ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
ভ্যাট চাপিয়েও প্রতিবাদের মুখে ৮ পণ্যে প্রত্যাহার চায় এনবিআর, আইএমএফের ‘না’
মুখ থুবড়ে পড়া অর্থনীতির দেশ শ্রীলঙ্কায় এখন মূল্যস্ফীতি শূন্যের নিচে, অথচ বাংলাদেশে ১১%
ধনীর বাতাস বিশুদ্ধকরণ যন্ত্রে শুল্ক ছাড়
রমজানের আগেই ফলের বাজার আগুন, কেজিতে বেড়েছে ৩০-১০০ টাকা
মুমূর্ষু অবস্থায় রাষ্ট্রায়ত্ত জনতা ব্যাংক
রোজায় সরবরাহ ঠিক রাখতে সিটি ও মেঘনা গ্রুপকে অনুরোধ
কম দামে ইলিশের স্বাদ পাবেন রাজধানীবাসী
সুদমুক্ত ব্যাংকিং ব্যবস্থা চালু করছে পাকিস্তান
সুদমুক্ত ব্যাংকিং ব্যবস্থা চালু করছে পাকিস্তান
সুদমুক্ত ব্যাংকিং ব্যবস্থা চালু করতে যাচ্ছে পাকিস্তান। এ লক্ষ্যে এরই মধ্যে সংবিধানও সংশোধন করেছে দেশটি।
পাকিস্তানি সংবিধানের ২৬তম সংশোধনীর মাধ্যমে দেশটি ২০২৮ সালের শুরু থেকেই ‘রিবা’ বা সুদভিত্তিক ব্যাংকিং ব্যবস্থা বন্ধ করে সুদমুক্ত ব্যাংকিং চালু করবে। সোমবার আরব নিউজের প্রতিবেদনে উঠে আসে এই তথ্য।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মাওলানা ফজলুর রহমানের নেতৃত্বাধীন আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের (জেইউআই-এফ) পরামর্শে খসড়া সংশোধনীতে এই ধারাটি যুক্ত করা হয়েছিল। তবে এই বিষয়টি সরকারের জন্য চূড়ান্ত বিলে উপস্থাপন করা কঠিন করে তুলেছিল।
ব্যাংকিং ব্যবস্থায় সুদের অবসান ঘটাতে পাকিস্তানের পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ সিনেট সংবিধানের ধারা ৩৮(ফ) সংশোধনী অনুমোদন করেছে। এই ধারাটি সামাজিক
ও অর্থনৈতিক কল্যাণের প্রচারের সঙ্গে সম্পর্কিত। বর্তমানে এই ধারায় বলা হয়েছে, ‘যত দ্রুত সম্ভব রিবা (সুদ) নির্মূল করতে হবে।’ একই সঙ্গে সিনেট সরকার যত দূর সম্ভব ২০২৮ সালের ১ জানুয়ারির এই ব্যবস্থা কার্যকর করার কথা বলেছে। এর আগে, ২০২২ সালে ফেডারেল শরিয়ত আদালত সরকারকে পাঁচ বছরের মধ্যে দেশে একটি ইসলামি ও সুদমুক্ত ব্যাংকিং ব্যবস্থা বাস্তবায়নের নির্দেশ দিয়েছিলেন। তাদের যুক্তি ছিল, পাকিস্তানের মতো একটি ইসলামি রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা সুদমুক্ত হওয়া উচিত। পাকিস্তানের ফেডারেল শরিয়ত আদালতের তিন সদস্যের বেঞ্চ এই রায় দিয়েছিলেন। রায়ে বিচারপতি ড. সৈয়দ মোহাম্মদ আনোয়ার বলেন, ‘ইসলামি ব্যবস্থার জন্য সুদ (রিবা) বিলোপ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং যে কোনো লেনদেন যা
রিবার সঙ্গে জড়িত, তা ভুল।’ রায়ে আরও বলা হয়, ‘রিবার বিলোপ এবং এর প্রতিরোধ ইসলামের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। ঋণসহ যে কোনো ক্ষেত্রে নেওয়া সুদ রিবার মধ্যে পড়ে, যা ইসলামে সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ।’ ফেডারেল শরিয়ত আদালত আরও বলেছিলেন, ‘সরকার অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক ঋণের ওপর যে সুদ দেয় তাও রিবার অন্তর্ভুক্ত। সরকারকে নিশ্চিত করতে হবে যে অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক ঋণ এবং লেনদেনগুলো সুদমুক্ত হতে হবে। আন্তর্জাতিক সংস্থা, যেমন আইএমএফ ও বিশ্ব ব্যাংকের সঙ্গে লেনদেনও সুদমুক্ত করা উচিত।’
ও অর্থনৈতিক কল্যাণের প্রচারের সঙ্গে সম্পর্কিত। বর্তমানে এই ধারায় বলা হয়েছে, ‘যত দ্রুত সম্ভব রিবা (সুদ) নির্মূল করতে হবে।’ একই সঙ্গে সিনেট সরকার যত দূর সম্ভব ২০২৮ সালের ১ জানুয়ারির এই ব্যবস্থা কার্যকর করার কথা বলেছে। এর আগে, ২০২২ সালে ফেডারেল শরিয়ত আদালত সরকারকে পাঁচ বছরের মধ্যে দেশে একটি ইসলামি ও সুদমুক্ত ব্যাংকিং ব্যবস্থা বাস্তবায়নের নির্দেশ দিয়েছিলেন। তাদের যুক্তি ছিল, পাকিস্তানের মতো একটি ইসলামি রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা সুদমুক্ত হওয়া উচিত। পাকিস্তানের ফেডারেল শরিয়ত আদালতের তিন সদস্যের বেঞ্চ এই রায় দিয়েছিলেন। রায়ে বিচারপতি ড. সৈয়দ মোহাম্মদ আনোয়ার বলেন, ‘ইসলামি ব্যবস্থার জন্য সুদ (রিবা) বিলোপ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং যে কোনো লেনদেন যা
রিবার সঙ্গে জড়িত, তা ভুল।’ রায়ে আরও বলা হয়, ‘রিবার বিলোপ এবং এর প্রতিরোধ ইসলামের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। ঋণসহ যে কোনো ক্ষেত্রে নেওয়া সুদ রিবার মধ্যে পড়ে, যা ইসলামে সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ।’ ফেডারেল শরিয়ত আদালত আরও বলেছিলেন, ‘সরকার অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক ঋণের ওপর যে সুদ দেয় তাও রিবার অন্তর্ভুক্ত। সরকারকে নিশ্চিত করতে হবে যে অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক ঋণ এবং লেনদেনগুলো সুদমুক্ত হতে হবে। আন্তর্জাতিক সংস্থা, যেমন আইএমএফ ও বিশ্ব ব্যাংকের সঙ্গে লেনদেনও সুদমুক্ত করা উচিত।’