ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
গুপ্তচর ধাঁচের সিনেমা কেন ভারত-পাকিস্তানে রাজনৈতিক ঝড় তুলেছে
মার্কিন নিষেধাজ্ঞার আওতায় আরো ৭ দেশ, মাঠে বিশ্বকাপ দেখা অনিশ্চিত
সিডনিতে হামলাকারীর বিরুদ্ধে ৫৯ অভিযোগ, ১৫টি হত্যার
ক্রীড়ামন্ত্রীর দায়িত্ব নিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই
মোদি সরকার প্রকল্প থেকে বাদ দিলেন ‘মহাত্মা গান্ধী’র নাম
সাইকেলে চড়ে ১৮ হাজার কিমি পথ পাড়ি
হংকংয়ের গণমাধ্যমকর্মীকে মুক্তি দিতে ট্রাম্পের অনুরোধ, যুক্তরাজ্যের নিন্দা
পাকিস্তানে টিটিপির হয়ে যুদ্ধ করতে গিয়ে মাদারীপুরের যুবক নিহত
দুবাই যাওয়ার কথা বলে দেশ ছাড়লেও শেষ পর্যন্ত পাকিস্তানে গিয়ে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্থান (টিটিপি)-এ যোগ দেন মাদারীপুরের যুবক ফয়সাল মোড়ল (২২)। ওই সংগঠনের হয়ে যুদ্ধ করতে গিয়ে পাকিস্তানি সেনাদের গুলিতে নিহত হয়েছেন তিনি। ফয়সালের মৃত্যুতে শোকের মাতম নেমে এসেছে পরিবারের মাঝে।
সরেজমিনে জানা যায়, ফয়সাল মাদারীপুর সদর উপজেলার কালিকাপুর ইউনিয়নের ছোট দুধখালী গ্রামের আব্দুল আউয়াল মোড়লের ছেলে। বাবা পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের ইলেকট্রিশিয়ান, বড় ভাই আরমান হোসেন কাজ করেন দারাজের ডেলিভারিম্যান হিসেবে। মা চায়না বেগম গৃহিণী।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত মার্চে হিজামা সেন্টারে চাকরির কথা বলে দুবাই যাওয়ার উদ্দেশ্যে দেশ ছাড়েন ফয়সাল। তবে পরে তিনি পাকিস্তানে পৌঁছান এবং সেখানে টিটিপিতে
যোগ দেন। পরিবারের সঙ্গে তার সর্বশেষ কথা হয় কোরবানির ঈদের আগে। এরপর আর কোনো যোগাযোগ ছিল না। গত ২৬ সেপ্টেম্বর রাতে পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়ার কারাক জেলায় নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে ১৭ জন টিটিপি সদস্য নিহত হয়। এদের মধ্যে ছিলেন বাংলাদেশি যুবক ফয়সালও। পাকিস্তানি গণমাধ্যমে নিহতদের ছবি প্রকাশের পর ফয়সালের পরিবার তাকে শনাক্ত করে। ফয়সালের মা চায়না বেগম বলেন, “আমার ছেলেকে যারা মেরেছে, তাদের বিচার চাই। আর আমি চাই, আমার ছেলের মরদেহ সরকার যেন দেশে ফিরিয়ে আনে।” পরিবারের দাবি, প্রলোভন দেখিয়ে ফয়সালকে জঙ্গি সংগঠনে যুক্ত করা হয়েছিল। তারা ফয়সালের মরদেহ দেশে ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি যারা এ ঘটনায় জড়িত তাদের বিচারের দাবি জানিয়েছেন। ফয়সালের চাচা আব্দুল
হালিম মোড়ল বলেন, “ভাতিজার বিষয়ে জানতে পারি গত ঈদুল আজহার সময়। গোয়েন্দা পুলিশ জানায়, সে আফগানস্থান আছে। ২০২৪ সালের মার্চে দেশ ছাড়ার প্রায় ৬ মাস পরে সে তার বড় ভাই আরমান মোড়লের কাছে মোবাইল ফোনে কল করে বলে, দুবাই আছে এবং ভালো আছে। তবে বিস্তারিত জানতে চাইলে জবাব দিত না সে।” মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, “পরিবার চাইলে নিহতের মরদেহ দেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে আমরা সহযোগিতা করব। একই সঙ্গে কেউ যাতে এমন নিষিদ্ধ সংগঠনে আর যুক্ত হতে না পারে সে বিষয়ে পুলিশ সতর্ক রয়েছে।”
যোগ দেন। পরিবারের সঙ্গে তার সর্বশেষ কথা হয় কোরবানির ঈদের আগে। এরপর আর কোনো যোগাযোগ ছিল না। গত ২৬ সেপ্টেম্বর রাতে পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়ার কারাক জেলায় নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে ১৭ জন টিটিপি সদস্য নিহত হয়। এদের মধ্যে ছিলেন বাংলাদেশি যুবক ফয়সালও। পাকিস্তানি গণমাধ্যমে নিহতদের ছবি প্রকাশের পর ফয়সালের পরিবার তাকে শনাক্ত করে। ফয়সালের মা চায়না বেগম বলেন, “আমার ছেলেকে যারা মেরেছে, তাদের বিচার চাই। আর আমি চাই, আমার ছেলের মরদেহ সরকার যেন দেশে ফিরিয়ে আনে।” পরিবারের দাবি, প্রলোভন দেখিয়ে ফয়সালকে জঙ্গি সংগঠনে যুক্ত করা হয়েছিল। তারা ফয়সালের মরদেহ দেশে ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি যারা এ ঘটনায় জড়িত তাদের বিচারের দাবি জানিয়েছেন। ফয়সালের চাচা আব্দুল
হালিম মোড়ল বলেন, “ভাতিজার বিষয়ে জানতে পারি গত ঈদুল আজহার সময়। গোয়েন্দা পুলিশ জানায়, সে আফগানস্থান আছে। ২০২৪ সালের মার্চে দেশ ছাড়ার প্রায় ৬ মাস পরে সে তার বড় ভাই আরমান মোড়লের কাছে মোবাইল ফোনে কল করে বলে, দুবাই আছে এবং ভালো আছে। তবে বিস্তারিত জানতে চাইলে জবাব দিত না সে।” মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, “পরিবার চাইলে নিহতের মরদেহ দেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে আমরা সহযোগিতা করব। একই সঙ্গে কেউ যাতে এমন নিষিদ্ধ সংগঠনে আর যুক্ত হতে না পারে সে বিষয়ে পুলিশ সতর্ক রয়েছে।”



