ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
জামিন পেলেন সাবেক এসপি বাবুল আক্তার
আইনজীবী আলিফ হত্যার ভিডিও দেখে ৬ জনকে আটক
‘ইসকন’ বিশ্বের যেসব দেশে নিষিদ্ধ
দেশকে অস্থিতিশীল করার সর্বশেষ ট্রাম্পকার্ড খেলা হচ্ছে: আজহারী
জামা মসজিদ ঘিরে সংঘর্ষের দু’দিন পরে যে চিত্র দেখা গেছে
চিন্ময় ইস্যুতে ভারতের বিবৃতির কড়া জবাব বাংলাদেশের
‘ইসকনের আন্দোলনে দেশি-বিদেশি ইন্ধন রয়েছে’
সবাইকে নিয়ে গড়ব নতুন বাংলাদেশ
সমাজের সব শ্রেণির মানুষকে সঙ্গে নিয়ে নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় পুনর্ব্যক্ত করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, ছাত্র-জনতা যে সুযোগ দিয়েছে, সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে পচা বাংলাদেশ থেকে নতুন-তরতাজা বাংলাদেশ করে যেতে চাই। অন্যদিকে শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ীরা বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর ব্যবসায়ীদের পূর্ণ আস্থা আছে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি হোটেলে জাতীয় ব্যবসা সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স-বাংলাদেশ (আইসিসি-বি) এ সংলাপের আয়োজন করে। এতে উপস্থিত ছিলেন অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ, শিক্ষা ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ।
ড. ইউনূস বলেন, ছাত্র-জনতার গণ-আন্দোলন সাধারণ রাজনৈতিক আন্দোলন ছিল না।
এটা ছিল লক্ষ্যে পৌঁছানোর জীবনপণ আন্দোলন। এর লক্ষ্য ছিল নতুন বাংলাদেশ গড়ার। এ সুযোগ না এলে পচন থেকে মুক্তিচিহ্ন দেখা যাচ্ছিল না। আর পচন নয়, আমরা সুস্থসবল জাতি হিসাবে দাঁড়াতে চাই। ব্যবসায়ীরা যদি মনস্থির করে, তাহলে দ্রুতগতিতে এটা করা সম্ভব। নতুন বাংলাদেশ গড়বই-এই হোক আমাদের সবার শপথ। এ সুযোগ যেন আমরা হারিয়ে না ফেলি। এটা হারিয়ে ফেললে জাতির কাছে আর অবশিষ্ট কিছুই থাকবে না। তিনি আরও বলেন, ব্যবসা করা মহাসংগ্রামের। সরকারকে মোকাবিলা করা, সরকারের লোকজনকে মোকাবিলা করা লাগে। যতটুকু সময় আমরা দায়িত্বে আছি, সবাই মিলে একটা টিম হিসাবে কাজ করতে চাই। সবাই মিলে তৈরি পোশাককে এক নম্বরে নিতে পারলে মনে
করব কিছু করতে পেরেছি। ড. ইউনূস বলেন, সবকিছু আমরা হয়তো বুঝি না। আমাদের অভিজ্ঞতা নেই। কিন্তু একযোগে কাজ করলে, সবার অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করলে অভিজ্ঞতা হয়ে যাবে। সংস্কার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সংস্কার শুধু সরকারের ওপর ছেড়ে দিয়েন না। সংস্কার সবার করতে হবে। যার যার অবস্থান থেকে সবাইকে সংস্কার করতে হবে। এটা প্রতিষ্ঠানে করা যেতে পারে, সভা-সমিতিতে করা যেতে পারে, আয়োজনে করা যেতে পারে। সামাজিক ব্যবসা করতে ব্যবসায়ীদের উদ্বুদ্ধ করে ড. ইউনূস বলেন, ব্যবসার পাশাপাশি সবাই একটা সামাজিক ব্যবসা করতে পারেন। নিজের গ্রাম, থানা বা উপজেলার মানুষের কল্যাণে খাবার পানি, হাসপাতাল বা পরিবেশগত ব্যবসা হতে পারে। ব্যবসার মুনাফার একটা অংশ এখানে রাখতে
পারেন। সামাজিক ব্যবসা নিজের পায়ে দাঁড়ালে বিনিয়োগ তুলে নিতে পারেন। তবে ব্যবসাটি হতে হবে অলাভজনক। কারণ, টাকা উপার্জন করা আনন্দের; কিন্তু অন্যকে খুশি করা আরও বেশি খুশির-আনন্দের। আইসিসি-বি’র সভাপতি মাহবুবুর রহমান অসুস্থ থাকায় তার লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের কার্যকরী সদস্য ও এফবিসিসিআই সাবেক সভাপতি মীর নাসির হোসেন। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, একটি সুকৌশলী, কুচক্রী মহল সমাজ ও অর্থনীতিতে বিশৃঙ্খলা ও অস্থিরতা সৃষ্টির মাধ্যমে অন্তর্বর্তী সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। এই অশুভ গোষ্ঠীকে প্রতিহত করতে হবে এবং পূর্ণ শক্তি দিয়ে এর মোকাবিলা করতে হবে। ছাত্রদের নেতৃত্বাধীন গণ-আন্দোলনের ফলস্বরূপ উদ্ভূত নতুন বাংলাদেশ এবং প্রফেসর ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর
ব্যবসায়ী গোষ্ঠীর পূর্ণ আস্থা রয়েছে। ব্যবসায়ী গোষ্ঠী শহিদদের স্বপ্ন বাস্তবায়নে অনুঘটক হিসাবে কাজ করবে। এতে আরও বলা হয়েছে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কারণে বহির্বিশ্বে ব্র্যান্ড ও বায়ারদের কাছে বাংলাদেশের রপ্তানি শিল্পের ব্যাপারে বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি হচ্ছে, যা প্রতিদ্বন্দ্বী দেশগুলো আরও উসকে দিচ্ছে। আস্থার অভাবে ভবিষ্যৎ কার্যাদেশ নিয়ে আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে। এ অবস্থায় জরুরি ভিত্তিতে রপ্তানি খাতের বড় দেশ ও আমদানিকারকদের সঙ্গে আস্থা তৈরির সুনিশ্চিত কৌশল তৈরি করা অত্যন্ত জরুরি। এ লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বেসরকারি খাতের অংশগ্রহণে একটি টাস্কফোর্স গঠনের সুপারিশ জানানো হয়। অন্তর্বর্তী সরকারের পরিকল্পনা ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ বলেন, গত ১৫ বছরের অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে পুঞ্জীভূত ক্ষোভ
জমা হয়ে আছে। এর বহিঃপ্রকাশ দেখা যাচ্ছে। শিল্পাঞ্চলে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটছে। সবাই মিলে সমবেত প্রচেষ্টায় এ সমস্যা কাটিয়ে উঠতে পারব। তিনি আরও বলেন, এলডিসি উত্তরণের পর স্থানীয় শিল্প ও রপ্তানি খাতকে প্রতিযোগিতায় পড়তে হবে। বিশ্ব বাণিজ্যে টিকে থাকতে দক্ষতা, উৎপাদনশীলতা বাড়ানো এবং প্রযুক্তিগত উন্নয়নের বিকল্প নেই। স্বল্প মজুরির শ্রমিক, স্বল্প দক্ষ বা অদক্ষ প্রবাসী শ্রমিকদের ওপর ভর করে উন্নয়ন বা শিল্পায়নের পরবর্তী ধাপে যেতে পারব না। ড. ওয়াহিদ উদ্দিন বলেন, কিছু ব্যবসায়ী সরকারের আনুকূল্যে দুর্নীতির মাধ্যমে রাতারাতি বিলিয়নিয়ার হয়ে গেছে। তারা দেশ ও ব্যবসায়ী সমাজের সুনাম ক্ষুণ্ন করেছেন। আমরা বিশ্বমানচিত্রে বাজার অর্থনীতির অপব্যাখ্যা দিয়ে বিলিয়নিয়ারদের তালিকায় নাম লেখাতে উৎসাহী নই।
বরং ন্যায়নিষ্ঠা দিয়ে দেশকে এগিয়ে নেওয়ার পক্ষে। অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, অর্থনীতিতে আস্থা ফিরে এসেছে। ব্যাংক, পুঁজিবাজারে আস্থা ফেরাতে সংস্কার শুরু হয়েছে। কালোটাকা সাদা করার মতো বৈষম্যমূলক নীতি বাতিল করা হয়েছে। রাজস্ব বোর্ডে কাস্টমস ও ট্যারিফ সংক্রান্ত কাজ চলছে। আমাদের মূল লক্ষ্য হলো ব্যবসা-বাণিজ্যের মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে অর্থনীতির চাকা সচল রাখা। তাই ব্যবসার বাধাগুলো যথাসম্ভব সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছি। ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, সবাই ব্যবসা মুনাফা করার জন্য করে। এজন্য সরকার লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করে দেবে। কিন্তু অস্বাভাবিক মুনাফা মেনে নেওয়া হবে না। হঠাৎ করে ডিমের দাম বেড়ে গেল। ব্যবসায়ীরা কিছু যুক্তি দিয়েছেন, যার কিছুটা যুক্তিসংগত। কিন্তু পুরোটা সঠিক বলে মনে হয়নি। ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোকে প্রতিনিধিত্বশীল হওয়ার আহ্বান জানিয়ে ড. সালেহউদ্দিন বলেন, স্থানীয় চেম্বার-অ্যাসোসিয়েশনের কথা কেউ শোনে না। এক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা থাকা উচিত। চেম্বার-সমিতিগুলোকে মানুষের কল্যাণে কাজ করা উচিত।
এটা ছিল লক্ষ্যে পৌঁছানোর জীবনপণ আন্দোলন। এর লক্ষ্য ছিল নতুন বাংলাদেশ গড়ার। এ সুযোগ না এলে পচন থেকে মুক্তিচিহ্ন দেখা যাচ্ছিল না। আর পচন নয়, আমরা সুস্থসবল জাতি হিসাবে দাঁড়াতে চাই। ব্যবসায়ীরা যদি মনস্থির করে, তাহলে দ্রুতগতিতে এটা করা সম্ভব। নতুন বাংলাদেশ গড়বই-এই হোক আমাদের সবার শপথ। এ সুযোগ যেন আমরা হারিয়ে না ফেলি। এটা হারিয়ে ফেললে জাতির কাছে আর অবশিষ্ট কিছুই থাকবে না। তিনি আরও বলেন, ব্যবসা করা মহাসংগ্রামের। সরকারকে মোকাবিলা করা, সরকারের লোকজনকে মোকাবিলা করা লাগে। যতটুকু সময় আমরা দায়িত্বে আছি, সবাই মিলে একটা টিম হিসাবে কাজ করতে চাই। সবাই মিলে তৈরি পোশাককে এক নম্বরে নিতে পারলে মনে
করব কিছু করতে পেরেছি। ড. ইউনূস বলেন, সবকিছু আমরা হয়তো বুঝি না। আমাদের অভিজ্ঞতা নেই। কিন্তু একযোগে কাজ করলে, সবার অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করলে অভিজ্ঞতা হয়ে যাবে। সংস্কার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সংস্কার শুধু সরকারের ওপর ছেড়ে দিয়েন না। সংস্কার সবার করতে হবে। যার যার অবস্থান থেকে সবাইকে সংস্কার করতে হবে। এটা প্রতিষ্ঠানে করা যেতে পারে, সভা-সমিতিতে করা যেতে পারে, আয়োজনে করা যেতে পারে। সামাজিক ব্যবসা করতে ব্যবসায়ীদের উদ্বুদ্ধ করে ড. ইউনূস বলেন, ব্যবসার পাশাপাশি সবাই একটা সামাজিক ব্যবসা করতে পারেন। নিজের গ্রাম, থানা বা উপজেলার মানুষের কল্যাণে খাবার পানি, হাসপাতাল বা পরিবেশগত ব্যবসা হতে পারে। ব্যবসার মুনাফার একটা অংশ এখানে রাখতে
পারেন। সামাজিক ব্যবসা নিজের পায়ে দাঁড়ালে বিনিয়োগ তুলে নিতে পারেন। তবে ব্যবসাটি হতে হবে অলাভজনক। কারণ, টাকা উপার্জন করা আনন্দের; কিন্তু অন্যকে খুশি করা আরও বেশি খুশির-আনন্দের। আইসিসি-বি’র সভাপতি মাহবুবুর রহমান অসুস্থ থাকায় তার লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের কার্যকরী সদস্য ও এফবিসিসিআই সাবেক সভাপতি মীর নাসির হোসেন। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, একটি সুকৌশলী, কুচক্রী মহল সমাজ ও অর্থনীতিতে বিশৃঙ্খলা ও অস্থিরতা সৃষ্টির মাধ্যমে অন্তর্বর্তী সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। এই অশুভ গোষ্ঠীকে প্রতিহত করতে হবে এবং পূর্ণ শক্তি দিয়ে এর মোকাবিলা করতে হবে। ছাত্রদের নেতৃত্বাধীন গণ-আন্দোলনের ফলস্বরূপ উদ্ভূত নতুন বাংলাদেশ এবং প্রফেসর ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর
ব্যবসায়ী গোষ্ঠীর পূর্ণ আস্থা রয়েছে। ব্যবসায়ী গোষ্ঠী শহিদদের স্বপ্ন বাস্তবায়নে অনুঘটক হিসাবে কাজ করবে। এতে আরও বলা হয়েছে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কারণে বহির্বিশ্বে ব্র্যান্ড ও বায়ারদের কাছে বাংলাদেশের রপ্তানি শিল্পের ব্যাপারে বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি হচ্ছে, যা প্রতিদ্বন্দ্বী দেশগুলো আরও উসকে দিচ্ছে। আস্থার অভাবে ভবিষ্যৎ কার্যাদেশ নিয়ে আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে। এ অবস্থায় জরুরি ভিত্তিতে রপ্তানি খাতের বড় দেশ ও আমদানিকারকদের সঙ্গে আস্থা তৈরির সুনিশ্চিত কৌশল তৈরি করা অত্যন্ত জরুরি। এ লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বেসরকারি খাতের অংশগ্রহণে একটি টাস্কফোর্স গঠনের সুপারিশ জানানো হয়। অন্তর্বর্তী সরকারের পরিকল্পনা ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ বলেন, গত ১৫ বছরের অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে পুঞ্জীভূত ক্ষোভ
জমা হয়ে আছে। এর বহিঃপ্রকাশ দেখা যাচ্ছে। শিল্পাঞ্চলে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটছে। সবাই মিলে সমবেত প্রচেষ্টায় এ সমস্যা কাটিয়ে উঠতে পারব। তিনি আরও বলেন, এলডিসি উত্তরণের পর স্থানীয় শিল্প ও রপ্তানি খাতকে প্রতিযোগিতায় পড়তে হবে। বিশ্ব বাণিজ্যে টিকে থাকতে দক্ষতা, উৎপাদনশীলতা বাড়ানো এবং প্রযুক্তিগত উন্নয়নের বিকল্প নেই। স্বল্প মজুরির শ্রমিক, স্বল্প দক্ষ বা অদক্ষ প্রবাসী শ্রমিকদের ওপর ভর করে উন্নয়ন বা শিল্পায়নের পরবর্তী ধাপে যেতে পারব না। ড. ওয়াহিদ উদ্দিন বলেন, কিছু ব্যবসায়ী সরকারের আনুকূল্যে দুর্নীতির মাধ্যমে রাতারাতি বিলিয়নিয়ার হয়ে গেছে। তারা দেশ ও ব্যবসায়ী সমাজের সুনাম ক্ষুণ্ন করেছেন। আমরা বিশ্বমানচিত্রে বাজার অর্থনীতির অপব্যাখ্যা দিয়ে বিলিয়নিয়ারদের তালিকায় নাম লেখাতে উৎসাহী নই।
বরং ন্যায়নিষ্ঠা দিয়ে দেশকে এগিয়ে নেওয়ার পক্ষে। অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, অর্থনীতিতে আস্থা ফিরে এসেছে। ব্যাংক, পুঁজিবাজারে আস্থা ফেরাতে সংস্কার শুরু হয়েছে। কালোটাকা সাদা করার মতো বৈষম্যমূলক নীতি বাতিল করা হয়েছে। রাজস্ব বোর্ডে কাস্টমস ও ট্যারিফ সংক্রান্ত কাজ চলছে। আমাদের মূল লক্ষ্য হলো ব্যবসা-বাণিজ্যের মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে অর্থনীতির চাকা সচল রাখা। তাই ব্যবসার বাধাগুলো যথাসম্ভব সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছি। ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, সবাই ব্যবসা মুনাফা করার জন্য করে। এজন্য সরকার লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করে দেবে। কিন্তু অস্বাভাবিক মুনাফা মেনে নেওয়া হবে না। হঠাৎ করে ডিমের দাম বেড়ে গেল। ব্যবসায়ীরা কিছু যুক্তি দিয়েছেন, যার কিছুটা যুক্তিসংগত। কিন্তু পুরোটা সঠিক বলে মনে হয়নি। ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোকে প্রতিনিধিত্বশীল হওয়ার আহ্বান জানিয়ে ড. সালেহউদ্দিন বলেন, স্থানীয় চেম্বার-অ্যাসোসিয়েশনের কথা কেউ শোনে না। এক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা থাকা উচিত। চেম্বার-সমিতিগুলোকে মানুষের কল্যাণে কাজ করা উচিত।