ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
কারাগারে থাকা সাবেক মন্ত্রীর স্ট্যাটাস ‘ভাইরাল’, যা বলল কারা অধিদপ্তর
‘ভদ্র ভাষায়’ শাওনকে ধুয়ে দিলেন শফিকুল আলম!
জেল থেকে দেওয়া আওয়ামী লীগ মন্ত্রীর ফেসবুক পোস্ট ভাইরাল
কারাগারে বসেই নিজের মৃত্যুর খবর শুনেছেন সাবেক বিচারপতি মানিক
দুই বাংলাদেশিকে রাশিয়ায় পাচার, জোর করে নামানো হয়েছে যুদ্ধে
বাংলাদেশের রাজনীতিতে ঘটনাবহুল হতে চলেছে সদ্য শুরু হওয়া ফেব্রুয়ারি!
ঘন কুয়াশায় শাহজালালে নামতে না পেরে ৩টি বিমান গেল কলকাতায়
পুলিশকে গাড়ি ‘উপহারের’ ঘোষণা দিয়ে চাঁদাবাজি, নির্ঘুম এলাকাবাসী
ঢাকার কামরাঙ্গীরচর থানার সুলতানগঞ্জ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান হাজি মো. মনির হোসেন। তিনি সব সময় ক্যাডার বাহিনী নিয়ে চলাচল করেন; তারা খুবই হিংস প্রকৃতির। তারা সব স্থান থেকে চাঁদা তুলেন। এমনকি পুলিশের নাম ভাঙিয়ে বেপরোয়া চাঁদাবাজি শুরু করেন মুনির। তার বিনিময়ে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কাজে সহযোগিতার জন্য পুলিশকে দুটো গাড়ি ‘উপহার’ দেওয়ার ঘোষণা দেন তিনি। মনির এবং তার ক্যাডার বাহিনীর অপরাধের দায় পড়ছে বিএনপির ওপর। হাজি মনিরের চাঁদাবাজির কাণ্ডে কামরাঙ্গীরচরবাসীর চোখের ঘুম চলে গেছে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, পুলিশের কাজে সহযোগিতার জন্য কামরাঙ্গীরচর থানা পুলিশকে দুটো গাড়ি ‘উপহার’ দেওয়ার ঘোষণা দেন হাজি মনির। এরপর পুলিশের নাম ভাঙিয়ে বেপরোয়া চাঁদাবাজি শুরু করেন। বিষয়টি পুলিশ
জানতে পারলে তাকে ডেকে নিয়ে পুলিশ কারও গাড়ি নেবে না বলে জানিয়ে দেয়। পাশাপাশি কারও কাছ থেকে চাঁদা নিয়ে থাকলে সেসব টাকা ফেরত দিয়ে দিতে বলেন। এরপর কয়েকজনের টাকা ফেরত দিলেও সিংহভাগ টাকা তিনি আত্মসাৎ করেছেন। সরেজমিন ঘুরে এবং স্থানীয়দের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, হাজি মনির এবং তার ক্যাডার বাহিনী ব্যক্তিস্বার্থে এসব দখলদারিত্ব করলেও এসব অপরাধের দায় পড়ছে বিএনপির ওপর। বিষয়টি নিয়ে কামরাঙ্গীরচর থানা বিএনপির অন্য সৎ নেতাকর্মীরা ক্ষুব্ধ। তারাও এসব অনিয়ম-দুর্নীতির বিচার চান। ইতোমধ্যে এসব ঘটনায় কামরাঙ্গীরচর থানায় সাধারণ ডায়েরি এবং মামলা দায়ের হয়েছে। পাশাপাশি এসবের প্রতিকার চেয়ে এবং মাসে কোটি টাকার বেশি চাঁদাবাজি করার ঘটনা বন্ধ করতে এলাকাবাসীর
পক্ষ থেকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি বিএনপির মহানগর ও কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অভিযোগ দিয়েছেন দলটির স্থানীয় নেতাকর্মী। আরও জানা গেছে, হাজি মনির কামরাঙ্গীরচর থানা এলাকার সাবেক সুলতানগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছিলেন। সে সময়ও তার বিরুদ্ধে দখল-চাঁদাবাজির বিস্তর অভিযোগ ছিল। বর্তমানে মহানগর কমিটির বিএনপির নেতা হওয়ার পরও তার আগ্রহ কামরাঙ্গীরচরে। ক্যাডার বাহিনীর মাধ্যমে হাজি মনির ওই এলাকায় এমন ভীতিকর পরিবেশ তৈরি করেছেন যে-প্রকাশ্যে কেউ তার বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস করছেন না। এমনকি বিএনপির কর্মীদেরও ব্যবসা-বাণিজ্য দখল করে নেওয়ার ঘটনা ঘটিয়েছেন। অনুসন্ধানে জানা গেছে, আইন বহির্ভূতভাবে নিজে জমিজমার সালিশি কেন্দ্র খুলে বসেছেন। প্রতিদিন সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলে তার সালিশবাজি। মূলত সালিশের
নামে চলছে তার জবরদস্তি করে অর্থ আদায়। কোনো আইন-কানুনের তোয়াক্কা করছেন না। তার কথায় এখন আইন; পুলিশ এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও তাকে সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে। তার ক্যাডার হিসাবে তালিকার শীর্ষে রয়েছে-৫৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির যুগ্ম-সম্পাদক মো. রহমতুল্লাহ, ৫৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য মো. ছিদ্দিক মিয়া, হাজি মনিরের ঘনিষ্ঠজন এবং বিএনপির কর্মী মো. পারভেজ এবং হাজি মনিরের ভাজিদা সাইফুল ইসলাম। সংশ্লিষ্টরা জানায়, গত ৫ আগস্টের পর নতুন করে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ৭৫টি ওয়ার্ডে দরপত্রের নিয়ম মেনে বাসা-বাড়ি, দোকানপাট থেকে আবর্জনা সংগ্রহে ঠিকাদার নিয়োগ করে। প্রয়োজনীয় সব প্রক্রিয়া অনুসরণ করে ডিএসসিসির ৫৭ নম্বর ওয়ার্ডের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এফটি ডেভেলপার্স নামের প্রতিষ্ঠান ওই
ওয়ার্ডের আবর্জনা পরিষ্কারের কাজ পায়। ওই প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী প্রকৌশলী আবুল হাসনাতের লোকবল ওয়ার্ডের বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় বর্জ্য সংগ্রহ করতে গেলে গত ১ সেপ্টেম্বর হাজি মনির বাধা দেয়। তার নির্দেশে মনির চেয়ারম্যানের ভাতিজা সাইফুলের নেতৃত্বে দলবল নিয়ে বর্জ্য সংগ্রহকারীদের মারধর করে বর্জ্য সংগ্রহের ভ্যানগাড়ি আটক ও ভাঙচুর করে। একই সঙ্গে ঠিকাদারকে কাজ ছেড়ে দিতে চাপ দেয়; অন্যথায় তাকে মেরে ফেলা হবে-এমন হুমকি দেন। সংশ্লিষ্টরা আরও জানায়, হাজি মনির চেয়ারম্যান স্থানীয়ভাবে সব সময় ক্যাডার বাহিনী নিয়ে চলাচল করে। তারা খুবই হিংস প্রকৃতির। এজন্য ওই ঠিকাদার আপস-মীমাংসা করতে যান ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক রফিকুল আলম মজনুর কাছে। সেখানে ঠিকাদারকে মারতে তেড়ে যান হাজি মনির।
নিজের ব্যবসা বহাল রাখার জন্য কোনো উপায় পাচ্ছিল না ঠিকাদার। বিগত প্রায় পাঁচ মাস মনির চেয়ারম্যান অবৈধভাবে ভিন্ন রিসিট করে প্রায় ১ কোটি টাকা তুলে নিয়ে গেছে। অবশেষে ঠিকাদার নিজের জীবন ও ব্যবসা বাঁচাতে কামরাঙ্গীরচর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। সেখানে তিনি হাজি মনির ও তার ভাতিজা সাইফুল ইসলামসহ ৫ জনকে অভিযুক্ত করেছেন। শুধু ময়লা নয়, কামরাঙ্গীরচরের সব ধরনের কার্যক্রম থেকে টাকা তুলছেন হাজি মনিরের ক্যাডার ব্যাহিনী। জিডি, মামলা ও এক-দুজন প্রতিবাদ করলেও তিনি সেগুলোর কোনো পাত্তা দিচ্ছেন না। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান এফটি ডেভেলপার্স লিমিটেডের স্বত্বাধিকারী প্রকৌশলী মো. আবুল হাসনাত বলেন, দক্ষিণ সিটি করপোরেশন থেকে যথাযথ নিয়ম অনুসরণ করে আমার প্রতিষ্ঠান ৫৭ নম্বর ওয়ার্ডে
বর্জ্য অপসারণ কাজ পেয়েছে। কিন্তু শুরু থেকে আমার প্রতিষ্ঠানের কাজ করতে বাধা দিয়েছে হাজি মনির চেয়ারম্যান এবং তার লোকজন। কিছুদিন তারা আবর্জনা পরিষ্কার করে টাকাও তুলেছে। এক পর্যায়ে আমাকে হত্যার হুমকিও দিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, এক পর্যায়ে বাধ্য হয়ে তাদের বিরুদ্ধে কামরাঙ্গীরচর থানায় অভিযোগ দিয়েছি। সিটি করপোরেশন ও বিএনপির উচ্চ পর্যায়ের দলীয় নেতাকর্মীদের জানিয়েছি। সবশেষ তারা আমার কাজের ইজারা বাতিল করতে সিটি করপোরেশনে মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছে। আমি তার জবাবও দিয়েছি। তারা নানাভাবে আমাকে হয়রানি করে চলেছে। মনির চেয়ারম্যানের ভাতিজা সাইফুল ইসলাম বলেন, ওই আবর্জনার দরপত্রে আমরাও অংশ নিয়েছিলাম। কিন্তু আমরা কাজ পাইনি। এফটি ডেভেলপার্স কাজ পেয়ে আর একজনকে দিয়ে বাস্তবায়ন করছে। সে তার ব্যর্থতা ঢাকতে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করছে। আর চাঁদাবাজি-দখলবাজি অন্যরা করে আমাদের ওপর দায় চাপাচ্ছে। সুনির্দিষ্ট বিষয়গুলো তুলে ধরলে বলেন-মিথ্যা, সবই মিথ্যা। হাজি মনির হোসেন বলেন, এসব অভিযোগের কোনো সত্যতা নেই। আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। জিডি, মামলা, দলীয় নেতাদের কাছে অভিযোগ এবং স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে অভিযোগ একইসূত্রে গাঁথা। তবে তার কর্মীরা চাঁদাবাজি করতে গিয়ে আটক হওয়া এবং পুলিশ গাড়ি নিতে অস্বীকৃতি জানানোর বিষয় উল্লেখ করলে বলেন, ‘ভাই উদ্দেশ্যমূলকভাবে আমার প্রতিপক্ষ এসব অপপ্রচার চালাচ্ছে। ওসব কথা বিশ্বাস কইরেন না।’
জানতে পারলে তাকে ডেকে নিয়ে পুলিশ কারও গাড়ি নেবে না বলে জানিয়ে দেয়। পাশাপাশি কারও কাছ থেকে চাঁদা নিয়ে থাকলে সেসব টাকা ফেরত দিয়ে দিতে বলেন। এরপর কয়েকজনের টাকা ফেরত দিলেও সিংহভাগ টাকা তিনি আত্মসাৎ করেছেন। সরেজমিন ঘুরে এবং স্থানীয়দের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, হাজি মনির এবং তার ক্যাডার বাহিনী ব্যক্তিস্বার্থে এসব দখলদারিত্ব করলেও এসব অপরাধের দায় পড়ছে বিএনপির ওপর। বিষয়টি নিয়ে কামরাঙ্গীরচর থানা বিএনপির অন্য সৎ নেতাকর্মীরা ক্ষুব্ধ। তারাও এসব অনিয়ম-দুর্নীতির বিচার চান। ইতোমধ্যে এসব ঘটনায় কামরাঙ্গীরচর থানায় সাধারণ ডায়েরি এবং মামলা দায়ের হয়েছে। পাশাপাশি এসবের প্রতিকার চেয়ে এবং মাসে কোটি টাকার বেশি চাঁদাবাজি করার ঘটনা বন্ধ করতে এলাকাবাসীর
পক্ষ থেকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি বিএনপির মহানগর ও কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অভিযোগ দিয়েছেন দলটির স্থানীয় নেতাকর্মী। আরও জানা গেছে, হাজি মনির কামরাঙ্গীরচর থানা এলাকার সাবেক সুলতানগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছিলেন। সে সময়ও তার বিরুদ্ধে দখল-চাঁদাবাজির বিস্তর অভিযোগ ছিল। বর্তমানে মহানগর কমিটির বিএনপির নেতা হওয়ার পরও তার আগ্রহ কামরাঙ্গীরচরে। ক্যাডার বাহিনীর মাধ্যমে হাজি মনির ওই এলাকায় এমন ভীতিকর পরিবেশ তৈরি করেছেন যে-প্রকাশ্যে কেউ তার বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস করছেন না। এমনকি বিএনপির কর্মীদেরও ব্যবসা-বাণিজ্য দখল করে নেওয়ার ঘটনা ঘটিয়েছেন। অনুসন্ধানে জানা গেছে, আইন বহির্ভূতভাবে নিজে জমিজমার সালিশি কেন্দ্র খুলে বসেছেন। প্রতিদিন সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলে তার সালিশবাজি। মূলত সালিশের
নামে চলছে তার জবরদস্তি করে অর্থ আদায়। কোনো আইন-কানুনের তোয়াক্কা করছেন না। তার কথায় এখন আইন; পুলিশ এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও তাকে সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে। তার ক্যাডার হিসাবে তালিকার শীর্ষে রয়েছে-৫৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির যুগ্ম-সম্পাদক মো. রহমতুল্লাহ, ৫৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য মো. ছিদ্দিক মিয়া, হাজি মনিরের ঘনিষ্ঠজন এবং বিএনপির কর্মী মো. পারভেজ এবং হাজি মনিরের ভাজিদা সাইফুল ইসলাম। সংশ্লিষ্টরা জানায়, গত ৫ আগস্টের পর নতুন করে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ৭৫টি ওয়ার্ডে দরপত্রের নিয়ম মেনে বাসা-বাড়ি, দোকানপাট থেকে আবর্জনা সংগ্রহে ঠিকাদার নিয়োগ করে। প্রয়োজনীয় সব প্রক্রিয়া অনুসরণ করে ডিএসসিসির ৫৭ নম্বর ওয়ার্ডের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এফটি ডেভেলপার্স নামের প্রতিষ্ঠান ওই
ওয়ার্ডের আবর্জনা পরিষ্কারের কাজ পায়। ওই প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী প্রকৌশলী আবুল হাসনাতের লোকবল ওয়ার্ডের বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় বর্জ্য সংগ্রহ করতে গেলে গত ১ সেপ্টেম্বর হাজি মনির বাধা দেয়। তার নির্দেশে মনির চেয়ারম্যানের ভাতিজা সাইফুলের নেতৃত্বে দলবল নিয়ে বর্জ্য সংগ্রহকারীদের মারধর করে বর্জ্য সংগ্রহের ভ্যানগাড়ি আটক ও ভাঙচুর করে। একই সঙ্গে ঠিকাদারকে কাজ ছেড়ে দিতে চাপ দেয়; অন্যথায় তাকে মেরে ফেলা হবে-এমন হুমকি দেন। সংশ্লিষ্টরা আরও জানায়, হাজি মনির চেয়ারম্যান স্থানীয়ভাবে সব সময় ক্যাডার বাহিনী নিয়ে চলাচল করে। তারা খুবই হিংস প্রকৃতির। এজন্য ওই ঠিকাদার আপস-মীমাংসা করতে যান ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক রফিকুল আলম মজনুর কাছে। সেখানে ঠিকাদারকে মারতে তেড়ে যান হাজি মনির।
নিজের ব্যবসা বহাল রাখার জন্য কোনো উপায় পাচ্ছিল না ঠিকাদার। বিগত প্রায় পাঁচ মাস মনির চেয়ারম্যান অবৈধভাবে ভিন্ন রিসিট করে প্রায় ১ কোটি টাকা তুলে নিয়ে গেছে। অবশেষে ঠিকাদার নিজের জীবন ও ব্যবসা বাঁচাতে কামরাঙ্গীরচর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। সেখানে তিনি হাজি মনির ও তার ভাতিজা সাইফুল ইসলামসহ ৫ জনকে অভিযুক্ত করেছেন। শুধু ময়লা নয়, কামরাঙ্গীরচরের সব ধরনের কার্যক্রম থেকে টাকা তুলছেন হাজি মনিরের ক্যাডার ব্যাহিনী। জিডি, মামলা ও এক-দুজন প্রতিবাদ করলেও তিনি সেগুলোর কোনো পাত্তা দিচ্ছেন না। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান এফটি ডেভেলপার্স লিমিটেডের স্বত্বাধিকারী প্রকৌশলী মো. আবুল হাসনাত বলেন, দক্ষিণ সিটি করপোরেশন থেকে যথাযথ নিয়ম অনুসরণ করে আমার প্রতিষ্ঠান ৫৭ নম্বর ওয়ার্ডে
বর্জ্য অপসারণ কাজ পেয়েছে। কিন্তু শুরু থেকে আমার প্রতিষ্ঠানের কাজ করতে বাধা দিয়েছে হাজি মনির চেয়ারম্যান এবং তার লোকজন। কিছুদিন তারা আবর্জনা পরিষ্কার করে টাকাও তুলেছে। এক পর্যায়ে আমাকে হত্যার হুমকিও দিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, এক পর্যায়ে বাধ্য হয়ে তাদের বিরুদ্ধে কামরাঙ্গীরচর থানায় অভিযোগ দিয়েছি। সিটি করপোরেশন ও বিএনপির উচ্চ পর্যায়ের দলীয় নেতাকর্মীদের জানিয়েছি। সবশেষ তারা আমার কাজের ইজারা বাতিল করতে সিটি করপোরেশনে মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছে। আমি তার জবাবও দিয়েছি। তারা নানাভাবে আমাকে হয়রানি করে চলেছে। মনির চেয়ারম্যানের ভাতিজা সাইফুল ইসলাম বলেন, ওই আবর্জনার দরপত্রে আমরাও অংশ নিয়েছিলাম। কিন্তু আমরা কাজ পাইনি। এফটি ডেভেলপার্স কাজ পেয়ে আর একজনকে দিয়ে বাস্তবায়ন করছে। সে তার ব্যর্থতা ঢাকতে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করছে। আর চাঁদাবাজি-দখলবাজি অন্যরা করে আমাদের ওপর দায় চাপাচ্ছে। সুনির্দিষ্ট বিষয়গুলো তুলে ধরলে বলেন-মিথ্যা, সবই মিথ্যা। হাজি মনির হোসেন বলেন, এসব অভিযোগের কোনো সত্যতা নেই। আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। জিডি, মামলা, দলীয় নেতাদের কাছে অভিযোগ এবং স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে অভিযোগ একইসূত্রে গাঁথা। তবে তার কর্মীরা চাঁদাবাজি করতে গিয়ে আটক হওয়া এবং পুলিশ গাড়ি নিতে অস্বীকৃতি জানানোর বিষয় উল্লেখ করলে বলেন, ‘ভাই উদ্দেশ্যমূলকভাবে আমার প্রতিপক্ষ এসব অপপ্রচার চালাচ্ছে। ওসব কথা বিশ্বাস কইরেন না।’