
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর

স্বাধীনতা দিবস শুধু উদযাপন নয়, দায়িত্বও মনে করিয়ে দেয়: আফ্রিদি

‘ট্রাম্প পুতিন বৈঠকে জেলেনস্কির উপস্থিতি প্রয়োজন নেই’

‘আমাকে বাঁচাও’ লিখে প্রেমিকার মেসেজ, এরপরই মিলল মরদেহ

‘ট্রাম্প পুতিন বৈঠকে জেলেনস্কির উপস্থিতি প্রয়োজন নেই’

ইসরায়েল পুড়ছে রেকর্ড তাপমাত্রায়

ইতালি উপকূলে অভিবাসীবাহী নৌকা ডুবে ২৬ জনের মৃত্যু

ভারতকে পাক সেনাপ্রধানের পরমাণু যুদ্ধের হুমকি, যা বলল যুক্তরাষ্ট্র
বাইডেনের ছেলের বিরুদ্ধে বিপুল অঙ্কের মানহানি মামলার হুমকি মেলানিয়ার

যুক্তরাষ্ট্রের ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্প সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ছেলে হান্টার বাইডেনের বিরুদ্ধে ১০০ কোটি ডলারের মানহানি মামলা করার হুমকি দিয়েছেন। বহুল আলোচিত যৌন নিপীড়ক জেফরি এপস্টেইনের সঙ্গে তাকে যুক্ত করে দেওয়া হান্টারের মন্তব্যের জেরে এ পদক্ষেপে নেওয়ার কথা জানান মেলানিয়ার আইনজীবীরা। খবর বিবিসির।
চলতি মাসের শুরুর দিকে চলচ্চিত্র নির্মাতা অ্যান্ড্রু ক্যালাহানকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে হান্টার বাইডেন দাবি করেন, এপস্টেইনের অপ্রকাশিত নথিতে ডোনাল্ড ট্রাম্পের নাম রয়েছে এবং এপস্টেইনই মেলানিয়ার সঙ্গে ট্রাম্পের পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন।
মেলানিয়ার আইনজীবীরা এই মন্তব্যকে ‘মিথ্যা, অপমানজনক, মানহানিকর ও উসকানিমূলক’ আখ্যা দিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। হান্টারের আইনজীবীর কাছে পাঠানো আইনি নোটিশে বলা হয়, তিনি যদি বক্তব্য প্রত্যাহার করে প্রকাশ্যে
ক্ষমা না চান, তবে ১০০ কোটি ডলারের বেশি আর্থিক ক্ষতিপূরণ দাবি করে মামলা করা হবে। চিঠিতে আরও অভিযোগ করা হয়, হান্টারের এই মন্তব্য সামাজিক মাধ্যমে এবং গণমাধ্যমে পুনঃপ্রচারের ফলে ফার্স্ট লেডি মারাত্মক সুনামহানি ও আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন। যদিও ট্রাম্প অতীতে এপস্টেইনের সঙ্গে পরিচয়ের কথা অস্বীকার করেননি, তবে দাবি করেছেন—চলতি শতকের শুরুর দিকে তাদের মধ্যে সম্পর্ক ছিন্ন হয়। পরবর্তীতে ২০০৫ সালে তিনি মেলানিয়াকে বিয়ে করেন। আইনি নোটিশে হান্টারের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয় যে, তিনি দীর্ঘদিন ধরে অন্যদের নাম ব্যবহার করে ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিলের চেষ্টা করছেন এবং মেলানিয়াকে লক্ষ্যবস্তু করে কেবল জনদৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাইছেন। এই নোটিশ পাঠানো হয়েছে এমন সময়, যখন এপস্টেইন সংক্রান্ত নথি
প্রকাশের বিষয়ে হোয়াইট হাউস চাপে রয়েছে। অনেকের ধারণা, এপস্টেইনের কাছে যৌন শোষণ সুবিধাভোগীদের একটি তালিকা আছে, যা ‘এপস্টেইন ফাইলস’ নামে পরিচিত। নির্বাচনের আগে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছিলেন, ক্ষমতায় ফিরলে তিনি এই নথি প্রকাশ করবেন। তবে চলতি বছরের জুলাইয়ে এফবিআই ও বিচার বিভাগ জানায়, তাদের কাছে এমন কোনো তালিকা নেই। নোটিশে বলা হয়, হান্টারের দাবি আংশিকভাবে এসেছে সাংবাদিক মাইকেল উলফের উদ্ধৃতি থেকে—যিনি ট্রাম্পের সমালোচনামূলক জীবনী লিখেছেন। সম্প্রতি ডেইলি বিস্ট-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে উলফ বলেন, মেলানিয়ার সঙ্গে ট্রাম্পের পরিচয়ের আগে তিনি এপস্টেইন ও ট্রাম্পের এক সহযোগীর পরিচিত ছিলেন। তবে চিঠি পাওয়ার পর ডেইলি বিস্ট প্রতিবেদনটি সরিয়ে নেয় এবং বিষয়বস্তু ও শিরোনাম নিয়ে ভুলের জন্য
দুঃখ প্রকাশ করে। এপস্টেইনের মাধ্যমে মেলানিয়া ও ট্রাম্পের পরিচয়ের কোনো প্রমাণ এখনো পাওয়া যায়নি। যৌন নিপীড়নের দায়ে অভিযুক্ত এপস্টেইন ২০১৯ সালে বিচার শুরুর আগে কারাগারে আত্মহত্যা করেন। ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে হার্পারস বাজার ফ্যাশন ম্যাগাজিনে প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে মেলানিয়া জানান, ১৯৯৮ সালের নভেম্বরে নিউইয়র্কে এক মডেলিং এজেন্সির প্রতিষ্ঠাতার আয়োজিত পার্টিতে ট্রাম্পের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। সে সময় তিনি ফোন নম্বর দিতে অস্বীকৃতি জানান, কারণ ট্রাম্প তখন অন্য এক নারীসঙ্গী নিয়ে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। ওই ম্যাগাজিন জানায়, তখন ট্রাম্প দ্বিতীয় স্ত্রী মারলা মেপলসের সঙ্গে বিচ্ছিন্নভাবে বসবাস করছিলেন এবং ১৯৯৯ সালে তাদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়। এর আগে ১৯৭৭ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত তিনি ইভানা ট্রাম্পের সঙ্গে বৈবাহিক
সম্পর্কে ছিলেন।
ক্ষমা না চান, তবে ১০০ কোটি ডলারের বেশি আর্থিক ক্ষতিপূরণ দাবি করে মামলা করা হবে। চিঠিতে আরও অভিযোগ করা হয়, হান্টারের এই মন্তব্য সামাজিক মাধ্যমে এবং গণমাধ্যমে পুনঃপ্রচারের ফলে ফার্স্ট লেডি মারাত্মক সুনামহানি ও আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন। যদিও ট্রাম্প অতীতে এপস্টেইনের সঙ্গে পরিচয়ের কথা অস্বীকার করেননি, তবে দাবি করেছেন—চলতি শতকের শুরুর দিকে তাদের মধ্যে সম্পর্ক ছিন্ন হয়। পরবর্তীতে ২০০৫ সালে তিনি মেলানিয়াকে বিয়ে করেন। আইনি নোটিশে হান্টারের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয় যে, তিনি দীর্ঘদিন ধরে অন্যদের নাম ব্যবহার করে ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিলের চেষ্টা করছেন এবং মেলানিয়াকে লক্ষ্যবস্তু করে কেবল জনদৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাইছেন। এই নোটিশ পাঠানো হয়েছে এমন সময়, যখন এপস্টেইন সংক্রান্ত নথি
প্রকাশের বিষয়ে হোয়াইট হাউস চাপে রয়েছে। অনেকের ধারণা, এপস্টেইনের কাছে যৌন শোষণ সুবিধাভোগীদের একটি তালিকা আছে, যা ‘এপস্টেইন ফাইলস’ নামে পরিচিত। নির্বাচনের আগে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছিলেন, ক্ষমতায় ফিরলে তিনি এই নথি প্রকাশ করবেন। তবে চলতি বছরের জুলাইয়ে এফবিআই ও বিচার বিভাগ জানায়, তাদের কাছে এমন কোনো তালিকা নেই। নোটিশে বলা হয়, হান্টারের দাবি আংশিকভাবে এসেছে সাংবাদিক মাইকেল উলফের উদ্ধৃতি থেকে—যিনি ট্রাম্পের সমালোচনামূলক জীবনী লিখেছেন। সম্প্রতি ডেইলি বিস্ট-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে উলফ বলেন, মেলানিয়ার সঙ্গে ট্রাম্পের পরিচয়ের আগে তিনি এপস্টেইন ও ট্রাম্পের এক সহযোগীর পরিচিত ছিলেন। তবে চিঠি পাওয়ার পর ডেইলি বিস্ট প্রতিবেদনটি সরিয়ে নেয় এবং বিষয়বস্তু ও শিরোনাম নিয়ে ভুলের জন্য
দুঃখ প্রকাশ করে। এপস্টেইনের মাধ্যমে মেলানিয়া ও ট্রাম্পের পরিচয়ের কোনো প্রমাণ এখনো পাওয়া যায়নি। যৌন নিপীড়নের দায়ে অভিযুক্ত এপস্টেইন ২০১৯ সালে বিচার শুরুর আগে কারাগারে আত্মহত্যা করেন। ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে হার্পারস বাজার ফ্যাশন ম্যাগাজিনে প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে মেলানিয়া জানান, ১৯৯৮ সালের নভেম্বরে নিউইয়র্কে এক মডেলিং এজেন্সির প্রতিষ্ঠাতার আয়োজিত পার্টিতে ট্রাম্পের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। সে সময় তিনি ফোন নম্বর দিতে অস্বীকৃতি জানান, কারণ ট্রাম্প তখন অন্য এক নারীসঙ্গী নিয়ে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। ওই ম্যাগাজিন জানায়, তখন ট্রাম্প দ্বিতীয় স্ত্রী মারলা মেপলসের সঙ্গে বিচ্ছিন্নভাবে বসবাস করছিলেন এবং ১৯৯৯ সালে তাদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়। এর আগে ১৯৭৭ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত তিনি ইভানা ট্রাম্পের সঙ্গে বৈবাহিক
সম্পর্কে ছিলেন।