
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর

ইরানের এক হামলায় ইসরাইলের ৩০ বৈমানিক নিহত

যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার মধ্যে পদত্যাগ করলেন জাতিসংঘের ফিলিস্তিন তদন্ত কমিশনের তিন সদস্য

গাজায় ত্রাণ বিতরণকেন্দ্রে পদদলিত হয়ে নিহত ২১

ফিলিপাইনে রাজনৈতিক উত্তেজনা বাড়াচ্ছে এআই ও ভুয়া তথ্য

সত্যজিৎ রায়ের পূর্বপুরুষের বাড়ি ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান ভারতের

সৌদিতে নারী যাত্রীদের জন্য বিশেষ সেবা আনছে উবার

নিউইয়র্ক সিটির মেয়র পদে গত মাসে ডেমোক্রেটিক প্রাইমারিতে জয়ী হয়েছেন জোহরান মামদানি। এটি শহরটির অনেক মানুষের জন্য আনন্দের খবর হলেও কপালে উদ্বেগের ভাঁজ পড়েছে আবাসন ব্যাবসায়ীদের। তারা ক্ষতির ঝুঁকি দেখছেন। এরই মধ্যে এ নিয়ে মুখ খুলেছেন খাতসংশ্লিষ্ট অনেকে। তারা বলছেন, পরিবর্তনশীল এ সময়ে গ্রাহকরা ঝুঁকি নিতে চাচ্ছেন না; তারা দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন। নিউইয়র্কে আবাসন ব্যবসার ব্রোকার জে বাত্রা জানান, তাঁর ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ম্যানহাটানে লাখ লাখ ডলারের সম্পত্তির দুই পৃথক ক্লায়েন্ট বাত্রাকে জানিয়েছেন, তারা নিউইয়র্কের রাজনৈতিক পরিস্থিতি আমলে নিয়ে সতর্কতার সঙ্গে লেনদেন করতে চান। বাত্রার উদ্ধৃতি দিয়ে গতকাল সোমবার সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়, অনেক ধনী ও বিলাসবহুল ক্রেতা একটু বেশি সতর্ক হয়ে উঠেছেন। মামদানি যত বেশি জনপ্রিয়তা অর্জন করছেন, ততই তাদের মধ্যে উদ্বেগ বাড়ছে। অনেককে বলতে শোনা যাচ্ছে– ‘হায়, শহরটি কোথায় যাচ্ছে!’ ৩৩ বছর বয়সী গণতান্ত্রিক সমাজতান্ত্রিক মামদানি গত জুনের শেষ দিকে নিউইয়র্কের মেয়র প্রাইমারিতে জয়লাভ করেন। এর পর থেকে বেশ কয়েকজন পেশাদার আবাসন ব্যবসায়ী সিএনএনকে জানান, উচ্চস্তরের ক্রেতারা তাদের সিদ্ধান্ত গ্রহণ বন্ধ করতে শুরু করেছেন। মামদানির প্রস্তাবিত নীতিগুলোর সম্ভাব্য প্রভাব সম্পর্কে অনিশ্চিত। তারা আরও বলেন, মামদানির জয়ের ফলে তাঁর রাজনীতির সঙ্গে একমত না হওয়া নিউইয়র্কের কিছু ধনী বাসিন্দা শহর ত্যাগের পরিকল্পনা ত্বরান্বিত করেছেন। মামদানি ১০ লাখ ডলারের বেশি আয়কারী নিউইয়র্কের বাসিন্দাদের ওপর ২ শতাংশ হারে কর আরোপের প্রস্তাব করেছেন। তাঁর কাছে আবাসন প্রস্তাবের একটি তালিকাও আছে, যার মধ্যে রয়েছে– ভাড়া স্থির করার প্রতিশ্রুতি, ব্যাপক পাবলিক হাউজিং নির্মাণ ও সংস্কার এবং কঠোর তদারকি। মার্কিন গণমাধ্যমটি বলছে, মামদানি মেয়র হলেও তাঁর প্রস্তাবগুলো বাস্তবে পরিণত নাও হতে পারে। এর অনেক কারণ রয়েছে। তবুও তাঁর প্রাথমিক জয় বাত্রার কিছু ক্লায়েন্টকে আতঙ্কিত করে তুলেছে। কেউই আসলে তাদের কর বাড়ুক, এমনটা চান না। নিউইয়র্ক সিটি বিশ্বের অন্যতম বিলাসবহুল আবাসন বাজারের আবাসস্থল। এটি এমন একটি জায়গা, যেখানে ঝলমলে বিলাসবহুল টাওয়ারের লোকেরা শ্রমিক শ্রেণির বাসিন্দাদের পাশাপাশি বাস করেন। এ শ্রমজীবী শ্রেণির মানুষ ক্রমবর্ধমান ভাড়া ও জীবনযাত্রার ব্যয়ের সঙ্গে তাল মেলাতে লড়াই করছেন। শহরের আবাসন খাতের অবস্থা চরম। নিউইয়র্ক শহরের আপার ইস্ট সাইড এলাকার বাসিন্দাদের বিভিন্ন ফেসবুক গ্রুপ যাচাই করে সিএনএন জানাতে পেরেছে, ওই এলাকার বাসিন্দারা বেনামে মামদানির প্রাথমিক জয়ের পর শহর ছেড়ে যাওয়ার সম্ভাব্য পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করেছেন। কিন্তু এখনও এসব গল্প কাল্পনিক। যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক ফল পছন্দ না হলে স্থানান্তরিত হওয়ার হুমকি দেওয়ার একটি দীর্ঘকালীন ঐতিহ্য রয়েছে। মামদানির আবাসন ও অর্থনৈতিক প্রস্তাবগুলো এমন এক সময়ে এসেছে, যখন নিউইয়র্কের ভাড়া ক্রমাগত বাড়ছে। রিয়েলেটর ডটকমের মতে, এ বছরের প্রথম প্রান্তিকে শহরে গড় চাওয়া ভাড়া ছিল ৩ হাজার ৩৯৭ ডলার, যা এক বছরের আগের তুলনায় ৫ দশমিক ৬ শতাংশ বেশি। এটা ২০২০ সালের শুরু থেকে ১৮ শতাংশ বেশি। বাত্রা জানান, কিছু ক্লায়েন্ট যারা ভাড়া আয়ের জন্য ছোট অ্যাপার্টমেন্ট ভবন কেনার পরিকল্পনা করছিলেন, তারা এখন প্রস্তাবিত ভাড়া স্থগিত করার কারণে পুনর্বিবেচনা করছেন। নিউইয়র্কের এ পরিস্থিতির সুবিধা পেতে পারে যুক্তরাষ্ট্রেরই ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্য। সেখানে আবাসন ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত অনেকে জানিয়েছেন, নিউইয়র্ক ছেড়ে আবারও ফ্লোরিডায় আসতে পারেন অনেকে। এমনটাই ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।
পুতিনকে ‘পাগল’ বলায় ট্রাম্পকে ‘খোঁচা’ মেরে যা বলল ক্রেমলিন

সম্প্রতি ইউক্রেনে রুশ হামলা নিয়ে পুতিনকে ‘পাগল’ বলে কটাক্ষ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে তার এ প্রতিক্রিয়াকে ‘আবেগের মাত্রাতিরিক্ত প্রতিক্রিয়া’ বলে খোঁচা দিয়েছে ক্রেমলিন।
ক্রেমলিন মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ সোমবার মস্কোতে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ইউক্রেনে সর্বশেষ রুশ বিমান হামলা নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতিক্রিয়া ‘মাত্রাতিরিক্ত আবেগ’-এর ফল।
ট্রাম্প রোববার নিজের ট্রুথ সোশ্যাল হ্যান্ডেলে লেখেন, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ‘পুরোপুরি পাগল হয়ে গেছেন’, কারণ টানা তৃতীয় রাতেও রাশিয়া ইউক্রেনে বিমান হামলা চালিয়েছে।
ট্রাম্প বলেন, ‘আমি সবসময় বলে এসেছি, কেবল একটি অংশ নয়, তিনি (পুতিন) পুরো ইউক্রেন চান। হয়তো সেটাই সত্যি প্রমাণিত হচ্ছে। তবে যদি তিনি (পুতিন) তেমনটা করেন, তাহলে তা রাশিয়ার পতনের ডেকে আনবে!’
এক
পৃথক বক্তব্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, ‘আমি যা দেখছি, তাতে আমি মোটেও খুশি নই। আমি জানি না ওঁর (পুতিন) কী হয়েছে। কী সর্বনাশটাই না করছে! অনেক মানুষকে হত্যা করছে, এটা আমি একদমই পছন্দ করছি না’। এর আগে ইউক্রেনের বিমান বাহিনী জানিয়েছে, রাশিয়া শনিবার রাতভর ৩৫৫টি ড্রোন ও ৯টি ‘খ-১০১’ ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালায়। যার মধ্যে তারা ২৮৮টি ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করেছে। এদিকে ট্রাম্পের বক্তব্য প্রসঙ্গে রুশ প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, ‘এটা নিঃসন্দেহে একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত এবং এটা সবার আবেগঘন প্রতিক্রিয়ার সঙ্গে সম্পর্কিত। আবেগ মাত্রাতিরিক্ত হয়ে পড়ছে— সেটাও স্বাভাবিক’। মস্কো সব প্রতিক্রিয়া নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে উল্লেখ করে তিনি জানান, প্রেসিডেন্ট পুতিন
‘রাশিয়ার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন’। এ সময়, রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে প্রত্যক্ষ আলোচনা শুরু হওয়াটাকে ‘একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অর্জন’ হিসেবে দেখা হচ্ছে উল্লেখ করে পেসকভ বলেন, এ আলোচনা আয়োজনের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র বিশেষ ভূমিকা পালন করেছে। তার ভাষায়, ‘এই আলোচনার প্রক্রিয়া শুরু করতে সহায়তা করার জন্য আমরা সত্যিই কৃতজ্ঞ—যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি এবং ব্যক্তিগতভাবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রতিও’। তবে দ্বিতীয় দফার আলোচনার সময় ও স্থান নিয়ে এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি বলেও জানান ক্রেমলিন মুখপাত্র। এদিকে তুরস্কের উদ্যোগে দুই পক্ষের মধ্যে প্রথম দফার আলোচনা অনুষ্ঠিত হয় গত ১৬ মে। তিন বছর বিরতির পর ইস্তাম্বুলে হওয়া সেই বৈঠকে উভয় পক্ষ সম্মত হয় যে, প্রত্যেকে ১,০০০ বন্দি
বিনিময় করবে এবং যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা অব্যাহত রাখবে। এ সময় পেসকভ এ আলোচনার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য তুরস্কের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। একই সঙ্গে তিনি জানান, একটি সম্ভাব্য শান্তি চুক্তির খসড়া নিয়েও কাজ চলছে। সূত্র: আনাদোলু
পৃথক বক্তব্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, ‘আমি যা দেখছি, তাতে আমি মোটেও খুশি নই। আমি জানি না ওঁর (পুতিন) কী হয়েছে। কী সর্বনাশটাই না করছে! অনেক মানুষকে হত্যা করছে, এটা আমি একদমই পছন্দ করছি না’। এর আগে ইউক্রেনের বিমান বাহিনী জানিয়েছে, রাশিয়া শনিবার রাতভর ৩৫৫টি ড্রোন ও ৯টি ‘খ-১০১’ ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালায়। যার মধ্যে তারা ২৮৮টি ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করেছে। এদিকে ট্রাম্পের বক্তব্য প্রসঙ্গে রুশ প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, ‘এটা নিঃসন্দেহে একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত এবং এটা সবার আবেগঘন প্রতিক্রিয়ার সঙ্গে সম্পর্কিত। আবেগ মাত্রাতিরিক্ত হয়ে পড়ছে— সেটাও স্বাভাবিক’। মস্কো সব প্রতিক্রিয়া নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে উল্লেখ করে তিনি জানান, প্রেসিডেন্ট পুতিন
‘রাশিয়ার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন’। এ সময়, রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে প্রত্যক্ষ আলোচনা শুরু হওয়াটাকে ‘একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অর্জন’ হিসেবে দেখা হচ্ছে উল্লেখ করে পেসকভ বলেন, এ আলোচনা আয়োজনের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র বিশেষ ভূমিকা পালন করেছে। তার ভাষায়, ‘এই আলোচনার প্রক্রিয়া শুরু করতে সহায়তা করার জন্য আমরা সত্যিই কৃতজ্ঞ—যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি এবং ব্যক্তিগতভাবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রতিও’। তবে দ্বিতীয় দফার আলোচনার সময় ও স্থান নিয়ে এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি বলেও জানান ক্রেমলিন মুখপাত্র। এদিকে তুরস্কের উদ্যোগে দুই পক্ষের মধ্যে প্রথম দফার আলোচনা অনুষ্ঠিত হয় গত ১৬ মে। তিন বছর বিরতির পর ইস্তাম্বুলে হওয়া সেই বৈঠকে উভয় পক্ষ সম্মত হয় যে, প্রত্যেকে ১,০০০ বন্দি
বিনিময় করবে এবং যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা অব্যাহত রাখবে। এ সময় পেসকভ এ আলোচনার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য তুরস্কের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। একই সঙ্গে তিনি জানান, একটি সম্ভাব্য শান্তি চুক্তির খসড়া নিয়েও কাজ চলছে। সূত্র: আনাদোলু