যুক্তরাষ্ট্রে গবেষণা খাতে সংকট: বৈজ্ঞানিক অগ্রগতির ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন – ইউ এস বাংলা নিউজ




ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আপডেটঃ ৪ এপ্রিল, ২০২৫
     ৮:১১ অপরাহ্ণ

যুক্তরাষ্ট্রে গবেষণা খাতে সংকট: বৈজ্ঞানিক অগ্রগতির ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ৪ এপ্রিল, ২০২৫ | ৮:১১ 73 ভিউ
প্রায় দুই হাজার বিজ্ঞানী, প্রকৌশলী ও গবেষক এক খোলা চিঠির মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের বিজ্ঞানবিরোধী কার্যক্রমের বিরুদ্ধে তাদের উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। এই চিঠিতে ন্যাশনাল একাডেমিস অব সায়েন্সেস, ইঞ্জিনিয়ারিং এবং মেডিসিনের নির্বাচিত সদস্যরা স্বাক্ষর করেছেন। চিঠিতে গবেষকরা উল্লেখ করেন যে, তারা তাদের ব্যক্তিগত মতামত প্রকাশ করছেন এবং এই মতামত ন্যাশনাল একাডেমিস বা তাদের নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের নয়। তারা সতর্ক করে বলেন, "আমরা বিভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের হলেও, গবেষণার স্বাধীনতা রক্ষার ক্ষেত্রে ঐক্যবদ্ধ। আমরা এই মুহূর্তে প্রকৃত বিপদের সম্মুখীন। জাতীয় বিজ্ঞান কাঠামো ধ্বংসের পথে এগিয়ে চলেছে।" গবেষকদের অভিযোগ, ট্রাম্প প্রশাসন গবেষণা অর্থায়ন বন্ধ করা, বিজ্ঞানীদের বরখাস্ত করা এবং জনসাধারণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বৈজ্ঞানিক তথ্য সরিয়ে

ফেলার মতো পদক্ষেপ নিয়েছে। সম্প্রতি ন্যাশনাল ইনস্টিটিউটস অব হেলথ (ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হেলথ) বিভিন্ন গবেষণা অনুদান বাতিল করেছে, বিশেষত লেজবিয়ান, গে, বাইসেক্সুয়াল, ট্রান্সজেন্ডার এবং কুইয়ার বিষয়ক ও বৈচিত্র্য, সাম্যতা এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক গবেষণাগুলোর ক্ষেত্রে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের কাছে পাঠানো চিঠিতে জানানো হয়েছে, এসব গবেষণা প্রশাসনের "অগ্রাধিকারের মধ্যে পড়ে না" বলেই অনুদান বাতিল করা হয়েছে। এছাড়া, সরকারের ব্যয় সংকোচন নীতির অংশ হিসেবে স্বাস্থ্য ও মানবসেবা বিভাগের (হেলথ এন্ড হিউম্যান সার্ভিসেস) হাজারো কর্মীকে ছাঁটাই করা হয়েছে। এর ফলে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউটস অব হেলথ, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র (সেন্টার্স ফর ডিজিসেস কন্ট্রোল এন্ড প্রিভেনশন) এবং খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন (ফুড এন্ড ড্রাগ এডমিনিস্ট্রেশন) এর মতো গুরুত্বপূর্ণ

সংস্থাগুলো ব্যাপকভাবে প্রভাবিত হচ্ছে যা অপরিবর্তনীয় ক্ষতির আশঙ্কা। গবেষকদের মতে, প্রশাসনের এই পদক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্রের বৈজ্ঞানিক অগ্রগতিকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। চিঠিতে বলা হয়েছে, "যদি আমাদের গবেষণা ক্ষেত্র ভেঙে পড়ে, তাহলে আমরা আমাদের বৈজ্ঞানিক শ্রেষ্ঠত্ব হারাবো। অন্যান্য দেশ নতুন রোগের চিকিৎসা, পরিচ্ছন্ন জ্বালানি এবং ভবিষ্যতের প্রযুক্তির বিকাশে নেতৃত্ব দেবে। তাদের অর্থনীতি উন্নত হবে, এবং তারা ব্যবসা, প্রতিরক্ষা, গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ এবং পরিবেশ পর্যবেক্ষণে আমাদের ছাড়িয়ে যাবে।" এই ব্যাপারে হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে, গবেষকদের আশঙ্কা, যদি এই নীতিগুলো অব্যাহত থাকে, তাহলে দেশের বৈজ্ঞানিক কাঠামো পুনরুদ্ধার করতে কয়েক দশক লেগে যাবে।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
ক্তিযোদ্ধাদের আক্রমণে কোণঠাসা হয়ে পড়ে পাকিস্তানি জান্তারা ক্ষমতার লোভে ইতিহাস স্বীকারের ভান: জামায়াতের ‘ক্ষমা’ নয়, এটি সুপরিকল্পিত রাজনৈতিক প্রতারণা পরিবারের নিরাপত্তার সংকটে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন বিএনপি প্রার্থী মাসুদুজ্জামান মাসুদ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে পুষ্পমাল্য অর্পণ বিজয় দিবসে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চট্টগ্রামে বিজয় দিবসে ছাত্রলীগের শ্রদ্ধা নিবেদন বিজয় দিবসের দিন জামায়াত আমিরের অভিনব প্রতারণা ট্রল ও গালিগালাজের শিকার হয়ে যা বললেন শুভশ্রী বিজয় দিবসে মোদির টুইট, একবারও উল্লেখ করলেন না বাংলাদেশের নাম কুয়ালালামপুরে ইমিগ্রেশনের অভিযানে বাংলাদেশিসহ ৯০ অবৈধ অভিবাসী আটক কুয়াশা ও শুষ্ক আবহাওয়া থাকবে কয়দিন? জানাল আবহাওয়া অধিদপ্তর ভারতীয় রুপির রেকর্ড দরপতন বিবিসির বিরুদ্ধে ৫০০ কোটি ডলারের মামলা ট্রাম্পের যে কারণে জিৎ-স্বস্তিকার ৬ বছরের প্রেম ভাঙে অবিনশ্বর বিজয় দিবস ২০২৫ নয় মাস মুক্তিযুদ্ধের পর যেদিন বিজয়ের সূর্য হেসেছিল বাংলার আকাশে দেশবাসীর উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখবেন বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা প্রহসন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা, জনগণের রায় ছাড়াই ক্ষমতার বন্দোবস্ত মানবে না দেশ নিয়াজীর আত্মসমর্পণের চুক্তিনামা নিয়ে আসেন ক্যু করে পদচ্যুত করতে ব্যর্থ হয়ে ইউনুসের কাছে রাষ্ট্রপতি এখন অচ্ছুৎ!