সাগর পর্যন্ত শুকিয়ে যাচ্ছে – ইউ এস বাংলা নিউজ




ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আপডেটঃ ২৮ জুন, ২০২৫
     ৫:০৪ পূর্বাহ্ণ

আরও খবর

গাজায় একদিনে ইসরাইলি হামলায় নিহত ৮০, অনাহারে ১৪

শর্তহীন যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া

ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধে ১২০ দেশকে পাশে পেয়েছিল ইরান

খামেনিকে হত্যার হুমকি ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রীর

দেশে বিরাজমান পরিস্থিতিতে রাজধানীর গুলশানে ছাত্র সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন মানুষকে ভয়ভীতি দেখিয়ে চাঁদা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে একটি সংঘবদ্ধ দলের বিরুদ্ধে। গুলশানে সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শাম্মী আহমেদের বাসায় চাঁদাবাজির ঘটনায় মামলায় পাঁচজনকে আদালতে পাঠিয়ে পুলিশ প্রতিবেদনে এ কথা বলেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঢাকা মহানগর শাখার আহ্বায়ক (বহিষ্কৃত) ইব্রাহীম হোসেন মুন্না, সদস্য মো. সাকাদাউন সিয়াম, সাদমান সাদাব, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের আহ্বায়ক সদস্য (বহিষ্কৃত) আব্দুর রাজ্জাক বিন সুলাইমান (রিয়াদ) ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বাড্ডা থানা শাখার সদস্য (বহিষ্কৃত) ১৩ বছর বয়সী এক কিশোরকে আদালতে পাঠানো হয়। তাদের মধ্যে প্রথম চারজনের ১০ দিন করে রিমান্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় অপরজনকে আটক রাখার আবেদন করা হয় পৃথক আবেদনে। দুটি আবেদনেই তদন্ত কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, উল্লেখিত আসামিসহ তাঁদের একটি সংঘবদ্ধ দল দীর্ঘদিন ধরে গুলশান এলাকায় বিভিন্ন বাসায় গ্রেপ্তারের ভয় দেখিয়ে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে চাঁদা আদায় করে আসছে বলে তথ্য পাওয়া গেছে। তদন্ত কর্মকর্তা আবেদনে আরও উল্লেখ করেন, এই সংঘবদ্ধ দলের সদস্যরা দেশে বিরাজমান পরিস্থিতিতে ছাত্র সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন মানুষকে ভয়ভীতি দেখিয়ে চাঁদা আদায় করে। তারা আরও কিছু মানুষের কাছ থেকে চাঁদা নিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসব অভিযোগ তদন্ত করতে এবং এই সংঘবদ্ধ দলের সঙ্গে আর কারা জড়িত তা জানার জন্য চারজনকে রিমান্ডে নেওয়া প্রয়োজন বলে উল্লেখ করেন তদন্ত কর্মকর্তা। তিনি আবেদনে লেখেন, মামলার এজাহারে দেখা যায়, গ্রেপ্তারকৃতরা ইতিমধ্যে মামলার বাদীর কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা নিয়েছেন। ওই টাকা উদ্ধারের জন্যও রিমান্ডে নেওয়া প্রয়োজন। ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াদুর রহমান চারজনকে ৭ দিন করে রিমান্ডে নেওয়ার আদেশ দেন।

ভারতের সবচেয়ে বড় আইটি কোম্পানির কর্মী ছাঁটাইয়ের ঘোষণা

হামাসকে নির্মূল করে পূর্ণ বিজয় অর্জনে ইসরায়েল দৃঢ়প্রতিজ্ঞ: নেতানিয়াহু

সাগর পর্যন্ত শুকিয়ে যাচ্ছে

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ২৮ জুন, ২০২৫ | ৫:০৪ 41 ভিউ
বিশ্বের সবচেয়ে বড় স্থলবেষ্টিত হ্রদ কাস্পিয়ান সাগর দ্রুত শুকিয়ে যাচ্ছে। কাজাখস্তানের শহর আকটাটের বাসিন্দারা বলছেন, সাগরের পানি প্রায় ১০০ মিটার সরে গেছে। এটি এখন দেখলেই বোঝা যায়। পরিবেশবিদ ও গবেষকরা আশঙ্কা করছেন, এই হার অব্যাহত থাকলে শতকের শেষ নাগাদ সাগরের পানি ১৮ মিটার পর্যন্ত কমে যেতে পারে। একইসঙ্গে এটি তার প্রায় ৩৪ শতাংশ পৃষ্ঠভাগ হারাতে পারে। প্রাচীনকাল থেকেই কাস্পিয়ান সাগর স্থানীয় মানুষের জীবনের অংশ ছিল। পরিবেশবিদ আদিলবেক কোজিবাকভ জানান, তার শৈশবে পরিবারের ফ্রিজে সবসময় স্টারজন মাছের ক্যাভিয়ার থাকত। এখন সেই মাছ বিলুপ্তপ্রায় এবং দোকানে প্রাকৃতিক ক্যাভিয়ার পাওয়া যায় না। স্টারজনসহ আরও অনেক প্রজাতির মাছের আবাসস্থল নষ্ট হয়ে গেছে। গবেষকরা বলছেন, মাত্র ৫

থেকে ১০ মিটার পানির স্তর কমলেও সীল, স্টারজন ও অন্যান্য জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়বে। রাশিয়া, কাজাখস্তান, তুর্কমিনিস্তান, ইরান এবং আজারবাইজান—এই পাঁচ দেশের ওপর দিয়ে বয়ে গেছে কাস্পিয়ান সাগর। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, শুধুমাত্র জলবায়ু পরিবর্তন নয়, রাশিয়ার পানিনীতি এবং দখলদারি প্রকল্পও কাস্পিয়ান সাগরের সংকটের জন্য দায়ী। রাশিয়ার ভলগা নদী থেকে আসে কাস্পিয়ানের ৮০-৮৫ শতাংশ পানি। কিন্তু বিগত দশকে নদীতে অসংখ্য বাঁধ ও রিজার্ভার তৈরি করা হয়েছে। কৃষি ও শিল্পে অতিরিক্ত পানি ব্যবহার করা হচ্ছে। ফলে কাস্পিয়ান সাগরে পানির প্রবাহ মারাত্মকভাবে কমে গেছে। সাগর পর্যন্ত শুকিয়ে যাচ্ছে আদিলবেক কোজিবাকভ বলেন, ‘আমরা জানি সাগর শুকিয়ে যাচ্ছে। এটি বুঝতে কোনো গবেষণার প্রয়োজন নেই—চোখেই দেখা যাচ্ছে।’ আরও একটি বড় সমস্যা

হলো, সাগরের আশপাশে থাকা তেলক্ষেত্র ও তাদের পরিচালনায় বিদেশি কোম্পানির ভূমিকা। সোভিয়েত আমলে আবিষ্কৃত এসব তেলক্ষেত্র এখন আন্তর্জাতিক কোম্পানির হাতে। এসব কোম্পানির সঙ্গে সরকার যে গোপন চুক্তি করেছে, তাতে পরিবেশের আসল ক্ষতি সম্পর্কে তথ্য জানার সুযোগ নেই। কাজাখস্তানের পরিবেশ আইনজীবী ভাদিম নি বিষয়টি নিয়ে উচ্চ আদালতে মামলা করেছেন, যদিও সেটি এখনো গ্রহণ করা হয়নি। ২০২২ সালে তোলা কাস্পিয়ান সাগরের ছবি। নি বলছেন, এই চুক্তিগুলো গোপন রাখায় তা আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করছে। আর যে সব তথাকথিত পরিবেশগত গবেষণা প্রকাশ করা হয়, তা অনেক সময় কোম্পানির স্বার্থরক্ষার জন্য পক্ষপাতদুষ্ট হতে পারে। তিনি আরও অভিযোগ করেন, ইউরোপে ‘গ্রিন এনার্জি’ পাঠাতে গিয়ে স্থানীয়রা পড়ে থাকছে দূষণ,

বর্জ্য ও পানির ঘাটতির মাঝে। আকটাউ শহরে পরিবেশবাদী কোজিবাকভ স্থানীয় প্রশাসন, নাগরিক সমাজ ও সাধারণ জনগণের সঙ্গে কাজ করছেন কাস্পিয়ান সাগর রক্ষায়। তিনি বলেন, এই সাগর শুধু গবেষকদের নয়, এখানকার প্রতিটি বাসিন্দার ভবিষ্যৎ জড়িত এর সঙ্গে। পরিবেশ রক্ষা শুধু কাগজে-কলমে নয়, এটিকে বাস্তবিকভাবে গুরুত্ব দিতে হবে। কাস্পিয়ান সাগর শুধু একটি জলাশয় নয়, বরং এটি রাশিয়া, কাজাখস্তান, ইরান, আজারবাইজান ও তুর্কমেনিস্তানের মাঝখানে একটি ভৌগোলিক, অর্থনৈতিক ও কৌশলগত কেন্দ্র। এটি চীন থেকে ইউরোপে যাওয়ার সবচেয়ে দ্রুত পথ ‘মিডল করিডোর’-এর অংশ। একই সঙ্গে এটি তেল ও গ্যাসের বিশাল ভাণ্ডার। ১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪-এ কাস্পিয়ান সাগর উপকূলে অবস্থিত কাজাখস্তানের আকতাউ বন্দর শহর। অনেকে আশঙ্কা করছেন, কাস্পিয়ান সাগর হয়তো একই

পরিণতির দিকে এগোচ্ছে, যেভাবে আরাল সাগর গত শতকের মাঝামাঝি সময়ে শুকিয়ে গিয়েছিল। সেই সময় সোভিয়েত ইউনিয়ন নদীর পানি কৃষিক্ষেত্রে ব্যবহার করে সাগরটিকে প্রায় নিশ্চিহ্ন করে ফেলে। বর্তমানে আরাল সাগর তার ১০ শতাংশ মাত্র টিকে আছে। এখন কাস্পিয়ান সাগরের ভবিষ্যৎও একই ধরনের বিপদে। এখনই কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে ভবিষ্যতে হয়তো এই সাগর শুধু ইতিহাস হয়ে থাকবে। তথ্যসূত্র : আলজাজিরা

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
নারী এশিয়ান কাপে কঠিন গ্রুপে বাংলাদেশ নিউ ইয়র্ক সিটির অফিসে গুলি: বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত পুলিশ কর্মকর্তাসহ ৪ জন নিহত মুজিবকে ছোট করে তাজউদ্দিনকে কি বড় করা যায়, নাকি সেটা সম্ভব? টাঙ্গাইলে এনসিপির পাহারায় ৯ শতাধিক পুলিশ, গোয়েন্দা ও বিভিন্ন বাহিনীর অজানা সংখ্যক সদস্য রাজশাহীতে ছড়িয়ে পড়েছে ১২৩ চাঁদাবাজের তালিকা, বিএনপি-জামায়াতের অর্ধশতাধিক নেতা যুক্ত ইউনূস সরকার ব্যস্ত দমন-পীড়নে: বাজারে আগুন, ভোগান্তি চরমে দেশে বিনিয়োগে ধস: থমকে যাওয়া শিল্প খাতের উদ্যোক্তারা হতাশ দলীয় নেতার যৌন কুপ্রস্তাবের পর এবার দুর্ণীতির অভিযোগে এনসিপি ছাড়লেন নীলা ইসরাফিল সমাজের সবচেয়ে খারাপ নারী হিসেবে চিহ্নিত হয়েছি আমি চাঁদা না পেয়ে ব্যবসায়ীদের নিপীড়ন: সভাপতিসহ জামায়াতের ৪ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার জয় বাংলার মোড়ে ভুয়া র‍্যাব বনাম আসল র‍্যাব দুই টিমকেই কনফিউজড জনতার ধোলাই ধার দেওয়া টাকা চাওয়ায় মেয়েকে অপহরণ লিজ দলিলে গণভবন হস্তান্তর করল পূর্ত মন্ত্রণালয় ওষুধ কোম্পানির উপঢৌকনে সর্বনাশ হচ্ছে রোগীর গাজায় একদিনে ইসরাইলি হামলায় নিহত ৮০, অনাহারে ১৪ নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু তিন ঝুঁকিতে কমাচ্ছে না ডলারের দাম দুপুরের মধ্যে সাত অঞ্চলে ঝড়ের আভাস মাইলস্টোনে বিমান বিধ্বস্তে নিহত প্রিয়ার কবরে বিমানবাহিনীর শ্রদ্ধা চাঁদা তুলে রিয়াদের পড়ার খরচ মেটাতেন স্থানীয়রা