
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর

মাদাগাস্কারের ক্ষমতা দখল করল সেনাবাহিনী

গাজায় ত্রাণবাহী ট্রাক ঢুকতে দিচ্ছে না ইসরায়েল

ভারতের কাশির সিরাপে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সতর্কবার্তা

থাইল্যান্ডে উদযাপনকালে মাদকসহ চার ইসরাইলি সেনা গ্রেফতার

‘যেন দোজখ থেকে বেহেশতে এলাম’

গাজায় ফুটবল অবকাঠামো পুনর্গঠনে সহায়তার অঙ্গীকার ফিফা সভাপতির

গাজা গণহত্যায় ইসরাইলের বিচার চায় স্পেন
পাকিস্তান-আফগানিস্তান সীমান্তে ফের সংঘর্ষ, হতাহত বহু

পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের সীমান্ত এলাকায় নতুন সংঘর্ষে অজস্র মানুষ নিহত ও আহত হয়েছেন। দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি ও উত্তেজনার কারণে এই সহিংসতা বৃদ্ধি পেয়েছে।
খবর আল জাজিরার।
নতুন করে সংঘর্ষের ঘটনাটি মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) রাতে দক্ষিণ-পূর্ব আফগানিস্তানের স্পিন বলদক জেলা ও পাকিস্তানের চামান জেলাকে কেন্দ্র করে ঘটে। দুই পক্ষই একে অপরকে সংঘর্ষের জন্য দায়ী করেছে।
আফগান তালেবানের মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ এক্সে দেওয়া পোস্টে দাবি করেন, পাকিস্তানি সেনারা ‘হালকা ও ভারী অস্ত্র’ ব্যবহার করে হামলা চালিয়ে এ সংঘর্ষের সূচনা করে। এতে ১২ জন নাগরিক নিহত এবং ১০০ জনের বেশি আহত হয়েছেন। স্পিন বলদকের জেলা মুখপাত্র আলি মোহাম্মদ হকমাল নিহত নাগরিকের
সংখ্যা ১৫ জন উল্লেখ করেন। এএফপি সংবাদ সংস্থা জানায়, আহতদের মধ্যে ৮০ জন নারী ও শিশু রয়েছেন। মুজাহিদ আরও বলেন, আফগান সেনারা পাল্টা হামলা চালিয়ে ‘বেশ কয়েকজন’ পাকিস্তানি সৈন্যকে হত্যা করেছে, পাকিস্তানি অস্ত্র ও ট্যাঙ্ক জব্দ করেছে এবং পাকিস্তানি সামরিক স্থাপনাগুলো ধ্বংস করেছে। পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষের দাবি, আফগান তালেবান প্রথমে পাকিস্তানি সেনা পোস্ট এবং সীমান্ত সংলগ্ন এলাকাগুলোতে গুলি চালিয়ে সংঘর্ষের সূচনা করে। এতে পাকিস্তানের চারজন নাগরিক আহত হ। রয়টার্সের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, সংঘর্ষে ছয়জন পাকিস্তানি সৈন্য নিহত হয়েছেন। এই লড়াই প্রায় পাঁচ ঘণ্টা চলেছে। পাকিস্তানি সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, আফগান তালেবানের হামলা আমরা কার্যকরভাবে প্রতিহত করেছি। হামলায় ১৫–২০ জন তাদের সদস্য নিহত এবং
আরও অনেকে আহত হয়েছেন। রাতের অন্য একটি ঘটনায় কুরম জেলাতেও তালেবানের হামলা প্রতিহত করা হয়েছে। পাকিস্তান হামলার সূচনা করেছে এমন অভিযোগ মিথ্যা ও বাজে দাবি। নাজিবুল্লাহ খান নামে চামানের এক বাসিন্দা জানিয়েছেন, সীমান্তবর্তী এলাকাগুলো থেকে অনেক মানুষ নিরাপত্তার জন্য পালিয়ে গেছেন। তিনি বলেন, মানুষের জন্য পরিস্থিতি অত্যন্ত কঠিন। তাদের ঘরে গুলি ও বোমার শেল পড়ছে। পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে সীমান্ত উত্তেজনা গত শনিবার থেকেই তীব্র হয়ে ওঠে। দুই দেশের মধ্যে একাধিক স্থানে গোলা বিনিময় হয়, ফলে দুই পাশে অজস্র হতাহতের ঘটনা ঘটে। যদিও সৌদি আরব ও কাতারের মধ্যস্থতায় গত রোববার পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হয়। সীমান্তের বেশিরভাগ ক্রসিং বন্ধ রয়েছে। কাবুল অভিযোগ করেছে, পাকিস্তানি
সীমান্তে তাদের পুনরাবৃত্ত হস্তক্ষেপের জবাবে আফগান সেনারা পাকিস্তানি সেনা পোস্টে হামলা চালিয়ে ৫৮ জন সৈন্য হত্যা করেছে। পাকিস্তান এ সংখ্যাটি ২৩ জন উল্লেখ করেছে এবং জানিয়েছে, সীমান্তে পাল্টা হামলায় ২০০ জন ‘তালেবান ও সমর্থিত সন্ত্রাসী’ নিহত হয়েছেন। পাকিস্তান কাবুলকে দেশটির বিরোধী পাকিস্তান তালেবান (টিটিপি) লড়াকুদের আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত করেছে। কাবুল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, তাদের ভূখণ্ড কোনো দেশের বিরুদ্ধে ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয় না। এদিকে, আফগান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুততাকি সম্প্রতি পাকিস্তানের প্রতিদ্বন্দ্বী দেশ ভারত সফর করেছেন, যা ইসলামাবাদ ‘গুরুত্ব দিয়ে পর্যবেক্ষণ করেছে। মুততাকি ভারত সফরে সাংবাদিক সম্মেলনে বলেছেন, উভয় দেশই ইতিবাচক সম্পর্ক চায়, কিন্তু পাকিস্তানের কিছু গোষ্ঠী অস্থিরতা সৃষ্টি করার
চেষ্টা করছে।
সংখ্যা ১৫ জন উল্লেখ করেন। এএফপি সংবাদ সংস্থা জানায়, আহতদের মধ্যে ৮০ জন নারী ও শিশু রয়েছেন। মুজাহিদ আরও বলেন, আফগান সেনারা পাল্টা হামলা চালিয়ে ‘বেশ কয়েকজন’ পাকিস্তানি সৈন্যকে হত্যা করেছে, পাকিস্তানি অস্ত্র ও ট্যাঙ্ক জব্দ করেছে এবং পাকিস্তানি সামরিক স্থাপনাগুলো ধ্বংস করেছে। পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষের দাবি, আফগান তালেবান প্রথমে পাকিস্তানি সেনা পোস্ট এবং সীমান্ত সংলগ্ন এলাকাগুলোতে গুলি চালিয়ে সংঘর্ষের সূচনা করে। এতে পাকিস্তানের চারজন নাগরিক আহত হ। রয়টার্সের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, সংঘর্ষে ছয়জন পাকিস্তানি সৈন্য নিহত হয়েছেন। এই লড়াই প্রায় পাঁচ ঘণ্টা চলেছে। পাকিস্তানি সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, আফগান তালেবানের হামলা আমরা কার্যকরভাবে প্রতিহত করেছি। হামলায় ১৫–২০ জন তাদের সদস্য নিহত এবং
আরও অনেকে আহত হয়েছেন। রাতের অন্য একটি ঘটনায় কুরম জেলাতেও তালেবানের হামলা প্রতিহত করা হয়েছে। পাকিস্তান হামলার সূচনা করেছে এমন অভিযোগ মিথ্যা ও বাজে দাবি। নাজিবুল্লাহ খান নামে চামানের এক বাসিন্দা জানিয়েছেন, সীমান্তবর্তী এলাকাগুলো থেকে অনেক মানুষ নিরাপত্তার জন্য পালিয়ে গেছেন। তিনি বলেন, মানুষের জন্য পরিস্থিতি অত্যন্ত কঠিন। তাদের ঘরে গুলি ও বোমার শেল পড়ছে। পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে সীমান্ত উত্তেজনা গত শনিবার থেকেই তীব্র হয়ে ওঠে। দুই দেশের মধ্যে একাধিক স্থানে গোলা বিনিময় হয়, ফলে দুই পাশে অজস্র হতাহতের ঘটনা ঘটে। যদিও সৌদি আরব ও কাতারের মধ্যস্থতায় গত রোববার পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হয়। সীমান্তের বেশিরভাগ ক্রসিং বন্ধ রয়েছে। কাবুল অভিযোগ করেছে, পাকিস্তানি
সীমান্তে তাদের পুনরাবৃত্ত হস্তক্ষেপের জবাবে আফগান সেনারা পাকিস্তানি সেনা পোস্টে হামলা চালিয়ে ৫৮ জন সৈন্য হত্যা করেছে। পাকিস্তান এ সংখ্যাটি ২৩ জন উল্লেখ করেছে এবং জানিয়েছে, সীমান্তে পাল্টা হামলায় ২০০ জন ‘তালেবান ও সমর্থিত সন্ত্রাসী’ নিহত হয়েছেন। পাকিস্তান কাবুলকে দেশটির বিরোধী পাকিস্তান তালেবান (টিটিপি) লড়াকুদের আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত করেছে। কাবুল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, তাদের ভূখণ্ড কোনো দেশের বিরুদ্ধে ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয় না। এদিকে, আফগান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুততাকি সম্প্রতি পাকিস্তানের প্রতিদ্বন্দ্বী দেশ ভারত সফর করেছেন, যা ইসলামাবাদ ‘গুরুত্ব দিয়ে পর্যবেক্ষণ করেছে। মুততাকি ভারত সফরে সাংবাদিক সম্মেলনে বলেছেন, উভয় দেশই ইতিবাচক সম্পর্ক চায়, কিন্তু পাকিস্তানের কিছু গোষ্ঠী অস্থিরতা সৃষ্টি করার
চেষ্টা করছে।