজ্যিক বন্দর, প্রযুক্তি হাব এবং সমুদ্র সৈকত সংলগ্ন হোটেল অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। কূটনীতিক ও সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, গাজার পুনর্গঠনের জন্য মিশরের এই পরিকল্পনা-ই বর্তমানে সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য। পরিকল্পনা অনুযায়ী, গাজার বর্তমান হামাস পরিচালিত সরকারকে সরিয়ে একটি 'গভর্নেন্স অ্যাসিস্ট্যান্স মিশন' সাময়িকভাবে দায়িত্ব গ্রহণ করবে, যা মানবিক সহায়তা ও পুনর্গঠন প্রক্রিয়া শুরু করবে। সংশ্লিষ্ট সূত্রের মতে, যদি হামাস ক্ষমতা হারায়, তাহলে ইসরাইল গাজার দায়িত্ব নিতে আরব সংস্থাগুলোর অংশগ্রহণকে বাধা দেবে না। তবে হামাসের সিনিয়র কর্মকর্তা সামি আবু জুহরি রয়টার্সকে বলেন, ‘আমরা গাজায় কোনো বাইরের প্রশাসন বা বিদেশী বাহিনীর উপস্থিতি বরদাশত করব না।’ ট্রাম্পের ‘রিভিয়েরা অব দ্য

মিডল ইস্টের’ বিরোধিতা মিশরের পরিকল্পনা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফিলিস্তিনিদের গণ-উচ্ছেদের প্রস্তাবকে দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে। ট্রাম্পের প্রস্তাবকে আরব দেশগুলো, বিশেষ করে মিশর ও জর্ডান তাদের নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে দেখছে। তবে গাজা পুনর্গঠনে প্রয়োজনীয় অর্থায়ন কে করবে, সে বিষয়ে মিশরের পরিকল্পনায় কোনো স্পষ্ট দিকনির্দেশনা নেই। রয়টার্সের দুটি সূত্র জানিয়েছে, প্রাথমিক পর্যায়ে উপসাগরীয় এবং আরব দেশগুলোকে অন্তত ২০ বিলিয়ন ডলার অর্থায়ন করতে হবে। এটি কার্যকর করতে তেল-সমৃদ্ধ উপসাগরীয় দেশগুলোর যেমন সংযুক্ত আরব আমিরাত ও সৌদি আরবের বিশাল বিনিয়োগের প্রয়োজন হবে। আমিরাত হামাসকে একটি অস্তিত্বের হুমকি হিসেবে দেখে এবং গাজার সম্পূর্ণ নিরস্ত্রীকরণ চায়, যেখানে অন্যান্য আরব দেশ ধাপে ধাপে নিরস্ত্রীকরণের পক্ষে বলে জানিয়েছে একটি সূত্র। সূত্র: দ্য

জেরুজালেম পোস্ট

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
গুলশান লেকে প্যাডেলচালিত রিকশা ফেলে দিলেন অটোরিকশা চালকরা ‘রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন মানলে আরাকান আর্মির আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি জোরাল হবে’ পোপ ফ্রান্সিস আর নেই ৩৩ বছরে কতজনকে ক্ষমা করেছেন রাষ্ট্রপতি, জানতে চান হাইকোর্ট মাস্ক কি নর্টনের মতো নিজেকে যুক্তরাষ্ট্রের সম্রাট ঘোষণা করতে যাচ্ছেন? ২৩ সালে কর ফাঁকিতে দেশের রাজস্ব ক্ষতি ২ লাখ ২৬ হাজার কোটি টাকা : সিপিডি পারভেজ হত্যা মামলায় গ্রেফতার ৩ জনের ৭ দিনের রিমান্ড মেঘনা আলমের যাবতীয় ব্যাংক হিসাব তলব ট্রাম্পের ঘটনাবহুল ১০০ দিন, আলোচিত যত মন্তব্য কারাগারে পলকের সেলে বৃষ্টির পানি পড়ে, অভিযোগ আইনজীবীর ১০ হাজার পিস ইয়াবাসহ গ্রেফতার ১ চায়ের দোকানে তালা দেওয়ার অভিযোগ জবি ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগের প্রেক্ষিতে এনসিপিতে বিশেষ কমিটি গঠন ‘পতিতাদের শ্রমিক ঘোষণার প্রস্তাব ইসলামের সঙ্গে যুদ্ধ ঘোষণার শামিল’ নারী সংস্কার কমিশন ও তাদের প্রস্তাবনা বাতিলের আহ্বান লেবাননে বিস্ফোরণে তিন সেনা নিহত মৃত্যুপুরী গাজায় মৃত্যুঞ্জয়ী কিশোরী গাজায় জীর্ণ তাঁবুতে শীর্ণ জীবন ভারতে দলিত তরুণকে অপহরণ, নির্যাতন ও যৌন হেনস্তার অভিযোগ বিশেষ সম্মাননা পেলেন বুবলী