
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর

রাশিয়ায় ৬শ’ বছর পর জেগে উঠল আগ্নেয়গিরি, সুনামি সতর্কতা

মায়ের সঙ্গে প্রেম করে মেয়েকে বিয়ে, পরে দু’জনকেই পুড়িয়ে হত্যা!

রাফাল ধ্বংসে চীনা প্রযুক্তির কার্যকর ব্যবহার পাকিস্তানের

যেভাবে ‘তীব্র আকাশযুদ্ধে’ ভারতের রাফাল ভূপাতিত করে পাকিস্তান

পাকিস্তানে খনিজ তেলের বিশাল ভাণ্ডার : ডোনাল্ড ট্রাম্প

ট্রাম্পের তোপে চরম অস্বস্তিতে নয়াদিল্লি

পাকিস্তানে ভয়াবহ বিস্ফোরণে ৫ শিশু নিহত
যুক্তরাষ্ট্রের আপত্তি উড়িয়ে রাশিয়ার তেলে নির্ভরতা চালিয়ে যাবে ভারত

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কঠোর মন্তব্য ও হুঁশিয়ারি উপেক্ষা করে রাশিয়া থেকে অপরিশোধিত তেল আমদানি চালিয়ে যাবে ভারত। রয়টার্সকে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানিয়েছেন ভারতের দুই শীর্ষ সরকারি কর্মকর্তা। তবে বিষয়টির স্পর্শকাতরতার কারণে তারা পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক।
সম্প্রতি ট্রাম্প ট্রুথ সোশ্যালে পোস্ট দিয়ে সতর্ক করেন যে, রাশিয়ার জ্বালানি ও সামরিক সরঞ্জাম কিনলে ভারতকে অতিরিক্ত শাস্তির মুখে পড়তে হতে পারে। তবে সাংবাদিকদের তিনি জানান যে, তার কাছে খবর এসেছে ভারত রাশিয়া থেকে তেল আমদানি বন্ধ করতে যাচ্ছে।
তবে ভারতীয় কর্মকর্তারা এসব দাবিকে অস্বীকার করে বলেছেন, রাশিয়ার সঙ্গে তেল আমদানি চুক্তিগুলো দীর্ঘমেয়াদি, যা হঠাৎ করে বাতিল করার সুযোগ নেই। একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘এই
বাণিজ্যিক সম্পর্ক রাতারাতি পরিবর্তন সম্ভব নয়।’ অন্য একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘রাশিয়ার কাছ থেকে তেল আমদানির কারণে বৈশ্বিক বাজারে মূল্য স্থিতিশীল রাখতে ভারত ইতিবাচক ভূমিকা রেখেছে, বিশেষ করে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা আরোপের পরও যখন বিশ্ববাজারে দাম একই ছিল।’ তিনি আরও জানান, ভারত যেসব দামে রাশিয়ার তেল কিনছে তা ইউরোপীয় ইউনিয়নের নির্ধারিত সীমার নিচে। নীতিগত অবস্থান অপরিবর্তিত রয়টার্সের জ্বালানি বিষয়ক প্রশ্নে ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আনুষ্ঠানিক মন্তব্য না দিলেও মুখপাত্র রণধীর জয়সোয়াল বলেন, ‘রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক দীর্ঘস্থায়ী, দৃঢ় ও বিশ্বাসযোগ্য। আমরা বৈশ্বিক বাজারের প্রেক্ষাপট ও প্রয়োজন বিবেচনায় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করি।’ রাশিয়া বর্তমানে ভারতের সবচেয়ে বড় অপরিশোধিত তেল সরবরাহকারী দেশ। বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম তেল আমদানিকারক ও ভোক্তা ভারত এখন
প্রায় ৩৫ শতাংশ অপরিশোধিত তেল রাশিয়া থেকে আমদানি করছে। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত দেশটি গড়ে প্রতিদিন ১৭.৫ লাখ ব্যারেল রাশিয়ান তেল আমদানি করেছে, যা গত বছরের তুলনায় সামান্য বেশি। সাম্প্রতিক পরিবর্তন ও বাজার পরিস্থিতি তবে জুলাই মাসে রাশিয়ান তেলে ছাড় কমে যাওয়ায়, ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত শোধনাগারগুলো সাময়িকভাবে নতুন চালান বন্ধ রেখেছে। রয়টার্স সূত্রে জানা গেছে, ইন্ডিয়ান অয়েল, হিন্দুস্তান পেট্রোলিয়াম, ভারত পেট্রোলিয়াম এবং ম্যাঙ্গালোর রিফাইনারি গত এক সপ্তাহে রাশিয়ার কোনো নতুন তেল চালান চায়নি। বিশ্লেষকদের মতে, এই সাময়িক বিরতি মূলত বাজার পরিস্থিতির অংশ, তবে এটি দীর্ঘমেয়াদি নীতিগত পরিবর্তন নয়। ভারতের অবস্থান এখনও পরিষ্কার—জ্বালানি নিরাপত্তা ও মূল্যস্হিতিশীলতা নিশ্চিত করতে রাশিয়ার সঙ্গে জ্বালানি বাণিজ্য চলবে।
বাণিজ্যিক সম্পর্ক রাতারাতি পরিবর্তন সম্ভব নয়।’ অন্য একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘রাশিয়ার কাছ থেকে তেল আমদানির কারণে বৈশ্বিক বাজারে মূল্য স্থিতিশীল রাখতে ভারত ইতিবাচক ভূমিকা রেখেছে, বিশেষ করে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা আরোপের পরও যখন বিশ্ববাজারে দাম একই ছিল।’ তিনি আরও জানান, ভারত যেসব দামে রাশিয়ার তেল কিনছে তা ইউরোপীয় ইউনিয়নের নির্ধারিত সীমার নিচে। নীতিগত অবস্থান অপরিবর্তিত রয়টার্সের জ্বালানি বিষয়ক প্রশ্নে ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আনুষ্ঠানিক মন্তব্য না দিলেও মুখপাত্র রণধীর জয়সোয়াল বলেন, ‘রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক দীর্ঘস্থায়ী, দৃঢ় ও বিশ্বাসযোগ্য। আমরা বৈশ্বিক বাজারের প্রেক্ষাপট ও প্রয়োজন বিবেচনায় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করি।’ রাশিয়া বর্তমানে ভারতের সবচেয়ে বড় অপরিশোধিত তেল সরবরাহকারী দেশ। বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম তেল আমদানিকারক ও ভোক্তা ভারত এখন
প্রায় ৩৫ শতাংশ অপরিশোধিত তেল রাশিয়া থেকে আমদানি করছে। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত দেশটি গড়ে প্রতিদিন ১৭.৫ লাখ ব্যারেল রাশিয়ান তেল আমদানি করেছে, যা গত বছরের তুলনায় সামান্য বেশি। সাম্প্রতিক পরিবর্তন ও বাজার পরিস্থিতি তবে জুলাই মাসে রাশিয়ান তেলে ছাড় কমে যাওয়ায়, ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত শোধনাগারগুলো সাময়িকভাবে নতুন চালান বন্ধ রেখেছে। রয়টার্স সূত্রে জানা গেছে, ইন্ডিয়ান অয়েল, হিন্দুস্তান পেট্রোলিয়াম, ভারত পেট্রোলিয়াম এবং ম্যাঙ্গালোর রিফাইনারি গত এক সপ্তাহে রাশিয়ার কোনো নতুন তেল চালান চায়নি। বিশ্লেষকদের মতে, এই সাময়িক বিরতি মূলত বাজার পরিস্থিতির অংশ, তবে এটি দীর্ঘমেয়াদি নীতিগত পরিবর্তন নয়। ভারতের অবস্থান এখনও পরিষ্কার—জ্বালানি নিরাপত্তা ও মূল্যস্হিতিশীলতা নিশ্চিত করতে রাশিয়ার সঙ্গে জ্বালানি বাণিজ্য চলবে।