ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
আলিকদম সীমান্তে ৩৩ রোহিঙ্গা আটক
সংলাপে বসতে নতুন প্রস্তাব সরকারের, পিটিআইয়ের অবস্থান অনিশ্চিত
মার্কেট-কাঁচাবাজারে সন্ত্রাসীদের থাবা
ছাত্রদের ওপর মোজাম্মেল বাহিনীর হামলা, গাজীপুরে বিশাল বিক্ষোভ সমাবেশ
ধানমন্ডি ৩২ এ ভাঙচুর নিয়ে যা বললেন সোহেল তাজ
৩২ নম্বর গুঁড়িয়ে দেওয়ার দায় সরকার এড়াতে পারে না
র্যাব-১ এর প্রধান ফটকে অবস্থান ভুক্তভোগীদের
হাঁস পার্টিতে মিটমাট!
তালাবদ্ধ দোকান থেকে ২ কেজি গাঁজা উদ্ধারের ৫ ঘন্টা পর রাতেই মাদক ব্যবসায়ীর আমন্ত্রণে হাস পার্টিতে দারোগা। মামলা না দিয়ে উদ্ধারকৃত গাঁজা পরিত্যক্ত দেখিয়ে জিডির নামে ঘটনা ধামাচাপা দিয়েছে পুলিশ। এতে একদিকে যেমন মাদক ব্যবসায়ীরা পার পেয়ে যাচ্ছে অপর দিকে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে সচেতন মহলে।
বুধবার(৪ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ১০ টার দিকে উপজেলার মিয়াপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, বুধবার বিকালে সমিরের কাঠের দোকানের ভেতরে বাজারের ব্যাগে মোড়ানো গাঁজা রেখে যায় রানা নামের এক মাদকব্যবসায়ী। আসপাশের লোকজন টেরপেয়ে দোকানে প্রবেশ করে গাঁজা সহ দোকানদার জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এসময় সমির স্বীকার করেন মাদকের ব্যাগটি সিএনজি চালক লিটনের কাছে দেওয়ার জন্য রানা
দোকানে রেখে গেছে। ওই ঘটনার ভিডিও ধারন করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছেড়ে দেয় স্থানীয়রা। ভয়ে সমির দোকানে তালা দিয়ে পালিয়ে যায়। সোনাইমুড়ী থানার দারোগা মাসুম রানা ঘটনাস্থলে গিয়ে দোকানের তালা ভেঙে ভেতর থেকে ২ কেজি গাঁজা উদ্ধার করে। পরে ওই দারোগা তার প্যান্টের পকেট থেকে নতুন তালা বের করে দোকানের দরজায় ঝুঁলিয়ে দেন। বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, ওই রাতেই মাদক ব্যবসায়ী রানা মিয়াপুর গ্রামের একটি ক্লাবের পাশে হাঁস পার্টির আয়োজন করে। রাত দশটার দিকে সেখানে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে যোগদান করেন দারোগা মাসুম রানাসহ সোনাইমুড়ী থানা পুলিশের কয়েকজন সদস্য। পরে সেখানে মাদক ব্যবসায়ীদের সাথে ওই দারোগার গাঁজা উদ্ধারের ঘটনা দফারফা হয়। এলাকাবাসী জানায়, গাঁজা
উদ্ধারের ঘটনায় স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ীরা জড়িত। মাদক প্রকাশ্যে বেচাকেনায় এলাকার উঠতি বয়সের যুবকেরা বিপদগামী হচ্ছে। এর কারনে এলাকায় চুরি-ডাকাতি ও কিশোরগ্যাং এর উৎপাত বৃদ্ধি পেয়েছে। আর বিকালে মাদক উদ্ধার করা পুলিশ রাতে মাদক ব্যবসায়ীদের সাথে হাঁস পার্টি করেছে। রাতেই পুলিশের সাথে মাদক ব্যবসায়ীদের সমঝোতা হয়েছে। এঘটনায় মাদকের বিরুদ্ধে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে নেতিবাচক মনোভাব সৃষ্টি হয়েছে। সরেজমিনে গিয়ে কথা হয় স্থানীয় খোরশেদ আলম, বাদশাহ মিয়া, মোঃ ইব্রাহিম সহ কয়েকজনের সাথে। তারা জানান, কাঠ মিস্ত্রি সমিরের বাড়ি পার্শ্ববর্তী কুমিল্লা জেলায়। সে গত ৮-১০ বছর থেকে এখানেই ফার্নিচার তৈরীর কাজ করেন। সমিরের দোকানে গাঁজার ব্যাগ রেখে যাওয়া রানা মিয়াপুরের ভূইয়া বাড়ির
মফিজুর রহমানের ছেলে। সমির সহজসরল ও বাইরের জেলার হওয়ায় মাদকব্যবসায়ীরা তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে নিজেদের ব্যবসায় ব্যবহার করতে পারে বলে মন্তব্য করেন। এছাড়া রাতে মাদকব্যবসায়ীদের হাসপার্টি ও সেখানে পুলিশের উপস্থিতর বিষয়টিও নিশ্চিত করেন তারা। মাদক উদ্ধারের বিষয়ে সোনাইমুড়ী থানার দারোগা মাসুম রানা জানান, গাঁজা উদ্ধারের ঘটনায় মামলা হয়নি। তবে পরিত্যক্ত স্থান থেকে গাঁজা উদ্ধার দেখিয়ে সাধারণ ডায়েরি হয়েছে। তবে হাঁস পার্টির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি এড়িয়ে যান। সোনাইমুড়ী থানার ওসি মোরশেদ আলম জানান, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নির্দেশে মাদক উদ্ধারের ঘটনায় মামলা না নিয়ে জিড়ি নেয়া হয়েছে। এবিষয়ে চাটখিল-সোনাইমুড়ীর সার্কেল এসপি নিত্যানন্দ দাসের সাথে কথা হয় প্রতিবেদকের। তিনি জানান, এস আই মাসুমের গাঁজা উদ্ধার ও মামলা
না করে পরিত্যক্ত দেখিয়ে জিডি করার বিষয়ে তিনি কিছু জানেননা। তবে যদি মাদক ব্যবসায়ীদের সাথে হাঁস পার্টির ঘটনার প্রমান থাকে তবে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
দোকানে রেখে গেছে। ওই ঘটনার ভিডিও ধারন করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছেড়ে দেয় স্থানীয়রা। ভয়ে সমির দোকানে তালা দিয়ে পালিয়ে যায়। সোনাইমুড়ী থানার দারোগা মাসুম রানা ঘটনাস্থলে গিয়ে দোকানের তালা ভেঙে ভেতর থেকে ২ কেজি গাঁজা উদ্ধার করে। পরে ওই দারোগা তার প্যান্টের পকেট থেকে নতুন তালা বের করে দোকানের দরজায় ঝুঁলিয়ে দেন। বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, ওই রাতেই মাদক ব্যবসায়ী রানা মিয়াপুর গ্রামের একটি ক্লাবের পাশে হাঁস পার্টির আয়োজন করে। রাত দশটার দিকে সেখানে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে যোগদান করেন দারোগা মাসুম রানাসহ সোনাইমুড়ী থানা পুলিশের কয়েকজন সদস্য। পরে সেখানে মাদক ব্যবসায়ীদের সাথে ওই দারোগার গাঁজা উদ্ধারের ঘটনা দফারফা হয়। এলাকাবাসী জানায়, গাঁজা
উদ্ধারের ঘটনায় স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ীরা জড়িত। মাদক প্রকাশ্যে বেচাকেনায় এলাকার উঠতি বয়সের যুবকেরা বিপদগামী হচ্ছে। এর কারনে এলাকায় চুরি-ডাকাতি ও কিশোরগ্যাং এর উৎপাত বৃদ্ধি পেয়েছে। আর বিকালে মাদক উদ্ধার করা পুলিশ রাতে মাদক ব্যবসায়ীদের সাথে হাঁস পার্টি করেছে। রাতেই পুলিশের সাথে মাদক ব্যবসায়ীদের সমঝোতা হয়েছে। এঘটনায় মাদকের বিরুদ্ধে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে নেতিবাচক মনোভাব সৃষ্টি হয়েছে। সরেজমিনে গিয়ে কথা হয় স্থানীয় খোরশেদ আলম, বাদশাহ মিয়া, মোঃ ইব্রাহিম সহ কয়েকজনের সাথে। তারা জানান, কাঠ মিস্ত্রি সমিরের বাড়ি পার্শ্ববর্তী কুমিল্লা জেলায়। সে গত ৮-১০ বছর থেকে এখানেই ফার্নিচার তৈরীর কাজ করেন। সমিরের দোকানে গাঁজার ব্যাগ রেখে যাওয়া রানা মিয়াপুরের ভূইয়া বাড়ির
মফিজুর রহমানের ছেলে। সমির সহজসরল ও বাইরের জেলার হওয়ায় মাদকব্যবসায়ীরা তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে নিজেদের ব্যবসায় ব্যবহার করতে পারে বলে মন্তব্য করেন। এছাড়া রাতে মাদকব্যবসায়ীদের হাসপার্টি ও সেখানে পুলিশের উপস্থিতর বিষয়টিও নিশ্চিত করেন তারা। মাদক উদ্ধারের বিষয়ে সোনাইমুড়ী থানার দারোগা মাসুম রানা জানান, গাঁজা উদ্ধারের ঘটনায় মামলা হয়নি। তবে পরিত্যক্ত স্থান থেকে গাঁজা উদ্ধার দেখিয়ে সাধারণ ডায়েরি হয়েছে। তবে হাঁস পার্টির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি এড়িয়ে যান। সোনাইমুড়ী থানার ওসি মোরশেদ আলম জানান, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নির্দেশে মাদক উদ্ধারের ঘটনায় মামলা না নিয়ে জিড়ি নেয়া হয়েছে। এবিষয়ে চাটখিল-সোনাইমুড়ীর সার্কেল এসপি নিত্যানন্দ দাসের সাথে কথা হয় প্রতিবেদকের। তিনি জানান, এস আই মাসুমের গাঁজা উদ্ধার ও মামলা
না করে পরিত্যক্ত দেখিয়ে জিডি করার বিষয়ে তিনি কিছু জানেননা। তবে যদি মাদক ব্যবসায়ীদের সাথে হাঁস পার্টির ঘটনার প্রমান থাকে তবে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।