রিজার্ভে হাত না দিয়েই ১৮ হাজার কোটি টাকা ঋণ পরিশোধ করল বাংলাদেশ – ইউ এস বাংলা নিউজ




রিজার্ভে হাত না দিয়েই ১৮ হাজার কোটি টাকা ঋণ পরিশোধ করল বাংলাদেশ

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ২০ অক্টোবর, ২০২৪ | ৫:০৯ 18 ভিউ
বাংলাদেশ ব্যাংক রিজার্ভ থেকে কোনো অর্থ ব্যয় না করেই গত দুই মাসে দেড় বিলিয়ন ডলার (১১৯ টাকা হিসেবে ১৭ হাজার ৮৭০ কোটি টাকা) দেনা পরিশোধ করেছে। আর এর ফলে পণ্য আমদানিতে অনিশ্চয়তা কাটতে শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ডিসেম্বরের মধ্যে সব দায় মেটানো শেষে আরও ইতিবাচক ধারায় ফিরবে দেশের অর্থনীতি। বিনিয়োগ, প্রবৃদ্ধি নিয়ে এই মুহূর্তে চিন্তা না করে, ধৈর্য ধরার পরামর্শ দেন তিনি। ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, জ্বালানি তেল, গ্যাস, কয়লাসহ যাবতীয় পেট্রোলিয়াম পণ্যের প্রায় পুরোই আমদানি করতে হয় বিভিন্ন উৎস থেকে। যার পেছনে সর্বশেষ অর্থবছরে ব্যয় হয় প্রায় ৯ বিলিয়ন ডলার।

এ ছাড়া, বিদ্যুৎ ও সারের ক্ষেত্রেও নির্ভরতা বাড়ছে প্রতিনিয়ত। কিন্তু, গেল বছর দুয়েক ধরে ডলার সংকট শুরু হলে, সেই ব্যয় পরিশোধ করা যায়নি সময়মতো। তিনি বলেন, এই বাস্তবতায় আদানি, কাফকোসহ, শেভরন ও বিপিসিকে সরবরাহকারীসহ বেশকিছু বিদেশি প্রতিষ্ঠানের কাছে বকেয়া পড়ে যায় সোয়া দুই বিলিয়ন ডলারের উপরে। তবে, গেল দুই মাসে রিজার্ভে হাত না দিয়েই, সেই বকেয়ার দেড় বিলিয়ন পরিশোধ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বাকি অংশও মাস দুয়েকের মধ্যে মিটিয়ে দেওয়ার আশা গভর্নরের। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর আরও বলেন, ২.৫ বিলিয়নের মতো অনাদায়ী, অনিষ্পন্ন দায় ছিল সরকারের। সেটা ছিল ডলারের। সেটা আমরা কমিয়ে ৭০০ মিলিয়নে নিয়ে এসেছি। সারের জন্য প্রচুর টাকা

দেওয়া হয়েছে, বিদ্যুতের জন্য দেওয়া হয়েছে, আদানি-শেভরনকে দেওয়া হয়েছে। সবার দেনাটা কিছুটা কমিয়ে আনা হয়েছে। আমাদের লক্ষ্য আগামী দুই মাসের মধ্যে দেনা জিরোতে নামিয়ে আনব। তখন বাজারে লিকুইডিটা আরও বাড়বে। তিনি বলেন, এসব বকেয়া পরিশোধের পর, চাপ কমবে আর্থিক ব্যবস্থাপনায়। যা গতি বাড়াবে সার্বিক কর্মকাণ্ডে। একই সঙ্গে, প্রস্তুতি চলছে বিভিন্ন সংস্থার কাছ থেকে আরও প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলার ঋণ সংগ্রহের। কিন্তু, বর্তমানে ১০৩ বিলিয়নের বিদেশি ঋণ ও পরিশোধের ধারাবাহিক বাড়তি চাপে কিছুটা চিন্তিত গভর্নর। বলেন, অবস্থা সামাল দিতে ধৈর্য ধরতে হবে অন্তত এক বছর। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আরও বলেন, যদি আমি আইএমএফ থেকে ২-৩ বিলিয়ন অতিরিক্ত পাই, এর সঙ্গে বিশ্বব্যাংকের আরও ২ বিলিয়ন

পাই। তা হলে এই ৫ বিলিয়ন নিয়ে দুটো জিনিস করতে হবে। সরকার কিছু ব্যয় বাড়াতে পারবে, এতে করে অর্থনৈতিক কার্যক্রম কিছুটা গতিশীল পাবে। এখনই লম্প-ঝম্প করলে হবে না যে আমার বিনিয়োগ নাই। এখন বিনিয়োগ হবে না, কম হবে, এটাই বাস্তবতা। এখন বিশ্বব্যাংক বলছে আমাদের প্রবৃদ্ধি হয়ত ৪ শতাংশে নেমে আসবে। হতে পারে, আমিও মনে করি ৪-৫ মধ্যে হয়ত হবে। হোক তাও সেটা একটা বছরই তো। সূত্র : চ্যানেল ২৪

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
কিশোরগঞ্জের আওয়ামী লীগ নেতা আনোয়ার কামালসহ তিনজন গ্রেফতার ডয়চে ভেলের প্রতিবেদন : ট্রাম্প ফেরায় বাংলাদেশে চীনা বিনিয়োগ বাড়ার সম্ভাবনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৬ -এ পদার্পণ : শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি স্টার্ককে ছাড়িয়ে আইপিএলে ২৫ কোটির রেকর্ড হবে কার? আওয়ামী লীগে যারা নিরপরাধ তারা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন পিটিআইয়ের সমাবেশ ঠেকাতে পাকিস্তানে তোড়জোড় ভারতে আশ্রয় নিয়ে নানা সমস্যার সৃষ্টি করছেন শেখ হাসিনা জাকির খান এলেই কেঁপে উঠে আদালতপাড়া, ভয় পেতেন শামীম ওসমানও বাংলাদেশে আর নাস্তিক্যবাদীরা মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারবে না জ্বালানি তেলের দাম লিটারে ১০-১৫ টাকা কমানো সম্ভব কেন ভোগ্যপণ্যের দাম বাড়ছে জানালেন বাণিজ্য উপদেষ্টা ‘ড. ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকারের অনেক বাধা-বিপত্তি রয়েছে’ ইমরান খানের ‘চূড়ান্ত আন্দোলনের’ ডাক কতটা সফল হবে? পাকিস্তান স্কলারশিপ দেবে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক আকবর জাতীয় লিগে নিষিদ্ধ সুস্বাস্থ্যের জন্য ১০ আমল আদানির বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রে গ্রেফতারি পরোয়ানা ক্যালিফোর্নিয়া উপকূলে উদ্ধার হওয়া এই মাছ নিয়ে কেন এত জল্পনা? জিম্মি মুক্তির জন্য যে শর্ত দিল হামাস কারাজীবন দীর্ঘায়িত হচ্ছে ইমরানের, ফের নতুন মামলায় গ্রেফতার