
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর

বাংলাদেশ ‘মবতন্ত্র’, সহিংসতা শুধু মব নয় – রাজনৈতিক ও ধর্মীয় উদ্দেশ্যপ্রণোদিত

এটর্নি জানারেলের আত্মতুষ্টি আর একটি লাশের জনপদের গল্প

ভিত্তিহীন অভিযোগে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে প্রাক্তন সচিবদের আটক: অন্তর্বর্তী সরকারের নতুন লক্ষ্য প্রশাসনিক কর্মকর্তারা?

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের কাঠমান্ডুগামী ফ্লাইট স্থগিত

বিএফআইইউ প্রধান শাহীনুলের নিয়োগের চুক্তি বাতিল

আগামী সরকারের মন্ত্রীদের জন্য গাড়ি কেনার প্রস্তাব বাতিল

নেপালে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের জন্য জরুরি নির্দেশনা
শেভরনের বকেয়া ও জরিমানার দাবি পূরণে ইউনুস সরকারের নতজানু নীতি: ৩৬৬ কোটি টাকা পরিশোধ

শেভরন বাংলাদেশের বকেয়া বিল ও জরিমানার দাবির কাছে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নতজানু হয়ে ৩৬৬ কোটি টাকা পরিশোধ করেছে। প্রথম আলোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিগত শেখ হাসিনা সরকারের আমলে এই দাবি পূরণে ব্যর্থতার পরেও ইউনূস সরকার বিদেশি জায়ান্ট শেভরনের প্রতি সহযোগিতামূলক নীতি গ্রহণ করে এই অর্থ আদায়ের পথ সহজ করে দেয়। এই ঘটনা জাতীয় স্বার্থের চেয়ে বিদেশি প্রতিষ্ঠানের প্রতি সরকারের অতিরিক্ত নমনীয়তার প্রশ্ন তুলেছে।
শেভরন বাংলাদেশ, দেশের জ্বালানি খাতে একটি প্রভাবশালী বিদেশি কোম্পানি, দীর্ঘদিন ধরে সরকারের কাছে তাদের বকেয়া অর্থ ও জরিমানার দাবি জানিয়ে আসছিল। প্রথম আলোর সূত্র অনুযায়ী, এই ৩৬৬ কোটি টাকার মধ্যে অবচয়-সংক্রান্ত বকেয়া বিলের পাশাপাশি জরিমানার পরিমাণও
রয়েছে। বিগত সরকার এই দাবি মেটাতে ব্যর্থ হলেও, ইউনূস সরকারের দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বিদেশি বিনিয়োগকারীদের প্রতি নমনীয় নীতির কারণে এই অর্থ পরিশোধ সম্ভব হয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে সমালোচকরা প্রশ্ন তুলছেন, যখন ইউনূসের নিজস্ব প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ ফোনের জরিমানা সরকার কর্তৃক মওকুফ করা হয়েছে, তখন শেভরনের দাবি এত সহজে পূরণ কেন? একজন বিশ্লেষক প্রথম আলোকে বলেন, “ইউনূস সরকারের এই দ্বিমুখী নীতি জাতীয় স্বার্থের প্রতি অবহেলার ইঙ্গিত দেয়। গ্রামীণ ফোনের জরিমানা মাফ করা হলেও শেভরনের মতো বিদেশি জায়ান্টের দাবি তৎক্ষণাৎ মেনে নেওয়া সরকারের অগ্রাধিকার নিয়ে প্রশ্ন তৈরি করেছে।” গ্রামীণ ফোনের ক্ষেত্রে শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় জরিমানা ও কারাদণ্ডের রায় প্রত্যাহারের প্রচেষ্টা সরকারের বিদেশি বিনিয়োগকারীদের
প্রতি নমনীয়তার সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে সমালোচকরা মনে করছেন। শেভরনের এক মুখপাত্র জানান, “এই অর্থ আদায় আমাদের বাংলাদেশে আরও বিনিয়োগের আস্থা বাড়াবে। আমাদের বিনিয়োগ বর্তমানে ১০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে।” তিনি আরও বলেন, সরকারের এই সহযোগিতা তাদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাকে ত্বরান্বিত করবে। তবে, ইউনূস সরকারের একজন কর্মকর্তা দাবি করেন, “আমরা দেশের অর্থনীতিকে স্থিতিশীল করতে এবং বিদেশি বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করতে কাজ করছি। শেভরনের দাবি পূরণ এই লক্ষ্যের একটি অংশ।” এই ঘটনা জ্বালানি খাতে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ইতিবাচক বার্তা দিলেও, সরকারের এই নতজানু নীতি নিয়ে জনমনে প্রশ্ন উঠছে। বিশ্লেষকরা মত প্রকাশ করছেন, গ্রামীণ ফোনের জরিমানা মওকুফের সঙ্গে শেভরনের দাবি পূরণের তুলনায় সরকারের নীতি স্বচ্ছতার অভাব
প্রকাশ করছে। জাতীয় স্বার্থ ও বিদেশি বিনিয়োগের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করতে ইউনূস সরকারকে আরও কঠোর ও স্বচ্ছ নীতি গ্রহণ করতে হবে বলে বিশেষজ্ঞরা সুপারিশ করছেন।
রয়েছে। বিগত সরকার এই দাবি মেটাতে ব্যর্থ হলেও, ইউনূস সরকারের দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বিদেশি বিনিয়োগকারীদের প্রতি নমনীয় নীতির কারণে এই অর্থ পরিশোধ সম্ভব হয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে সমালোচকরা প্রশ্ন তুলছেন, যখন ইউনূসের নিজস্ব প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ ফোনের জরিমানা সরকার কর্তৃক মওকুফ করা হয়েছে, তখন শেভরনের দাবি এত সহজে পূরণ কেন? একজন বিশ্লেষক প্রথম আলোকে বলেন, “ইউনূস সরকারের এই দ্বিমুখী নীতি জাতীয় স্বার্থের প্রতি অবহেলার ইঙ্গিত দেয়। গ্রামীণ ফোনের জরিমানা মাফ করা হলেও শেভরনের মতো বিদেশি জায়ান্টের দাবি তৎক্ষণাৎ মেনে নেওয়া সরকারের অগ্রাধিকার নিয়ে প্রশ্ন তৈরি করেছে।” গ্রামীণ ফোনের ক্ষেত্রে শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় জরিমানা ও কারাদণ্ডের রায় প্রত্যাহারের প্রচেষ্টা সরকারের বিদেশি বিনিয়োগকারীদের
প্রতি নমনীয়তার সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে সমালোচকরা মনে করছেন। শেভরনের এক মুখপাত্র জানান, “এই অর্থ আদায় আমাদের বাংলাদেশে আরও বিনিয়োগের আস্থা বাড়াবে। আমাদের বিনিয়োগ বর্তমানে ১০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে।” তিনি আরও বলেন, সরকারের এই সহযোগিতা তাদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাকে ত্বরান্বিত করবে। তবে, ইউনূস সরকারের একজন কর্মকর্তা দাবি করেন, “আমরা দেশের অর্থনীতিকে স্থিতিশীল করতে এবং বিদেশি বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করতে কাজ করছি। শেভরনের দাবি পূরণ এই লক্ষ্যের একটি অংশ।” এই ঘটনা জ্বালানি খাতে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ইতিবাচক বার্তা দিলেও, সরকারের এই নতজানু নীতি নিয়ে জনমনে প্রশ্ন উঠছে। বিশ্লেষকরা মত প্রকাশ করছেন, গ্রামীণ ফোনের জরিমানা মওকুফের সঙ্গে শেভরনের দাবি পূরণের তুলনায় সরকারের নীতি স্বচ্ছতার অভাব
প্রকাশ করছে। জাতীয় স্বার্থ ও বিদেশি বিনিয়োগের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করতে ইউনূস সরকারকে আরও কঠোর ও স্বচ্ছ নীতি গ্রহণ করতে হবে বলে বিশেষজ্ঞরা সুপারিশ করছেন।