সিনওয়ার কি সত্যিই শান্তির পথে প্রধান বাধা ছিলেন? – ইউ এস বাংলা নিউজ




ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আপডেটঃ ১৯ অক্টোবর, ২০২৪
     ৮:০৭ অপরাহ্ণ

সিনওয়ার কি সত্যিই শান্তির পথে প্রধান বাধা ছিলেন?

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ১৯ অক্টোবর, ২০২৪ | ৮:০৭ 86 ভিউ
নিহত হামাস প্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ার কি সত্যিই শান্তির পথে প্রধান বাধা ছিলেন? যেমনটা যুক্তরাষ্ট্র তাকে তুলে ধরেছিল! তবে বিশ্লেষকরা বলছেন ভিন্ন কথা। তাদের মতে, হামাস প্রধানের মৃত্যু শান্তি আলোচনায় তেমন কোনো প্রভাব ফেলবে না। কারণ তার মৃত্যু ইসরাইলের উদ্দেশ্যের কোনো পরিবর্তন ঘটাবে না। যদিও মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে, সিনওয়ারের মৃত্যু হয়তো শান্তি আলোচনাগুলোকে নতুনভাবে উদ্দীপিত করতে পারে। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, ইসরাইলের গাজায় সামরিক অভিযান অব্যাহত রাখার মানসিকতা পরিবর্তিত হয়নি। ইয়াহিয়া সিনওয়ার মূলত গাজার ভেতরে থেকেই হামাসের সামরিক কৌশল পরিচালনা করতেন। তাকে একজন কঠোরবাদী হিসেবে দেখা হতো। বিশ্লেষকরা বলছেন, শান্তির পথে মূল সমস্যা সিনওয়ার নয়, বরং ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর নীতিই শান্তির পথে প্রধান

অন্তরায়। নেতানিয়াহু ক্রমাগত উত্তেজনা বৃদ্ধি করেছেন, গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের হত্যা করেছেন এবং সংঘাতকে গভীরতর করেছেন। ফলে শান্তির চেষ্টা বাধাগ্রস্ত হয়েছে। মধ্যপ্রাচ্য ইনস্টিটিউটের খালেদ এলগিন্ডি জানান, সিনওয়ারের মৃত্যু সমস্যার মূল কারণগুলো সমাধান করেনি, বিশেষ করে ইসরাইলের কার্যকলাপ। মধ্যপ্রাচ্যে শান্তির জন্য মার্কিন সরকারের চেষ্টা চললেও, কাতার ও মিশরের মতো গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক শক্তিগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করার পরও শান্তিচুক্তি বেশ দূরবর্তী বলেই মনে হচ্ছে। বাইডেন প্রশাসন গত সপ্তাহে আলোচনার পুনরুজ্জীবনের সম্ভাবনার বিষয়ে আগের যে আশা প্রকাশ করেছিল, তা এখন কমে এসেছে। শুক্রবার বাইডেন জানিয়েছেন, গাজায় যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠা করা লেবাননের হিজবুল্লাহ ও ইসরাইলের মধ্যে যুদ্ধ বন্ধ করার চেয়ে ‘কষ্টকর’ হতে পারে। সুতরাং সিনওয়ারকে যে শান্তির পথে

একটি বাধা হিসেবে দেখা হচ্ছিল, তার মৃত্যুর পরেও গাজা পরিস্থিতির পরিবর্তন হওয়ার সম্ভাবনা কম। বিশ্লেষকরা মনে করেন যে, ইসরাইলের নেতারাই, বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু এই সংঘাতের মূল কারণ। কেননা, সিনওয়ারকে হত্যার পরও ইসরাইল তার সামরিক অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে এবং তারা এমন কোনো যুদ্ধবিরতি গ্রহণ করতে ইচ্ছুক নয়, যা তাদের কৌশলগত স্বার্থের বাইরে। ইসরাইলের উদ্দেশ্য: ইসরাইলের বৃহত্তর লক্ষ্য শুধু সিনওয়ার বা হামাসের কোনো নির্দিষ্ট নেতাকে নির্মূল করা নয়। তাদের সামরিক পদক্ষেপ এবং রাজনৈতিক কৌশল, যেমন- গাজার চারপাশে বাফার জোন তৈরি করা এবং গুরুত্বপূর্ণ করিডোর নিয়ন্ত্রণে নেওয়া, এই অঞ্চল নিয়ন্ত্রণে ইসরাইলের দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার প্রমাণ। এই সব পদক্ষেপ দেখায় যে, সংঘাতের মূল চালিকাশক্তি হলো ইসরাইলের

নিরাপত্তা এবং আঞ্চলিক নিয়ন্ত্রণের বিষয়। যা কোনো হামাস নেতার উপস্থিতির চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা: যুক্তরাষ্ট্র মিশর এবং কাতারের মতো দেশগুলোর মাধ্যমে হামাসের সঙ্গে আলোচনা চালাতে সহায়তা করেছে। তবে সমালোচকরা বলছেন, তারা ইসরাইলের ওপর পর্যাপ্ত চাপ প্রয়োগ করতে পারেনি। যুক্তরাষ্ট্রের বিশাল সামরিক শক্তি থাকা সত্ত্বেও তারা ইসরাইলের সঙ্গে মিলে চলার প্রবণতা দেখিয়েছে। যার ফলে একই সঙ্গে যুদ্ধবিরতির আলোচনা কঠিন হয়ে পড়েছে। হামাসের অবস্থান: হামাস নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ার ছিলেন কঠোর মনোভাবের। তবে ২০২৪ সালের প্রথম দিকে হামাস কিছু শর্তে আলোচনার জন্য আগ্রহ দেখিয়েছিল। সেই সময়ে ইসরাইল গাজাকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলেছিল এবং হামাস অনেক চাপের মধ্যে ছিল খাদ্যাভাব, অবকাঠামোর ধ্বংস এবং গাজার জনসংখ্যার বড় একটি

অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায়। তবে ইসরাইল সেনা প্রত্যাহারসহ কোনো গুরুত্বপূর্ণ ছাড় দিতে অস্বীকার করায় এই আলোচনা ভেস্তে যায়। সিনওয়ারের মৃত্যুর প্রভাব: ইয়াহিয়া সিনওয়ারকে হত্যা করা হলেও, এতে যুদ্ধবিরতির মূল সমস্যাগুলোর কোনো সমাধান হবে না। ইসরাইলের জনসাধারণ তার মৃত্যুতে আনন্দ উদযাপন করলেও, এ ঘটনার ফলে দীর্ঘস্থায়ী সামরিক এবং রাজনৈতিক উত্তেজনা অব্যাহত থাকবে। বিশ্লেষকরা বলছেন, হামাস গাজার সামাজিক কাঠামোর একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং নেতৃত্ব পরিবর্তন হলেও তাদের প্রতিরোধ অব্যাহত থাকবে। সূত্র: মিডল ইস্ট আই

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
*জনগণের প্রত্যাশা থেকে বিচ্ছিন্ন জুলাই সনদ, প্রতিশ্রুতির স্থলে প্রতারণা* আইসিটি বন্ধ ও রাজবন্দীদের মুক্তির দাবি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তীব্র নিন্দা প্রধানমন্ত্রীর, ভারতের পাশে থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস শেখ হাসিনার বিচার: গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে জাতিসংঘে অভিযোগ ‘অবৈধ সরকারকে’ হটাতে চূড়ান্ত আল্টিমেটাম: ১৩ তারিখ ঢাকা অচল করে দেওয়ার ডাক সজীব ওয়াজেদ জয়ের রাজধানীতে সারাদিনে অন্তত সাত স্থানে ককটেল বিস্ফোরণ, তিনটি বাসে আগুন ঘুমানোর সময় ওয়াই-ফাই বন্ধ রাখলে শরীরে কী হয়, জানলে অবাক হবেন শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ দুই মেডিকেল কলেজে সরকারি মেডিকেল কলেজের আসন কমাল স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ভারতে একের পর এক বিস্ফোরণ, বাংলাদেশ ও পাকিস্তান সীমান্তে উচ্চ সতর্কতা জারি  মধ্যরাতে জারাকে নিয়ে সারজিসের ফেসবুক পোস্টে চমক মোহাম্মদপুরে চাপাতিসহ ২ ছিনতাইকারী গ্রেপ্তার এনসিপির কার্যালয়ের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ দেশে আবারও বাড়ল সোনার দাম, ভরি কত? অনুমোদন পেল নতুন আরেকটি মেডিকেল কলেজ ‘সালমান শাহকে শেষ করার পেছনে আমরা সিনেমার মানুষেরাই দায়ী’ ইউটিউবে ‘রঙ্গনা’, শাবনূর ফিরলেই নতুনভাবে শুরু গভীর রাতে রাজধানীতে বাস ও প্রাইভেটকারে আগুন দেওয়ার হিড়িক অভদ্ররা ভাবে জবাব দেওয়ার ক্ষমতা নেই : প্রভা পুরান ঢাকায় শীর্ষ সন্ত্রাসী সাইদ মামুন গুলিতে নিহত