মসজিদের শহর ঢাকা থেকে লাশের শহরের অভিমুখে যাত্রা – ইউ এস বাংলা নিউজ




ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আপডেটঃ ২১ নভেম্বর, ২০২৫
     ৫:০৭ পূর্বাহ্ণ

মসজিদের শহর ঢাকা থেকে লাশের শহরের অভিমুখে যাত্রা

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ২১ নভেম্বর, ২০২৫ | ৫:০৭ 40 ভিউ
ঢাকায় চৌদ্দ মাসে সাড়ে চারশো খুন। এই সংখ্যাটা শুনলে যে কারো গা শিউরে ওঠার কথা। কিন্তু ড. ইউনূস আর তার অবৈধ সরকারের কাছে এটা বোধহয় শুধুই পরিসংখ্যান। ২০২৪ সালের জুলাইয়ে পরিকল্পিত দাঙ্গার মাধ্যমে একটা নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে যারা ক্ষমতায় এসেছে, তাদের কাছ থেকে আর কীই বা আশা করা যায়? ক্যু করে ক্ষমতা দখলের পরপরই শুরু হয়েছিল রাষ্ট্রযন্ত্রের পদ্ধতিগত ভাঙচুর। থানা থেকে পাঁচ হাজার ৭৫০টা আগ্নেয়াস্ত্র লুট হলো। কারাগার থেকে ছাড়া পেল সন্ত্রাসী আর জঙ্গিরা। এখন দেড় হাজারের বেশি অস্ত্র ঘুরে বেড়াচ্ছে অপরাধীদের হাতে। এই অস্ত্র উদ্ধারের কোনো সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা আছে তাদের? নাকি ইচ্ছা করেই রাখা হয়েছে রাস্তায়, যাতে মানুষ আতঙ্কে

থাকে, যাতে প্রতিবাদের গলা চিরতরে বন্ধ করে দেওয়া যায়? জুলাইয়ের ‘গণঅভ্যুত্থান’ নামের সেই সুপরিকল্পিত হত্যাযজ্ঞের পর এই বছরের জুলাই মাসেই ঢাকায় হয়েছে সবচেয়ে বেশি খুন – পঁচাত্তরটা। কাকতালীয়? মোটেই না। এটা ছিল ভয় দেখানোর, দমিয়ে রাখার একটা পদ্ধতি। যখন রাষ্ট্রের বৈধতা থাকে না, যখন জনগণের রায় থাকে না পিছনে, তখন শাসকদের বাঁচার একটাই রাস্তা – ভয়ের রাজত্ব কায়েম করা। ইউনূস সরকার ঠিক সেটাই করছে। এই সরকারের আসার পেছনে বিদেশি শক্তির অর্থায়ন আর ইসলামিক জঙ্গিগোষ্ঠীর সহায়তার কথা এখন আর গোপন নেই। সামরিক বাহিনীর একাংশের সমর্থনে এরা ক্ষমতায় এসেছে। কিন্তু যেহেতু কোনো নির্বাচনে জিতে আসেনি, তাই জনগণের কাছে জবাবদিহিতার কোনো বালাই নেই। একজন সুদখোর

মহাজনকে দিয়ে দেশ চালানোর এটাই পরিণতি। এরা শাসন করে না, ব্যবসা করে। আর সেই ব্যবসায় সবচেয়ে লাভজনক পণ্য হলো মানুষের ভয় আর নিরাপত্তাহীনতা। তথাকথিত ‘অ-সরকার’ – নামটাই বলে দেয় এদের আসল পরিচয়। এরা সরকার নয়, এরা দখলদার। আর দখলদারদের কাজই হলো যা কিছু আছে সব লুটপাট করা, যা কিছু দাঁড়িয়ে আছে সব ভেঙে ফেলা। পুলিশ বাহিনী ভেঙে পড়েছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোর মধ্যে কোনো সমন্বয় নেই। নেই বললে ভুল হবে – আসলে চাইলেই যে তারা পারতো না, তা নয়। কিন্তু রাজনৈতিক ইচ্ছাশক্তির অভাবে, আর বলা ভালো রাজনৈতিক বৈধতার অভাবে, কোনো শক্ত পদক্ষেপ নেওয়ার সাহস তাদের নেই। ফলাফল? প্রকাশ্য দিবালোকে হার্ডওয়্যারের দোকানে ঢুকে মাথায়

গুলি করে খুন। সিসিটিভি ক্যামেরার সামনে দিয়েই বেরিয়ে যাচ্ছে খুনিরা, কারণ তারা জানে কিছু হবে না। গণপিটুনিতে ১৪ মাসে ২১৬ জন মারা গেছে। গণপিটুনি! সভ্যতার একুশ শতকে একটা দেশে মানুষ পিটিয়ে মারা হচ্ছে, আর রাষ্ট্র তাকিয়ে দেখছে। কারণ যারা ক্ষমতায় আছে, তারা নিজেরাই তো এসেছে সহিংসতার রাস্তা দিয়ে। লাশ বিকৃত করার ঘটনা বাড়ছে। ডাস্টবিনে, নদীতে, ড্রেনে মিলছে লাশ। এই যে নৃশংসতার মাত্রা, এটা একদিনে তৈরি হয়নি। যখন রাষ্ট্র নিজেই বলপ্রয়োগ করে ক্ষমতায় আসে, যখন সংবিধান ভেঙে একটা সরকারকে সরিয়ে দেওয়া হয়, তখন দেশের সাধারণ অপরাধীরাও সাহস পায়। তারাও বুঝে যায় যে আইনের শাসন বলে আর কিছু নেই। যে দেশে ক্যু করে

ক্ষমতা নেওয়া যায়, সেই দেশে খুন করে পার পাওয়াটা কী এমন কঠিন? ইউনূস সরকারের কাছে প্রশ্ন: যে পাঁচ হাজার অস্ত্র লুট হয়েছে, তার দায় কার? যে দেড় হাজার অস্ত্র এখনো রাস্তায় ঘুরছে, সেগুলো উদ্ধারে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে? প্রতি মাসে তেত্রিশটা খুন হচ্ছে রাজধানীতে, এই ব্যর্থতার দায়ভার কে নেবে? নাকি ইউনূস ভাবছেন তার নোবেল পুরস্কারই যথেষ্ট রেফারেন্স, আর কোনো জবাবদিহিতা লাগবে না? এই সরকার নির্বাচিত নয়, তাই তাদের কোনো নৈতিক অধিকার নেই দেশ চালানোর। তারা যতই ‘সংস্কার’ এর কথা বলুক না কেন, বাস্তবতা হলো দেশ এখন আরও অসংস্কারিত, আরও বিশৃঙ্খল, আরও রক্তাক্ত। প্রতিদিন যানবাহনে আগুন, রাস্তায় ককটেল, প্রকাশ্যে গুলি করে খুন –

এই হলো তাদের ‘নতুন বাংলাদেশ’? আসলে যা হচ্ছে তা পরিষ্কার। একটা দেশকে ইচ্ছাকৃতভাবে অস্থিতিশীল করে রাখা হচ্ছে। কারণ যতদিন মানুষ ভয়ে থাকবে, যতদিন প্রতিদিন লাশের খবরে ব্যস্ত থাকবে, ততদিন প্রশ্ন করার সময় পাবে না – কোন অধিকারে এই সরকার ক্ষমতায় আছে? ভয় আর নিরাপত্তাহীনতা হলো অবৈধ শাসকদের সবচেয়ে বড় হাতিয়ার। ইউনূস সরকার সেই হাতিয়ারটাই ব্যবহার করছে পুরোমাত্রায়। বাংলাদেশকে লাশের দেশ বানানোর একটা সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা চলছে বলেই মনে হয়। না হলে একটা সরকার এতটা নিষ্ক্রিয় থাকে কীভাবে? ১৪ মাসে ৪৫৬ খুন, আর সরকারের তরফ থেকে শুধু পরিসংখ্যান! কোনো কঠোর পদক্ষেপ নেই, কোনো দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা নেই, কোনো স্পষ্ট নীতি নেই। আছে শুধু একটা অবৈধ,

অক্ষম, অযোগ্য সরকার, যারা বিদেশি প্রভুদের নির্দেশে চলে, জঙ্গি গোষ্ঠীর সমর্থনে টিকে আছে, আর সামরিক বাহিনীর ছত্রছায়ায় ক্ষমতায় বসে আছে। যে দেশে নির্বাচিত সরকার না থাকে, সে দেশে আইনের শাসন থাকে না। যে দেশে আইনের শাসন থাকে না, সে দেশে মানুষের জীবনের দাম থাকে না। আর যে দেশে মানুষের জীবনের দাম নেই, সেই দেশ আর দেশ থাকে না – হয়ে যায় একটা খোলা জবাইখানা। ইউনূস আর তার দখলদার সরকার ঠিক সেই জবাইখানাটাই তৈরি করেছে বাংলাদেশে।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
অবিনশ্বর বিজয় দিবস ২০২৫ নয় মাস মুক্তিযুদ্ধের পর যেদিন বিজয়ের সূর্য হেসেছিল বাংলার আকাশে দেশবাসীর উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখবেন বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা প্রহসন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা, জনগণের রায় ছাড়াই ক্ষমতার বন্দোবস্ত মানবে না দেশ নিয়াজীর আত্মসমর্পণের চুক্তিনামা নিয়ে আসেন ক্যু করে পদচ্যুত করতে ব্যর্থ হয়ে ইউনুসের কাছে রাষ্ট্রপতি এখন অচ্ছুৎ! সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের লুটপাট: জুলাইয়ের খুনিদের আসল চেহারা ফেব্রুয়ারিতে ভোট, নাকি সংঘর্ষ—সংকটময় মোড়ে বাংলাদেশ বিচারের নামে শেখ হাসিনার সাথে চলছে অবিচার, বিশ্বে নিন্দিত বাংলাদেশ ইনিয়ে-বিনিয়ে পাকিস্তানকে মহিমান্বিত করার চেষ্টা, জুতা মেরে বাঙালির জবাব! একটি জাতিকে পঙ্গু করতেই রাও ফরমানের নীলনকশা, বাস্তবায়নে জামাত প্রহসন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা, জনগণের রায় ছাড়াই ক্ষমতার বন্দোবস্ত মানবে না দেশ মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার বাণী মুক্তিযুদ্ধ ১৯৭১ আত্মসমর্পণের আগের সেই মুহূর্তগুলো এক সাগর রক্তের বিনিময়ে, বাংলার স্বাধীনতা আনলে যারা আমরা তোমাদের ভুলবনা। একাত্তরে তাঁদের সাহস, দৃঢ়তা আর সংকল্প আমাদের এনে দিয়েছিল স্বাধীনতা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় সাংবাদিক আনিস আলমগীরকে আদালতে তোলা হচ্ছে ৭১–কে মুছে ফেলার ষড়যন্ত্রে ইউনুস সরকার: কুচকাওয়াজ বাতিল ও মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন মুছে ফেলা নিয়ে সরব আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম গোয়াইনঘাটে অস্ত্র ও বিস্ফোরক উদ্ধার, গ্রেপ্তার নেই প্রকৃত চোরাকারবারি আড়াল করার অভিযোগ বাংলাদেশকে প্রান্তে ঠেলে দেওয়া যাবে না”: শেখ হাসিনা মুহাম্মদ ইউনুস সরকারকে কড়া সমালোচনা