ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হলে তার ফৌজিদারি মামলার কী হবে? – ইউ এস বাংলা নিউজ




ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হলে তার ফৌজিদারি মামলার কী হবে?

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ৫ নভেম্বর, ২০২৪ | ৫:৩৫ 71 ভিউ
২০২৪ সালের নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের পরিণতি মূলত নির্বাচনি ফলাফল এবং আইনি প্রক্রিয়ার ওপর নির্ভর করবে। রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ট্রাম্পের আইনজীবীরা বার বার আদালতের কাছে সাজা ঘোষণার দিনক্ষণ পেছানোর আবেদন করেন। আবেদন মেনে বার কয়েক সেই তারিখ বদলানোও হয়। শেষ দেওয়া নির্দেশ অনুযায়ী, ফৌজিদারি মামলায় দোষী সাব্যস্ত ট্রাম্পের সাজা ঘোষণা হতে পারে ২৬ নভেম্বর। অর্থাৎ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দিন ২০ পর। সাজা ঘোষণার আগে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়তে হচ্ছে ট্রাম্পকে। সেই নির্বাচনের ফলাফলের ওপর নির্ভর করছে অনেক কিছু। তিনি জিতলে, ইতিহাসে প্রথম ‘অপরাধী’ প্রেসিডেন্ট পাবে যুক্তরাষ্ট্র। আইনজ্ঞদের মতে, ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হলে তার বিরুদ্ধে ওঠা ফৌজিদারি মামলা স্থগিত হয়ে যেতে পারে। তবে হারলে আবার

আইনি লড়াইয়ের সম্মুখীন হতে হবে ট্রাম্পকে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, সাবেক প্রেসিডেন্টের আইনজীবীরা তাদের মক্কেলকে সাজার হাত থেকে বাঁচাতে বিভিন্ন পন্থা নিতে পারেন। আবার শুনানির আর্জিও করা হতে পারে। আমেরিকার আইন অনুযায়ী, ট্রাম্পের জেল বা জরিমানা অথবা এক সঙ্গে দু’টি সাজাই হওয়ার কথা। তবে সব কিছুই নির্ভর করছে ৫ নভেম্বরের ফলাফলের ওপর। ট্রাম্পের প্রচার অভিযানের মুখপাত্র স্টিভেন চেউং জানিয়েছেন, ব্যালট বাক্সে জয়ী হবেন ট্রাম্পই! কী কী অভিযোগ রয়েছে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে? যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রথম সাবেক প্রেসিডেন্ট হিসেবে ফৌজদারি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন ট্রাম্প। পর্নতারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কের পরে ২০১৬ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় তার মুখ বন্ধ রাখতে ট্রাম্প ১

লাখ ৩০ হাজার ডলার ঘুষ দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। ওই টাকা দেওয়ার বিষয়টি গোপন রাখতে ট্রাম্প তার ব্যবসায়িক সংস্থার নথিপত্রে জালিয়াতি করেছিলেন। সেই অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল তাকে। নভেম্বরের শেষ দিকেই হয়তো সাজা ঘোষণা হতে পারে। ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ২০২০ সালের নির্বাচনে ফলাফল নষ্ট করার অভিযোগ রয়েছে। চলতি বছরের শুরুতেই এই মামলার শুনানি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপে তা স্থগিত করা হয়। ফের প্রেসিডেন্ট হলে, প্রথমেই অ্যাটর্নি জেনারেল স্মিথকে বরখাস্ত করবেন বলে ঘোষণা করে দিয়েছেন ট্রাম্প। ফলে মামলার ভবিষ্যৎ প্রশ্নের মুখে পড়বে। ২০২০ সালের নির্বাচনে টান টান লড়াইয়ে দেশের দক্ষিণ-পূর্ব অংশের জর্জিয়া অন্যতম ভূমিকা নিয়েছিল। তবে সেখানকার নির্বাচন নিয়ে

বিতর্ক এখনো জারি রয়েছে। ট্রাম্পের বিরুদ্ধে সেখানকার ফলাফলে হস্তক্ষেপ করার অভিযোগ রয়েছে। যদিও সেই মামলা আপাতত স্থগিত। ফৌজদারি মামলা ছাড়াও একাধিক দেওয়ানি মামলাতেও নাম জড়িয়েছে ট্রাম্পের। নিউ ইয়র্কের আদালতে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে বেআইনিভাবে অধিকৃত সম্পত্তির মামলা চলছে। প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন বেআইনিভাবে ৩০ কোটি ডলারের সম্পত্তি করেছিলেন ট্রাম্প, এ অভিযোগ এনে তার বিরুদ্ধে দেওয়ানি মামলা করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল। দোষী সাব্যস্ত হলে অবশ্য তার জেল হবে না, দিতে হবে জরিমানা।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
ব্যাংক এশিয়ায় চাকরির সুযোগ মিলারের দাদন বাণিজ্যে অস্থির চালের বাজার নিরন্তর টিকে থাকার লড়াই কুতুবদিয়া দ্বীপবাসীর লুটপাটের ক্ষত মুছতে সাদা পাথরে পানি স্প্রে ২৩ বছর ধরে কারাগারে ফিলিস্তিনের ‘নেলসন মেন্ডেলা’ আজ ১১ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায় ধর্মঘটে বাতিল এয়ার কানাডার ৬’শর বেশি ফ্লাইট চীনে অবৈধ সরবরাহ ঠেকাতে চিপের চালানে গোপন ট্র্যাকার বসাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ট্রাম্প-পুতিন বৈঠকের কয়েক ঘণ্টা পর ইউক্রেনে ভয়াবহ হামলা চালাল রাশিয়া টালিউডে রেকর্ড গড়লো ‘ধূমকেতু’ পাসওয়ার্ডের নিরাপত্তায় কার্যকরী অভ্যাস গড়ে তোলা জরুরি যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের উদ্যোগে ১৫ই আগস্ট জাতীয় শোক দিবস পালন ৩৬ বছর স্বামী থেকে আলাদা আলকা কেন আফগানিস্তানেই নজর চীন, ভারত ও পাকিস্তানের? আমি থাকাকালে চীন তাইওয়ানে হামলা করবে না : ট্রাম্প কোনো যুদ্ধবিরতি, ‍কোনো চুক্তি হয়নি : বৈঠকের ফল ‘শূন্য’ বিশ্ববাজারে বাড়ল ভোজ্যতেলের দাম দুই কারণে বাড়ল জ্বালানি তেলের দাম স্ত্রীর প্রেমিককে গণধোলাই দিতে বললেন হিরো আলম ফেসবুকে কথাকাটাকাটি, টেঁটা-বল্লম নিয়ে দুপক্ষের সংঘর্ষ