ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
শিল্পকলার সেই লাকীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
একনেকে ১৯৭৪ কোটি টাকার ১০ প্রকল্পের অনুমোদন
বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় তদন্ত কমিশন গঠন
বাড়ি ছেড়ে অজ্ঞাত স্থানে কুমিল্লার সেই বীর মুক্তিযোদ্ধা
অবৈধ বাংলাদেশি শনাক্তে ভারতজুড়ে চলছে অভিযান
বীর প্রতীকের গলায় জুতার মালা দিয়েছে জামায়াতের কর্মীরা
ভুল সিদ্ধান্তের জন্য রিগ্রেট করি-আরাফাত
বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের ফাঁদে আটকা পড়েছে: দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য
বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেছেন, শিল্প, কৃষি ও সেবা খাতে শ্রমশক্তির কম উৎপাদন ক্ষমতার কারণে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের ফাঁদে আটকা রয়েছে।
মঙ্গলবার ঢাকায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান বক্তা হিসেবে তিনি এ কথা বলেন। ম্যাগাজিন ডিপ্লোমেট ওয়ার্ল্ড এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
ড. দেবপ্রিয় বলেন, সরকার পরিবর্তন মানেই শাসন ব্যবস্থার পরিবর্তন, এমন সংস্কৃতি থেকে দেশ বেরিয়ে আসতে না পারলে সংস্কার ফলপ্রসূ হবে না। দেশের রপ্তানি খাত শুধু পোশাকে কেন্দ্রীভূত। টেকসই অর্থনীতির জন্য রপ্তানি বহুমুখীকরণ জরুরি। এজন্য পাট, চামড়া, আইটি খাতে প্রবৃদ্ধি বাড়াতে প্রণোদনা দিতে হবে।
তিনি বলেন, দেশে শিক্ষার মান ব্যাপকভাবে পড়ে গেছে। এ খাতে ব্যয় ২
শতাংশের কম, যা আমাদের মতো দেশগুলোর মধ্যে সর্বনিম্ন। সংস্কারের দৃশ্যমান সুফল হলেই শুধু মানুষ নির্বাচন ও নির্বাচিত সরকার নিয়ে ধৈর্য ধরতে পারে। তিনি জেলা পর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের পরিবর্তে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মানসম্মত শিক্ষার ওপর জোর দেন। দুর্নীতির শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির প্রধান দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, বাংলাদেশিদের অভিবাসন খরচ নেপালের চেয়ে তিন গুণ বেশি। এর কারণ হলো দুর্নীতি। একটি সিন্ডিকেট প্রবাসী শ্রমিকদের টাকা খাচ্ছে। এ ছাড়া অপরিকল্পিত নগরায়ণ ও শিল্পায়ন ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা, আইনশৃঙ্খলা ও মানসম্মত নাগরিক সেবা প্রদানে চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে। এটি মধ্যম আয়ের ফাঁদ থেকে বাংলাদেশের উন্নীত হওয়ার আরেকটি বড় চ্যালেঞ্জ। ড. দেবপ্রিয় বলেন, জাতীয় সূচক-সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত কারসাজির তদন্তে পরিকল্পনা
কমিশন ১৭ সদেস্যের যে কমিটি গঠন করেছে, তা দেখে তিনি হতাশ। দুর্নীতির শ্বেতপত্রে যে সুপারিশ করা হয়েছে, তার সঙ্গে নতুন কমিটির কোনো মিল নেই। সেই পুরোনো আমলা কমিটি রাখা হয়েছে, যারা অনেকে আগে তথ্য জালিয়াতি করেছে। এমনসব প্রতিষ্ঠানকে কমিটিতে নেওয়া হয়েছে, যাদের এ-সংক্রান্ত কারিগরি জ্ঞান নেই। তিনি বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতিবিদদের মধ্যে একটা পূর্ণ ঐকমত্য বিরাজ করে, এটা খুব অদ্ভুত। তিনজন অর্থনীতিবিদ থাকলে চারটা মত হওয়ার কথা ছিল। এ বিষয়টিকে মজা করে বলা হয় ঢাকা ঐকমত্য। সিপিডির এই সম্মানীয় ফেলো বলেন, দেশে বেসরকারি বিনিয়োগ নেই। এর মধ্যে স্থানীয় চাহিদা কমলে জিডিপি কমে যাবে। তাঁর মতে, ব্যবসায়ীরা মধ্যম আয়ের দেশ থেকে উন্নয়নশীল
দেশে উন্নীত হতে চায় না, কারণ কোটা সুবিধাসহ বেশ কিছু সুযোগ কমে আসবে। কিন্তু কয়েক বছর অপেক্ষা করলে কি খুব বেশি পরিবর্তন আসবে? মনে হয় না। ২০২৬ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় রয়েছে। এর মধ্যে সূচকগুলোর উন্নতি হলে আমরা উন্নয়নশীল দেশ হতে পারি। পরিস্থিতির উন্নতি না হলে সময় পেছানো যেতে পারে। তবে একটা কথা শুনতে হবে, তিনি (শেখ হাসিনা) বলবেন, সোনার সংসার রেখে এসেছি তা ধ্বংস করে দিয়েছে, উন্নয়নশীল দেশ হতে পারল না। কিন্তু দেশের অর্থনীতি যে কোন অবস্থা রেখে গেছেন, তা বলবেন না। আমলা, ব্যবসায়ী আর রাজনীতিবিদদের একটা দুষ্ট চক্র তৈরি করা হয়েছিল। মাত্র একজন ব্যবসায়ী ৫০ হাজার কোটি টাকার
ঋণখেলাপি, এটি ভাবা যায়? ৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ধরে বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ানো হয়েছে, যার অর্ধেকের বেশি অলস বসিয়ে রাখতে হয়। এভাবে তথ্য উপাত্ত কারসাজি করে দেশের অর্থনীতি ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে দেখানো হয়েছে। অনুষ্ঠানে সাবেক ও বর্তমান কূটনীতিকরা অংশ নেন।
শতাংশের কম, যা আমাদের মতো দেশগুলোর মধ্যে সর্বনিম্ন। সংস্কারের দৃশ্যমান সুফল হলেই শুধু মানুষ নির্বাচন ও নির্বাচিত সরকার নিয়ে ধৈর্য ধরতে পারে। তিনি জেলা পর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের পরিবর্তে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মানসম্মত শিক্ষার ওপর জোর দেন। দুর্নীতির শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির প্রধান দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, বাংলাদেশিদের অভিবাসন খরচ নেপালের চেয়ে তিন গুণ বেশি। এর কারণ হলো দুর্নীতি। একটি সিন্ডিকেট প্রবাসী শ্রমিকদের টাকা খাচ্ছে। এ ছাড়া অপরিকল্পিত নগরায়ণ ও শিল্পায়ন ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা, আইনশৃঙ্খলা ও মানসম্মত নাগরিক সেবা প্রদানে চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে। এটি মধ্যম আয়ের ফাঁদ থেকে বাংলাদেশের উন্নীত হওয়ার আরেকটি বড় চ্যালেঞ্জ। ড. দেবপ্রিয় বলেন, জাতীয় সূচক-সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত কারসাজির তদন্তে পরিকল্পনা
কমিশন ১৭ সদেস্যের যে কমিটি গঠন করেছে, তা দেখে তিনি হতাশ। দুর্নীতির শ্বেতপত্রে যে সুপারিশ করা হয়েছে, তার সঙ্গে নতুন কমিটির কোনো মিল নেই। সেই পুরোনো আমলা কমিটি রাখা হয়েছে, যারা অনেকে আগে তথ্য জালিয়াতি করেছে। এমনসব প্রতিষ্ঠানকে কমিটিতে নেওয়া হয়েছে, যাদের এ-সংক্রান্ত কারিগরি জ্ঞান নেই। তিনি বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতিবিদদের মধ্যে একটা পূর্ণ ঐকমত্য বিরাজ করে, এটা খুব অদ্ভুত। তিনজন অর্থনীতিবিদ থাকলে চারটা মত হওয়ার কথা ছিল। এ বিষয়টিকে মজা করে বলা হয় ঢাকা ঐকমত্য। সিপিডির এই সম্মানীয় ফেলো বলেন, দেশে বেসরকারি বিনিয়োগ নেই। এর মধ্যে স্থানীয় চাহিদা কমলে জিডিপি কমে যাবে। তাঁর মতে, ব্যবসায়ীরা মধ্যম আয়ের দেশ থেকে উন্নয়নশীল
দেশে উন্নীত হতে চায় না, কারণ কোটা সুবিধাসহ বেশ কিছু সুযোগ কমে আসবে। কিন্তু কয়েক বছর অপেক্ষা করলে কি খুব বেশি পরিবর্তন আসবে? মনে হয় না। ২০২৬ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় রয়েছে। এর মধ্যে সূচকগুলোর উন্নতি হলে আমরা উন্নয়নশীল দেশ হতে পারি। পরিস্থিতির উন্নতি না হলে সময় পেছানো যেতে পারে। তবে একটা কথা শুনতে হবে, তিনি (শেখ হাসিনা) বলবেন, সোনার সংসার রেখে এসেছি তা ধ্বংস করে দিয়েছে, উন্নয়নশীল দেশ হতে পারল না। কিন্তু দেশের অর্থনীতি যে কোন অবস্থা রেখে গেছেন, তা বলবেন না। আমলা, ব্যবসায়ী আর রাজনীতিবিদদের একটা দুষ্ট চক্র তৈরি করা হয়েছিল। মাত্র একজন ব্যবসায়ী ৫০ হাজার কোটি টাকার
ঋণখেলাপি, এটি ভাবা যায়? ৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ধরে বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ানো হয়েছে, যার অর্ধেকের বেশি অলস বসিয়ে রাখতে হয়। এভাবে তথ্য উপাত্ত কারসাজি করে দেশের অর্থনীতি ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে দেখানো হয়েছে। অনুষ্ঠানে সাবেক ও বর্তমান কূটনীতিকরা অংশ নেন।