ফের অভিশংসন ভোটের মুখে পড়তে যাচ্ছেন দ. কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট – ইউ এস বাংলা নিউজ




ফের অভিশংসন ভোটের মুখে পড়তে যাচ্ছেন দ. কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ২:২৯ 55 ভিউ
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওল আজ দ্বিতীয়বারের মতো অভিশংসন ভোটের সম্মুখীন হতে যাচ্ছেন। দেশটিতে সামরিক শাসন জারির চেষ্টার কারণে বিরোধী দলগুলো তার বিরুদ্ধে অভিশংসনের চেষ্টা চালাচ্ছে। এর আগে ৭ ডিসেম্বর প্রধান বিরোধী দল ডেমোক্রেটিক পার্টি (ডিপি) প্রথম তার বিরুদ্ধে অভিশংসনের চেষ্টা চালিয়েছিল। গত ৩ ডিসেম্বর দক্ষিণ কোরিয়ায় সামরিক আইন জারি করেছিলেন ইউন। যদিও জনগণের চাপের মুখে ছয় ঘণ্টার মধ্যে তা প্রত্যাহার করতে বাধ্য হন তিনি। তার এই পদক্ষেপের কারণে দেশটির জনগণ হতবাক হয়ে পড়ে। তার নিজ দলের মধ্যেও বিভক্তি তৈরি হয়। মেয়াদের অর্ধেক পথে এসে ঝুঁকির মুখে পড়ে তার প্রেসিডেন্ট পদ। ইউন সুক-ইওল সামরিক শাসন জারির পর তার অভিশংসনের দাবিতে রাস্তায় নেমে

আসে মানুষ। সেনাবাহিনী ও পুলিশকে উপেক্ষা করেই বিরোধী দল নিয়ন্ত্রিত পার্লামেন্টে অভিশংসন ভোট হয়। তবে সে ভোটে তিনি উতরে যান। যদিও বিষয়টি দক্ষিণ কোরিয়াকে সাংবিধানিক সংকটে ফেলে দিয়েছে। আইন ভঙ্গের কারণে দেশজুড়ে তার পদত্যাগের ব্যাপক দাবি উঠছে। বিরোধী দলগুলো শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) স্থানীয় সময় বিকাল ৪টায় অভিশংসন ভোটের পরিকল্পনা করেছে। ভোটকে কেন্দ্র করে বড় ধরনের বিক্ষোভের পরিকল্পনাও রয়েছে তাদের। প্রথমবার বিরোধী দলগুলো যে অভিশংসন প্রস্তাব এনেছিল, তা পাস করতে পার্লামেন্টে ৩০০ আসনের মধ্যে ২০০ ভোটের প্রয়োজন ছিল। কিন্তু এর আগে ইউনের দল পিপল পাওয়ার পার্টি (পিপিপি) অভিশংসন প্রক্রিয়া প্রত্যাখ্যান করায় তা ব্যর্থ হয়। এর পর থেকে পিপিপির নেতা হ্যান ডং-হুন দলের সদস্যদের দ্বিতীয়

দফা ভোটে অভিশংসন প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে আসছেন। অন্তত সাতজন পিপিপি নেতা বলেছেন, তারা প্রেসিডেন্টের অভিশংসনের জন্য ভোট দেবেন। দক্ষিণ কোরিয়ার এক-কক্ষবিশিষ্ট পার্লামেন্টে ৩০০ আসনের ১৯২টি বিরোধী দলগুলোর নিয়ন্ত্রণে। অভিশংসন কার্যকর হওয়ার জন্য পার্লামেন্ট সদস্যদের দুই-তৃতীয়াংশ ভোট প্রয়োজন। সে হিসেবে বিরোধী দলকে পিপিপির অন্তত ৮টি ভোট পেতে হবে। ইউনের দল পিপল পাওয়ার পার্টির কয়েকজন নেতা অভিশংসনের পক্ষে ভোট দেওয়ার কথা বললেও শুক্রবার দলটি জানিয়েছে, এবারের ভোটেও তারা অভিশংসন প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করবে। অভিশংসিত হলে সাংবিধানিক আদালত তাকে অপসারণ বা পুনর্বহাল করার আগপর্যন্ত ইউন প্রেসিডেন্ট হিসেবে কর্তৃত্ব হারাবেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী হান ডাক-সু ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। সংবিধান অনুযায়ী, যদি আদালত

ইউনকে অপসারণ করেন বা তিনি পদত্যাগ করেন, তাহলে ৬০ দিনের মধ্যে নির্বাচন দিতে হবে।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
৩৬ বছর স্বামী থেকে আলাদা আলকা কেন আফগানিস্তানেই নজর চীন, ভারত ও পাকিস্তানের? আমি থাকাকালে চীন তাইওয়ানে হামলা করবে না : ট্রাম্প কোনো যুদ্ধবিরতি, ‍কোনো চুক্তি হয়নি : বৈঠকের ফল ‘শূন্য’ বিশ্ববাজারে বাড়ল ভোজ্যতেলের দাম দুই কারণে বাড়ল জ্বালানি তেলের দাম স্ত্রীর প্রেমিককে গণধোলাই দিতে বললেন হিরো আলম ফেসবুকে কথাকাটাকাটি, টেঁটা-বল্লম নিয়ে দুপক্ষের সংঘর্ষ ধর্ষণে ১৩ বছরের কিশোরী নিহত, কিশোর গ্রেপ্তার পুতিনকে ট্রাম্পপত্নীর গোপন চিঠি, কী আছে এতে? পুতিনের মাথার ওপরেই কেন বোমারু বিমান ওড়াল যুক্তরাষ্ট্র ইরানের হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র কতটা ভয়ংকর? ‘আমি গৃহবন্দি’, জেডআই খান পান্নার ফেসবুক পোস্ট পুতিনের সঙ্গে বৈঠক শেষে ট্রাম্প বললেন, ‘গ্রেট প্রোগ্রেস’ একই গাড়িতে উঠলেন ট্রাম্প-পুতিন ট্রাম্প বললেন সম্ভবত আবার দেখা হবে, পুতিন বললেন ‘পরেরবার মস্কোতে’ ট্রাম্প-পুতিনের আলোচনাকে স্বাগত জানিয়ে যা বললেন জেলেনস্কি বাংলাদেশের শতাধিক ওয়েবসাইটে হামলার দাবি ভারতীয় হ্যাকার গ্রুপের আপনি কি যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হবেন, পুতিনকে সাংবাদিকের প্রশ্ন ধানমন্ডি ৩২: নিরাপত্তার মধ্যে শোক জানাতে গিয়ে মারধর-হেনস্তার শিকার