
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর

হামাসকে অস্ত্র ছাড়তে ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি: গাজায় শান্তি চুক্তির প্রথম পর্যায় সফল

মক্কা নগরী ঘিরে নতুন পরিকল্পনা সৌদির

দোহায় বসছে পাকিস্তান-তালেবান বৈঠক, মধ্যস্থতায় কাতার

গাজায় মালয়েশিয়ার মানবিক সহায়তা

পাকিস্তানের সেনা অভিযানে আফগান সীমান্তে ১৮ ‘জঙ্গি’ নিহত

ব্রিকসের ব্যাংকে সদস্যপদ পেতে চীনের সমর্থন চায় পাকিস্তান

‘টমাহক’ ক্ষেপণাস্ত্রের দাবি নিয়ে হোয়াইট হাউসে যাচ্ছেন জেলেনস্কি
শান্তি মিশনের লোভে টুর্কের ফাঁদে পা দিয়ে ধোঁকা খেল সেনাবাহিনী: ফিরছেন ১৩১৩ সদস্য

জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী মিশন থেকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১,৩১৩ সদস্যের ফিরিয়ে আনা শুধু সংখ্যার খেলা নয়, এটি একটি বড় ‘ধোঁকা’র প্রতীক হয়ে উঠেছে সেনা কর্মকর্তাদের কাছে। গত সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাসে বিভিন্ন মিশন থেকে ফিরিয়ে আনা এই সেনাসদস্যরা—যাদের মধ্যে সবচেয়ে বড় অংশ দক্ষিণ সুদান (UNMISS) এবং কঙ্গো গণতন্ত্র (MONUSCO) থেকে—এখন দেশিয় নিরাপত্তা ব্যবস্থায় যোগ দিচ্ছেন।
কিন্তু তাদের মনে একটাই প্রশ্ন: ২০২৪ সালের আগস্টে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনার ভলকার টুর্কের প্রচ্ছন্ন হুমকির পরেও, সবকিছু মেটিক্যুলাস প্ল্যান মেনে চলার পর কেন এই ফেরত আসা? এতে জাতিসংঘ কি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে ‘ধোঁকা’ দিয়েছে?
জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা অপারেশনগুলোতে বাংলাদেশের অবদান বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত—১৯৮৮ সাল থেকে এ পর্যন্ত ১ লাখ ৭৮ হাজার ৭৪৩ জন সেনাসদস্য
মোতায়েন হয়েছে, যাদের মধ্যে ১৪৬ জন শহিদ হয়েছেন। ২০২৪ সালের শুরুতে বাংলাদেশ ছিল বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম শান্তিরক্ষী অবদানকারী দেশ। কিন্তু জুলাই-আগস্টের সরকারবিরোধী দাঙ্গা এবং সরকার উৎখাতের পর জাতিসংঘের অবস্থান বদলে যায়। ২০২৪ সালের ৩রা আগস্ট জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনার ভলকার টুর্ক স্পষ্টভাবে সেনাবাহিনীকে সতর্ক করেন যে, সরকার পতনের আন্দোলনে সমর্থন না দিলে বা সহিংসতায় জড়ালে শান্তিরক্ষী মিশন থেকে বাংলাদেশকে বহিষ্কার করা হবে। টুর্কের এই বক্তব্যকে অনেকে ‘প্রচ্ছন্ন হুমকি’ বলে অভিহিত করেছেন, যা সেনাবাহিনীর নিরপেক্ষতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার মতো ছিল। সেনাবাহিনী সেই ‘হুমকি’ মেনে নেয়—আন্দোলনের সময় তারা দাঙ্গাবাজদের দমন না করে উল্টো তাদের পাশে অবস্থান নেয়। যা নির্বাচিত সরকার উৎখাতে সহায়ক হয়। ২০২৫ সালের মার্চ
মাসে টুর্ক নিজেই স্বীকার করেন যে, সেনাবাহিনীর ভূমিকা ‘সরকারবিরোধী আন্দোলনের সাফল্যে’ সহায়ক হয়েছে। কিন্তু এর পরেও, অর্থায়ন সংকট এবং ‘অভ্যন্তরীণ সিদ্ধান্ত’ দেখিয়ে ১ হাজার ৩১৩ সেনাসদস্যকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। এতে বাংলাদেশের মোট শান্তিরক্ষী সংখ্যা ৬ হাজা ৯২৪ থেকে নেমে এসেছে ৫ হাজার ৬১১-এ, এবং বিশ্ব র্যাংকিংয়ে চতুর্থ থেকে পঞ্চম বা ষষ্ঠে নেমে গেছে। এই ফেরত সেনাবাহিনীর মধ্যে গভীর ক্ষোভ জাগিয়েছে। মিশন থেকে ফেরার পথে রয়েছেন, এমন মেজর পদমর্যাদার এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “আমরা জাতিসংঘের হুমকি মেনে দেশের স্থিতিশীলতা রক্ষা করেছি। কঙ্গোতে আমরা প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে মানুষের জীবন বাঁচিয়েছি, কিন্তু ফিরে এসে দেখছি যে সব ছিল ‘শর্তসাপেক্ষে’। এটা ধোঁকা—যেন
আমাদের আনুগত্যের পুরস্কার হিসেবে বাধ্য হয়ে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে।” সামরিক সূত্রগুলো জানায়, অনেক সেনাসদস্য মনে করছেন যে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের ‘হস্তক্ষেপ’ শুধু অস্থায়ী ছিল না, বরং এটি বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের উপর আঘাত। একটি অভ্যন্তরীণ সভায় ফিরে আসা সেনারা প্রশ্ন তুলেছেন: “যদি হুমকি না দিয়ে আমরা সরকারের পক্ষ নিতাম, তাহলে কি এমন হতো? জাতিসংঘ কি আমাদের অবদানকে শুধু লাভের হিসাবে দেখে?” সেনা কর্মকর্তারা মনে করছেন, এই ফেরতের পিছনে জাতিসংঘের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি এবং অর্থের ঘাটতি থাকলেও, এটি বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর প্রতি অবিচার। একজন অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল বলেন, “আমরা বিশ্বের শান্তির জন্য লড়েছি, কিন্তু আমাদের নিজের দেশের স্থিতিশীলতার জন্য জাতিসংঘের ‘সহযোগিতা’ হিসাবে পেয়েছি শুধু ধোঁকা। সেনাসদস্যরা এখন দেশিয় দায়িত্বে
ফিরে এসে আরও দৃঢ় হয়ে উঠছেন, কিন্তু মনে ক্ষোভ থেকে যাবে না।” বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ঘটনা বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্ককে প্রভাবিত করতে পারে। সরকার এখন জাতিসংঘের সাথে আলোচনা করে আবার মিশনে যোগ দেওয়ার চেষ্টা করছে, কিন্তু সেনাসদস্যদের মধ্যে যে অসন্তোষ জন্ম নিয়েছে, তা দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব ফেলতে পারে। জাতিসংঘের এই ‘ধোঁকা’ কি বাংলাদেশের শান্তিরক্ষী ঐতিহ্যকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে, নাকি এটি নতুন শক্তির উদ্ভব ঘটাবে—এর উত্তর সময়ই দেবে।
মোতায়েন হয়েছে, যাদের মধ্যে ১৪৬ জন শহিদ হয়েছেন। ২০২৪ সালের শুরুতে বাংলাদেশ ছিল বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম শান্তিরক্ষী অবদানকারী দেশ। কিন্তু জুলাই-আগস্টের সরকারবিরোধী দাঙ্গা এবং সরকার উৎখাতের পর জাতিসংঘের অবস্থান বদলে যায়। ২০২৪ সালের ৩রা আগস্ট জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনার ভলকার টুর্ক স্পষ্টভাবে সেনাবাহিনীকে সতর্ক করেন যে, সরকার পতনের আন্দোলনে সমর্থন না দিলে বা সহিংসতায় জড়ালে শান্তিরক্ষী মিশন থেকে বাংলাদেশকে বহিষ্কার করা হবে। টুর্কের এই বক্তব্যকে অনেকে ‘প্রচ্ছন্ন হুমকি’ বলে অভিহিত করেছেন, যা সেনাবাহিনীর নিরপেক্ষতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার মতো ছিল। সেনাবাহিনী সেই ‘হুমকি’ মেনে নেয়—আন্দোলনের সময় তারা দাঙ্গাবাজদের দমন না করে উল্টো তাদের পাশে অবস্থান নেয়। যা নির্বাচিত সরকার উৎখাতে সহায়ক হয়। ২০২৫ সালের মার্চ
মাসে টুর্ক নিজেই স্বীকার করেন যে, সেনাবাহিনীর ভূমিকা ‘সরকারবিরোধী আন্দোলনের সাফল্যে’ সহায়ক হয়েছে। কিন্তু এর পরেও, অর্থায়ন সংকট এবং ‘অভ্যন্তরীণ সিদ্ধান্ত’ দেখিয়ে ১ হাজার ৩১৩ সেনাসদস্যকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। এতে বাংলাদেশের মোট শান্তিরক্ষী সংখ্যা ৬ হাজা ৯২৪ থেকে নেমে এসেছে ৫ হাজার ৬১১-এ, এবং বিশ্ব র্যাংকিংয়ে চতুর্থ থেকে পঞ্চম বা ষষ্ঠে নেমে গেছে। এই ফেরত সেনাবাহিনীর মধ্যে গভীর ক্ষোভ জাগিয়েছে। মিশন থেকে ফেরার পথে রয়েছেন, এমন মেজর পদমর্যাদার এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “আমরা জাতিসংঘের হুমকি মেনে দেশের স্থিতিশীলতা রক্ষা করেছি। কঙ্গোতে আমরা প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে মানুষের জীবন বাঁচিয়েছি, কিন্তু ফিরে এসে দেখছি যে সব ছিল ‘শর্তসাপেক্ষে’। এটা ধোঁকা—যেন
আমাদের আনুগত্যের পুরস্কার হিসেবে বাধ্য হয়ে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে।” সামরিক সূত্রগুলো জানায়, অনেক সেনাসদস্য মনে করছেন যে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের ‘হস্তক্ষেপ’ শুধু অস্থায়ী ছিল না, বরং এটি বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের উপর আঘাত। একটি অভ্যন্তরীণ সভায় ফিরে আসা সেনারা প্রশ্ন তুলেছেন: “যদি হুমকি না দিয়ে আমরা সরকারের পক্ষ নিতাম, তাহলে কি এমন হতো? জাতিসংঘ কি আমাদের অবদানকে শুধু লাভের হিসাবে দেখে?” সেনা কর্মকর্তারা মনে করছেন, এই ফেরতের পিছনে জাতিসংঘের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি এবং অর্থের ঘাটতি থাকলেও, এটি বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর প্রতি অবিচার। একজন অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল বলেন, “আমরা বিশ্বের শান্তির জন্য লড়েছি, কিন্তু আমাদের নিজের দেশের স্থিতিশীলতার জন্য জাতিসংঘের ‘সহযোগিতা’ হিসাবে পেয়েছি শুধু ধোঁকা। সেনাসদস্যরা এখন দেশিয় দায়িত্বে
ফিরে এসে আরও দৃঢ় হয়ে উঠছেন, কিন্তু মনে ক্ষোভ থেকে যাবে না।” বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ঘটনা বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্ককে প্রভাবিত করতে পারে। সরকার এখন জাতিসংঘের সাথে আলোচনা করে আবার মিশনে যোগ দেওয়ার চেষ্টা করছে, কিন্তু সেনাসদস্যদের মধ্যে যে অসন্তোষ জন্ম নিয়েছে, তা দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব ফেলতে পারে। জাতিসংঘের এই ‘ধোঁকা’ কি বাংলাদেশের শান্তিরক্ষী ঐতিহ্যকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে, নাকি এটি নতুন শক্তির উদ্ভব ঘটাবে—এর উত্তর সময়ই দেবে।