
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর

যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা: ‘পাবলিক’ থাকতে হবে সামাজিক অ্যাকাউন্ট

যুদ্ধের সময় সংহতি: বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানাল ইরান

খামেনি ‘নিখোঁজ’: ইরানজুড়ে উদ্বেগ-অস্থিরতা

বিয়ের আসর থেকে কোটি টাকার খাম চুরি

সরকারবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল কেনিয়া, নিহত ১৬

ওপারে ইয়াবার কমিশন পাচ্ছে আরাকান আর্মি

ট্রাম্পের ‘চিরশান্তি’র প্রত্যাশা কি টিকবে
রেললাইনের কর্মী থেকে মন্ত্রিত্ব—দক্ষিণ কোরিয়ায় নজিরবিহীন পদক্ষেপ

বিশ্ব রাজনীতিতে নজিরবিহীন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে দক্ষিণ কোরিয়া। দীর্ঘ ২৫ বছর ট্রেনচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করা এক শ্রমজীবীকে দেশটির নতুন শ্রমমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে সরকার। ব্যতিক্রমী এ সিদ্ধান্ত ইতোমধ্যে দেশজুড়ে আলোচনার জন্ম দিয়েছে এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক প্রশংসা কুড়াচ্ছে।
নতুন শ্রমমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন কিম ইউ-জিন, যিনি এক সময় ছিলেন রেলওয়ের একজন সাধারণ কর্মী। এবার তিনিই শ্রমিকদের প্রতিনিধি হিসেবে মন্ত্রিপরিষদের সদস্য হলেন।
গত ৩ জুন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হন বামপন্থি প্রার্থী লি জে-মিয়ং। নির্বাচনী ইশতেহারে তিনি শ্রমজীবী মানুষের অধিকার রক্ষায় প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। সেই প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবেই কিম ইউ-জিনকে শ্রমমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়।
প্রেসিডেন্ট লি বলেন, “যারা পরিশ্রম দিয়ে দেশ গড়ে,
তাদের নেতৃত্বেও থাকা উচিত। কিম ইউ-জিন সেই আদর্শের প্রতীক।” শ্রমমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে কিম বলেন, “আমি শ্রমজীবী মানুষের কণ্ঠস্বর হতে চাই। নীতিনির্ধারণে শ্রমিকদের অভিজ্ঞতা ও বাস্তবতা তুলে ধরাই হবে আমার প্রধান কাজ।” কিম ইউ-জিনের দীর্ঘ কর্মজীবনের শুরু ১৯৯২ সালে, কোরিয়া রেলরোড কর্পোরেশনে রেলওয়ে ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে। এরপর ২০০০ সালে বুসান অঞ্চলে রেলশ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃত্ব দিয়ে শুরু হয় তার শ্রম আন্দোলনের অধ্যায়। ২০০৪ সালে তিনি হন কোরিয়ান রেলরোড ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, এবং ২০১০ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন কোরিয়ান কনফেডারেশন অব ট্রেড ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হিসেবে। ২০১৭ সালে তিনি ডেমোক্রেটিক লেবার পার্টিতে যোগ দিয়ে সক্রিয় রাজনীতিতে যুক্ত হন। প্রেসিডেন্ট কার্যালয় থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা
হয়, “আমরা আশা করি, কিম ইউ-জিন শ্রমিকদের নিরাপত্তা, হলুদ খাম আইন সংশোধন এবং ৪.৫ দিনের কর্মসপ্তাহ বাস্তবায়নের মাধ্যমে শ্রমিক অধিকার রক্ষায় বড় ভূমিকা রাখবেন।” রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, দক্ষিণ কোরিয়ায় এই ধরনের পদক্ষেপ রাজনীতিতে একটি গণভিত্তিক পরিবর্তনের সূচনা হতে পারে। এটি প্রমাণ করে, জনগণের মধ্য থেকেই নেতৃত্ব উঠে আসতে পারে, এবং রাজনীতি শুধু অভিজাতদের জন্য নয়।
তাদের নেতৃত্বেও থাকা উচিত। কিম ইউ-জিন সেই আদর্শের প্রতীক।” শ্রমমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে কিম বলেন, “আমি শ্রমজীবী মানুষের কণ্ঠস্বর হতে চাই। নীতিনির্ধারণে শ্রমিকদের অভিজ্ঞতা ও বাস্তবতা তুলে ধরাই হবে আমার প্রধান কাজ।” কিম ইউ-জিনের দীর্ঘ কর্মজীবনের শুরু ১৯৯২ সালে, কোরিয়া রেলরোড কর্পোরেশনে রেলওয়ে ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে। এরপর ২০০০ সালে বুসান অঞ্চলে রেলশ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃত্ব দিয়ে শুরু হয় তার শ্রম আন্দোলনের অধ্যায়। ২০০৪ সালে তিনি হন কোরিয়ান রেলরোড ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, এবং ২০১০ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন কোরিয়ান কনফেডারেশন অব ট্রেড ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হিসেবে। ২০১৭ সালে তিনি ডেমোক্রেটিক লেবার পার্টিতে যোগ দিয়ে সক্রিয় রাজনীতিতে যুক্ত হন। প্রেসিডেন্ট কার্যালয় থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা
হয়, “আমরা আশা করি, কিম ইউ-জিন শ্রমিকদের নিরাপত্তা, হলুদ খাম আইন সংশোধন এবং ৪.৫ দিনের কর্মসপ্তাহ বাস্তবায়নের মাধ্যমে শ্রমিক অধিকার রক্ষায় বড় ভূমিকা রাখবেন।” রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, দক্ষিণ কোরিয়ায় এই ধরনের পদক্ষেপ রাজনীতিতে একটি গণভিত্তিক পরিবর্তনের সূচনা হতে পারে। এটি প্রমাণ করে, জনগণের মধ্য থেকেই নেতৃত্ব উঠে আসতে পারে, এবং রাজনীতি শুধু অভিজাতদের জন্য নয়।