স্টার্ককে ছাড়িয়ে আইপিএলে ২৫ কোটির রেকর্ড হবে কার?
আইপিএল নিলাম মানেই কোটি কোটি টাকার ছড়াছড়ি। মুহূর্তেই ভাগ্য পরিবর্তনের মঞ্চ। নামমাত্র ভিত্তিমূল্যে নিলামে আসা অনেক ক্রিকেটারই বিক্রি হয়ে যান কোটি টাকায়। তারকাদেরও ওঠে চড়া মূল্য।
এই যেমন- গত বছরের নিলামে মিচেল স্টার্কের দাম ওঠে ২৪ কোটি ৭৫ লাখ রুপিতে। আইপিএল ইতিহাসে যা সর্বোচ্চ।
স্টার্কের ভালো দাম পাওয়াটা প্রত্যাশিতই ছিল বটে। তাই বলে ২৪ কোটিরও বেশি!তবে এবার হয়তো সেই স্টার্ককেও ছাড়িয়ে যেতে পারেন অন্য কেউ!
কারণ, দুই দিন পরই যে সৌদি আরবের জেদ্দায় বসছে আইপিএল-২০২৫ এর নিলামের মেগা আসর।
তবে প্রশ্নটি হচ্ছে- কে পেছনে ফেলবেন মিচেল স্টার্ককে? অনেকগুলো নামই সামনে আসছে। স্বাভাবিকভাবেই প্রথমে আসবে নিলামে মার্কি তালিকায় থাকা ক্রিকেটারদের নাম। এবারের
নিলামে মার্কি তালিকায় আছেন ১২ জন। তাদের ভাগ করা হয়েছে বার দুটি ভাগে। প্রথম সেটে রাখা হয়েছে জশ বাটলার, ঋষভ পন্ত, শ্রেয়াস আইয়ার, কাগিসো রাবাদা, আর্শদীপ সিং ও মিচেল স্টার্ককে। দ্বিতীয় সেটে রাখা হয়েছে যুজবেন্দ্র চাহাল, লিয়াম লিভিংস্টোন, ডেভিড মিলার, লোকেশ রাহুল, মোহাম্মদ শামি ও মোহাম্মদ সিরাজকে। তাদের প্রত্যেকেরই চড়া মূল্যে বিক্রির সম্ভাবনা আছে। তাই বলে ২৪ কোটি রুপিতে? এটা একটু বেশিই বটে। স্টার্ককে ছাড়ানোর সম্ভাবনার তালিকা করতে গেলে সংখ্যাটা হয়তো আরও কমে আসবে। চাহাল, আর্শদীপদের পেছনে এত টাকা খরচের সম্ভাবনা নেই। যদিও আইপিএল নিলামে নিয়ম মেনে কিছুই হয় না, তাই ঘটতে পারে অনেক কিছুই! এরপরও সম্ভাবনার বিচারে এগিয়ে থাকবেন ঋষভ পন্ত,
জস বাটলাররা। এবার দিল্লি ক্যাপিটালস ছেড়ে দেওয়া পন্ত আইপিএলে কেবল দিল্লির হয়েই খেলেছেন। মানে পন্ত একেবারে ঋষভ পন্ত হয়ে ওঠার পর এখনো নিলামেই ওঠেননি। সেদিক থেকে পন্তের মূল্য কততে গিয়ে দাঁড়ায়, সেটাই এবার দেখার বিষয়। বাটলারও হয়তো কম যাবেন না!কারণ ২০১৮ সাল থেকেই রাজস্থান রয়্যালসে খেলছেন এই ইংলিশ তারকা। এবার তিনিও থাকছেন নিলামে। স্ট্রাইক রেট বলুন, টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে তার চাহিদা বলুন—সবকিছু বিবেচনায় বাটলারের দাম এবার আকাশ ছোঁয়ার কথা। তবে স্টার্ককে কি ছাড়াতে পারবেন? লিভিংস্টোন, মিলার, লোকেশ রাহুলরাও নিলাম টেবিলে অনেকক্ষণ থাকবেন ধরেই নেওয়া যায়। তালিকায় থাকা কাগিসো রাবাদা আর গত মৌসুমে কলকাতাকে চ্যাম্পিয়ন করা শ্রেয়াস আইয়ারদের চড়া দাম উঠতে পারে- তা বলা বাহুল্য।
তবে তাদের জন্য ২৪ কোটি ৭৫ লাখ রুপিকে ছাড়ানো একটু কঠিনই বটে। নাকি স্টার্ক নিজেই নিজেকে ছাড়িয়ে যাবেন এবার? গত মৌসুমে কলকাতার হয়ে ওভারপ্রতি ১০ রানের বেশি খরচ করা স্টার্কের জন্য অবশ্য এবার কাজটা কঠিন হয়ে যাবে। বিশেষ এই তালিকার বাইরে থাকা ক্রিকেটাররাও অবশ্য রেকর্ড গড়তে পারেন। সেক্ষেত্রে সবার আগে নাম আসবে গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের। গত চার মৌসুম ধরে ম্যাক্সওয়েল খেলছেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্সের হয়ে। এবার আর তাকে ধরে রাখেনি দলটি। আইপিএলে এই অস্ট্রেলিয়ানের চাহিদা সব সময়ই আকাশচুম্বী। শুধু তার নয়, আইপিএলে অস্ট্রেলিয়ানদেরই চাহিদা বেশি। আইপিএল ইতিহাসে সর্বোচ্চ দামে বিক্রি হওয়া ১০ ক্রিকেটারের মধ্যে চার জনই অস্ট্রেলিয়ার। গত মৌসুমের নিলামে তো প্রথমে সর্বোচ্চ মূল্যের
রেকর্ড গড়েছিলেন প্যাট কামিন্স। এর কিছু সময় পরই তার ২০ কোটি ৫০ লাখ রুপির রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ড গড়েন স্বদেশি মিচেল স্টার্ক। সম্প্রতি ভারত সিরিজে ভালো করা নিউজিল্যান্ডের রাচিন রবীন্দ্র ও গ্লেন ফিলিপসকেও আমলে নিতে হবে। আলোচনায় থাকবেন প্রোটিয়া ফাস্ট বোলার এনরিখ নর্কিয়া এবং কিউই পেসার লকি ফার্গুসনও। তবে অনেক কিছুই নির্ভর করবে দলগুলোর নির্দিষ্ট পরিকল্পনার ওপরে। গত মৌসুমে কামিন্সকে যেমন যে করেই হোক দলে নিয়েছে হায়দরাবাদ। এবারও তাকে ধরে রেখেছে দলটি। এমন অনেককে নিয়েই বিশেষ বিশেষ পরিকল্পনা করে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো। দাম চড়া হয়ে ওঠে এসব বিবেচনাতেই! তাই এবার দেখার পালা, কার কপাল খুলতে যাচ্ছে- সেটা।
নিলামে মার্কি তালিকায় আছেন ১২ জন। তাদের ভাগ করা হয়েছে বার দুটি ভাগে। প্রথম সেটে রাখা হয়েছে জশ বাটলার, ঋষভ পন্ত, শ্রেয়াস আইয়ার, কাগিসো রাবাদা, আর্শদীপ সিং ও মিচেল স্টার্ককে। দ্বিতীয় সেটে রাখা হয়েছে যুজবেন্দ্র চাহাল, লিয়াম লিভিংস্টোন, ডেভিড মিলার, লোকেশ রাহুল, মোহাম্মদ শামি ও মোহাম্মদ সিরাজকে। তাদের প্রত্যেকেরই চড়া মূল্যে বিক্রির সম্ভাবনা আছে। তাই বলে ২৪ কোটি রুপিতে? এটা একটু বেশিই বটে। স্টার্ককে ছাড়ানোর সম্ভাবনার তালিকা করতে গেলে সংখ্যাটা হয়তো আরও কমে আসবে। চাহাল, আর্শদীপদের পেছনে এত টাকা খরচের সম্ভাবনা নেই। যদিও আইপিএল নিলামে নিয়ম মেনে কিছুই হয় না, তাই ঘটতে পারে অনেক কিছুই! এরপরও সম্ভাবনার বিচারে এগিয়ে থাকবেন ঋষভ পন্ত,
জস বাটলাররা। এবার দিল্লি ক্যাপিটালস ছেড়ে দেওয়া পন্ত আইপিএলে কেবল দিল্লির হয়েই খেলেছেন। মানে পন্ত একেবারে ঋষভ পন্ত হয়ে ওঠার পর এখনো নিলামেই ওঠেননি। সেদিক থেকে পন্তের মূল্য কততে গিয়ে দাঁড়ায়, সেটাই এবার দেখার বিষয়। বাটলারও হয়তো কম যাবেন না!কারণ ২০১৮ সাল থেকেই রাজস্থান রয়্যালসে খেলছেন এই ইংলিশ তারকা। এবার তিনিও থাকছেন নিলামে। স্ট্রাইক রেট বলুন, টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে তার চাহিদা বলুন—সবকিছু বিবেচনায় বাটলারের দাম এবার আকাশ ছোঁয়ার কথা। তবে স্টার্ককে কি ছাড়াতে পারবেন? লিভিংস্টোন, মিলার, লোকেশ রাহুলরাও নিলাম টেবিলে অনেকক্ষণ থাকবেন ধরেই নেওয়া যায়। তালিকায় থাকা কাগিসো রাবাদা আর গত মৌসুমে কলকাতাকে চ্যাম্পিয়ন করা শ্রেয়াস আইয়ারদের চড়া দাম উঠতে পারে- তা বলা বাহুল্য।
তবে তাদের জন্য ২৪ কোটি ৭৫ লাখ রুপিকে ছাড়ানো একটু কঠিনই বটে। নাকি স্টার্ক নিজেই নিজেকে ছাড়িয়ে যাবেন এবার? গত মৌসুমে কলকাতার হয়ে ওভারপ্রতি ১০ রানের বেশি খরচ করা স্টার্কের জন্য অবশ্য এবার কাজটা কঠিন হয়ে যাবে। বিশেষ এই তালিকার বাইরে থাকা ক্রিকেটাররাও অবশ্য রেকর্ড গড়তে পারেন। সেক্ষেত্রে সবার আগে নাম আসবে গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের। গত চার মৌসুম ধরে ম্যাক্সওয়েল খেলছেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্সের হয়ে। এবার আর তাকে ধরে রাখেনি দলটি। আইপিএলে এই অস্ট্রেলিয়ানের চাহিদা সব সময়ই আকাশচুম্বী। শুধু তার নয়, আইপিএলে অস্ট্রেলিয়ানদেরই চাহিদা বেশি। আইপিএল ইতিহাসে সর্বোচ্চ দামে বিক্রি হওয়া ১০ ক্রিকেটারের মধ্যে চার জনই অস্ট্রেলিয়ার। গত মৌসুমের নিলামে তো প্রথমে সর্বোচ্চ মূল্যের
রেকর্ড গড়েছিলেন প্যাট কামিন্স। এর কিছু সময় পরই তার ২০ কোটি ৫০ লাখ রুপির রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ড গড়েন স্বদেশি মিচেল স্টার্ক। সম্প্রতি ভারত সিরিজে ভালো করা নিউজিল্যান্ডের রাচিন রবীন্দ্র ও গ্লেন ফিলিপসকেও আমলে নিতে হবে। আলোচনায় থাকবেন প্রোটিয়া ফাস্ট বোলার এনরিখ নর্কিয়া এবং কিউই পেসার লকি ফার্গুসনও। তবে অনেক কিছুই নির্ভর করবে দলগুলোর নির্দিষ্ট পরিকল্পনার ওপরে। গত মৌসুমে কামিন্সকে যেমন যে করেই হোক দলে নিয়েছে হায়দরাবাদ। এবারও তাকে ধরে রেখেছে দলটি। এমন অনেককে নিয়েই বিশেষ বিশেষ পরিকল্পনা করে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো। দাম চড়া হয়ে ওঠে এসব বিবেচনাতেই! তাই এবার দেখার পালা, কার কপাল খুলতে যাচ্ছে- সেটা।