
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর

ইরানকে পারমাণবিক সমৃদ্ধকরণ সম্পূর্ণভাবে বাতিল করতে হবে: মার্কিন বিশেষ দূত

আল-আকসা ভেঙে ‘থার্ড টেম্পল’ নির্মাণে ‘লাল গরু’ জবাই শুরু

পাকিস্তানের পররাষ্ট্রসচিব ঢাকা আসছেন বুধবার, যেসব বিষয়ে আলোচনা হতে পারে

পশ্চিমবঙ্গে একদিনে ২৪ বাংলাদেশি গ্রেফতার

ট্রাম্পের শুল্কনীতির বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য আদালতে মামলা

ভারতে ১৭০ মাদ্রাসা সিলগালা

বিল গেটসের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদটা দরকার ছিল: মেলিন্ডা গেটস
মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের বাজেট ৫০ শতাংশ কমানোর পরিকল্পনা ট্রাম্পের

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফরত বৈশ্বিক কূটনৈতিক কার্যক্রমে নজিরবিহীন কাটছাঁটের প্রস্তাব দিতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে একাধিক সংবাদমাধ্যম। বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন কর্মসূচি ও দূতাবাস বন্ধ করে প্রায় ৫০ শতাংশ বাজেট কমানোর পরিকল্পনা রয়েছে এ প্রস্তাবে।
এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, একটি অভ্যন্তরীণ নথির বরাত দিয়ে বলা হয়েছে- ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছেন। প্রস্তাবিত পরিকল্পনায় জাতিসংঘ ও ন্যাটোর মতো আন্তর্জাতিক সংস্থার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের তহবিল কার্যত সম্পূর্ণভাবে বাতিল করার কথা বলা হয়েছে।
আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষা, শিক্ষামূলক ও সাংস্কৃতিক বিনিময় কর্মসূচির তহবিলও কমিয়ে আনার কথা বলা হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে ফুলব্রাইট প্রোগ্রামের মতো মর্যাদাপূর্ণ বৃত্তি।
এই পরিকল্পনার পেছনে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সরকারি ব্যয় কমানো ও বৈশ্বিক মঞ্চে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্ব হ্রাস
করার বৃহত্তর লক্ষ্য রয়েছে। তবে মার্কিন ফরেন সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন এই প্রস্তাবিত বাজেট কাটছাঁটকে ‘বেপরোয়া ও বিপজ্জনক’ বলে আখ্যায়িত করেছে। রাশিয়ায় সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত মাইকেল ম্যাকফল এটিকে ‘চীনা কমিউনিস্ট পার্টির জন্য বিশাল উপহার’ বলে মন্তব্য করেছেন। নিউইয়র্ক টাইমস জানায়, এ নথিতে বলা হয়েছে- ২০২৬ অর্থবছরের জন্য (যা শুরু হবে ১ অক্টোবর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ২৮.৪ বিলিয়ন ডলারের বাজেট প্রস্তাব করতে যাচ্ছে, যা ২০২৫ সালের তুলনায় ২৬ বিলিয়ন কম। মানবিক সহায়তা নিয়ে নথিতে খুব বেশি কিছু বলা না হলেও, টাইমস জানায়—ট্রপিক্যাল রোগ মোকাবিলা, উন্নয়নশীল দেশের শিশুদের জন্য টিকা সরবরাহ এবং মাতৃ ও শিশুস্বাস্থ্য উন্নয়নে থাকা কর্মসূচিগুলো বাতিল করার কথা বলা হয়েছে। ওয়াশিংটন পোস্ট জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের বৈদেশিক সাহায্য
সংস্থা ইউএসএআইডি—যেটিকে ট্রাম্প ও ইলন মাস্ক বন্ধ করার লক্ষ্যে রেখেছেন—তাকে নথিতে সম্পূর্ণভাবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বিলীন ধরা হয়েছে। প্রস্তাব অনুমোদনের পূর্ণ ক্ষমতা কংগ্রেসের হাতে, যেখানে রিপাবলিকানরা নিয়ন্ত্রণে থাকলেও অধিকাংশ আইন পাসে ডেমোক্রেটদের ভোট প্রয়োজন। ফলে বাজেট নিয়ে আইনপ্রণেতাদের আলোচনায় এ প্রস্তাব বড় প্রভাব ফেলতে পারে। সরকারি দপ্তরগুলোকে এই সপ্তাহের মধ্যেই হোয়াইট হাউসকে বাজেট কমানোর পরিকল্পনা জমা দিতে বলা হয়েছে। তবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এখনো এ নিয়ে প্রকাশ্যে কিছু জানায়নি। পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও ১০ এপ্রিলের ওই নথিতে সায় দিয়েছেন কিনা, তা স্পষ্ট নয়। তবে বাজেট কাটা নিয়ে কংগ্রেসে পাঠানোর আগে তার অনুমোদন প্রয়োজন হবে। পাঞ্চবোল নিউজ জানায়, প্রস্তাবে ১০টি দূতাবাস ও ১৭টি কনস্যুলেট বন্ধের কথা বলা হয়েছে।
এর মধ্যে রয়েছে ইরিত্রিয়া, লুক্সেমবার্গ, দক্ষিণ সুদান ও মাল্টায় অবস্থিত মিশনগুলো। ফ্রান্সে পাঁচটি ও জার্মানিতে দুটি কনস্যুলেট বন্ধ করার সুপারিশ রয়েছে। এছাড়া স্কটল্যান্ড ও ইতালির কনস্যুলেটও রয়েছে তালিকায়। কানাডায় মন্ট্রিয়াল ও হ্যালিফ্যাক্সে যুক্তরাষ্ট্রের কনস্যুলেট ছোট করে আনার কথা বলা হয়েছে, যেখানে ‘ন্যূনতম স্থানীয় সহায়তা নিয়ে সীমিত কূটনীতি’ পরিচালনার পরিকল্পনা রয়েছে। অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও উন্নয়ন সংস্থা (ওইসিডি) এবং ইউনিসেফের মতো আন্তর্জাতিক সংস্থায় যুক্তরাষ্ট্রের মিশনগুলো সংশ্লিষ্ট শহরের দূতাবাসে একীভূত করা হবে। এএফপি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মন্তব্য জানতে চাইলেও এখনো কোনো প্রতিক্রিয়া মেলেনি। সূত্র : বাসস
করার বৃহত্তর লক্ষ্য রয়েছে। তবে মার্কিন ফরেন সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন এই প্রস্তাবিত বাজেট কাটছাঁটকে ‘বেপরোয়া ও বিপজ্জনক’ বলে আখ্যায়িত করেছে। রাশিয়ায় সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত মাইকেল ম্যাকফল এটিকে ‘চীনা কমিউনিস্ট পার্টির জন্য বিশাল উপহার’ বলে মন্তব্য করেছেন। নিউইয়র্ক টাইমস জানায়, এ নথিতে বলা হয়েছে- ২০২৬ অর্থবছরের জন্য (যা শুরু হবে ১ অক্টোবর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ২৮.৪ বিলিয়ন ডলারের বাজেট প্রস্তাব করতে যাচ্ছে, যা ২০২৫ সালের তুলনায় ২৬ বিলিয়ন কম। মানবিক সহায়তা নিয়ে নথিতে খুব বেশি কিছু বলা না হলেও, টাইমস জানায়—ট্রপিক্যাল রোগ মোকাবিলা, উন্নয়নশীল দেশের শিশুদের জন্য টিকা সরবরাহ এবং মাতৃ ও শিশুস্বাস্থ্য উন্নয়নে থাকা কর্মসূচিগুলো বাতিল করার কথা বলা হয়েছে। ওয়াশিংটন পোস্ট জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের বৈদেশিক সাহায্য
সংস্থা ইউএসএআইডি—যেটিকে ট্রাম্প ও ইলন মাস্ক বন্ধ করার লক্ষ্যে রেখেছেন—তাকে নথিতে সম্পূর্ণভাবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বিলীন ধরা হয়েছে। প্রস্তাব অনুমোদনের পূর্ণ ক্ষমতা কংগ্রেসের হাতে, যেখানে রিপাবলিকানরা নিয়ন্ত্রণে থাকলেও অধিকাংশ আইন পাসে ডেমোক্রেটদের ভোট প্রয়োজন। ফলে বাজেট নিয়ে আইনপ্রণেতাদের আলোচনায় এ প্রস্তাব বড় প্রভাব ফেলতে পারে। সরকারি দপ্তরগুলোকে এই সপ্তাহের মধ্যেই হোয়াইট হাউসকে বাজেট কমানোর পরিকল্পনা জমা দিতে বলা হয়েছে। তবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এখনো এ নিয়ে প্রকাশ্যে কিছু জানায়নি। পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও ১০ এপ্রিলের ওই নথিতে সায় দিয়েছেন কিনা, তা স্পষ্ট নয়। তবে বাজেট কাটা নিয়ে কংগ্রেসে পাঠানোর আগে তার অনুমোদন প্রয়োজন হবে। পাঞ্চবোল নিউজ জানায়, প্রস্তাবে ১০টি দূতাবাস ও ১৭টি কনস্যুলেট বন্ধের কথা বলা হয়েছে।
এর মধ্যে রয়েছে ইরিত্রিয়া, লুক্সেমবার্গ, দক্ষিণ সুদান ও মাল্টায় অবস্থিত মিশনগুলো। ফ্রান্সে পাঁচটি ও জার্মানিতে দুটি কনস্যুলেট বন্ধ করার সুপারিশ রয়েছে। এছাড়া স্কটল্যান্ড ও ইতালির কনস্যুলেটও রয়েছে তালিকায়। কানাডায় মন্ট্রিয়াল ও হ্যালিফ্যাক্সে যুক্তরাষ্ট্রের কনস্যুলেট ছোট করে আনার কথা বলা হয়েছে, যেখানে ‘ন্যূনতম স্থানীয় সহায়তা নিয়ে সীমিত কূটনীতি’ পরিচালনার পরিকল্পনা রয়েছে। অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও উন্নয়ন সংস্থা (ওইসিডি) এবং ইউনিসেফের মতো আন্তর্জাতিক সংস্থায় যুক্তরাষ্ট্রের মিশনগুলো সংশ্লিষ্ট শহরের দূতাবাসে একীভূত করা হবে। এএফপি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মন্তব্য জানতে চাইলেও এখনো কোনো প্রতিক্রিয়া মেলেনি। সূত্র : বাসস