ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
এক সপ্তাহে রিজার্ভ বাড়ল ৬ কোটি ১০ লাখ ডলার
মুরগি-সবজিতে কিছুটা স্বস্তি, আলু এখনো চড়া
জ্বালানি তেলের দাম লিটারে ১০-১৫ টাকা কমানো সম্ভব
কেন ভোগ্যপণ্যের দাম বাড়ছে জানালেন বাণিজ্য উপদেষ্টা
সালমান এফ রহমানের কোম্পানিকে ৬০ কোটি টাকা ঋণ দিচ্ছে সরকার
কমেছে পেঁয়াজের দাম
ভারত থেকে ৫ হাজার মেট্রিক টন চাল আমদানি, তবুও কমেনি দাম
শীতে আরও বাড়তে পারে গ্যাস সংকট
শীত মৌসুম এলেই দেশে গ্যাসের সংকট বেড়ে যায়। শিল্পকারখানা, সিএনজি, আবাসিকসহ সব খাতে গ্যাসের সরবরাহ ও চাপ কমে সে সংকট প্রকট আকার ধারণ করে। আসন্ন শীতে এবারও গ্যাস সংকট থাকবে। চাহিদার বিপরীতে ঘাটতি এক হাজার মিলিয়ন ঘনফুটের। সংকটের কারণে গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোতে সক্ষমতার অর্ধেকের কম উৎপাদন হচ্ছে। আবার শিল্পাঞ্চলগুলোতেও পূর্ণ সক্ষমতায় উৎপাদন অব্যাহত রাখা সম্ভব হচ্ছে না। এ ছাড়া রাজধানীসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় নিয়ম করেই আবাসিকে সরবরাহ থাকছে না। সামনের শীতে এ ঘাটতি আরও বাড়তে পারে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
পেট্রোবাংলা, তিতাসসহ অন্যান্য কোম্পানির কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শীতে তাপমাত্রা কমে পাইপলাইনে তরল পদার্থ জমে গ্যাস প্রবাহের চাপ কমে। শুধু একটি
কারণে শীতে সংকট হওয়ার কথা মানতে নারাজ বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, মূল কারণ দুটি। প্রথমটি দেশীয় গ্যাসক্ষেত্র থেকে অনুসন্ধান কমে যাওয়া। দ্বিতীয়টি তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) কম আমদানি। ফলে সরবরাহ ঘাটতি তৈরি হয়। কর্মকর্তারা বলছেন, ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশীয় উৎপাদনের সঙ্গে এলএনজি আমদানির পরিকল্পনা রয়েছে। তবে সেটা দিয়েও পুরো চাহিদা পূরণ সম্ভব হবে না। পেট্রোবাংলা সূত্রে জানা যায়, দেশে গ্যাসের চাহিদা অন্তত ৪ হাজার মিলিয়ন ঘনফুট। সেখানে দেশীয় ক্ষেত্রগুলো থেকে উত্তোলিত গ্যাস এবং আমদানিকৃত এলএনজি মিলিয়ে দৈনিক ২ হাজার ৯০০ মিলিয়ন ঘনফুট সরবরাহ করা যাচ্ছে। ফলে প্রায় ১ হাজার ১০০ মিলিয়ন ঘনফুট ঘাটতি থাকছে। শীত এলে গ্যাসের ব্যবহার বাড়ে বলে ঘাটতিও বাড়ে। তিতাস গ্যাস
ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির (তিতাস) এক কর্মকর্তা জানান, প্রতিদিন কোনো না কোনো এলাকা থেকে গ্যাস না পাওয়ার অভিযোগ পাচ্ছি। শিল্পাঞ্চল থেকেও এমন অভিযোগ জানানো হচ্ছে। বাস্তবতা হলো, পেট্রোবাংলা থেকে সরবরাহ না পেলে তিতাস গ্যাস দিতে পারবে না। এ বিষয়ে পেট্রোবাংলার পরিচালক (অপারেশন) মো. কামরুজ্জামান বলেন, শীতে সবসময়ই গ্যাসের ব্যবহার বেড়ে যায়। ফলে সংকটটা প্রকট মনে হয়। তিনি আরও বলেন, আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত আরও ১১ কার্গো এলএনজি আমদানি করে গ্যাসের জোগান নিশ্চিত করার পরিকল্পনা করেছে সরকার। হয়তো সেটাও পর্যাপ্ত হবে না। তিতাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহনেওয়াজ পারভেজ বলেন, এবার শীতেও গ্যাসের সংকট হতে পারে পর্যাপ্ত এলএনজি আমদানি ও সরবরাহ নিশ্চিত করতে না পারলে। পেট্রোবাংলার
সঙ্গে কথা বলে চাহিদার কথা জানিয়েছি। আশা করছি, তারা সরকারের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, বিদ্যুৎ, ক্যাপটিভ বিদ্যুৎ, শিল্প, সার ও বাণিজ্যিক খাতে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহের জন্য স্পট মার্কেট থেকে ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ১৬ কার্গো এলএনজি ক্রয়ের জন্য বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নীতিগত অনুমোদন দিয়েছেন। অক্টোবর মাসে স্পট মার্কেট থেকে ৫ কার্গো এলএনজি ক্রয়ের পরিকল্পনাও ছিল। তবে প্রয়োজনীয় সংখ্যক প্রতিষ্ঠান কোটেশন দাখিল না করায় ক্রয়কারী কর্তৃপক্ষ কোটেশনগুলো বাতিল করে। সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে গ্যাসের সামগ্রিক সরবরাহ ব্যবস্থা নিয়ে পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্রনাথ সরকার জানান, ২০২৫ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত গ্যাসের স্বাভাবিক সরবরাহ নিশ্চিতে অন্তত ১০৫
কার্গো এলএনজি আমদানি করতে হবে। তাতে অন্তত ১৬ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিতে হবে সরকারকে। তিনি আরও বলেন, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের কাছে বিশাল পরিমাণ পাওনা রয়েছে। বেসরকারি গ্রাহকদের কাছে পাওনাও প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা। পেট্রোবাংলা যাদের গ্যাস সরবরাহ করে, তারা নিয়মিত বিল পরিশোধ করলে আমদানি করে সরবরাহ নিশ্চিত করা যেত বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
কারণে শীতে সংকট হওয়ার কথা মানতে নারাজ বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, মূল কারণ দুটি। প্রথমটি দেশীয় গ্যাসক্ষেত্র থেকে অনুসন্ধান কমে যাওয়া। দ্বিতীয়টি তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) কম আমদানি। ফলে সরবরাহ ঘাটতি তৈরি হয়। কর্মকর্তারা বলছেন, ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশীয় উৎপাদনের সঙ্গে এলএনজি আমদানির পরিকল্পনা রয়েছে। তবে সেটা দিয়েও পুরো চাহিদা পূরণ সম্ভব হবে না। পেট্রোবাংলা সূত্রে জানা যায়, দেশে গ্যাসের চাহিদা অন্তত ৪ হাজার মিলিয়ন ঘনফুট। সেখানে দেশীয় ক্ষেত্রগুলো থেকে উত্তোলিত গ্যাস এবং আমদানিকৃত এলএনজি মিলিয়ে দৈনিক ২ হাজার ৯০০ মিলিয়ন ঘনফুট সরবরাহ করা যাচ্ছে। ফলে প্রায় ১ হাজার ১০০ মিলিয়ন ঘনফুট ঘাটতি থাকছে। শীত এলে গ্যাসের ব্যবহার বাড়ে বলে ঘাটতিও বাড়ে। তিতাস গ্যাস
ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির (তিতাস) এক কর্মকর্তা জানান, প্রতিদিন কোনো না কোনো এলাকা থেকে গ্যাস না পাওয়ার অভিযোগ পাচ্ছি। শিল্পাঞ্চল থেকেও এমন অভিযোগ জানানো হচ্ছে। বাস্তবতা হলো, পেট্রোবাংলা থেকে সরবরাহ না পেলে তিতাস গ্যাস দিতে পারবে না। এ বিষয়ে পেট্রোবাংলার পরিচালক (অপারেশন) মো. কামরুজ্জামান বলেন, শীতে সবসময়ই গ্যাসের ব্যবহার বেড়ে যায়। ফলে সংকটটা প্রকট মনে হয়। তিনি আরও বলেন, আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত আরও ১১ কার্গো এলএনজি আমদানি করে গ্যাসের জোগান নিশ্চিত করার পরিকল্পনা করেছে সরকার। হয়তো সেটাও পর্যাপ্ত হবে না। তিতাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহনেওয়াজ পারভেজ বলেন, এবার শীতেও গ্যাসের সংকট হতে পারে পর্যাপ্ত এলএনজি আমদানি ও সরবরাহ নিশ্চিত করতে না পারলে। পেট্রোবাংলার
সঙ্গে কথা বলে চাহিদার কথা জানিয়েছি। আশা করছি, তারা সরকারের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, বিদ্যুৎ, ক্যাপটিভ বিদ্যুৎ, শিল্প, সার ও বাণিজ্যিক খাতে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহের জন্য স্পট মার্কেট থেকে ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ১৬ কার্গো এলএনজি ক্রয়ের জন্য বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নীতিগত অনুমোদন দিয়েছেন। অক্টোবর মাসে স্পট মার্কেট থেকে ৫ কার্গো এলএনজি ক্রয়ের পরিকল্পনাও ছিল। তবে প্রয়োজনীয় সংখ্যক প্রতিষ্ঠান কোটেশন দাখিল না করায় ক্রয়কারী কর্তৃপক্ষ কোটেশনগুলো বাতিল করে। সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে গ্যাসের সামগ্রিক সরবরাহ ব্যবস্থা নিয়ে পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্রনাথ সরকার জানান, ২০২৫ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত গ্যাসের স্বাভাবিক সরবরাহ নিশ্চিতে অন্তত ১০৫
কার্গো এলএনজি আমদানি করতে হবে। তাতে অন্তত ১৬ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিতে হবে সরকারকে। তিনি আরও বলেন, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের কাছে বিশাল পরিমাণ পাওনা রয়েছে। বেসরকারি গ্রাহকদের কাছে পাওনাও প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা। পেট্রোবাংলা যাদের গ্যাস সরবরাহ করে, তারা নিয়মিত বিল পরিশোধ করলে আমদানি করে সরবরাহ নিশ্চিত করা যেত বলেও মন্তব্য করেন তিনি।