ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
জুলাই ফাউন্ডেশনের ভেতরে ‘আয়নাঘর’ বানিয়ে নির্যাতন: স্বীকারোক্তি ভুক্তভোগী জুলাইযোদ্ধার
আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ওপর চরম মানবাধিকার লঙ্ঘন: জেনেভায় আইপিইউ অধিবেশনে ১০ দফা সিদ্ধান্ত
গ্রামীণ ব্যাংকের শাখায় পেট্রল ঢেলে আগুন
সব বিমানবন্দরে বিশেষ সতর্কতা
ইউনূস সরকারের আমলে বাড়ছে অপরাধ, বাড়ছে নিরাপত্তাহীনতাঃ অক্টোবরে ৫% বৃদ্ধি
১০ই নভেম্বর, শহিদ নূর হোসেন দিবসে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে এবং জননেত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে প্রহসনমূলক বিচার বন্ধের দাবিতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কর্মসূচি
আন্দোলনরত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের উপর ন্যক্কারজনক হামলার প্রতিবাদে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিবৃতি
শহিদ জননী জাহানার ইমামের বই কেজি দরে বিক্রি: বাংলা একাডেমির মুখে কালিমা
শহিদ জননী জাহানারা ইমামের ব্যক্তিগত সংগ্রহের বই বিক্রি করে দিয়েছে বাংলা একাডেমি। তাও আবার কেজি দরে! মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি, প্রগতিশীল চিন্তা ও সাংস্কৃতিক গৌরবের প্রতীক এই সংগ্রহের বইগুলো এখন বিক্রি হচ্ছে নীলক্ষেত ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পুরনো বই বিক্রির পেজগুলোতে। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠছেন সংস্কৃতিকর্মীরা।
জানা গেছে সবচেয়ে আলোচিত বই শহীদুল্লা কায়সারের ‘সংশপ্তক’, যার জন্য দাম হাঁকানো হয়েছে অন্তত ১ লাখ টাকা। বইটির প্রথম পৃষ্ঠায় শহীদুল্লা কায়সারের স্বহস্তে লেখা— ‘জনাব ইমাম ও জাহানারা ইমামকে শুভকামনার নিদর্শন হিসেবে—লেখক।’ এই ব্যক্তিগত উপহার এখন হয়ে উঠেছে বাজারের পণ্য।
পুরনো বই বিক্রির পেজ ‘পুস্তক জোন’ গত ২২শে সেপ্টেম্বর পেঙ্গুইন প্রকাশিত জর্জ বার্নার্ড শ’র ‘A Place Unpleasant’ বই
বিক্রির বিজ্ঞাপন দেয়। বইটির ভেতরে পাওয়া যায় বাংলা একাডেমির সিল, পাশে লেখা— জাহানারা ইমামের ব্যক্তিগত সংগ্রহ। তদন্তে জানা যায়, একাডেমির সংগ্রহ থেকে অন্তত ২০টি বাংলা ও ইংরেজি বই এভাবে কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। ৫ই আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ও বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মো. আজম দায়িত্ব নেবার পর থেকেই এমন লজ্জাজনক ঘটনা ঘটছে বলে জানা গেছে। এই বইগুলোর কিছু অত্যন্ত ঐতিহাসিক ও আবেগময়। যেমন— শহিদ আখন্দের ‘পাখির গান বনের ছায়া’, যার প্রচ্ছদ করেছিলেন শিল্পী কাইয়ূম চৌধুরী, লেখক নিজে স্বাক্ষর করে উপহার দিয়েছিলেন জাহানারা ইমামকে। আবার ১৯৬৮ সালে মস্কোর প্রগতি প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত ম্যাক্সিম গোর্কির ‘মা’ উপন্যাসটিও ছিল তাঁর
সংগ্রহে— সেটিও এখন বিক্রির তালিকায়। একসময় যেসব বই ছিল মুক্তচিন্তা, নারীসম্মান ও প্রগতির প্রতীক, তা বিক্রি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। কেউ লিখেছেন, ‘বাংলা একাডেমির বই এখন ফুটপাতে।’ আর কেউ কেউ প্রশ্ন তুলেছেন, ‘এভাবে কি আমাদের ইতিহাসকে আস্তাকুঁড়ে ফেলে দেওয়া হচ্ছে না?’ বিশেষজ্ঞ ও সাংস্কৃতিক বিশ্লেষকদের মতে, বাংলা একাডেমি এখন যেভাবে বাছাইয়ের নামে মুক্তচিন্তা ও নারী সংগ্রামের প্রতীক ব্যক্তিত্বদের বই বাদ দিচ্ছে, তা প্রতিষ্ঠানটির বর্তমান প্রগতি ও মুক্তিযুদ্ধবিরোধী অবস্থানেরই প্রতিফলন। শহিদ জননীর সংগ্রহ থেকে বই বিক্রি তারই চূড়ান্ত উদাহরণ বলছেন সংস্কৃতিকর্মীরা। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মোহাম্মদ আজম বলেন, ২০১৪ সালে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছিল মানহীন ও ডুপ্লিকেট বই
বাছাইয়ের জন্য। কমিটি যে বইগুলো বাতিলযোগ্য বলে চিহ্নিত করেছিল, সেগুলোই বিক্রি করা হয়েছে। তবে সমালোচকদের মতে, মানহীন বলেই যদি জাহানারা ইমামের মতো মুক্তিযুদ্ধের প্রতীক নারীর ব্যক্তিগত সংগ্রহ বাতিল হয়, তাহলে একাডেমির সাংস্কৃতিক দায়িত্ববোধ কোথায়? কথিত ‘ডুপ্লিকেট’ আর ‘অপ্রয়োজনীয়’ বইয়ের ভেতর দিয়ে দেশজ ইতিহাসের অমূল্য নিদর্শন হারিয়ে যাচ্ছে বলে উদ্বেগ জানিয়েছেন অনেকেই। একসময় যারা মুক্তচেতনা ও নারী-অধিকার নিয়ে কাজ করেছেন, আজ তাদের স্মৃতিচিহ্ন বিক্রি হচ্ছে ওজনের দরে। বাংলা একাডেমি যে ধীরে ধীরে তার প্রগতিশীল, মুক্তিযুদ্ধ-সমর্থক অবস্থান থেকে সরে গিয়ে নীরব, রক্ষণশীল ও নারী-বিরোধী মনোভাবের দিকে এগোচ্ছে এই ঘটনায় তা আবারও প্রকটভাবে প্রকাশ পেয়েছে বলে মনে করেন সংস্কৃতিকর্মীরা।
বিক্রির বিজ্ঞাপন দেয়। বইটির ভেতরে পাওয়া যায় বাংলা একাডেমির সিল, পাশে লেখা— জাহানারা ইমামের ব্যক্তিগত সংগ্রহ। তদন্তে জানা যায়, একাডেমির সংগ্রহ থেকে অন্তত ২০টি বাংলা ও ইংরেজি বই এভাবে কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। ৫ই আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ও বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মো. আজম দায়িত্ব নেবার পর থেকেই এমন লজ্জাজনক ঘটনা ঘটছে বলে জানা গেছে। এই বইগুলোর কিছু অত্যন্ত ঐতিহাসিক ও আবেগময়। যেমন— শহিদ আখন্দের ‘পাখির গান বনের ছায়া’, যার প্রচ্ছদ করেছিলেন শিল্পী কাইয়ূম চৌধুরী, লেখক নিজে স্বাক্ষর করে উপহার দিয়েছিলেন জাহানারা ইমামকে। আবার ১৯৬৮ সালে মস্কোর প্রগতি প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত ম্যাক্সিম গোর্কির ‘মা’ উপন্যাসটিও ছিল তাঁর
সংগ্রহে— সেটিও এখন বিক্রির তালিকায়। একসময় যেসব বই ছিল মুক্তচিন্তা, নারীসম্মান ও প্রগতির প্রতীক, তা বিক্রি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। কেউ লিখেছেন, ‘বাংলা একাডেমির বই এখন ফুটপাতে।’ আর কেউ কেউ প্রশ্ন তুলেছেন, ‘এভাবে কি আমাদের ইতিহাসকে আস্তাকুঁড়ে ফেলে দেওয়া হচ্ছে না?’ বিশেষজ্ঞ ও সাংস্কৃতিক বিশ্লেষকদের মতে, বাংলা একাডেমি এখন যেভাবে বাছাইয়ের নামে মুক্তচিন্তা ও নারী সংগ্রামের প্রতীক ব্যক্তিত্বদের বই বাদ দিচ্ছে, তা প্রতিষ্ঠানটির বর্তমান প্রগতি ও মুক্তিযুদ্ধবিরোধী অবস্থানেরই প্রতিফলন। শহিদ জননীর সংগ্রহ থেকে বই বিক্রি তারই চূড়ান্ত উদাহরণ বলছেন সংস্কৃতিকর্মীরা। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মোহাম্মদ আজম বলেন, ২০১৪ সালে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছিল মানহীন ও ডুপ্লিকেট বই
বাছাইয়ের জন্য। কমিটি যে বইগুলো বাতিলযোগ্য বলে চিহ্নিত করেছিল, সেগুলোই বিক্রি করা হয়েছে। তবে সমালোচকদের মতে, মানহীন বলেই যদি জাহানারা ইমামের মতো মুক্তিযুদ্ধের প্রতীক নারীর ব্যক্তিগত সংগ্রহ বাতিল হয়, তাহলে একাডেমির সাংস্কৃতিক দায়িত্ববোধ কোথায়? কথিত ‘ডুপ্লিকেট’ আর ‘অপ্রয়োজনীয়’ বইয়ের ভেতর দিয়ে দেশজ ইতিহাসের অমূল্য নিদর্শন হারিয়ে যাচ্ছে বলে উদ্বেগ জানিয়েছেন অনেকেই। একসময় যারা মুক্তচেতনা ও নারী-অধিকার নিয়ে কাজ করেছেন, আজ তাদের স্মৃতিচিহ্ন বিক্রি হচ্ছে ওজনের দরে। বাংলা একাডেমি যে ধীরে ধীরে তার প্রগতিশীল, মুক্তিযুদ্ধ-সমর্থক অবস্থান থেকে সরে গিয়ে নীরব, রক্ষণশীল ও নারী-বিরোধী মনোভাবের দিকে এগোচ্ছে এই ঘটনায় তা আবারও প্রকটভাবে প্রকাশ পেয়েছে বলে মনে করেন সংস্কৃতিকর্মীরা।



