ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
টিউলিপ সিদ্দিকের পদত্যাগ ও ইউনুস সরকারের ধাক্কা
জনগণের আশা পূরণে ব্যর্থ অন্তর্বর্তীকালীন সরকার
কাঁটাতার নিয়ে সংঘাত; ভারতীয় হাই কমিশনারকে তলব
ভেঙে গেলো মুক্তধারা ফাউন্ডেশন ড. নুরুন্নবীর পদত্যাগ
তিনটি দেশের গোয়েন্দা সংস্থা আমার গতিবিধি পর্যবেক্ষণ শুরু করে: জুলকারনাইন সায়ের
পুতিনের হেলিকপ্টারে শক্তিশালী হচ্ছে বাংলাদেশ
এবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে পদত্যাগ করছেন পুতুল?
প্রাণঘাতী অস্ত্র ও গুলির হিসাব চায় প্রসিকিউশন
কোটা সংস্কার আন্দোলন ও অভ্যুত্থানে বিক্ষোভকারী ছাত্র-জনতার ওপর প্রাণঘাতী অস্ত্র ও গুলি কী পরিমাণ ব্যবহার হয়েছে তার তথ্য চেয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন। সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন বাহিনীর কাছে এ-সংক্রান্ত চিঠি পাঠানো হয়েছে। চিঠিতে এসব অস্ত্র-গুলি ব্যবহারের আইনগত বৈধতার বিষয়েও জানতে চাওয়া হয়েছে। এদিকে আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ন্যায়বিচারের স্বার্থে এসব তথ্য গুরুত্বপূর্ণ।
জানতে চাইলে প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম রোববার বলেন, জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের সময় পুলিশ বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যবহৃত মারণাস্ত্র এবং যেসব বুলেট ব্যবহৃত হয়েছে তার একটি পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট আমরা সরকারের কাছে চেয়েছি। আন্দোলনের সময় কী কী অস্ত্র ব্যবহার হয়েছে, কত রাউন্ড গুলি তারা ব্যবহার করেছে, কতগুলো অস্ত্র ব্যবহার হয়েছে এবং
এর মধ্যে কতগুলো অস্ত্র ব্যবহারে আইনগত বৈধতা ছিল-সে-সংক্রান্ত তথ্য চাওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের কতগুলো অস্ত্র পুলিশ বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যবহার করে জমা দিয়েছে। কোন কোন পুলিশ এবং কত সংখ্যক পুলিশ/আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য সারা দেশে নিয়োজিত ছিল তার রেকর্ড আমরা চেয়েছি। কোটা সংস্কার আন্দোলন ও ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে অন্তত ৮২৪ জন মানুষ নিহত হন। আহত হন ৩০ হাজারের বেশি মানুষ। গুলিতে বেশির ভাগ মানুষের মৃত্যু ঘটে। এসব বিক্ষোভকারীর ওপর প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ছাত্র-জনতা হত্যার পর এখন প্রশ্ন উঠেছে পুলিশের প্রাণঘাতী অস্ত্রের ব্যবহার নিয়ে। এসব ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের ২ শতাধিক অভিযোগ জমা পড়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন ও তদন্ত
সংস্থায়। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, এমপিসহ সহস্রাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ আনে আন্দোলনে নিহত ও আহতদের পরিবার। ইতোমধ্যে সেখানে বিচার শুরুর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম বলেন, যেহেতু ঘটনাগুলো দেশব্যাপী, সেজন্য এখনো আমাদের কাছে সব রেকর্ড এসে পৌঁছায়নি। কিছু কিছু রিপোর্ট এসেছে যেগুলো তদন্ত সংস্থা পর্যালোচনা করছে। পর্যালোচনার পর জানা যাবে যে, এগুলোর বর্তমান অবস্থান কী। তিনি বলেন, পুলিশ বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, আইনবহির্ভূতভাবে অস্ত্র ব্যবহার করেছে কিনা সেটি জানা দরকার। যদি আইনবহির্ভূতভাবে এ ধরনের অস্ত্র বা গোলাবারুদ কেউ ব্যবহার করে থাকে, তাহলে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিচারের আওতায় আনা হবে। প্রসিকিউটর
বলেন, প্রসিকিউশন পুনর্গঠন হওয়ার পর থেকে জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে নিহত এবং আহতদের বিচারের জন্য তদন্ত কাজ শুরু হয়েছে। আমাদের তত্ত্বাবধানে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা দিনরাত কাজ করছে। রাজধানী ও দেশের বিভিন্ন জেলায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সাক্ষী এবং আন্দোলনে আহতদের জবানবন্দি সংগ্রহ করা হচ্ছে। ঘটনার ডকুমেন্টারি, প্রমাণ সংগ্রহ করছি। এক প্রশ্নের জবাবে প্রসিকিউটর তামিম বলেন, আমরা যদি তদন্তে প্রাথমিক সত্যতা পাই কোনো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য অথবা কোনো কর্মকর্তা বে-আইনিভাবে কোনো মারণাস্ত্র ব্যবহার করেছেন বা কেন গুলি করেছেন সাধারণ নিরীহ নিরস্ত্র ছাত্র-জনতার ওপর-এতে কোনো ছাত্র-জনতা আহত হয়েছেন বা নিহত হয়েছেন তাহলে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেব। ট্রাইব্যুনালের আইনে তারা যে শাস্তি পাওয়ার সেটা
তারা পাবে। সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলেন, মামলার তদন্তের স্বার্থে এসব এভিডেন্স গুরুত্বপূর্ণ। প্রসিকিউশন এগুলো চাইতে পারেন। এটি আরও আগে চাওয়া দরকার ছিল। কারণ, থানাগুলোতে আক্রমণ হয়েছে, আগুন দেওয়া হয়েছে। এখন এসব গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্টস পাবেন কিনা সংশয় রয়েছে। তিনি বলেন, আইন অনুযায়ী থানায় একটি রেজিস্টার মেনটেইন করা হয়। কতগুলো গুলি ব্যবহার হয়েছে, কতগুলো জমা হয়েছে। কারা কারা ডিউটিতে ছিলেন। সেগুলো রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ তাকে। আন্দোলনের পরপরই উদ্যোগ নেওয়া হলে এসব ডকুমেন্টস পাওয়া যেত।
এর মধ্যে কতগুলো অস্ত্র ব্যবহারে আইনগত বৈধতা ছিল-সে-সংক্রান্ত তথ্য চাওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের কতগুলো অস্ত্র পুলিশ বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যবহার করে জমা দিয়েছে। কোন কোন পুলিশ এবং কত সংখ্যক পুলিশ/আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য সারা দেশে নিয়োজিত ছিল তার রেকর্ড আমরা চেয়েছি। কোটা সংস্কার আন্দোলন ও ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে অন্তত ৮২৪ জন মানুষ নিহত হন। আহত হন ৩০ হাজারের বেশি মানুষ। গুলিতে বেশির ভাগ মানুষের মৃত্যু ঘটে। এসব বিক্ষোভকারীর ওপর প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ছাত্র-জনতা হত্যার পর এখন প্রশ্ন উঠেছে পুলিশের প্রাণঘাতী অস্ত্রের ব্যবহার নিয়ে। এসব ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের ২ শতাধিক অভিযোগ জমা পড়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন ও তদন্ত
সংস্থায়। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, এমপিসহ সহস্রাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ আনে আন্দোলনে নিহত ও আহতদের পরিবার। ইতোমধ্যে সেখানে বিচার শুরুর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম বলেন, যেহেতু ঘটনাগুলো দেশব্যাপী, সেজন্য এখনো আমাদের কাছে সব রেকর্ড এসে পৌঁছায়নি। কিছু কিছু রিপোর্ট এসেছে যেগুলো তদন্ত সংস্থা পর্যালোচনা করছে। পর্যালোচনার পর জানা যাবে যে, এগুলোর বর্তমান অবস্থান কী। তিনি বলেন, পুলিশ বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, আইনবহির্ভূতভাবে অস্ত্র ব্যবহার করেছে কিনা সেটি জানা দরকার। যদি আইনবহির্ভূতভাবে এ ধরনের অস্ত্র বা গোলাবারুদ কেউ ব্যবহার করে থাকে, তাহলে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিচারের আওতায় আনা হবে। প্রসিকিউটর
বলেন, প্রসিকিউশন পুনর্গঠন হওয়ার পর থেকে জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে নিহত এবং আহতদের বিচারের জন্য তদন্ত কাজ শুরু হয়েছে। আমাদের তত্ত্বাবধানে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা দিনরাত কাজ করছে। রাজধানী ও দেশের বিভিন্ন জেলায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সাক্ষী এবং আন্দোলনে আহতদের জবানবন্দি সংগ্রহ করা হচ্ছে। ঘটনার ডকুমেন্টারি, প্রমাণ সংগ্রহ করছি। এক প্রশ্নের জবাবে প্রসিকিউটর তামিম বলেন, আমরা যদি তদন্তে প্রাথমিক সত্যতা পাই কোনো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য অথবা কোনো কর্মকর্তা বে-আইনিভাবে কোনো মারণাস্ত্র ব্যবহার করেছেন বা কেন গুলি করেছেন সাধারণ নিরীহ নিরস্ত্র ছাত্র-জনতার ওপর-এতে কোনো ছাত্র-জনতা আহত হয়েছেন বা নিহত হয়েছেন তাহলে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেব। ট্রাইব্যুনালের আইনে তারা যে শাস্তি পাওয়ার সেটা
তারা পাবে। সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলেন, মামলার তদন্তের স্বার্থে এসব এভিডেন্স গুরুত্বপূর্ণ। প্রসিকিউশন এগুলো চাইতে পারেন। এটি আরও আগে চাওয়া দরকার ছিল। কারণ, থানাগুলোতে আক্রমণ হয়েছে, আগুন দেওয়া হয়েছে। এখন এসব গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্টস পাবেন কিনা সংশয় রয়েছে। তিনি বলেন, আইন অনুযায়ী থানায় একটি রেজিস্টার মেনটেইন করা হয়। কতগুলো গুলি ব্যবহার হয়েছে, কতগুলো জমা হয়েছে। কারা কারা ডিউটিতে ছিলেন। সেগুলো রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ তাকে। আন্দোলনের পরপরই উদ্যোগ নেওয়া হলে এসব ডকুমেন্টস পাওয়া যেত।