যৌথ বাহিনীর অভিযান: ১০ দিনে উদ্ধার ১৪৪ আগ্নেয়াস্ত্র, গ্রেফতার ৬৪ – ইউ এস বাংলা নিউজ




ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আপডেটঃ ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
     ১০:৩৩ অপরাহ্ণ

যৌথ বাহিনীর অভিযান: ১০ দিনে উদ্ধার ১৪৪ আগ্নেয়াস্ত্র, গ্রেফতার ৬৪

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ | ১০:৩৩ 135 ভিউ
রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে গত ১০ দিনে যৌথ বাহিনীর অভিযানে ১৪৪টি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযানকালে গ্রেফতার করা হয়েছে ৬৪ জনকে। ৪ সেপ্টেম্বর রাত ১২টা থেকে ১৩ সেপ্টেম্বর দুপুর ১২টা পর্যন্ত এসব অস্ত্র উদ্ধার এবং আসামিদের গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর। শুক্রবার সন্ধ্যায় পুলিশ সদর দপ্তর থেকে এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, উদ্ধার অস্ত্রের মধ্যে ৮টি রিভলভার, ৪১টি পিস্তল, ১১টি রাইফেল, ১৭টি শটগান, ৫টি পাইপগান, ১৯টি শুটারগান, ১০টি এলজি, ২২টি বন্দুক, ১টি একে-৪৭ রাইফেল, ১টি গ্যাসগান, ১টি চাইনিজ রাইফেল, ১টি এয়ারগান, ৩টি এসবিবিএল, ৩টি এসএমজি ও একটি টিয়ার গ্যাস লঞ্চার রয়েছে। অস্ত্র উদ্ধারের

সময় ৬৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। উদ্ধার তালিকার মধ্যে বিভিন্ন থানা থেকে লুট করা অস্ত্র যেমন রয়েছে, তেমনি রয়েছে লাইসেন্স স্থগিত করা বৈধ অস্ত্রও। এছাড়া এসএসএফের লুট করা আগ্নেয়াস্ত্রও রয়েছে। এর আগে আওয়ামী লীগ সরকারের গত ১৫ বছরে দেওয়া সব আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স বাতিল করে ৩ সেপ্টেম্বর অস্ত্র জমা দেওয়ার সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়। এরপর এসব অস্ত্র উদ্ধারে সশস্ত্র বাহিনী (সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনী), পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি, কোস্টগার্ড, আনসারের সমন্বয়ে যৌথ আভিযানিক দল গঠন করে অস্ত্র উদ্ধার অভিযান শুরু করা হয়। চট্টগ্রামে অস্ত্র জমা দেননি আওয়ামী লীগ নেতারা : চট্টগ্রাম ব্যুরো জানায়, সাবেক মন্ত্রী ও এমপিসহ অনেকে লাইসেন্স করা আগ্নেয়াস্ত্র জমা দেননি।

সরকারের নির্দেশনার পর এখনও পর্যন্ত ১৪৬টি অস্ত্র থানা বা জেলা প্রশাসনে জমা পড়েনি। যারা লাইসেন্স করা অস্ত্র জমা দেননি তাদের বিরুদ্ধে চলতি সপ্তাহের মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সদ্য যোগদান করা জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম। জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত মোট ৮৪২টি অস্ত্রের লাইসেন্স দেওয়া হয়। ৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সেসব অস্ত্রের ৬৯৬টি জমা পড়েছে। বাকি ১৪৬টি অস্ত্র এখনও জমা দেয়নি। যারা অস্ত্র জমা দেননি তাদের মধ্যে রয়েছেন- সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। তার নামে দুটি লাইসেন্স করা অস্ত্র রয়েছে। সীতাকুণ্ডের সাবেক সংসদ-সদস্য এসএম আল মামুনের নামে রয়েছে একটি

পিস্তল। এটি জমা দেওয়া হয়নি। আওয়ামী লীগ নেতা ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের দুই ছেলে মীরসরাইর সাবেক সংসদ-সদস্য মাহবুব উর রহমান রুহেল ও তার বড় ভাই সাবেদ উর রহমানের পিস্তল জমা দেওয়া হয়নি। চট্টগ্রাম -১৬ (বাঁশখালী) সাবেক সংসদ-সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী পিস্তল ও একনলা বন্দুক এখনও জমা দেননি। চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসনের সাবেক সংসদ-সদস্য আবু রেজা মোহাম্মদ নেজাম উদ্দিন নদভীর নামেও দুটি অস্ত্রের লাইসেন্স আছে। সেই শটগান ও পিস্তল জমা পড়েনি। ফটিকছড়ির সাবেক সংসদ-সদস্য খাদিজাতুল আনোয়ার সনির নামে একটি পিস্তল লাইসেন্স করা থাকলেও সেটা থানায় জমা পড়েনি। বাঁশখালী পৌরসভার সাবেক মেয়র সেলিমুল হক চৌধুরীর নামে লাইসেন্স করা একনলা বন্দুকও জমা দেওয়া হয়নি। বাঁশখালীর চাম্বল

ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুজিবুল হক চৌধুরীর একনলা বন্দুকটিও জমা পড়েনি। রাউজান উপজেলার ডাবুয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন চৌধুরীর নামে লাইসেন্স করা শটগান ও পিস্তল জমা পড়েনি। চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম জানান, ‘বৃহস্পতিবার যোগদান করে কয়েক ঘণ্টা অফিস করেছি। তবে এটুকু বলতে পারি যারা সরকারের দেওয়া সময়সীমার মধ্যে অস্ত্র জমা দেননি, তাদের ব্যাপারে আগামী সপ্তাহে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’ কুমিল্লায় অস্ত্র জমা দেননি সাবেক এমপি বাহার ও সূচনার স্বামী রনি : কুমিল্লা ব্যুরো জানায়, সদর আসনের সাবেক সংসদ-সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার এবং তার মেয়ে অপসারিত কুসিক মেয়র তাহসিন বাহার সূচনার স্বামী সাইফুল আলম রনি ও নাঙ্গলকোটের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান

সামছুদ্দিন কালু অস্ত্র জমা দেয়নি। তবে ৫ আগস্ট সরকার পতনের দিন বিকালে বিক্ষুব্ধ জনতা বাহারের বাড়িতে হামলার সময় অস্ত্র লুটে নিয়েছে বলে তার পক্ষ থেকে থানায় জিডি করা হয়েছে। অন্যদিকে নাঙ্গলকোট উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সামছুদ্দিন কালুর নামে ২০১৫ সালের ১ ফেব্রুয়ারি একটি পিস্তলের লাইসেন্স দেওয়া হয়। নাঙ্গলকোট থানার ওসি একে ফজলুল হক বলেন, বাড়ি থেকে ৫ আগস্ট অস্ত্রটি হারানো গেছে বলে কালু থানায় জিডি করেছেন। তাই অস্ত্র জমা দিতে পারেননি। এছাড়াও অস্ত্র জমা দেননি চৌদ্দগ্রাম উপজেলার কাশিনগর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা মোশাররফ হোসেন। চৌদ্দগ্রাম থানার ওসি মো. নাজমুল হুদা বলেন, ২০০৯ থেকে এ থানায় ১৮টি অস্ত্রের লাইসেন্স দেওয়া

হয়। সরকার ঘোষিত সময়ের মধ্যে ১৭টি অস্ত্র থানায় জমা হয়েছে। মোশাররফ হোসেনের নামে ইস্যু করা পিস্তল তিনি এখনো জমা দেননি। ধারণা করা হচ্ছে, তিনি আত্মগোপনে দেশের বাইরে চলে গেছেন। পুলিশ অস্ত্র উদ্ধারে কাজ করছে।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
ভাইরাল ইঁদুরের রোস্ট, দলবেঁধে খাচ্ছে পরিবারের সবাই স্টারলিংকের কার্যক্রমে ‘অস্বচ্ছতা’ কাতারের নিরাপত্তা হুমকির বিরুদ্ধে সংহতি পুনর্ব্যক্ত বাংলাদেশের সোমবার বিদ্যুৎ থাকবে না যেসব এলাকায় আল-ফাশির দখলে নিয়ে যুদ্ধাপরাধ করছে আরএসএফ : জাতিসংঘ নেপালে এভারেস্টের পাদদেশে আটকা শতাধিক পর্যটক পাকিস্তান কি গোপনে ভয়ংকর কোনো অস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে? উপহারের সেই নৌকা তোষাখানায় জমা দিলেন সড়ক উপদেষ্টা আজ থেকে নতুন দামে বিক্রি হচ্ছে স্বর্ণ গণভোট ইস্যুতে মুখোমুখি বিএনপি-জামায়াত শাহজালালে যাত্রীর পাকস্থলীতে মিলল ৬৩৭৮ ইয়াবা চলতি বছর স্বর্ণের দাম বেড়েছে ৫০ বার, কমেছে কত বার? সকাল ৯টার মধ্যে ঢাকাসহ যেসব জেলায় ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আভাস বিএনপির একজন নেতার চাঁদাবাজির টাকা দিয়েই গণভোট আয়োজন সম্ভব: পাটওয়ারী ঢাকায় জুলাইযোদ্ধা শাফিনের রহস্যজনক মৃত্যু জামায়াত নিষিদ্ধে আলালের বক্তব্যে প্রতিক্রিয়া জানালেন আবদুল হালিম বিএনপি ও জামায়াতের মধ্যে বোঝাপড়া হচ্ছে বলে শুনতে পাচ্ছি: পাটওয়ারী জামায়াত-বিএনপি ও এনসিপির কাঠামোর মধ্যে নির্বাচন সম্ভব নয়: জাপা মহাসচিব নির্বাচন কমিশন ভাগাভাগি হয়ে গেছে: হাসনাত ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশে মন্দিরে পদদলিত হয়ে নিহত ৯