অতিথি পাখির মধুর কলতানে মুখর তারুয়া বিচ, দর্শনার্থীদের ভিড় – ইউ এস বাংলা নিউজ




অতিথি পাখির মধুর কলতানে মুখর তারুয়া বিচ, দর্শনার্থীদের ভিড়

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ৬:০৩ 64 ভিউ
প্রকৃতিতে জানান দিয়েছে শীত। এ ঋতু শুধু রিক্ততা-বিষণ্ণতা নয়, সঙ্গে নিয়ে আসে ঝাঁকে ঝাঁকে অতিথি পাখি। চরফ্যাশনের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল ঢালচর, কুকরি-মুকরি ও পর্যটন কেন্দ্র তারুয়া বিচে পাখিদের হাট বসেছে। বিচিত্র পাখ-পাখালির মধুময় কলতানে মুখর হয়ে উঠেছে এখানকার জনপদ। বছরজুড়ে তারুয়ায় ৫ কিলোমিটার হরেক রকম পাখির কলকাকলিতে সরব হয়ে ওঠা শীতের সময়টা যেন নতুন রূপ লাভ করে। তাছাড়া মূলত শীত মৌসুমের শুরুতেই সুদূর সাইবেরিয়া থেকে এখানকার চরাঞ্চলে পরিযায়ী পাখিদের আগমন শুরু হয়েছে। এখানে এক প্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্তে ডানা মেলে পাখিদের উড়ে বেড়ানো আর খাবার সংগ্রহের দৃশ্য যেন মুগ্ধ করে দর্শণার্থীদের। দুই পাশে পাখিদের কিচির-মিচির আওয়াজ আর কলকাকলি শোনা যায়। এমন

দৃশ্যের দেখা মেলে সকাল-বিকাল। চরফ্যাশন উপজেলা সদর থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরত্বে দক্ষিণ আইচা থানার ঢালচর ইউনিয়ন। বঙ্গোপসাগর ঘেষে ঢালচর থেকে পূর্ব দিকে চর শাহজালাল ও চর আশরাফের মাঝা মাঝি বিছিন্ন তারুয়া বিচ। জনমানবহীন গহিন অরণ্যাবৃত তারুয়ার বিচ যেন পাখিদের এক সবুজ অভয়ারণ্য। একটু দূরে তাকালেই দেখা যায় দল বেধে সারি সারি পাখির মেলা। এখানকার অন্তত ২০টি চরে আশ্রয় নিয়েছে এসব পাখি। পরিযায়ী পাখিদের আগমনকে কেন্দ্র করে একদিকে বেড়েছে বনাঞ্চলের সৌন্দর্য অন্যদিকে পর্যটকরাও ছুটে আসছেন পাখি দেখতে। ইউছুফ ফরাজী নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, চরের সৌন্দর্য বাড়িয়ে দেয় পরিযায়ী পাখি। দল বেধে পাখিদের উড়ে বেড়ানো আর খাবার সংগ্রহের দৃশ্য

সত্যিই মনোমুগ্ধকর। পাখিদের কিচির-মিচির শব্দ শুনতে অনেক ভালো লাগে। শীত মৌসুমে অনেকে পাখি দেখতে ছুটে আসেন। বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বঙ্গোপসাগরের কোল ঘেঁষা ঢালচর, মনপুরা, কলাতলীর চর, চর কুকরি মুকরি, চর শাহজালাল, চরশাজাহান, চর পিয়াল, আইলউদ্দিন চর, চরনিজাম, ডেগরারচরসহ মেঘনা-তেঁতুলিয়ার উপকূলবর্তী মাঝের চর, মদনপুরাসহ বিভিন্ন চরে পাখিদের আনা-গোনা। সকাল-বিকাল খাবার সংগ্রহে ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা যায় এদের। ডানা মেলে উড়ে চলা ও পাখিদের কলকাকলিতে মুখর থাকে চর। এলাকাবাসীর অভিযোগ, একশ্রেণির অসাধু শিকারি বিষটোপ, ধানের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে আবার ছোট ছোট মাছের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে পাখি শিকারে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। চরে আশ্রয় নেওয়া পাখিরা অনেকটা অনিরাপদ হয়ে পড়েছে।

এছাড়াও পরিযায়ী পাখিদের আভাসস্থল, বিচরণভূমি ও খাদ্যের সংকটেও রয়েছে। এ ব্যাপারে ভোলার বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আরিফুল হক বেলাল বলেন, শীতের শুরুতে চরফ্যাশনের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চলে পরিযায়ী পাখিদের আগমন শুরু হয়েছে। এখানকার চরগুলো পরিযায়ী পাখিদের জন্য বিখ্যাত। পাখিদের কেউ যাতে শিকার করতে না পারে সেজন্য বন বিভাগের আটটি রেঞ্জ থেকে টহল জোরদার করা হয়েছে। তারা নিয়মিত টহল দিচ্ছে। এছাড়াও পাখি শিকার বন্ধে স্পেশাল টিম গঠন ও গোয়েন্দা নরজদারি বাড়ানো হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
বাংলাদেশ সিরিজের দল দিল নেদারল্যান্ডস আগামী ১০ সেপ্টেম্বর ভোটকেন্দ্রের খসড়া প্রকাশ করা হবে: ইসি ভারত ঝুঁকছে, চীন কতটা সাড়া দেবে জড়িতদের তালিকাসহ ৭ পৃষ্ঠার প্রতিবেদন দাখিল তদন্ত কমিটির মহাখালীর সাততলা বস্তির আগুন নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ সিরিজের দল দিল নেদারল্যান্ডস উখিয়ায় চাকরিচ্যুত শিক্ষকদের বিক্ষোভে লাঠিচার্জ, ১৫ জন পুলিশ হেফাজতে গভর্নর বলেন বাধ্যতামূলক ছুটিতে, এদিকে অফিস করছেন বিএফআইইউ প্রধান কখনোই কোনো রাজনৈতিক দলে ছিলাম না, পদ বা দায়িত্বেও নেই: শাকিব খান ইউক্রেনে শান্তি প্রতিষ্ঠায় কি সফল হবেন ট্রাম্প গাজা সীমান্তে ৪০ হাজার সেনা মোতায়েন করল মিসর মালয়েশিয়ায় শ্রমিক যাবে শূন্য অভিবাসন ব্যয়ে ফজর নামাজের সময় মসজিদে নারকীয় তাণ্ডব, নিহত ২৭ সৌদিগামী যাত্রীদের জন্য সুখবর ‘৫১ লাখ টাকার স্টেডিয়াম ১৪ কোটিতে করার অনুমোদন’, কী ব্যাখ্যা দিলেন সচিব দুপুরের মধ্যে ৭ জেলায় হতে পারে বজ্রবৃষ্টি ১৯ ভোটারে একজন প্রার্থী রাশিয়া শক্তিশালী, এটা মেনে নিতেই হবে : ট্রাম্প ফেব্রুয়ারির কত তারিখে রোজা শুরু হতে পারে রুশ ট্রেনে ইউক্রেনীয় বাহিনীর ভয়াবহ হামলা