
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর

বাংলাদেশ ‘মবতন্ত্র’, সহিংসতা শুধু মব নয় – রাজনৈতিক ও ধর্মীয় উদ্দেশ্যপ্রণোদিত

এটর্নি জানারেলের আত্মতুষ্টি আর একটি লাশের জনপদের গল্প

শেভরনের বকেয়া ও জরিমানার দাবি পূরণে ইউনুস সরকারের নতজানু নীতি: ৩৬৬ কোটি টাকা পরিশোধ

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের কাঠমান্ডুগামী ফ্লাইট স্থগিত

বিএফআইইউ প্রধান শাহীনুলের নিয়োগের চুক্তি বাতিল

আগামী সরকারের মন্ত্রীদের জন্য গাড়ি কেনার প্রস্তাব বাতিল

নেপালে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের জন্য জরুরি নির্দেশনা
ভিত্তিহীন অভিযোগে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে প্রাক্তন সচিবদের আটক: অন্তর্বর্তী সরকারের নতুন লক্ষ্য প্রশাসনিক কর্মকর্তারা?

অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে রাজনীতিবিদদের পরে এবার প্রাক্তন প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের অপব্যবহার বেড়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। রাজধানীর শাহবাগ থানার একটি মামলায় সাবেক সচিব ভুঁইয়া মোহাম্মদ শফিকুল ইসলামকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছে আদালত।
জামিনের আবেদন প্রত্যাখ্যানের এই ঘটনা ঘিরে প্রশ্ন উঠেছে, এটা কি সরকারের প্রাক্তন প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের জেলে ভরার মিশনের অংশ? মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আরিফুল ইসলাম রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
এদিন মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবির (ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ) পুলিশ পরিদর্শক মো. আখতার মোর্শেদ আসামিকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। অপরদিকে আসামির জামিনের জন্য আইনজীবীরা আবেদন করেন, কিন্তু রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর মুহাম্মদ
শামসুদ্দোহা সুমন এতে বিরোধিতা করেন। শুনানির পর আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। মামলাটি শাহবাগ থানায় ২৯ আগস্ট দায়ের হয়েছে। অভিযোগে বলা হয়, গতকাল ভোরে পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় অবস্থিত শফিকুল ইসলামের মালিকানাধীন রিসোর্ট ‘আনন্দলোক ইকো রিসোর্ট’ থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এর আগে ২৮ আগস্ট রাতে রাজধানীতে একটি গোপন বৈঠকে আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধ কার্যক্রম পরিচালনা এবং রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তোলা হয়। বৈঠকে ৭০-৮০ জন অংশ নেন বলে দাবি করা হয়েছে, যাতে শফিকুলসহ আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা জড়িত ছিলেন। শাহবাগ থানার এসআই আমিরুল ইসলাম বাদী হয়ে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা দায়ের করেন। পুলিশ জানায়, এই বৈঠকের মাধ্যমে দেশের জননিরাপত্তা বিঘ্নিত করার পরিকল্পনা করা হয়েছিল।
এর আগে গত রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) একই ধরনের অভিযোগে আরেক সাবেক সচিব আবু আলম মোহাম্মদ শহীদ খানকে গ্রেফতার করে শাহবাগ থানায় মামলা করা হয়। অন্তর্বর্তী সরকারকে উৎখাত করার ষড়যন্ত্রের অভিযোগে তাঁকেও কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনাগুলো ঘিরে প্রাক্তন প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। একজন সাবেক কর্মকর্তা বলেন, “এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন এবং রাজনৈতিক প্রতিহিংসার জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে। সন্ত্রাসবিরোধী আইনের অপব্যবহার করে জামিনও দেওয়া হচ্ছে না, যা মৌলিক অধিকারের লঙ্ঘন।” অন্তর্বর্তী সরকার গত বছরের জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর ক্ষমতায় এসেছে। এরপর থেকে আওয়ামী লীগকে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবং দলীয় নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যাপক গ্রেপ্তারি অভিযান চলছে। মে মাসে আওয়ামী লীগের সকল
কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে, যা জাতীয় নিরাপত্তার কারণে করা হয়েছে বলে সরকার দাবি করেছে। এর ফলে শত শত নেতা-কর্মী গ্রেফতার হয়েছেন। কিন্তু সাম্প্রতিককালে প্রাক্তন সচিবদের মতো উচ্চপদস্থ প্রশাসনিক কর্মকর্তাদেরও এই আইনের জালে ফেলা হচ্ছে, যা রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অভিযোগ তুলেছে। আইনজীবী সমিতির সদস্যরা বলছেন, সন্ত্রাসবিরোধী আইনের অধীনে জামিন প্রাপ্তি কঠিন, কারণ এটি জাতীয় নিরাপত্তার সঙ্গে যুক্ত। কিন্তু অভিযোগগুলো যদি ভিত্তিহীন হয়, তাহলে এটা মানবাধিকার লঙ্ঘনের সৃষ্টি করছে। সরকারের পক্ষ থেকে এখনও কোনো বক্তব্য আসেনি। এই ঘটনা দেশের প্রশাসনিক কাঠামোতে অস্থিরতা বাড়াতে পারে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।
শামসুদ্দোহা সুমন এতে বিরোধিতা করেন। শুনানির পর আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। মামলাটি শাহবাগ থানায় ২৯ আগস্ট দায়ের হয়েছে। অভিযোগে বলা হয়, গতকাল ভোরে পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় অবস্থিত শফিকুল ইসলামের মালিকানাধীন রিসোর্ট ‘আনন্দলোক ইকো রিসোর্ট’ থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এর আগে ২৮ আগস্ট রাতে রাজধানীতে একটি গোপন বৈঠকে আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধ কার্যক্রম পরিচালনা এবং রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তোলা হয়। বৈঠকে ৭০-৮০ জন অংশ নেন বলে দাবি করা হয়েছে, যাতে শফিকুলসহ আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা জড়িত ছিলেন। শাহবাগ থানার এসআই আমিরুল ইসলাম বাদী হয়ে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা দায়ের করেন। পুলিশ জানায়, এই বৈঠকের মাধ্যমে দেশের জননিরাপত্তা বিঘ্নিত করার পরিকল্পনা করা হয়েছিল।
এর আগে গত রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) একই ধরনের অভিযোগে আরেক সাবেক সচিব আবু আলম মোহাম্মদ শহীদ খানকে গ্রেফতার করে শাহবাগ থানায় মামলা করা হয়। অন্তর্বর্তী সরকারকে উৎখাত করার ষড়যন্ত্রের অভিযোগে তাঁকেও কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনাগুলো ঘিরে প্রাক্তন প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। একজন সাবেক কর্মকর্তা বলেন, “এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন এবং রাজনৈতিক প্রতিহিংসার জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে। সন্ত্রাসবিরোধী আইনের অপব্যবহার করে জামিনও দেওয়া হচ্ছে না, যা মৌলিক অধিকারের লঙ্ঘন।” অন্তর্বর্তী সরকার গত বছরের জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর ক্ষমতায় এসেছে। এরপর থেকে আওয়ামী লীগকে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবং দলীয় নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যাপক গ্রেপ্তারি অভিযান চলছে। মে মাসে আওয়ামী লীগের সকল
কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে, যা জাতীয় নিরাপত্তার কারণে করা হয়েছে বলে সরকার দাবি করেছে। এর ফলে শত শত নেতা-কর্মী গ্রেফতার হয়েছেন। কিন্তু সাম্প্রতিককালে প্রাক্তন সচিবদের মতো উচ্চপদস্থ প্রশাসনিক কর্মকর্তাদেরও এই আইনের জালে ফেলা হচ্ছে, যা রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অভিযোগ তুলেছে। আইনজীবী সমিতির সদস্যরা বলছেন, সন্ত্রাসবিরোধী আইনের অধীনে জামিন প্রাপ্তি কঠিন, কারণ এটি জাতীয় নিরাপত্তার সঙ্গে যুক্ত। কিন্তু অভিযোগগুলো যদি ভিত্তিহীন হয়, তাহলে এটা মানবাধিকার লঙ্ঘনের সৃষ্টি করছে। সরকারের পক্ষ থেকে এখনও কোনো বক্তব্য আসেনি। এই ঘটনা দেশের প্রশাসনিক কাঠামোতে অস্থিরতা বাড়াতে পারে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।