
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর

পৃথিবীর কেন্দ্রে রয়েছে স্বর্ণের বিশাল ভান্ডার!

মানসিকভাবে ভেঙে পড়ছেন বিদেশি শিক্ষার্থীরা

ইসরায়েলের বেন গুরিয়ন বিমানবন্দরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

দক্ষিণ কোরিয়ায় বিমান বিধ্বস্ত, সব আরোহীর মৃত্যু

সোমবার ফের আলোচনায় বসছে রাশিয়া–ইউক্রেন

স্পেনের এক ধমকেই ইসরাইলে আতঙ্ক

ইসরাইলকে ‘পুড়িয়ে দেওয়ার’ হুঁশিয়ারি ইয়েমেনের
মুসলিম নারী সিনেটরকে হেনস্তার অভিযোগ অস্ট্রেলিয়ায়

অস্ট্রেলিয়ার পার্লামেন্টে হিজাব পরা প্রথম মুসলিম নারী সিনেটর ফাতিমা পেম্যান তার এক পুরুষ সহকর্মীর বিরুদ্ধে যৌন ইঙ্গিতপূর্ণ আচরণ ও ধর্মীয় বিশ্বাসে আঘাত হানার অভিযোগ এনেছেন।
সিনেটর ফাতিমা জানান, এক সামাজিক অনুষ্ঠানে মদ্যপ অবস্থায় ওই সহকর্মী তাকে বলেন, তোমাকে একটু ওয়াইন পান করাই, তারপর টেবিলে উঠে নাচো, দেখি।
এ ধরনের মন্তব্য তার ধর্মীয় অনুশাসনের প্রতি সরাসরি অশ্রদ্ধা এবং একজন মুসলিম নারী হিসেবে তার জন্য অত্যন্ত ‘অপ্রাসঙ্গিক ও অসম্মানজনক’ ছিল বলে মন্তব্য করেন ফাতিমা।
অস্ট্রেলিয়ান সংবাদমাধ্যম এবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, আমি মদ পান করি না। আমি স্পষ্টভাবে তাকে বলেছি—আপনি সীমালঙ্ঘন করছেন, থামুন। এরপর আমি অভিযোগ দায়ের করেছি।
৩০ বছর বয়সী ফাতিমা বলেন, বর্তমান প্রজন্ম
আগের মতো মুখ বুজে সহ্য করে না। তার অভিযোগ, অভিযুক্ত ব্যক্তি একজন সিনিয়র সংসদ সদস্য, যিনি জানতেন ফাতিমা ইসলামী অনুশাসন মেনে চলেন এবং হিজাব পরেন। তবু ইচ্ছাকৃতভাবে তার ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক পরিচয়ের প্রতি অসম্মান দেখানো হয়েছে। ফাতিমা পেম্যানের অভিযোগটি এখন তদন্ত করছে পার্লামেন্টের ‘পার্লামেন্টারি ওয়ার্কপ্লেস সাপোর্ট সার্ভিস’ (পিডব্লিউএসএস), যা সংসদ সদস্যদের মধ্যে যৌন হয়রানি, নিপীড়ন এবং অনাকাঙ্ক্ষিত আচরণের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়। ফাতিমা বলেন, আমার অভিযোগ গ্রহণ করা হয়েছে। আমি আশা করি, তারা কার্যকর পদক্ষেপ নেবে। প্রসঙ্গত, আফগানিস্তানে জন্ম নেওয়া ফাতিমা ২০২২ সালে মাত্র ২৮ বছর বয়সে পশ্চিম অস্ট্রেলিয়া থেকে লেবার পার্টির প্রার্থী হিসেবে সিনেটর নির্বাচিত হন। তিনি ছিলেন অস্ট্রেলিয়ার ইতিহাসে প্রথম হিজাব পরা
নারী এমপি। উল্লেখ্য, গাজায় চলমান যুদ্ধ এবং সরকারের ভূমিকার সমালোচনা করে ২০২৪ সালে তিনি দল ছেড়ে নির্দলীয় হয়ে ওঠেন। অস্ট্রেলিয়ার পার্লামেন্টে নারী সদস্যদের প্রতি আচরণ নিয়ে বরাবরই সোচ্চার এই মুসলিম নেত্রী ২০২২ সালে ‘অস্ট্রেলিয়ান মুসলিম রোল মডেল অব দ্য ইয়ার’ পুরস্কার পান। এই অভিযোগের মাধ্যমে তিনি আবারও প্রমাণ করলেন—সাহস, সচেতনতা ও সত্য উচ্চারণ একজন নারী নেতার সবচেয়ে বড় শক্তি।
আগের মতো মুখ বুজে সহ্য করে না। তার অভিযোগ, অভিযুক্ত ব্যক্তি একজন সিনিয়র সংসদ সদস্য, যিনি জানতেন ফাতিমা ইসলামী অনুশাসন মেনে চলেন এবং হিজাব পরেন। তবু ইচ্ছাকৃতভাবে তার ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক পরিচয়ের প্রতি অসম্মান দেখানো হয়েছে। ফাতিমা পেম্যানের অভিযোগটি এখন তদন্ত করছে পার্লামেন্টের ‘পার্লামেন্টারি ওয়ার্কপ্লেস সাপোর্ট সার্ভিস’ (পিডব্লিউএসএস), যা সংসদ সদস্যদের মধ্যে যৌন হয়রানি, নিপীড়ন এবং অনাকাঙ্ক্ষিত আচরণের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়। ফাতিমা বলেন, আমার অভিযোগ গ্রহণ করা হয়েছে। আমি আশা করি, তারা কার্যকর পদক্ষেপ নেবে। প্রসঙ্গত, আফগানিস্তানে জন্ম নেওয়া ফাতিমা ২০২২ সালে মাত্র ২৮ বছর বয়সে পশ্চিম অস্ট্রেলিয়া থেকে লেবার পার্টির প্রার্থী হিসেবে সিনেটর নির্বাচিত হন। তিনি ছিলেন অস্ট্রেলিয়ার ইতিহাসে প্রথম হিজাব পরা
নারী এমপি। উল্লেখ্য, গাজায় চলমান যুদ্ধ এবং সরকারের ভূমিকার সমালোচনা করে ২০২৪ সালে তিনি দল ছেড়ে নির্দলীয় হয়ে ওঠেন। অস্ট্রেলিয়ার পার্লামেন্টে নারী সদস্যদের প্রতি আচরণ নিয়ে বরাবরই সোচ্চার এই মুসলিম নেত্রী ২০২২ সালে ‘অস্ট্রেলিয়ান মুসলিম রোল মডেল অব দ্য ইয়ার’ পুরস্কার পান। এই অভিযোগের মাধ্যমে তিনি আবারও প্রমাণ করলেন—সাহস, সচেতনতা ও সত্য উচ্চারণ একজন নারী নেতার সবচেয়ে বড় শক্তি।