‘যেন দোজখ থেকে বেহেশতে এলাম’ – ইউ এস বাংলা নিউজ




ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আপডেটঃ ১৪ অক্টোবর, ২০২৫
     ১১:১০ অপরাহ্ণ

‘যেন দোজখ থেকে বেহেশতে এলাম’

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ১৪ অক্টোবর, ২০২৫ | ১১:১০ 46 ভিউ
অবরুদ্ধ গাজায় ‘প্রথম দফা’ যুদ্ধবিরতির বন্দিবিনিময় শেষে ঘরে ফিরেছে মুক্তিপ্রাপ্ত ফিলিস্তিনিরা। দীর্ঘদিন পর প্রিয়জনকে কাছে পেয়ে আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েছেন স্বজনরা। ছাড়া পেয়ে ইসরাইলি কারাগারে ঘটে যাওয়া নিজেদের তিক্ত অভিজ্ঞতাগুলো তুলে ধরেন। কি অবর্ণনীয় অত্যাচার-অপমান ও দুর্ব্যবহার সহ্য করেছে তারা! এমনই এক ভুক্তভোগী ইয়াসের আবু তুর্কি। সোমবার জেল থেকে ছাড়া পেয়ে তিনি জানান, ‘এটা যেন দোজখ থেকে বেহেশতে আসার মতো। এটা এমন একটি মিশ্র অনুভূতি যা আমি ভাষায় প্রকাশ করতে পারছি না। ব্যথা, আনন্দ এবং অদ্ভুত সব অনুভূতি যেন একসঙ্গে কাজ করছে।’ আল-জাজিরা। কসাইখানায় ছিলাম কারাগারে নয় মুক্তি পাওয়া খান ইউনিসের বাসিন্দা আবদুল্লাহ আবু রাফে কারাগারে তার দিনগুলোকে ‘মর্মান্তিক’ বলে অভিহিত করেছেন।

বলেন, ‘আমরা একটি কসাইখানায় ছিলাম, কারাগারে নয়। দুর্ভাগ্যবশত, আমরা ওফের কারাগার নামে একটি কসাইখানায় ছিলাম। অনেক যুবক এখনো সেখানে আছে। ইসরাইলি কারাগারের পরিস্থিতি খুবই কঠিন। কোনো গদি নেই। তারা সর্বদা গদিগুলো সরিয়ে নেয়। খাবারের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেই। সেখানে জীবন জঘন্য’। মুক্তিপ্রাপ্ত বন্দিদের একজনের বোন হিদায়া দার আহমেদ বলেন, ‘বন্দিরা এই দুই বছর ধরে কোনো চিকিৎসা পাননি, কিছুই পাননি...এটি ইসরাইলি কারা প্রশাসনের ইচ্ছাকৃত অবহেলা।’ আমাকে মারধর অপমান করা হয়েছে ইসরাইলি কারাগারে ১৯ মাসেরও বেশি সময় বিনা অভিযোগেই বন্দি ছিলেন মোহাম্মদ আল-খালিলি। মুক্তি পাওয়ার পর তিনি বলেন, ‘আমাদের মারধর করা হয়েছে এবং অপমান করা হয়েছে। আমরা অনেক কষ্ট সহ্য করেছি। কিন্তু সৃষ্টিকর্তাকে ধন্যবাদ, এখন

সবকিছু শেষ’। মোহাম্মদ আল-খালিলি বলেন। ক্ষুধার্ত অবস্থায় ঢুকেছি, ক্ষুধার্তই থেকেছি কারাগারে বছরের পর বছর যন্ত্রণা সহ্য করেছেন ফিলিস্তিনি সাংবাদিক শাদি আবু সাইদ। পেট ভরে খেতে পায়নি কখনো। অশ্রুসিক্ত কণ্ঠে সেই অভিজ্ঞতা সম্পর্কে বলেন, ‘দুই বছর ধরেই আমি ক্ষুধার্ত অবস্থায় ছিলাম। ক্ষুধার্ত অবস্থায় কারাগারে প্রবেশ করেছি এবং ক্ষুধার্তই থেকে গেছি। তারা আমাদের সন্তানদের হত্যার হুমকি দিয়েছে।’ এমনকি বন্দিদের কীভাবে মারধর, অপমান এবং খাবার, ঘুম এবং চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত করা হয়েছিল তাও বর্ণনা করেছেন তিনি। ২৫ বছর পর এক হলো ভাইবোন পশ্চিম তীরের রামাল্লায় ২৫ বছর পর এক হয়েছে ভাইবোন। ৫০ বছর বয়সি ইবতিসাম কামেল এমরি দীর্ঘ পঁচিশ বছর ধরে তার ভাইয়ের অপেক্ষায় ছিলেন। মৃদ্যু কণ্ঠস্বরে

ইবতিসাম বলেন, ‘যখন তারা (ইসরাইল) নিয়ে গিয়েছিল তখন সে কেবল একটি বালক ছিল। সে আমার ভাই, আমার ছেলে, আমার হৃদয়। এই মুহূর্তটির জন্য অপেক্ষা করতে আমরা কতটা কষ্ট পেয়েছি তা একমাত্র সৃষ্টিকর্র্তাই জানেন।’ ইবতিসাম জানান, তাদের বাবা-মা মারা গেছেন, তার সন্তানরা বড় হয়েছে কিন্তু কখনো তার ভাইয়ের আশা ছাড়েননি।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
ভারতে দেবমূর্তির সাড়ে চার কেজি সোনা চুরি, পুরোহিতসহ গ্রেপ্তার ৩ যুদ্ধবিরতি থাকা সত্ত্বেও গাজায় ত্রাণ পৌঁছাতে বাধা, ক্ষুধা-দুর্ভোগে কাতর ফিলিস্তিনিরা মার্কিন তিন নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটদের বিপুল জয়, প্রথম পরীক্ষায় ব্যর্থ ট্রাম্প পেঁপে খাওয়ার সঠিক উপায়: কাঁচা না পাকা—কোনটা বেশি উপকারী? বছরের সবচেয়ে বড় সুপারমুন দেখা যাবে আজ লন্ডনের মেয়র সাদিক খান অভিনন্দন জানালেন মামদানিকে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে লন্ডভন্ড ফিলিপাইনের মধ্যাঞ্চল, ৬৬ জনের মৃত্যু মোহাম্মদপুরে আবাসিক ভবনের আগুন নিয়ন্ত্রণে পাঁচ শরিয়াহ ব্যাংককে অকার্যকর ঘোষণা করলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক পদত্যাগ করে নির্বাচনের ঘোষণা অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামানের নিউইয়র্কের নতুন মেয়র জোহরান মামদানি রোমাঞ্চকর ম্যাচে প্রোটিয়াদের হারিয়ে এগিয়ে গেলো পাকিস্তান দিনে ১২ ঘণ্টা কাজ করেও ক্লান্তি নেই রাশমিকার! ঋত্বিক ঘটকের ভাঙা বাড়িতে জন্মশতবর্ষ উদযাপন চালু হচ্ছে বিশ্বের প্রথম উড়ন্ত গাড়ি নির্মাণ কারখানা ফিলিপাইনে টাইফুন কালমেগির তাণ্ডবে ৪০ জনের প্রাণহানি ওপেন এআই-অ্যামাজনের ৩৮ বিলিয়ন ডলারের চুক্তি কুষ্টিয়ায় মনোনয়নবঞ্চিত বিএনপি নেতার সমর্থকদের দ্বিতীয় দিনে সড়ক অবরোধ সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে করা অপরাধের দায়মুক্তির অবসান চায় ১৩ দেশ ‘জুলাই সনদ’ কড়চা এবং অতঃপর …