ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
শহিদ আলিফের পরিবারের জন্য কোটি টাকার তহবিল
জান্তাপ্রধানকে গ্রেফতারে পরোয়ানার আবেদন, স্বাগত জানাল বাংলাদেশ
বিচারে সরকারের উদ্যোগ নেই
শিশু বলাৎকারের জন্য কখনো ক্ষমা চায়নি ইসকন
স্বাধীন ও নির্ভরযোগ্য জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের জন্য সংস্কার প্রয়োজন
ইসকনের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ
লগি-বৈঠা দিয়ে জামায়াত নেতাদের পিটিয়ে হত্যা: ১৮ বছর পর হাসিনার নামে মামলা
ইউরোপ-আমেরিকায় শেখ হাসিনা সরকারের ভিত কাঁপিয়েছেন যারা
বিদেশে বসে টকশোসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রতিদিন দুর্নীতি-লুটপাটের কঠোর সমালোচনা করে শেখ হাসিনা সরকারের ভিত কাঁপিয়েছিলেন একঝাঁক ইউটিউবার। তাদের মধ্যে লন্ডনের আলোচিত সাংবাদিক রেজা আহমদ ফয়সল চৌধুরী সুয়েব, যুক্তরাষ্ট্রের এম রহমান মাসুম, আলাউর খন্দকার, কানাডার ড. তাজ হাশমী, মোস্তাফিজুর রহমান টিটু, ফ্রান্সের সাইফুর সাগর, অস্ট্রেলিয়ার মুন্নী চৌধুরী মেধা ও লন্ডনে হাসিনা আক্তার অন্যতম।
কোনো হুমকি কিংবা ভয়ভীতি তাদের দমিয়ে রাখতে পারেনি। বিদেশে বসে বিভিন্ন টেলিভিশন কিংবা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরকারের বিরুদ্ধে গঠনমূলক সমালোচনা করে দেশে জনমত সৃষ্টিতে তারা ভূমিকা রেখেছেন। তাদের অনেকেই এক যুগেরও বেশি সময় দেশে আসতে পারেননি।
রেজা আহমদ ফয়সল চৌধুরী লন্ডনে বসবাস করেন। তিনি স্যাটেলাইট টিভি ‘চ্যানেল আই’র ইউরোপের ব্যবস্থাপনা
পরিচালক ছিলেন। বহির্বিশ্বে ফয়সল চৌধুরীই প্রথম স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেলের মাধ্যমে শেখ হাসিনা সরকারের অন্যায়-অত্যাচার, গুম-খুনের বিরুদ্ধে ব্যাপক প্রচার শুরু করেন। তার সঞ্চালনায় চ্যানেল আই-ইউকেতে সম্প্রচারিত টকশো ‘স্ট্রেইট ডায়ালগ’ বহির্বিশ্বে ব্যাপক জনপ্রিয় এবং বাংলাদেশের নির্যাতিত মানুষের কণ্ঠস্বর হয়ে ওঠে। ২০১৩ থেকে টানা ২০১৮ সাল পর্যন্ত চালিয়ে যাওয়া স্ট্রেইট ডায়ালগের কারণে আওয়ামী লীগ সরকার তার ওপর প্রচণ্ড ক্ষিপ্ত হয়। যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ ও বাংলাদেশ হাইকমিশন স্ট্রেইট ডায়ালগ বন্ধ করতে নানা তৎপরতা চালিয়ে ব্যর্থ হয়। সর্বশেষ ২০১৮ সালে সরকার লন্ডনে চ্যানেল আইর সম্প্রচার এক দিনের নোটিশে বন্ধ করে দেয়। অভিযোগ করা হয়, লন্ডন স্টুডিওতে নাকি কেক কেটে তারেক রহমানের জন্মদিন উদযাপন করা হয়েছে। সরকারের নীতিনির্ধারক
মহলের পরামর্শে ২০২১ সালের ৬ অক্টোবর ফয়সল চৌধুরী, পিনাকী ভট্টাচার্য ও তাজ হাশমীকে নিয়ে ‘দেশবিরোধী ভয়ানক তিন সাইবার দুর্বৃত্ত’ শিরোনামে একটি জাতীয় দৈনিকে লিড রিপোর্ট করা হয়, যা পত্রিকাটির অনলাইনে দীর্ঘদিন ঝুলিয়ে রাখা হয়। রিপোর্টে ফয়সল চৌধুরীকে দেশবিরোধী দিগভ্রান্ত সাংবাদিক, কথিত বুদ্ধিজীবী, মস্তিষ্কবিকৃত এবং পাগল শ্রেণির বলে আখ্যায়িত করে বলা হয়, তিনি বিদেশে বসে মিথ্যাচার, উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত এবং দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করে দেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। তাকে যুদ্ধাপরাধী অপশক্তি এবং জঙ্গিবাদের পক্ষে জামায়াতে ইসলামী ও পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থার পেইড এজেন্ট বলেও উল্লেখ করা হয়। এই রিপোর্টে আরও বলা হয়, ‘সরকার, প্রধানমন্ত্রী, শিল্পপতি ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে
বিষোদ্গার ও গুজব ছড়ানোই কথিত সাংবাদিক ফয়সল চৌধুরী সুয়েবের মূল কাজ। তিনি মিথ্যাচার করে চলেছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের বিরুদ্ধে। এ ছাড়া অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সালমান এফ রহমান, জুনাইদ আহমেদ পলক, আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ, এস আলম গ্রুপ, এক্সিম ব্যাংকের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার ও পদ্মা ব্যাংকের চেয়ারম্যান চৌধুরী নাফিস শরাফতসহ বিভিন্নজনের বিরুদ্ধে ইচ্ছামাফিক বিষোদ্গার করে যাচ্ছেন এই স্বঘোষিত পণ্ডিত।’ চ্যানেল আই বন্ধ করে দেওয়ার পর ‘চ্যানেল ইউরোপ ফেসবুক পেজ’ এবং স্ট্রেইট ডায়ালগ ইউটিউব চ্যানেল দিয়ে তিনি আওয়ামী লীগের কার্যক্রমের প্রতিবাদ অব্যাহত রাখেন। ডক্টর তাজ হাশমী বাস করেন কানাডায়। অনলাইন অ্যাক্টিভিস্টদের মধ্যে তিনিই সবচেয়ে
সিনিয়র। তার লেখা অনেক বইয়ের মধ্যে ব্যাপক আলোচিত ‘ফিফটি ইয়ার্স অব বাংলাদেশ’। তথ্যসমৃদ্ধ বইটি পড়লে তাজ হাশমীর জ্ঞানের গভীরতা সহজেই বোঝা যায়। তাজ হাশমী কানাডায় বসে শেখ হাসিনা সরকারের তীব্র সমালোচনা করে আলোচিত হন। এম রহমান মাসুম একজন অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট। বাংলাদেশে চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনের কঠোর সমালোচনা করে তিনিই প্রথম যুক্তরাষ্ট্রে আলোচনার ঝড় তোলেন। ইউটিউব-ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইংরেজি ভাষায় আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে অনুষ্ঠান শুরু করেন সেই ২০১২ সালে। যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটর, কংগ্রেসম্যান, ইউরোপিয়ান মেম্বার অব পার্লামেন্ট, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের আইনজীবী, মানবাধিকার কর্মীদের তার অনুষ্ঠানে যুক্ত করে আওয়ামী লীগ সরকারের অন্যায় কার্যক্রম ও একের পর এক মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয় তুলে ধরা অব্যাহত
রাখেন। তার বিভিন্ন অনুষ্ঠান থেকে মানুষ দেশের প্রকৃত অবস্থা জানতে পারত। এম রহমান মাসুম প্রথম ব্যক্তি, যিনি প্রবাসীদের অধিকার আদায়ে বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যের প্রবাসীদের দুর্দশা ও তাদের অধিকার নিয়ে প্রতিবাদ ও কাজ শুরু করেন। যিনি সরেজমিন মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করে তাদের অবস্থা দেখে আসেন এবং একটি প্ল্যাটফর্মে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করার জন্য রেমিট্যান্স ফাইটার্স অব বাংলাদেশ নামে একটি সংগঠন গঠন করেন, যা ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে। আলাউর খন্দকার আমেরিকায় বসবাস করেন। আমেরিকা বাংলা চ্যানেল নামে একটি টিভিতে টকশো করে হাসিনাবিরোধী আন্দোলনে জোরালো ভূমিকা রাখেন। এ ছাড়া কানাডা থেকে ফেস দ্য পিপল নামে টকশো করে শেখ হাসিনা সরকারের কাছে বিতর্কিত হন সাইফুর সাগর,
ফ্রান্স থেকে সুসময় শরীফ ও সিডনি থেকে বনী আমীন। তা ছাড়া টকশোতে অতিথি হয়ে মালয়েশিয়া থেকে ডাক্তার ফয়জুল হক, সাকিব আলী, ব্যারিস্টার সরওয়ার হোসেনসহ অনেকে হাসিনা সরকারের পতনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। আরিফ আল মাহফুজ লন্ডন থেকে শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে অনলাইনে জনমত গঠনে ভূমিকা রাখেন। হাসিনা আক্তার একসময় লন্ডনে চ্যানেল আই, ইউরোপে নিউজ প্রেজেন্টার হিসেবে সাংবাদিকতা শুরু করেন। পরে অনলাইনে টকশো শুরু করে ব্যাপক আলোচিত হন। মুন্নী চৌধুরী মেধা সিডনিতে বসবাস করেন। তিনিও শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে ব্যাপক জনমত গড়ে তোলেন। লন্ডন থেকে কাজী হেমায়েত উদ্দিন মিশন ও সৈয়দ মাসুক টকশোর মাধ্যমে সরকারের বিরুদ্ধে জনমত গঠনে ব্যাপক ভূমিকা রাখেন। লন্ডন থেকে আব্দুর রব ভুট্টোও শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে জনমত গঠনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখেন। আমেরিকার আরেক অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট ছিলেন নায়ব আলী। কানাডা নাগরিক টিভির সিইও মোস্তাফিজুর রহমান টিটুও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। এ ছাড়া শেখ হাসিনা সরকারের প্রথম প্রবাসী কারাবরণকারী ব্যক্তি হচ্ছেন লন্ডন প্রবাসী নূরে আলম হামিদী। তিনি ২০১৩ সালে শাহবাগ আন্দোলনে ভুল তথ্যের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার হয়ে কারাবরণ করেন। পাকিস্তানি নাগরিক ও লস্কর-ই-তৈইয়্যবার স্কোয়াড লিডার হিসেবে পত্রপত্রিকা, টেলিভিশন এমনকি জাতীয় সংসদে নূরে আলম হামিদীকে ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছিল।
পরিচালক ছিলেন। বহির্বিশ্বে ফয়সল চৌধুরীই প্রথম স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেলের মাধ্যমে শেখ হাসিনা সরকারের অন্যায়-অত্যাচার, গুম-খুনের বিরুদ্ধে ব্যাপক প্রচার শুরু করেন। তার সঞ্চালনায় চ্যানেল আই-ইউকেতে সম্প্রচারিত টকশো ‘স্ট্রেইট ডায়ালগ’ বহির্বিশ্বে ব্যাপক জনপ্রিয় এবং বাংলাদেশের নির্যাতিত মানুষের কণ্ঠস্বর হয়ে ওঠে। ২০১৩ থেকে টানা ২০১৮ সাল পর্যন্ত চালিয়ে যাওয়া স্ট্রেইট ডায়ালগের কারণে আওয়ামী লীগ সরকার তার ওপর প্রচণ্ড ক্ষিপ্ত হয়। যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ ও বাংলাদেশ হাইকমিশন স্ট্রেইট ডায়ালগ বন্ধ করতে নানা তৎপরতা চালিয়ে ব্যর্থ হয়। সর্বশেষ ২০১৮ সালে সরকার লন্ডনে চ্যানেল আইর সম্প্রচার এক দিনের নোটিশে বন্ধ করে দেয়। অভিযোগ করা হয়, লন্ডন স্টুডিওতে নাকি কেক কেটে তারেক রহমানের জন্মদিন উদযাপন করা হয়েছে। সরকারের নীতিনির্ধারক
মহলের পরামর্শে ২০২১ সালের ৬ অক্টোবর ফয়সল চৌধুরী, পিনাকী ভট্টাচার্য ও তাজ হাশমীকে নিয়ে ‘দেশবিরোধী ভয়ানক তিন সাইবার দুর্বৃত্ত’ শিরোনামে একটি জাতীয় দৈনিকে লিড রিপোর্ট করা হয়, যা পত্রিকাটির অনলাইনে দীর্ঘদিন ঝুলিয়ে রাখা হয়। রিপোর্টে ফয়সল চৌধুরীকে দেশবিরোধী দিগভ্রান্ত সাংবাদিক, কথিত বুদ্ধিজীবী, মস্তিষ্কবিকৃত এবং পাগল শ্রেণির বলে আখ্যায়িত করে বলা হয়, তিনি বিদেশে বসে মিথ্যাচার, উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত এবং দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করে দেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। তাকে যুদ্ধাপরাধী অপশক্তি এবং জঙ্গিবাদের পক্ষে জামায়াতে ইসলামী ও পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থার পেইড এজেন্ট বলেও উল্লেখ করা হয়। এই রিপোর্টে আরও বলা হয়, ‘সরকার, প্রধানমন্ত্রী, শিল্পপতি ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে
বিষোদ্গার ও গুজব ছড়ানোই কথিত সাংবাদিক ফয়সল চৌধুরী সুয়েবের মূল কাজ। তিনি মিথ্যাচার করে চলেছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের বিরুদ্ধে। এ ছাড়া অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সালমান এফ রহমান, জুনাইদ আহমেদ পলক, আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ, এস আলম গ্রুপ, এক্সিম ব্যাংকের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার ও পদ্মা ব্যাংকের চেয়ারম্যান চৌধুরী নাফিস শরাফতসহ বিভিন্নজনের বিরুদ্ধে ইচ্ছামাফিক বিষোদ্গার করে যাচ্ছেন এই স্বঘোষিত পণ্ডিত।’ চ্যানেল আই বন্ধ করে দেওয়ার পর ‘চ্যানেল ইউরোপ ফেসবুক পেজ’ এবং স্ট্রেইট ডায়ালগ ইউটিউব চ্যানেল দিয়ে তিনি আওয়ামী লীগের কার্যক্রমের প্রতিবাদ অব্যাহত রাখেন। ডক্টর তাজ হাশমী বাস করেন কানাডায়। অনলাইন অ্যাক্টিভিস্টদের মধ্যে তিনিই সবচেয়ে
সিনিয়র। তার লেখা অনেক বইয়ের মধ্যে ব্যাপক আলোচিত ‘ফিফটি ইয়ার্স অব বাংলাদেশ’। তথ্যসমৃদ্ধ বইটি পড়লে তাজ হাশমীর জ্ঞানের গভীরতা সহজেই বোঝা যায়। তাজ হাশমী কানাডায় বসে শেখ হাসিনা সরকারের তীব্র সমালোচনা করে আলোচিত হন। এম রহমান মাসুম একজন অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট। বাংলাদেশে চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনের কঠোর সমালোচনা করে তিনিই প্রথম যুক্তরাষ্ট্রে আলোচনার ঝড় তোলেন। ইউটিউব-ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইংরেজি ভাষায় আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে অনুষ্ঠান শুরু করেন সেই ২০১২ সালে। যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটর, কংগ্রেসম্যান, ইউরোপিয়ান মেম্বার অব পার্লামেন্ট, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের আইনজীবী, মানবাধিকার কর্মীদের তার অনুষ্ঠানে যুক্ত করে আওয়ামী লীগ সরকারের অন্যায় কার্যক্রম ও একের পর এক মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয় তুলে ধরা অব্যাহত
রাখেন। তার বিভিন্ন অনুষ্ঠান থেকে মানুষ দেশের প্রকৃত অবস্থা জানতে পারত। এম রহমান মাসুম প্রথম ব্যক্তি, যিনি প্রবাসীদের অধিকার আদায়ে বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যের প্রবাসীদের দুর্দশা ও তাদের অধিকার নিয়ে প্রতিবাদ ও কাজ শুরু করেন। যিনি সরেজমিন মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করে তাদের অবস্থা দেখে আসেন এবং একটি প্ল্যাটফর্মে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করার জন্য রেমিট্যান্স ফাইটার্স অব বাংলাদেশ নামে একটি সংগঠন গঠন করেন, যা ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে। আলাউর খন্দকার আমেরিকায় বসবাস করেন। আমেরিকা বাংলা চ্যানেল নামে একটি টিভিতে টকশো করে হাসিনাবিরোধী আন্দোলনে জোরালো ভূমিকা রাখেন। এ ছাড়া কানাডা থেকে ফেস দ্য পিপল নামে টকশো করে শেখ হাসিনা সরকারের কাছে বিতর্কিত হন সাইফুর সাগর,
ফ্রান্স থেকে সুসময় শরীফ ও সিডনি থেকে বনী আমীন। তা ছাড়া টকশোতে অতিথি হয়ে মালয়েশিয়া থেকে ডাক্তার ফয়জুল হক, সাকিব আলী, ব্যারিস্টার সরওয়ার হোসেনসহ অনেকে হাসিনা সরকারের পতনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। আরিফ আল মাহফুজ লন্ডন থেকে শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে অনলাইনে জনমত গঠনে ভূমিকা রাখেন। হাসিনা আক্তার একসময় লন্ডনে চ্যানেল আই, ইউরোপে নিউজ প্রেজেন্টার হিসেবে সাংবাদিকতা শুরু করেন। পরে অনলাইনে টকশো শুরু করে ব্যাপক আলোচিত হন। মুন্নী চৌধুরী মেধা সিডনিতে বসবাস করেন। তিনিও শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে ব্যাপক জনমত গড়ে তোলেন। লন্ডন থেকে কাজী হেমায়েত উদ্দিন মিশন ও সৈয়দ মাসুক টকশোর মাধ্যমে সরকারের বিরুদ্ধে জনমত গঠনে ব্যাপক ভূমিকা রাখেন। লন্ডন থেকে আব্দুর রব ভুট্টোও শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে জনমত গঠনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখেন। আমেরিকার আরেক অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট ছিলেন নায়ব আলী। কানাডা নাগরিক টিভির সিইও মোস্তাফিজুর রহমান টিটুও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। এ ছাড়া শেখ হাসিনা সরকারের প্রথম প্রবাসী কারাবরণকারী ব্যক্তি হচ্ছেন লন্ডন প্রবাসী নূরে আলম হামিদী। তিনি ২০১৩ সালে শাহবাগ আন্দোলনে ভুল তথ্যের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার হয়ে কারাবরণ করেন। পাকিস্তানি নাগরিক ও লস্কর-ই-তৈইয়্যবার স্কোয়াড লিডার হিসেবে পত্রপত্রিকা, টেলিভিশন এমনকি জাতীয় সংসদে নূরে আলম হামিদীকে ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছিল।