ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
দীর্ঘ নীরোগ জীবনের রহস্যভেদ
ইসরায়েলের প্রশ্রয়ে গাজায় সশস্ত্র গোষ্ঠীর দৌরাত্ম্য
বিশ্ব গণমাধ্যমে ওসমান হাদির মৃত্যু পরবর্তী ঘটনাপ্রবাহ
মাচাদোকে নোবেল দেওয়ায় ফৌজদারি অভিযোগ দায়ের অ্যাসাঞ্জের
রাশিয়ার সম্পদ নয়, ভিন্ন উপায়ে ইউক্রেনকে অর্থ দেবে ইইউ
যুক্তরাষ্ট্রে নিষেধাজ্ঞা এড়াতে চুক্তি করলো টিকটক
গুপ্তচর ধাঁচের সিনেমা কেন ভারত-পাকিস্তানে রাজনৈতিক ঝড় তুলেছে
ল্যুভর থেকে চুরি হওয়া অলংকারের আর্থিক মূল্য প্রকাশ
ফ্রান্সের ঐতিহ্যের ধারক হিসেবে পরিচিত স্থানটি চলতি সপ্তাহের শুরুতে পরিণত হয় ক্রাইম সিনে (অপরাধের স্থান)। ল্যুভর জাদুঘর থেকে আটটি অলংকার চুরির পর বন্ধ হয় দর্শনার্থীর প্রবেশ। এবার সেই অলংকারের আর্থিক মূল্য বিবেচনায় ক্ষতির হিসাব জানালেন ফ্রান্সের সরকারি কৌঁসুলি।
দেশটির রেডিও নেটওয়ার্ক আরটিএল-এর বরাত দিয়ে নিউ ইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, চুরি হওয়া আটটি অলংকারের আর্থিক মূল্য প্রায় ৮ দশমিক ৮ কোটি ইউরো বা ১০ কোটি ডলার। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার আরটিএলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ফ্রান্সের সরকারি কৌঁসুলি লহ বেকু জানান, এই পরিমাণ নিঃসন্দেহে চমকপ্রদ। কিন্তু ঐতিহাসিক সম্পদের যে ক্ষতি হলো সেটি পূরণ হওয়ার নয়।
গত রোববার সকালে জাদুঘরটিতে চুরির ঘটনা ঘটে। চুরি হওয়া রত্নগুলোর মধ্যে আছে
তৃতীয় নেপোলিয়নের স্ত্রী সম্রাজ্ঞী ইউজেনির টিয়ারা। এতে ছিল ২১২টি মুক্তা, ১ হাজার ৯৯৮টি হীরক এবং ৯৯২টি রোজ-কাট হীরা। সম্রাজ্ঞী ইউজেনি বেল্ট বা কোমরবন্ধনী ব্যবহার করতেন। এটির কেন্দ্রে ছিল অলঙ্কৃত ফিতা। এতে ছিল ২,৪৩৮টি হীরা ও ১৯৬টি রোজ-কাট হীরা। জাদুঘরে সম্রাজ্ঞীর কিছু হীরাখচিত ব্রোচের একটি ছিল ১৮৫৫ সালের। এটিকে ‘রেলিকুয়ারি ব্রোচ’ বলা হয়। চুরি হওয়া অন্য অলংকারের মধ্যে আছে উনবিংশ শতাব্দীর গোড়ার দিকে লুই বোনাপার্টের স্ত্রী রানি হরটেন্স এবং লুই ফিলিপ প্রথমের স্ত্রী রানি মেরি অ্যামেলির ব্যবহার করা কানের দুল। ১৮১০ সালে দ্বিতীয় স্ত্রী মেরি লুইসকে বিয়ের সময় নেপোলিয়নের দেওয়া পান্নার গয়নার সেটে ছিল ৩২টি পান্না ও ১ হাজার ১৩৮টি হীরা। গয়নার
সেটটি জাদুঘরে সংরক্ষিত হয় ২০০৪ সালে। ল্যুভর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বিয়ে উপলক্ষে নেপোলিয়ন দুটি বিলাসবহুল গয়নার সেট তৈরি করতে বলেছিলেন। আরেকটি ছিল ওপাল ও হীরা দিয়ে তৈরি। এই সেটের মধ্যে পান্না ও হীরার এক জোড়া কানের দুল নিয়ে গেছে চোরেরা। গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্তও জড়িতদের খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে ফ্রান্সের কর্মকর্তারা বলছেন, চোরেরা একটি সংঘবদ্ধ অপরাধ চক্রের সদস্য। তারা শিল্পমূল্যের জন্য নয় বরং পুনরায় বিক্রির উদ্দেশ্যে চুরি করে। অলংকারের ছবি এরই মধ্যে গণমাধ্যমে প্রকাশ হওয়ায় চোরেরা হয়তো গয়নাগুলো ভেঙে বা গলিয়ে বিক্রি করবে। সরকারি কৌঁসুলি লহ বেকু বলেন, যদি এগুলো আসলেই গলিয়ে বিক্রি করা হয় তাহলে ক্ষতির যে হিসাব করা হয়েছে, বাজারমূল্য তেমন নাও
হতে পারে।
তৃতীয় নেপোলিয়নের স্ত্রী সম্রাজ্ঞী ইউজেনির টিয়ারা। এতে ছিল ২১২টি মুক্তা, ১ হাজার ৯৯৮টি হীরক এবং ৯৯২টি রোজ-কাট হীরা। সম্রাজ্ঞী ইউজেনি বেল্ট বা কোমরবন্ধনী ব্যবহার করতেন। এটির কেন্দ্রে ছিল অলঙ্কৃত ফিতা। এতে ছিল ২,৪৩৮টি হীরা ও ১৯৬টি রোজ-কাট হীরা। জাদুঘরে সম্রাজ্ঞীর কিছু হীরাখচিত ব্রোচের একটি ছিল ১৮৫৫ সালের। এটিকে ‘রেলিকুয়ারি ব্রোচ’ বলা হয়। চুরি হওয়া অন্য অলংকারের মধ্যে আছে উনবিংশ শতাব্দীর গোড়ার দিকে লুই বোনাপার্টের স্ত্রী রানি হরটেন্স এবং লুই ফিলিপ প্রথমের স্ত্রী রানি মেরি অ্যামেলির ব্যবহার করা কানের দুল। ১৮১০ সালে দ্বিতীয় স্ত্রী মেরি লুইসকে বিয়ের সময় নেপোলিয়নের দেওয়া পান্নার গয়নার সেটে ছিল ৩২টি পান্না ও ১ হাজার ১৩৮টি হীরা। গয়নার
সেটটি জাদুঘরে সংরক্ষিত হয় ২০০৪ সালে। ল্যুভর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বিয়ে উপলক্ষে নেপোলিয়ন দুটি বিলাসবহুল গয়নার সেট তৈরি করতে বলেছিলেন। আরেকটি ছিল ওপাল ও হীরা দিয়ে তৈরি। এই সেটের মধ্যে পান্না ও হীরার এক জোড়া কানের দুল নিয়ে গেছে চোরেরা। গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্তও জড়িতদের খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে ফ্রান্সের কর্মকর্তারা বলছেন, চোরেরা একটি সংঘবদ্ধ অপরাধ চক্রের সদস্য। তারা শিল্পমূল্যের জন্য নয় বরং পুনরায় বিক্রির উদ্দেশ্যে চুরি করে। অলংকারের ছবি এরই মধ্যে গণমাধ্যমে প্রকাশ হওয়ায় চোরেরা হয়তো গয়নাগুলো ভেঙে বা গলিয়ে বিক্রি করবে। সরকারি কৌঁসুলি লহ বেকু বলেন, যদি এগুলো আসলেই গলিয়ে বিক্রি করা হয় তাহলে ক্ষতির যে হিসাব করা হয়েছে, বাজারমূল্য তেমন নাও
হতে পারে।



