ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
দাভোসে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে ভাষণ দিতে পারেন ট্রাম্প
মাস্কের ‘নাৎসি’ অঙ্গভঙ্গির পক্ষে সমর্থন জানালেন নেতানিয়াহু
ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামে ভার্চুয়ালি বক্তৃতা করবেন ট্রাম্প
সরকারি দলের সঙ্গে পিটিআই’র আলোচনা বন্ধের ঘোষণা
ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ না করলে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যে পদক্ষেপ নেবেন ট্রাম্প
গাজায় ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে ১৬২ মরদেহ উদ্ধার
গ্রিন কার্ড নিয়ে যে ঘোষণা দিল ট্রাম্প প্রশাসন
হুথিকে ট্রাম্পের ‘সন্ত্রাসী’ ঘোষণা, কটাক্ষ করে যা বলল ইয়েমেন
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বুধবার এক নির্বাহী আদেশে ইয়েমেনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হুথি আনসারুল্লাহকে ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে পুনরায় ঘোষণা দিয়েছেন। ট্রাম্পের এ ঘোষণার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে ইয়েমেনের সরকার।
বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে ইয়েমেনি সরকারের তথ্যমন্ত্রী হাসেম শরফুদ্দিন বলেছেন, ট্রাম্পের এই আদেশ মার্কিন রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা, অদ্ভুত বৈপরীত্য এবং সুস্পষ্ট ব্যর্থতার উদাহরণ।
তিনি কটাক্ষ করে বলেন, ‘আমরা কখনো সন্ত্রাসীর তালিকায়, কখনো সেই তালিকা থেকে বাদ, আবার তালিকাভুক্ত—এ যেন এক প্রহসন’।
একে ‘অযৌক্তিক কর্মকাণ্ড’ উল্লেখ করে হাসেম শরফুদ্দিন আরও বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের এ ধরনের অযৌক্তিক কর্মকাণ্ডের সেরা প্রতিক্রিয়া হলো তাদেরকে উপেক্ষা করা’।
‘ইসরাইলি সন্ত্রাসবাদের সঙ্গী অপরাধী মার্কিন প্রশাসন অন্যদের সন্ত্রাসী আখ্যা দেওয়ার কোনো নৈতিক অধিকার রাখে না’ বলেও কটাক্ষ
করেন ইয়েমেনি তথ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘এটি নতুন কিছু নয়। আমেরিকানরা ইতোমধ্যেই আমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। তবু আমরা শক্ত থেকে ন্যায়ের পক্ষে লড়াই করেছি এবং আমাদের মাতৃভূমি ও জনগণকে রক্ষা করেছি’। এর আগে বুধবার এক ঘোষণায় হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইয়েমেনের হুথি আনসারুল্লাহকে ‘বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে পুনরায় তালিকাভুক্ত করার আদেশে স্বাক্ষর করেছেন। ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদের শেষ দিকে এই আদেশ জারি হয়েছিল। কিন্তু ২০২১ সালে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এটি প্রত্যাহার করেন। বাইডেনের সিদ্ধান্তটি মানবিক সংগঠনগুলোর উদ্বেগের কারণে নেওয়া হয়েছিল। কারণ ট্রাম্পের ওই ঘোষণার ফলে ইয়েমেনে যুক্তরাষ্ট্রের কার্যক্রম ব্যাহত হতে পারত। তবে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজার বিরুদ্ধে ইসরাইলি যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর
ইয়েমেনি বাহিনী ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে লোহিত সাগর ও এডেন উপসাগরে চলাচল করা পশ্চিমা ও ইসরাইলি জাহাজগুলোতে হামলা শুরু করে এবং পশ্চিমা স্বার্থকে ‘বৈধ লক্ষ্যবস্তু’ হিসেবে ঘোষণা করে। এই প্রেক্ষিতে ট্রাম্প তার সাম্প্রতিক আদেশে হুথি আনসারুল্লাহকে আরও কঠোরভাবে ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে ঘোষণা করতে চায়। এই আদেশে গোষ্ঠীটির বিরুদ্ধে সৌদি আরবের বেসামরিক বিমানবন্দরে হামলা এবং ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরাইলে ৩০০টিরও বেশি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। হোয়াইট হাউসের বিবৃতিতে বলা হয়, ট্রাম্পের অধীনে যুক্তরাষ্ট্রের নীতি এখন আঞ্চলিক মিত্রদের সঙ্গে কাজ করে আনসারুল্লাহর কার্যক্রম ধ্বংস করতে, তাদের সম্পদ বঞ্চিত করতে এবং তাদের আক্রমণ বন্ধ করতে মনোযোগী। এছাড়াও বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ট্রাম্প ইউএসএআইডি-কে
নির্দেশ দেবেন, যাতে তারা আনসারুল্লাহকে অর্থ প্রদানকারী বা আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টার বিরোধিতা করা কোনো সংস্থার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে। সূত্র: আল মায়াদিন
করেন ইয়েমেনি তথ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘এটি নতুন কিছু নয়। আমেরিকানরা ইতোমধ্যেই আমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। তবু আমরা শক্ত থেকে ন্যায়ের পক্ষে লড়াই করেছি এবং আমাদের মাতৃভূমি ও জনগণকে রক্ষা করেছি’। এর আগে বুধবার এক ঘোষণায় হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইয়েমেনের হুথি আনসারুল্লাহকে ‘বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে পুনরায় তালিকাভুক্ত করার আদেশে স্বাক্ষর করেছেন। ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদের শেষ দিকে এই আদেশ জারি হয়েছিল। কিন্তু ২০২১ সালে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এটি প্রত্যাহার করেন। বাইডেনের সিদ্ধান্তটি মানবিক সংগঠনগুলোর উদ্বেগের কারণে নেওয়া হয়েছিল। কারণ ট্রাম্পের ওই ঘোষণার ফলে ইয়েমেনে যুক্তরাষ্ট্রের কার্যক্রম ব্যাহত হতে পারত। তবে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজার বিরুদ্ধে ইসরাইলি যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর
ইয়েমেনি বাহিনী ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে লোহিত সাগর ও এডেন উপসাগরে চলাচল করা পশ্চিমা ও ইসরাইলি জাহাজগুলোতে হামলা শুরু করে এবং পশ্চিমা স্বার্থকে ‘বৈধ লক্ষ্যবস্তু’ হিসেবে ঘোষণা করে। এই প্রেক্ষিতে ট্রাম্প তার সাম্প্রতিক আদেশে হুথি আনসারুল্লাহকে আরও কঠোরভাবে ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে ঘোষণা করতে চায়। এই আদেশে গোষ্ঠীটির বিরুদ্ধে সৌদি আরবের বেসামরিক বিমানবন্দরে হামলা এবং ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরাইলে ৩০০টিরও বেশি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। হোয়াইট হাউসের বিবৃতিতে বলা হয়, ট্রাম্পের অধীনে যুক্তরাষ্ট্রের নীতি এখন আঞ্চলিক মিত্রদের সঙ্গে কাজ করে আনসারুল্লাহর কার্যক্রম ধ্বংস করতে, তাদের সম্পদ বঞ্চিত করতে এবং তাদের আক্রমণ বন্ধ করতে মনোযোগী। এছাড়াও বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ট্রাম্প ইউএসএআইডি-কে
নির্দেশ দেবেন, যাতে তারা আনসারুল্লাহকে অর্থ প্রদানকারী বা আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টার বিরোধিতা করা কোনো সংস্থার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে। সূত্র: আল মায়াদিন