রিজার্ভে হাত না দিয়েই ১৮ হাজার কোটি টাকা ঋণ পরিশোধ করল বাংলাদেশ – ইউ এস বাংলা নিউজ




রিজার্ভে হাত না দিয়েই ১৮ হাজার কোটি টাকা ঋণ পরিশোধ করল বাংলাদেশ

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ২০ অক্টোবর, ২০২৪ | ৫:০৯ 81 ভিউ
বাংলাদেশ ব্যাংক রিজার্ভ থেকে কোনো অর্থ ব্যয় না করেই গত দুই মাসে দেড় বিলিয়ন ডলার (১১৯ টাকা হিসেবে ১৭ হাজার ৮৭০ কোটি টাকা) দেনা পরিশোধ করেছে। আর এর ফলে পণ্য আমদানিতে অনিশ্চয়তা কাটতে শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ডিসেম্বরের মধ্যে সব দায় মেটানো শেষে আরও ইতিবাচক ধারায় ফিরবে দেশের অর্থনীতি। বিনিয়োগ, প্রবৃদ্ধি নিয়ে এই মুহূর্তে চিন্তা না করে, ধৈর্য ধরার পরামর্শ দেন তিনি। ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, জ্বালানি তেল, গ্যাস, কয়লাসহ যাবতীয় পেট্রোলিয়াম পণ্যের প্রায় পুরোই আমদানি করতে হয় বিভিন্ন উৎস থেকে। যার পেছনে সর্বশেষ অর্থবছরে ব্যয় হয় প্রায় ৯ বিলিয়ন ডলার।

এ ছাড়া, বিদ্যুৎ ও সারের ক্ষেত্রেও নির্ভরতা বাড়ছে প্রতিনিয়ত। কিন্তু, গেল বছর দুয়েক ধরে ডলার সংকট শুরু হলে, সেই ব্যয় পরিশোধ করা যায়নি সময়মতো। তিনি বলেন, এই বাস্তবতায় আদানি, কাফকোসহ, শেভরন ও বিপিসিকে সরবরাহকারীসহ বেশকিছু বিদেশি প্রতিষ্ঠানের কাছে বকেয়া পড়ে যায় সোয়া দুই বিলিয়ন ডলারের উপরে। তবে, গেল দুই মাসে রিজার্ভে হাত না দিয়েই, সেই বকেয়ার দেড় বিলিয়ন পরিশোধ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বাকি অংশও মাস দুয়েকের মধ্যে মিটিয়ে দেওয়ার আশা গভর্নরের। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর আরও বলেন, ২.৫ বিলিয়নের মতো অনাদায়ী, অনিষ্পন্ন দায় ছিল সরকারের। সেটা ছিল ডলারের। সেটা আমরা কমিয়ে ৭০০ মিলিয়নে নিয়ে এসেছি। সারের জন্য প্রচুর টাকা

দেওয়া হয়েছে, বিদ্যুতের জন্য দেওয়া হয়েছে, আদানি-শেভরনকে দেওয়া হয়েছে। সবার দেনাটা কিছুটা কমিয়ে আনা হয়েছে। আমাদের লক্ষ্য আগামী দুই মাসের মধ্যে দেনা জিরোতে নামিয়ে আনব। তখন বাজারে লিকুইডিটা আরও বাড়বে। তিনি বলেন, এসব বকেয়া পরিশোধের পর, চাপ কমবে আর্থিক ব্যবস্থাপনায়। যা গতি বাড়াবে সার্বিক কর্মকাণ্ডে। একই সঙ্গে, প্রস্তুতি চলছে বিভিন্ন সংস্থার কাছ থেকে আরও প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলার ঋণ সংগ্রহের। কিন্তু, বর্তমানে ১০৩ বিলিয়নের বিদেশি ঋণ ও পরিশোধের ধারাবাহিক বাড়তি চাপে কিছুটা চিন্তিত গভর্নর। বলেন, অবস্থা সামাল দিতে ধৈর্য ধরতে হবে অন্তত এক বছর। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আরও বলেন, যদি আমি আইএমএফ থেকে ২-৩ বিলিয়ন অতিরিক্ত পাই, এর সঙ্গে বিশ্বব্যাংকের আরও ২ বিলিয়ন

পাই। তা হলে এই ৫ বিলিয়ন নিয়ে দুটো জিনিস করতে হবে। সরকার কিছু ব্যয় বাড়াতে পারবে, এতে করে অর্থনৈতিক কার্যক্রম কিছুটা গতিশীল পাবে। এখনই লম্প-ঝম্প করলে হবে না যে আমার বিনিয়োগ নাই। এখন বিনিয়োগ হবে না, কম হবে, এটাই বাস্তবতা। এখন বিশ্বব্যাংক বলছে আমাদের প্রবৃদ্ধি হয়ত ৪ শতাংশে নেমে আসবে। হতে পারে, আমিও মনে করি ৪-৫ মধ্যে হয়ত হবে। হোক তাও সেটা একটা বছরই তো। সূত্র : চ্যানেল ২৪

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতে ৬০ ব্রিটিশ এমপির চিঠি শ্রীলংকাকে হারিয়ে সিরিজে ফিরল বাংলাদেশ মাইক্রোবাসের ধাক্কায় তিন মাদ্রাসাছাত্র নিহত বাংলাদেশের সামষ্টিক অর্থনীতি খুবই ভালো অবস্থায়: বিশ্বব্যাংক কুয়াকাটায় এক ট্রিপেই ৬৫ মন ইলিশ, বিক্রি ৪০ লাখ টাকা ইরান কেন পারমাণবিক বোমা বানাচ্ছে না? ডলারের দাম আরও কমল সরকারের সিদ্ধান্তহীনতায় টেক্সটাইল মিলের সাপ্লাই চেইনে ব্যাঘাত ঘটছে কর্ণাটকে বিপজ্জনক গুহা থেকে দুই শিশুকন্যাসহ বসবাসকারী রুশ নারী উদ্ধার এপস্টিন নথি প্রকাশ করতে ট্রাম্পকে ইলন মাস্কের সরাসরি চ্যালেঞ্জ রাজনীতিতে আসছেন ইমরানের খানের দুই ছেলে টস হেরে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ মিটফোর্ড হাসপাতালে শিক্ষার্থীদের ‘শাটডাউন’ ঘোষণা, কর্মবিরতিতে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা শিক্ষক-কর্মচারীদের বদলি ও পদায়নের নতুন নির্দেশনা হাসপাতালে ভর্তি মাহাথির মোহাম্মদ মুজিবের ম্যুরাল ভেঙে নির্মিত হচ্ছে ‘জুলাই শহীদ স্মৃতিসৌধ’ ৮ কোটি ২৮ লাখ টাকা ফেরত পাচ্ছেন হাজিরা ভিভ রিচার্ডসকে ছাড়িয়ে ভারতীয় তারকার বিশ্ব রেকর্ড প্রেমিকের সঙ্গে পালাল স্ত্রী, দুধ দিয়ে গোসল স্বামীর প্রেমের টানে সীমান্ত পার, ত্রিপুরায় প্রেমিকসহ গ্রেফতার বাংলাদেশি নারী