হয়রানি ঠেকাতে ওয়ারেন্ট সমন যাবে অনলাইনে – ইউ এস বাংলা নিউজ




হয়রানি ঠেকাতে ওয়ারেন্ট সমন যাবে অনলাইনে

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ | ৮:৪৮ 19 ভিউ
ফৌজদারি মামলায় সমন ও ওয়ারেন্ট (গ্রেপ্তারি পরোয়ানা) জারি নিয়ে হয়রানির শেষ নেই। বছরের পর বছর ভুয়া ওয়ারেন্ট (গ্রেপ্তারি পরোয়ানা) জারির মাধ্যমে হয়রানি চলছে। সাধারণ নিরীহ মানুষ এর শিকার হচ্ছেন। এ ধরনের ওয়ারেন্টের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার হওয়ার পর হাজতবাসের ঘটনাও ঘটছে। অর্থ ও সময় চলে যাচ্ছে জীবন থেকে। ভুয়া ওয়ারেন্টে ভুক্তভোগীর সংখ্যাও কম নয়। এ ধরনের ওয়ারেন্ট জারির সঙ্গে অনেক সময় আদালতের কর্মচারীর পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরাও জড়িত থাকেন। অন্যদিকে, কোনো মামলায় সমন জারি নিয়ে চলে ইঁদুর-বিড়াল খেলা। কোনো আদালত থেকে সমন জারি হলে কিছু কিছু ক্ষেত্রে তা সংশ্লিষ্টদের কাছে পৌঁছানো নিয়ে নাটকীয়তার শেষ থাকে না। অনেকগুলো ধাপ অতিক্রম করে সমন পৌঁছানোয়

কোথায় যে ত্রুটি থাকে, তা অদৃশ্য রয়ে যায়। এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে এবার সমন ও ওয়ারেন্ট পাঠানোর শত শত বছরের প্রচলিত পুরাতন পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনা হচ্ছে। পরিবর্তনের পর সমন ও ওয়ারেন্ট পাঠানো হবে অনলাইনে। জানা গেছে, ফৌজদারি মামলা ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি আনার জন্যই ডিজিটাল পদ্ধতির মাধ্যমে সমন-ওয়ারেন্ট পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। আর এজন্য পুলিশের ক্রাইম ডাটা ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমে (সিডিএমএস) বিচারকদের ও সরকারি আইন কর্মকর্তাদের সরাসরি প্রবেশের সুযোগ দেওয়ার কাজ চলছে। সিডিএমএস পুলিশের একটি কেন্দ্রীয় ডিজিটাল ডাটাবেজ যেখানে মামলার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত যাবতীয় তথ্য সংরক্ষিত থাকে। সিডিএমএসে প্রবেশের বিষয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের দফায় দফায়

মিটিং হয়েছে। দুই দপ্তরের কর্মকর্তারা এ ব্যাপারে ঐকমত্যে পৌঁছেছেন। সফটওয়্যারে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন শেষ হলে শিগগির উচ্চ আদালত ও অধস্তন আদালতের বিচারকরা পুলিশের সিডিএমএসে প্রবেশ করে মামলার এফআইআর, তদন্তের অগ্রগতি, চার্জশিটসহ যাবতীয় নথি দেখার সুযোগ পাবেন। পাশাপাশি অ্যাটর্নি জেনারেল অফিস, সলিসিটর অফিসের কর্মকর্তারাও পুলিশের সিডিএমএসে প্রবেশ করতে পারবেন। বিচারক ও আইন কর্মকর্তারা সরাসরি এফআইআর, তদন্ত প্রতিবেদন, চার্জশিট দেখার সুযোগ পাবেন। সমন ও ওয়ারেন্ট জারির পর বিচারকরা তা সরাসরি সিডিএমএসে দাখিল করবেন। ফলে সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ সহজেই সমন-ওয়ারেন্ট হাতে পেয়ে যাবে। এতে করে ভুয়া ওয়ারেন্টে হয়রানি কমবে। এ ছাড়া সমন পাঠানোর যে হয়রানি, তাও বন্ধ হবে। এ ছাড়া অনেক সময় আসামিপক্ষ থেকে

জাল তথ্য দাখিল করে জামিন নেওয়ার যে অপচেষ্টা করেন, তাও বন্ধ হবে। জানা গেছে, সর্বশেষ গত ১৫ সেপ্টেম্বর পুলিশের সিডিএমএসে প্রবেশের বিষয়টি নিয়ে আইন মন্ত্রণালয় ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে দুই দফায় পৃথক বৈঠক হয়। প্রথম দফায় আইন উপদেষ্টার সভাপতিত্বে আইন মন্ত্রণালয়ে বৈঠক হয়। এরপর প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদা বখস চৌধুরীর সভাপতিত্বে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বৈঠক হয়। বৈঠকে আইন বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে পুলিশের সিডিএমএসে প্রবেশের বিষয়ে ঐকমত্য হয়। এখন সিস্টেম রি-অ্যারেঞ্জের কাজ চলছে। যাদের প্রবেশাধিকার দেওয়া হবে, তাদের জন্য আইডি ও পাসওয়ার্ড তৈরি করা হচ্ছে। জানতে চাওয়া হলে অতিরিক্ত আইজিপি (পুলিশ মহাপরিদর্শক) খন্দকার

রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘সমন ও ওয়ারেন্ট জারির ডিজিটালাইজেশনের প্রক্রিয়া চলছে। সিডিএমএসে প্রবেশের ব্যাপারে দুপক্ষই ঐকমত্যে পৌঁছেছে। এখন টেকনিক্যাল বিষয়গুলো নিয়ে কাজ চলছে। দ্রুতই এ কাজ শেষ হবে। এ প্রক্রিয়ার বাস্তবায়ন হলে বিচার প্রার্থীদের হয়রানি ও দুর্ভোগ লাগব হবে।’ সরকারের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির বলেন, ‘নতুন বাংলাদেশ তৈরির যেসব পদক্ষেপ, তার মধ্যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হবে এটি। এই পদক্ষেপ বাস্তবায়িত হলে সবারই ভোগান্তি কমবে। বিচারকাজ গতিশীল হবে। সবাই স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির আওতায় আসবে। এটি হবে নতুন বাংলাদেশ গঠনের মূর্ত প্রতীক।’ আইন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বিচারক ও আইন কর্মকর্তারা পুলিশের সিডিএমএসে প্রবেশের সুযোগ পেলে সমন জারির

ক্ষেত্রে যে জটিলতা রয়েছে তা দূর হবে। বর্তমানে সমন জারির পর তা পাঠাতে অনেকগুলো স্তর রয়েছে। ফলে সহজেই সমন চেপে রাখা যায়, এটা বন্ধ হবে। মামলার ফরোয়ার্ডিংয়ে জালজালিয়াতি বন্ধ হবে। ভুয়া ওয়ারেন্ট জারি বন্ধ হবে। মামলার তদন্তের অগ্রগতি নজরদারিতে থাকবে। বিচারাধীন মামলায় কোন কোর্টে কতজন সাক্ষী হাজির করা হচ্ছে, কতজন সাক্ষীর সাক্ষ্য নেওয়া হচ্ছে, সাক্ষী ফিরে যাচ্ছে কি না—সবকিছুই একটা মনিটরিংয়ের ভেতর থাকবে। ফলে পুলিশ-প্রসিকিউশনের মধ্যে সাক্ষী হাজির করা নিয়ে যে টানাপোড়েন, তা দূর হবে। সংশ্লিষ্ট সবাই জবাবদিহির আওতায় আসবে। জানা গেছে, ভুয়া ওয়ারেন্ট ঠেকাতে ২০২০ সালে সাত দফা নির্দেশনা দিয়ে তা অনুসরণ করতে বলেছিলেন হাইকোর্ট। কিন্তু কাজ হয়নি। এখনো ভুয়া

ওয়ারেন্টে হয়রানি চলছেই। গত ২৮ জুলাই ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকির হোসাইনের আদালত এমন একটি ভুয়া ওয়ারেন্ট জারির ঘটনা তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন। গত বছরের ১৮ জুন সুজন কুমার বসুর নামে ম্যাজিস্ট্রেটের জাল স্বাক্ষর করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ইস্যু করা হয়। পরে দেখা যায়, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রিসিভ সংক্রান্ত কোনো রেজিস্ট্রারে উপস্থাপনকারী কর্মচারীর নাম লেখা বা স্বাক্ষর নেওয়া হয়নি। ভুয়া পরোয়ানা সৃষ্টিকারী প্রতারক ব্যক্তিরা আদালতের নাম ও সিল ব্যবহার করে জালজালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে ইস্যুর ক্ষমতার অপব্যবহার করে সাধারণ জনগণকে হয়রানি করে। সংশ্লিষ্ট অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত পদক্ষেপ নেওয়াসহ তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন আদালত। শুধু সুজন কুমারই নন, ভুয়া ওয়ারেন্টে হয়রানির শত শত ঘটনা ঘটছে। সাভারের আশুলিয়ায় একটি জমি দখলের জন্য আওলাদ হোসেন নামে এক ব্যক্তিকে পরপর পাঁচটি ভুয়া ওয়ারেন্ট পাঠিয়ে গ্রেপ্তার রেখে টানা ৬৮ দিন হাজতবাসে বাধ্য করা হয়। এরপর আইনজীবীর পরামর্শে তার স্ত্রী উচ্চ আদালতে হয়রানির বিষয়টি তুলে ধরে একটি রিট করেন। পরে উচ্চ আদালতের হস্তক্ষেপে আওলাদ হোসেন মুক্তি পান। একের পর এক ভুয়া গ্রেপ্তারি পরোয়ানাপ্রাপ্ত আওলাদ হোসেনের স্ত্রীর করা রিটের রায়ে হাইকোর্ট ২০২০ সালের ১৪ অক্টোবর সাত দফা নির্দেশনা দেন। রায়ে আদালত বলেন, ‘স্বার্থান্বেষী ব্যক্তিদের দ্বারা ভুয়া গ্রেপ্তারি পরোয়ানা তৈরি করে দরখাস্তকারীর স্বামী মো. আওলাদ হোসেনকে একের পর এক গ্রেপ্তার দেখানো দুঃখজনক, অমানবিক এবং আইনের শাসনের পরিপন্থি। ইদানিং প্রায়ই গণমাধমে ভুয়া ওয়ারেন্টের মাধমে নিরীহ ও সাধারণ মানুষকে বিভিন্নভাবে হয়রানির সংবাদ প্রচারিত হচ্ছে উল্লেখ করে আদালত বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে আমলে নিয়ে ভুয়া গ্রেপ্তারি পরোয়ানা প্রতিরোধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্টদের নিম্নোক্ত নির্দেশ দেন— ১. গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ইস্যুর সময় পরোয়ানা প্রস্তুতকারী ব্যক্তিকে ফৌজদারি কার্যবিধির ৭৫-এর বিধান মতে নির্ধারিত ফরমে উল্লিখিত চাহিদা অনুযায়ী সঠিক ও সুস্পষ্টভাবে তথ্যাদি দ্বারা পূরণ করতে হবে। যেমন: (ক) ব্যক্তি বা যেসব ব্যক্তি পরোয়ানা কার্যকর করবেন, তার বা তাদের নাম এবং পদবি ও ঠিকানা সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করতে হবে। (খ) যার প্রতি পরোয়ানা ইস্যু করা হচ্ছে অর্থাৎ অভিযুক্তের নাম ও ঠিকানা এজাহার/নালিশি মামলা কিংবা অভিযোগপত্রে বর্ণিত মতে সংশ্লিষ্ট মামলার নম্বর ও ধারা (এ ক্ষেত্রে জিআর/নালিশি মামলার নম্বর) এবং ক্ষেত্রমত আদালতের মামলার নম্বর ও ধারা সুনির্দিষ্ট ও সুষ্পষ্টভাবে উল্লেখ করতে হবে। (গ) সংশ্লিষ্ট জজ (বিচারক)/ম্যাজিস্ট্রেটের স্বাক্ষরের নিচে নাম ও পদবির সিল এবং ক্ষেত্রমত দায়িত্বপ্রাপ্ত বিচারকের নাম, পদবির সিলসহ বাঁ পাশে বর্ণিত সংশ্লিষ্ট আদালতের সুস্পষ্ট সিল ব্যবহার করতে হবে। (ঘ) গ্রেপ্তারি পরোয়ানা প্রস্তুতকারী ব্যক্তির (অফিস স্টাফ) নাম, পদবি, মোবাইল ফোন নম্বরসহ সিল ও তার সংক্ষিপ্ত স্বাক্ষর ব্যবহার করতে হবে, যাতে পরোয়ানা কার্যকারী ব্যক্তির পরোয়ানার সঠিকতা সম্পর্কে কোনো সন্দেহের উদ্রেক হলে পরোয়ানা প্রস্তুতকারীর সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করে এর সঠিকতা সম্পর্কে নিশ্চিত হতে হবে। ২. গ্রেপ্তারি পরোয়ানা প্রস্তুত করা হলে স্থানীয় অধিক্ষেত্রে কার্যকরকরণের জন্য সংশ্লিষ্ট পিয়নবহিতে এন্ট্রি করে বার্তাবাহকের মাধ্যমে তা পুলিশ সুপারের কার্যালয় কিংবা সংশ্লিষ্ট থানায় প্রেরণ করতে হবে এবং পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের/থানার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা উক্ত পিয়নবহিতে সই করে তা বুঝে নিতে হবে। গ্রেপ্তারি পরোয়ানা প্রেরণে ও কার্যকর করার জন্য পর্যায়ক্রমে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার কাজে লাগানো যেতে পারে। ৩. স্থানীয় অধিক্ষেত্রের বাইরের জেলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা কার্যকরকরণের ক্ষেত্রে পরোয়ানা ইস্যুকারী কর্তৃপক্ষ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা সিলগালা করে এবং অফিসের সিলমোহরের ছাপ দিয়ে সংশ্লিষ্ট জেলার পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে প্রেরণ করবেন। ৪. সংশ্লিষ্ট পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সিলমোহরকৃত খাম খুলে প্রাপ্ত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা পরীক্ষা করে ইহার সঠিকতা নিশ্চিত করে পরবর্তী কার্যক্রমের জন্য ব্যবস্থা নেবেন। তবে কোনো গ্রেপ্তারি পরোয়ানার ক্ষেত্রে সন্দেহের উদ্রেক হলে পরোয়ানায় উল্লিখিত পরোয়ানা প্রস্তুতকারীর মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে ইহার সঠিকতা নিশ্চিত হয়ে পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণ করবেন। ৫. গ্রেপ্তারি পরোয়ানা কার্যকরকরণের জন্য পরোয়ানা গ্রহণকারী কর্মকর্তা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা পাওয়ার পর তা কার্যকরকরণের আগে পুনরায় পরীক্ষা করে যদি কোনোরূপ সন্দেহের উদ্রেক হয়, সেক্ষেত্রে পরোয়ানায় উল্লিখিত পরোয়ানা প্রস্তুতকারীর মোবাইল ফোন নম্বরে ফোন করে তার সঠিকতা নিশ্চিত হয়ে পরোয়ানা কার্যকর করবেন। ৬. গ্রেপ্তারি পরোয়ানা অনুসারে আসামিকে/আসামিদের গ্রেপ্তারের পর সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তাকে উক্ত আসামি/আসামিদের আইন নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নিকটস্থ ম্যাজিস্ট্রেট/জজ আদালতে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাসহ উপস্থাপন করতে হবে এবং ম্যাজিস্ট্রেট/জজ গ্রেপ্তারকৃত আসামি/আসামিদের জামিন না দিলে আদেশের কপিসহ হেফাজতি পরোয়ানামূলে আসামি/আসামিদের জেলহাজতে প্রেরণসহ ক্ষেত্রমত সম্পূরক নথি তাৎক্ষণিকভাবে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ইস্যুকারী জজ/ম্যাজিস্ট্রেট আদালত বরাবর প্রেরণ করবেন। ৭. সংশ্লিষ্ট জেল সুপার কিংবা অন্য কেউ কোনো দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হেফাজতি পরোয়ানামূলে প্রাপ্ত সংশ্লিষ্ট আসামি/আসামিদের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ইস্যুকারী আদালতকে এই মর্মে অবিলম্বে অবহিত করবেন যে, কোন থানার কোন মামলার সূত্রে কিংবা কোন আদালতের কোন মামলায় বর্ণিত আসামিদের উক্ত আদালতের ইস্যুকৃত পরোয়ানামূলে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে এবং পরবর্তীতে আসামিদের নতুন কোনো গ্রেফতারি পরোয়ানা পেলে জেল সুপার ওই গ্রেপ্তারি পরোয়ানার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট আদালত হতে সে বিষয়ে নিশ্চিত হয়ে পরোয়ানা কার্যকর করবেন। রায়ে এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দুই সচিব, আইন সচিব, আইজিপি, কারা মহাপরিদর্শক, সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল ও হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রারের প্রতি নির্দেশ দেওয়া হয়। একই সঙ্গে এই নির্দেশনা প্রত্যেক দায়রা জজ ও মেট্রোপলিটন দায়রা জজ, সব ট্রাইব্যুনাল, বিশেষ আদালতের বিচারক, চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটদের জানাতে বলা হয়। সেই আদেশ অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট অধস্তন আদালতগুলোতে রায়ের অনুলিপি প্রেরণ করে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন। কিন্তু তাতেও থেমে নেই ভুয়া ওয়ারেন্ট জারি। এ কারণেই অনলাইনে ওয়ারেন্ট পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
অনন্ত-বর্ষাসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে প্রতারণা মামলা হয়রানি ঠেকাতে ওয়ারেন্ট সমন যাবে অনলাইনে রাজধানীতে আজ কোথায় কী ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কড়া নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা স্পেনের ঢাকার তাপমাত্রা নিয়ে দুঃসংবাদ দিল আবহাওয়া অফিস লিটনদের ভারত পরীক্ষা আজ কী ঘটেছিল ইতিহাসের এই দিনে কক্সবাজার সৈকতের অবৈধ দোকান উচ্ছেদ ও লাইসেন্স বাতিলের উদ্যোগ এক দিনের ব্যবধানে স্বর্ণের দামে আবার রেকর্ড ট্রাম্প কিছুতেই নোবেল পেতে পারেন না : ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট জুবিনের শেষকৃত্য সম্পন্ন পেছাল চাকসু নির্বাচন উপকূলের কাছাকাছি চলে এসেছে সুপার টাইফুন ডেঙ্গুতে আরও একজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৬৬৪ খাটে মায়ের মরদেহ, ফ্লোরে পড়ে ছিল নিস্তেজ ২ সন্তান ১২ থেকে ১৮ অক্টোবর পর্যন্ত চবির সব পরীক্ষা স্থগিত সুপার টাইফুনের কারণে স্কুল ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা আজ হারলে বাংলাদেশের ওপর ‘নির্ভর’ করবে শ্রীলঙ্কার ফাইনাল খেলা! সব দেশের প্রতি ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার আহ্বান সৌদির প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হারের পেছনে গাজা ইস্যু, কমলা হ্যারিসের বিস্ফোরক তথ্য