নির্বাচনের ফল কখন জানা যাবে – ইউ এস বাংলা নিউজ




নির্বাচনের ফল কখন জানা যাবে

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ৬ নভেম্বর, ২০২৪ | ৮:০৫ 67 ভিউ
যুক্তরাষ্ট্রের ভোটাররা দেশের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন। এর মধ্যে আট কোটির বেশি মানুষ ডাকে এবং আগাম ভোট দেন। মঙ্গলবার রাজ্য অনুযায়ী ভোটপ্রহণ চলে ১২ থেকে ১৪ ঘণ্টা। ৫০টি রাজ্য ও ডিসট্রিক্ট অব কলম্বিয়ায় ভোট নেওয়া হয়েছে। ফল ঘোষণা বিলম্ব হতে পারে। এর কারণ, নির্বাচনের জটিল প্রক্রিয়া এবং সুইং স্টেট। দ্য ইনডিপেনডেন্ট, বিবিসি বাংলা, ভয়েস অব আমেরিকা, আলজাজিরা ও উইকিপিডিয়া। এবার ডেমোক্র্যাটদের পক্ষে বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস এবং রিপাবলিকানদের হয়ে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ফল ঘোষণার ক্ষেত্রে কোন প্রার্থী কত ভোট পেলেন, এর চেয়ে জরুরি হলো কে কতটা ইলেকটোরাল ভোট পেলেন। দুই অঙ্গরাজ্য ব্যতীত অন্যগুলোয় যে দল বেশি

ভোট পায়, সেটির ইলেকটোরাল ভোট সে দলের ভাগে যায়। তবে মেইন ও নেবরাস্কায় মোট ভোটের সংখ্যানুপাতিক হারে ইলেকটোরাল ভোট ভাগ করা হয়। সাধারণত ভোটের রাতে বা পরদিন সকালেই মার্কিনিরা তাদের পরবর্তী প্রেসিডেন্টের নাম জেনে যান। আবার ৫-৭ দিনও লেগে যেতে পারে। ২০১৬ সালে নির্বাচনের পরদিন ট্রাম্পকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। ২০১২ সালে ভোটের দিন মাঝরাতেই বারাক ওবামাকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। তবে জর্জ ডব্লিউ বুশ ও আল গোরের ২০০০ সালের নির্বাচনে বিজয়ী ঘোষণায় যথেষ্ট বিলম্ব হয়। ২০২০ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফল ঘোষণা করতে বেশ কয়েকদিন লেগে গিয়েছিল। এবারও এমন হতে পারে যে নতুন প্রেসিডেন্ট ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পদে বিজয়ীদের নাম

জানতে ৫ নভেম্বরের বেশ কয়েকদিন পর পর্যন্ত অপেক্ষার প্রয়োজন দেখা দিতে পারে। এর কারণ হলো, অঙ্গরাজ্যগুলোর স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টায় ভোটগ্রহণ বন্ধ হয়। এরপর ভোটগণনা শুরু হয়। কিন্তু যখন কোনো কোনো অঙ্গরাজ্যে ভোটগণনা শুরু হয়, তখন আলাস্কা বা হাওয়াইয়ের মতো কোনো কোনো অঙ্গরাজ্যে ভোটগণনা চলতে থাকে। ভোটের ফল চ্যালেঞ্জ করলে যে পদক্ষেপ নেওয়া হয় : সব বৈধ ভোট চূড়ান্ত ফলে অন্তর্ভুক্তি ও পুনর্গণনার মতো প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে নির্বাচনি ফল প্রথমে রাজ্যস্তরে এবং পরে জাতীয়ভাবে সার্টিফাই করা হয়। এরপর গভর্নর একটি নির্বাচক প্যানেলকে দায়িত্ব দেবেন। তারা ইলেকটোরাল কলেজে নিজ রাজ্যের প্রতিনিধিত্ব করবেন। ওই নির্বাচকরা ১৭ ডিসেম্বর নিজ নিজ রাজ্যে মিলিত হয়ে তাদের

ভোট প্রদান করে সেগুলো ওয়াশিংটনে পাঠাবেন। যেসব নির্বাচনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয় এবং যখন কোনো প্রার্থী পপুলার ভোটে না জিতেও প্রেসিডেন্ট হিসাবে জয় পান, তখনই ইলেকটোরাল কলেজ সিস্টেমে পরিবর্তন আনার জন্য আহ্বান জানানো হয়। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য ইলেকটোরাল কলেজ আনুষ্ঠানিক কর্তৃপক্ষ হিসাবে ভূমিকা পালন করে। ৫৩৮ জন ইলেকটরের সমন্বয়ে ইলেকটোরাল কলেজ গঠিত। প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতে হলে প্রার্থীকে এর মধ্যে অন্তত ২৭০টি ইলেকটোরাল ভোট পেতে হয়। প্রতিটি অঙ্গরাজ্যের কংপ্রেশনাল প্রতিনিধিদের সংখ্যার ভিত্তিতে ইলেকটর নিযুক্ত করা হয়। এদিকে রীতি অনুযায়ী, আনুষ্ঠানিকভাবে প্রেসিডেন্ট প্রার্থীকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয় ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে। যখন বিভিন্ন রাজ্যের ইলেকটররা বসে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রেসিডেন্ট পদে ভোট দেবেন। এরপর

ভোটের ফল ওয়াশিংটন ডিসিতে পাঠানো হবে এবং জানুয়ারির শুরুতে কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে ভাইস প্রেসিডেন্ট আনুষ্ঠানিকভাবে গণনা করবেন। নির্বাচনের পরপরই নতুন সরকার গঠন করা হয় না। বিজয়ীদের কিছুদিন সময় দেওয়া হয়, যাকে ‘রূপান্তরকালীন’ বলা হয়ে থাকে। ওই সময়ের মধ্যে নতুন নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট তার মন্ত্রিসভার সদস্যদের বাছাই করেন এবং পরিকল্পনা তৈরি করে থাকেন। এরপর নতুন বছরের ২০ জানুয়ারি নতুন বা পুনর্নির্বাচিত প্রেসিডেন্টের অভিষেক ও শপথ অনুষ্ঠান হয়। রীতি অনুযায়ী, ওয়াশিংটন ডিসির ক্যাপিটাল ভবনে নতুন প্রেসিডেন্টের অভিষেক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। একটি শহরের ফল ঘোষণা : যুক্তরাষ্ট্রের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় নিউ হ্যাম্পশায়ার অঙ্গরাজ্যের খুদে শহর ডিক্সভল নচে দেশটির পূর্ব উপকূলের স্থানীয় সময় মধ্যরাতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোট

অনুষ্ঠিত হয়েছে। রাত ১২টায় মঙ্গলবার শুরু হওয়ার পরপরই শহরটির সব নিবন্ধিত ভোটারের ভোট গ্রহণ করা হয়। শহরটির বিশেষ এ ঐতিহ্য যা ‘মিডনাইট ভোটিং’ হিসাবে পরিচিত চলছে ৬৪ বছর। রসায়নবিদ থেকে ব্যবসায়ীতে পরিণত হওয়া নিয়েল টেলিটসন ১৯৬০ সালে এ ঐতিহ্য শুরু করেন। টেলিটসন প্রথম মধ্যরাতের এই ভোটের আয়োজন করেন আর এক্ষেত্রে আইনি অনুমোদনও পেয়ে যান। তারপর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের একমাত্র নির্বাচনি ব্যতিক্রম হিসাবে ডিক্সভল নচে মধ্যরাতে ভোটগ্রহণ হয়ে আসছে। নিউ হ্যাম্পশায়ারের আইন ডিক্সভল নচের সব নিবন্ধিত ভোটার ভোট দেওয়ার পর শহর কর্তৃপক্ষকে ভোটগ্রহণ বন্ধ করারও এখতিয়ার দিয়েছে। এবারের নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্র-কানাডার সীমান্তবর্তী শহরটির ছয়জন নিবন্ধিত ভোটার তাদের ভোট দিয়েছেন। তাদের মধ্যে চারজন রিপাবলিকান এবং

দুজন অঘোষিত ভোটার ছিলেন। ফল ঘোষণার পর দেখা যায়, হ্যারিস ও ট্রাম্পের মধ্যে টাই হয়েছে, হ্যারিস পেয়েছেন তিন ভোট আর ট্রাম্পও তিন ভোট।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
প্রস্তুত জাতীয় ঈদগাহ, ঈদের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৭টায় ‘বিচারকদের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ ছিল ষোড়শ সংশোধনী মামলার মূল উদ্দেশ্য’ প্রস্তুত ২০ হাজার কর্মী, কুরবানির বর্জ্য দিনেই সরাতে চায় ঢাকার দুই সিটি গণতান্ত্রিক রূপান্তর ও সংস্কার প্রক্রিয়া নিয়ে এনসিপি ও চীনা রাষ্ট্রদূতের মধ্যে সংলাপ পবিত্র হজের খুতবা দিলেন ড. সালেহ আল হুমাইদ গাজার পথে গ্রেটা, যা বলল ইসরাইল কুরবানির পশু কেনার পর শরিকের সংখ্যা বাড়ানো যাবে কি? যে কারণে কুরবানি না করার আদেশ দিল মরক্কো সরকার শরিকি কুরবানিতে কেউ হারাম টাকায় অংশ নিলে কুরবানি হবে কি? ‘স্বপ্ন যাবে বাড়ি আমার’, হয় না সত্যি সবার দুই ভাতিজিকে কুপিয়ে হত্যা, ঘাতক চাচা গ্রেপ্তার খোলা ট্রাক-পিকআপে ঝুঁকি নিয়ে বাড়ি ফিরছে মানুষ জেনেভা ক্যাম্প থেকে ৪ বস্তা টাকা উদ্ধার ফিরতি ঈদযাত্রায় আজ মিলবে ১৫ জুনের টিকিট আজ যেমন থাকবে ঢাকার আবহাওয়া নেতানিয়াহু ও ইসরায়েল এখন বিশ্বদৃষ্টিতে বিতর্কিত : জরিপ যে নফল রোজা মুছে দেয় দুই বছরের গুনাহ পাকিস্তানে যৌথ অভিযানে খতম ১৪ ‘ভারতীয় মদতপুষ্ট’ সন্ত্রাসী শাহজালালে বিশৃঙ্খলা, যাত্রীর ক্ষোভ নিয়ে মুখ খুলল বেবিচক ১৬ জেলায় সতর্কতা