ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
উত্তাল চট্টগ্রামসহ সারাদেশ, ইসকন নিষিদ্ধের দাবি
চিন্ময়কে নিয়ে শেখ হাসিনার বিবৃতি
এবার বাংলাদেশ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে যে নালিশ
এজলাস কক্ষে ডিম ছুড়ে মারার ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ
এবার বকেয়া বেতনের দাবিতে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ
আ‘লীগকে রাজনীতি করতে দেয়ার পক্ষে ৫৭% মানুষ
জামিন পেলেন সাবেক এসপি বাবুল আক্তার
টঙ্গীর মূর্তিমান আতঙ্ক সন্ত্রাসী কামু, ভয়ে টুঁ—শব্দ করে না কেউ
গাজীপুরের টঙ্গী এরশাদনগরবাসীর কাছে মূর্তিমান আতঙ্কের নাম সন্ত্রাসী কামরুল ইসলাম কামু। তার নামে টঙ্গী পূর্ব থানায় জোড়া খুন, মাদক কারবার, অস্ত্র ব্যবসা, দাঙ্গা-হাঙ্গামাসহ অন্তত দুই ডজন মামলা রয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে ক্ষমতাসীন নেতাদের ছত্রছায়া ও নেক নজরে থেকে অস্ত্র ও মাদক কারবারসহ দেদার সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল কামু। গত ১৬ বছর টঙ্গীতে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে দাবিয়ে বেড়িয়েছে কামু।
৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর রাতারাতি ভোল পাল্টিয়ে বিএনপি শিবিরে ভিড়েছে কামু। এরপর থেকে কামু ও তার বাহিনীর সদস্যরা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। হাসিনার পলায়ন ও ফ্যাসিস্ট সরকারে পতনের মধ্য দিয়ে দেশবাসী নতুন মুক্তির স্বাদ পেলেও টঙ্গীবাসী এখনও
ত্রাসের রাজত্বে ভয়ে তটস্থ দিন যাপন করছে। কামু বাহিনীর অন্যায়-অপরাধের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না এই অঞ্চলের মানুষ। বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলেই শুরু হয় কামুর নেতৃত্বে তার অস্ত্রবাজ সন্ত্রাসীদের সশস্ত্র মহড়া। রাত যত গভীর হয়, কামুগংদের দৌরাত্ম ও অপরাধ প্রবণতা ততই বাড়তে থাকে। কামু বাহিনীর অত্যাচার থেকে রেহাই পাচ্ছে না সাধারণ মানুষ, ব্যবসায়ী এবং স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরাও। রক্তের নেশায় উন্মাদ কামুর অত্যাচারের ভয়ে তার বিরুদ্ধে এরশাদনগর এলাকায় কেউ টুঁ—শব্দটি করতে সাহস পাচ্ছেন না। নাম প্রকাশে ভীত একাধিক এলাকাবাসী ক্ষোভের সঙ্গে জানান, এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও হত্যাসহ বহু মামলার আসামী কামরুল ইসলাম কামুর নির্যাতনে এরশাদনগর এবং এর আশপাশের লোকজন অতিষ্ট।
তার বাহিনীর প্রতিনিয়ত আগ্নেয়াস্ত্র প্রদর্শণ, হুমকি-ধমকি ও অত্যাচারে এলাকার মানুষ তটস্থ ও ভীতসন্ত্রস্ত। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর এলাকায় পুলিশি তৎপরতা স্থবির হয়ে পড়ার সুযোগ নিচ্ছে কামু। রাতারাতি বিএনপি শিবিরে ভিড়ে জুলুম-অত্যাচারের নেশায় পেয়ে বসেছে তাকে। কামু আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে যেভাবে অস্ত্রবাজি, অস্ত্রব্যবসা, মাদক কারবার, দাঙ্গা-হাঙ্গামা, চাঁদাবাজি করে আসছিল, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এই বাহিনী আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। প্রতিদিন সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলেই এরশাদনগর বড়বাজার, ছোটবাজার, ভাওয়াইল্যা পাড়া, খ্রিষ্টান পাড়া, চনকিরটেক, মধ্য চানকিরটেক, পশ্চিম টেকপাড়াসহ বিভিন্ন ব্লকে কামুর নেতৃত্বে চলে অস্ত্রমহড়া ও চাঁদাবাজি। এরশাদনগরের কুখ্যাত হাসান গ্রুপের হাসানের ভাই নয়ন, ৪৯নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা দ্বীন মোহাম্মদ
দিলা, মোবারক হোসেন ওরফে পাকিস্তানি মোবারক, হিরা ওরফে ভাইস্তা হিরা, আলমগীর ওরফে পুটকা আলমগীর, নাসির উদ্দিন ওরফে টাকি নাসির, ওয়াসিম ওরফে চাচা ওয়াসিম, রুবেল ওরফে জুতা রুবেল, মানিক ওরফে পারুলী মানিক, সাগর ওরফে বড় সাগর, সাদিকুল ইসলাম, সোহেল, আরিফ, মানিক, রনি ওরফে ভাগিনা রনি, বাবুল চৌধুরী ওরফে ডুসকু বাবুল, ইবু, তারা ও নাইমসহ ২০-৩০ জন সন্ত্রাসী আগ্নেয়াস্ত্রসহ দেশিয় অস্ত্রেশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে প্রতি রাতে মহড়ায় নামে। এসময় তারা যাকে যেখানে পায়, সেখানেই ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও হকিস্টিক, লোহার রড, লাঠি দিয়ে পিটিয়ে হাত-পা ভেঙে দিচ্ছে। হাতিয়ে নিচ্ছে নগদ টাকা, মোবাইল ফোনসহ দামি জিনিসপত্র। শুধু তাই নয়, হামলা ও টাকা আদায়ের
কামু বাহিনী ভুক্তভোগীদের সময় বেঁধে দিচ্ছে। বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে এলাকা ছেড়ে না গেলে ভুক্তভোগীদের প্রাণে মেরে ফেলারও হুমকি দেওয়া হচ্ছে। সন্ত্রাসীদের কথার প্রতিবাদ করলে নেমে আসে নির্মম নির্যাতন। তাদের অত্যাচারে গুরুত্বর আহত হয়ে অনেকেই এখন দুঃসহ জীবন যাপন করছেন। অনেকেই পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন। টঙ্গীবাসী আরও জানান, কামু বাহিনীর সন্ত্রাসীরা এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও মাদকস্পট দখলে নিতে গত বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় চানকিরটেক এলাকার আগ্নেয়াস্ত্র, রামদা, হকিস্টিক, চাপাতি নিয়ে মহড়া দেয়। এর আগে বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে ২নং ব্লকের আয়নালের বাসায় গিয়ে তল্লাশি ও আসবাব তছনছ এবং মেহমানদের হেনস্থা করে। গত ২৩ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে এগারোটায় এরশাদনগর ৩নং ব্লকে ক্যাপ
ও পার্লার ব্যবসায়ী যুবদলকর্মী স্বপন মিয়াকে বেধড়ক পিটিয়ে হাত ও পা ভেঙে দেয় কামু বাহিনী। একই দিন রাতে ২নং ব্লকে বাবু নামে একজনকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। ১৫ সেপ্টেম্বর রাতে ৫নং ব্লকে মইজউদ্দিন সিকদার নামে একজনকে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে গুরুত্বর আহত করে। একই দিন রাতে ৩নং ব্লকের অহিদুল ইসলাম অপু ও টেকবাড়ি এলাকার রোমানকে ধারালো সামুরাই-চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করে। এছাড়া এরশাদনগরের ইটাবালি ব্যবসায়ী সেন্টু মিয়াকে মারধর করে ৮০ হাজার টাকা ও কাজলীকে মারধর করে ১লাখ ৮০হাজার টাকা লুটে নেয় কামু বাহিনীর সন্ত্রাসীরা। এসময় কামু বাহিনীর সদস্যরা তাদের কাছ থেকে কোনো টাকা-পয়সা নেয়নি— মর্মে স্বীকারোক্তি নিয়ে মোবাইল ফোনে
জোরপূর্বক ভিডিও রেকর্ড করে রাখে। কামুর বিরুদ্ধে একাধিক হত্যা মামলাসহ ডজনের বেশি অস্ত্র-মাদক-দখলের মামলা রয়েছে। টঙ্গী অঞ্চলের ইয়াবা সাম্রাজ্যের নিয়ন্ত্রণ এখন কামুর হাতে। প্রতিদিন লাখ লাখ টাকার মাদকের হাতবদল হয় কামু বাহিনীর মাধ্যমে। দীর্ঘদিনের মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণে রাখতে মরিয়া কামু। স্থানীয়দের অভিযোগ, এর আগে মাদক ব্যবসায় বাধা দেওয়া শরীফ ও জুম্মন নামে দুই যুবককে কুপিয়ে হত্যা করেছে কামু বাহিনী। আওয়ামী লীগের শাসনামলে চাঞ্চল্যকর ওই হত্যাকাণ্ড নিয়ে যমুনা টেলিভিশনসহ বিভিন্ন মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশিত হলে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। শেখ রাসেল ক্রীড়া সংস্থার ওয়ার্ড সভাপতি শরীফের মায়ের অভিযোগ, এলাকায় মাদক ব্যবসায় বাঁধা দেওয়ায় শরীকে খুন করে কামু। এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে কামরুল ইসলাম কামু তার বিরুদ্ধে আনীত সব অভিযোগ অস্বীকার করেন। উল্টো তিনি বলেন, এরশাদনগর এলাকায় কোনো মাদক ব্যবসায়ী, চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসী বাস করতে পারবে না। যারা হামলার শিকার হয়েছেন তারা কোনো না কোনো অপরাধের সঙ্গে জড়িত। এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে টঙ্গী পূর্ব থানার ওসি এসএম মামুনুর রশীদ বলেন, আমি এ থানায় নতুন এসেছি। কামরুল ইসলাম কামু সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য আমার কাছে নেই। তবে এ বিষয়ে আমি খোঁজখবর নিয়ে দেখছি। কেউ অপরাধ করে থাকলে তদন্ত সাপেক্ষে তাকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।
ত্রাসের রাজত্বে ভয়ে তটস্থ দিন যাপন করছে। কামু বাহিনীর অন্যায়-অপরাধের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না এই অঞ্চলের মানুষ। বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলেই শুরু হয় কামুর নেতৃত্বে তার অস্ত্রবাজ সন্ত্রাসীদের সশস্ত্র মহড়া। রাত যত গভীর হয়, কামুগংদের দৌরাত্ম ও অপরাধ প্রবণতা ততই বাড়তে থাকে। কামু বাহিনীর অত্যাচার থেকে রেহাই পাচ্ছে না সাধারণ মানুষ, ব্যবসায়ী এবং স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরাও। রক্তের নেশায় উন্মাদ কামুর অত্যাচারের ভয়ে তার বিরুদ্ধে এরশাদনগর এলাকায় কেউ টুঁ—শব্দটি করতে সাহস পাচ্ছেন না। নাম প্রকাশে ভীত একাধিক এলাকাবাসী ক্ষোভের সঙ্গে জানান, এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও হত্যাসহ বহু মামলার আসামী কামরুল ইসলাম কামুর নির্যাতনে এরশাদনগর এবং এর আশপাশের লোকজন অতিষ্ট।
তার বাহিনীর প্রতিনিয়ত আগ্নেয়াস্ত্র প্রদর্শণ, হুমকি-ধমকি ও অত্যাচারে এলাকার মানুষ তটস্থ ও ভীতসন্ত্রস্ত। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর এলাকায় পুলিশি তৎপরতা স্থবির হয়ে পড়ার সুযোগ নিচ্ছে কামু। রাতারাতি বিএনপি শিবিরে ভিড়ে জুলুম-অত্যাচারের নেশায় পেয়ে বসেছে তাকে। কামু আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে যেভাবে অস্ত্রবাজি, অস্ত্রব্যবসা, মাদক কারবার, দাঙ্গা-হাঙ্গামা, চাঁদাবাজি করে আসছিল, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এই বাহিনী আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। প্রতিদিন সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলেই এরশাদনগর বড়বাজার, ছোটবাজার, ভাওয়াইল্যা পাড়া, খ্রিষ্টান পাড়া, চনকিরটেক, মধ্য চানকিরটেক, পশ্চিম টেকপাড়াসহ বিভিন্ন ব্লকে কামুর নেতৃত্বে চলে অস্ত্রমহড়া ও চাঁদাবাজি। এরশাদনগরের কুখ্যাত হাসান গ্রুপের হাসানের ভাই নয়ন, ৪৯নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা দ্বীন মোহাম্মদ
দিলা, মোবারক হোসেন ওরফে পাকিস্তানি মোবারক, হিরা ওরফে ভাইস্তা হিরা, আলমগীর ওরফে পুটকা আলমগীর, নাসির উদ্দিন ওরফে টাকি নাসির, ওয়াসিম ওরফে চাচা ওয়াসিম, রুবেল ওরফে জুতা রুবেল, মানিক ওরফে পারুলী মানিক, সাগর ওরফে বড় সাগর, সাদিকুল ইসলাম, সোহেল, আরিফ, মানিক, রনি ওরফে ভাগিনা রনি, বাবুল চৌধুরী ওরফে ডুসকু বাবুল, ইবু, তারা ও নাইমসহ ২০-৩০ জন সন্ত্রাসী আগ্নেয়াস্ত্রসহ দেশিয় অস্ত্রেশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে প্রতি রাতে মহড়ায় নামে। এসময় তারা যাকে যেখানে পায়, সেখানেই ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও হকিস্টিক, লোহার রড, লাঠি দিয়ে পিটিয়ে হাত-পা ভেঙে দিচ্ছে। হাতিয়ে নিচ্ছে নগদ টাকা, মোবাইল ফোনসহ দামি জিনিসপত্র। শুধু তাই নয়, হামলা ও টাকা আদায়ের
কামু বাহিনী ভুক্তভোগীদের সময় বেঁধে দিচ্ছে। বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে এলাকা ছেড়ে না গেলে ভুক্তভোগীদের প্রাণে মেরে ফেলারও হুমকি দেওয়া হচ্ছে। সন্ত্রাসীদের কথার প্রতিবাদ করলে নেমে আসে নির্মম নির্যাতন। তাদের অত্যাচারে গুরুত্বর আহত হয়ে অনেকেই এখন দুঃসহ জীবন যাপন করছেন। অনেকেই পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন। টঙ্গীবাসী আরও জানান, কামু বাহিনীর সন্ত্রাসীরা এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও মাদকস্পট দখলে নিতে গত বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় চানকিরটেক এলাকার আগ্নেয়াস্ত্র, রামদা, হকিস্টিক, চাপাতি নিয়ে মহড়া দেয়। এর আগে বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে ২নং ব্লকের আয়নালের বাসায় গিয়ে তল্লাশি ও আসবাব তছনছ এবং মেহমানদের হেনস্থা করে। গত ২৩ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে এগারোটায় এরশাদনগর ৩নং ব্লকে ক্যাপ
ও পার্লার ব্যবসায়ী যুবদলকর্মী স্বপন মিয়াকে বেধড়ক পিটিয়ে হাত ও পা ভেঙে দেয় কামু বাহিনী। একই দিন রাতে ২নং ব্লকে বাবু নামে একজনকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। ১৫ সেপ্টেম্বর রাতে ৫নং ব্লকে মইজউদ্দিন সিকদার নামে একজনকে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে গুরুত্বর আহত করে। একই দিন রাতে ৩নং ব্লকের অহিদুল ইসলাম অপু ও টেকবাড়ি এলাকার রোমানকে ধারালো সামুরাই-চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করে। এছাড়া এরশাদনগরের ইটাবালি ব্যবসায়ী সেন্টু মিয়াকে মারধর করে ৮০ হাজার টাকা ও কাজলীকে মারধর করে ১লাখ ৮০হাজার টাকা লুটে নেয় কামু বাহিনীর সন্ত্রাসীরা। এসময় কামু বাহিনীর সদস্যরা তাদের কাছ থেকে কোনো টাকা-পয়সা নেয়নি— মর্মে স্বীকারোক্তি নিয়ে মোবাইল ফোনে
জোরপূর্বক ভিডিও রেকর্ড করে রাখে। কামুর বিরুদ্ধে একাধিক হত্যা মামলাসহ ডজনের বেশি অস্ত্র-মাদক-দখলের মামলা রয়েছে। টঙ্গী অঞ্চলের ইয়াবা সাম্রাজ্যের নিয়ন্ত্রণ এখন কামুর হাতে। প্রতিদিন লাখ লাখ টাকার মাদকের হাতবদল হয় কামু বাহিনীর মাধ্যমে। দীর্ঘদিনের মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণে রাখতে মরিয়া কামু। স্থানীয়দের অভিযোগ, এর আগে মাদক ব্যবসায় বাধা দেওয়া শরীফ ও জুম্মন নামে দুই যুবককে কুপিয়ে হত্যা করেছে কামু বাহিনী। আওয়ামী লীগের শাসনামলে চাঞ্চল্যকর ওই হত্যাকাণ্ড নিয়ে যমুনা টেলিভিশনসহ বিভিন্ন মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশিত হলে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। শেখ রাসেল ক্রীড়া সংস্থার ওয়ার্ড সভাপতি শরীফের মায়ের অভিযোগ, এলাকায় মাদক ব্যবসায় বাঁধা দেওয়ায় শরীকে খুন করে কামু। এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে কামরুল ইসলাম কামু তার বিরুদ্ধে আনীত সব অভিযোগ অস্বীকার করেন। উল্টো তিনি বলেন, এরশাদনগর এলাকায় কোনো মাদক ব্যবসায়ী, চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসী বাস করতে পারবে না। যারা হামলার শিকার হয়েছেন তারা কোনো না কোনো অপরাধের সঙ্গে জড়িত। এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে টঙ্গী পূর্ব থানার ওসি এসএম মামুনুর রশীদ বলেন, আমি এ থানায় নতুন এসেছি। কামরুল ইসলাম কামু সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য আমার কাছে নেই। তবে এ বিষয়ে আমি খোঁজখবর নিয়ে দেখছি। কেউ অপরাধ করে থাকলে তদন্ত সাপেক্ষে তাকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।