
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
নির্বাচনের তারিখই সংকট

দেশে এখন সবচেয়ে বড় সমস্যা ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা। বলা যায়, নির্বাচনের সময় নির্ধারণের মধ্যেই ঘুরপাক খাচ্ছে সবকিছু। আর বাড়ছে সংকট। সেজন্য সমাধানের পথ খুঁজতে হলে নিদেনপক্ষে এখন নির্বাচনের মাস ঠিক করতেই হবে। এ বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকার এবং প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতবিরোধসহ সম্পর্কের অবনতির মাত্রা যেভাবে বাড়ছে, তা মোটেই শুভ লক্ষণ নয়। বরং সবার সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার ব্যাপারে শিগ্গিরই সর্বজন গ্রহণযোগ্য সিদ্ধান্তে আসতে হবে। তা না হলে সার্বিক পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাবে এবং ক্ষতিগ্রস্ত হবে সব পক্ষই। দেশ তো বটেই। আর যদি নির্বাচনের তারিখ নিয়ে পালটাপালটি এ বিতর্ক চলতেই থাকে, তাহলে ঈদের পর নির্ঘাত
উত্তাপের এ রাজনীতি মাঠে গড়াবেই। এমন আশঙ্কার কথা বলছেন বিশ্লেষকরা। এ প্রসঙ্গে বৃহস্পতিবার কাছে কয়েকজন রাজনৈতিক বিশ্লেষক বলেন, সরকার জাতীয় নির্বাচনকে কেন জুন পর্যন্ত টেনে নিয়ে যেতে চায়, তা বোধগম্য নয়। কেননা সরকার চাইলেও তো মধ্য ফেব্রুয়ারির পর জুনের মধ্যে নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করতে পারবে না। কারণ, মধ্য ফেব্রুয়ারির পর শুরু হবে রোজা। এরপর ঈদ, এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা। এছাড়া মে-জুন থেকে শুরু হয়ে যায় বর্ষাকাল। তাহলে সেসময় নির্বাচনটা কীভাবে হবে। নির্বাচনের জন্য এ বিষয়গুলো মাথায় রাখতে হয়। এ কারণে আমাদের দেশে জাতীয় নির্বাচনের সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য সময় হলো শীতকাল। অর্থাৎ নভেম্বর থেকে জানুয়ারি। বড়জোর গড়াতে পারে ফেব্রুয়ারিতে। এ প্রসঙ্গে আরেক রাজনৈতিক বিশ্লেষক
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক কাজী মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান বলেন, নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ নিয়ে সরকারের ব্যাপারে ইতোমধ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর একটা সন্দেহ তৈরি হয়েছে। ক্রমেই সন্দেহের ডালপালা বিস্তারলাভ করছে। আবার সরকারও ভেতরে ভেতরে একটি দলকে প্রতিপক্ষ ভাবছে। এর মধ্যে বিএনপি নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ নিয়ে এখন কঠোর অবস্থান নিয়েছে। দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান তারুণ্যের সমাবেশ থেকে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, নির্বাচন ডিসেম্বরেই দিতে হবে। বিপরীতে প্রধান উপদেষ্টা বলে আসছেন ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচন দেবেন। জাপান সফররত প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বৃহস্পতিবার একধাপ এগিয়ে বলেন, ডিসেম্বরে নির্বাচনের দাবি জানাচ্ছে একটি দল। তিনি বলেন, তাহলে এখন কী হবে? বাস্তবতা হলো-যে দলটি
ডিসেম্বরে নির্বাচন চাচ্ছে, সেটি এ মুহূর্তের সর্ববৃহৎ দল বিএনপি। আবার ডিসেম্বরে নির্বাচন দিলে জামায়াত তো আপত্তি করবে বলে মনে হয় না। ফলে বিষয়টিকে সরকারের খাটো করে দেখা উচিত হবে না। জাতীয় নির্বাচনের সময় নির্ধারণ নিয়ে গত কয়েক মাস ধরে রাজনীতির মাঠ একরকম সরগরম। প্রতিটি দলই সরকারের কাছে নির্বাচনের রোডম্যাপ চেয়েছে। এর মধ্যে কোনো কোনো দল নির্বাচনের চেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে চায় সংস্কার ও বিচারের ওপর। বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় দেশে এখন সবচেয়ে শক্তিশালী দল বিএনপি। এর পরে রয়েছে জামায়াত। ভোটের মাঠে পরিচিত না হলেও গণ-অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্ল্যাটফর্ম থেকে সৃষ্টি হওয়া নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টি
(এনসিপি) এখন বেশ আলোচনায়। দলটির নেতারা ইতোমধ্যে বক্তৃতা, বিবৃতি, টকশোসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বলতে শুরু করেছেন-জনগণ বিকল্প হিসাবে তাদেরই বেছে নেবে। অবশ্য বিএনপির অনেক নেতা কিছুদিন থেকে বলে আসছেন এনসিপি সরকারি দল। অন্তর্বর্তী সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় দলটি প্রশাসনসহ বিভিন্ন জায়গায় প্রভাব বিস্তার করছে। দুই দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা প্রতিদিন একে-অপরের বিরুদ্ধে কথা বলছেন। এ অবস্থায় দিন যত যাচ্ছে, তত বিএনপির সঙ্গে এনসিপির বিরোধ বাড়ছে। এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার উত্তাপ। বুধবার বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নয়াপল্টনে তারুণ্যের সমাবেশে বলেছেন, চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন হতে হবে। দলের নেতাকর্মীদের সেভাবে প্রস্তুতি নিতেও বলা হয়। বৃহস্পতিবার তিনি অপর এক আলোচনা সভায়
ডিসেম্বরের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট দিন-তারিখ ঘোষণার আহ্বান জানান। অপরদিকে জাপান সফররত প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং জাপান-বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফ্রেন্ডশিপ লীগের (জেবিপিএফএল) সভাপতি তারো আসো টোকিওর ইম্পেরিয়াল হোটেলে সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠানে ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন। বৃহস্পতিবার এক অনুষ্ঠানে প্রশ্নের জবাবে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘সব দল নয়, শুধু একটি রাজনৈতিক দলই চলতি বছর ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন চায়।’ এমন পরিস্থিতিতে দেশের রাজনীতি ও নির্বাচন কোন পথে যাচ্ছে, তা নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ চলছে নানা মহলে। অধ্যাপক কাজী মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান মনে করেন, এখন জাতির সামনে সবচেয়ে বড় সমস্যা নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ। সেটি সমাধানে না
এলে দেশ অনিশ্চয়তার দিকে চলে যেতে পারে। রাজনৈতিক বিশ্লেষক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম বলেন, শুধু বিএনপি নয়, দেশের বেশির ভাগ নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলই ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন চায়। এছাড়া জুনে নির্বাচন হওয়া সম্ভব না। ফেব্রুয়ারির পরে করতে গেলে অনেক সমস্যা হবে। সরকারকে বুঝতে হবে নির্বাচনের একটি মৌসুম আছে। এখানে যখন-তখন ইচ্ছা করলেই নির্বাচন করা যায় না। নির্বাচন সাধারণত শীতকালে হয়। ডিসেম্বর, জানুয়ারি বা ফেব্রুয়ারিত। তাছাড়া এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা, রমজান, ঈদ-এসব কারণে ওইসময় নির্বাচন করা যাবে না। ফলে মধ্য ফেব্রুয়ারির আগেই করতে হবে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী বলেন, একটা ভালো নির্বাচন করার জন্য কিছু মৌলিক সংস্কার করতে হবে। বিচারের কাজও করতে হবে। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সরকারকে সবার সহযোগিতা করা উচিত। সরকারেরও রাজনৈতিক দলগুলোকে আস্থায় নিয়ে সমস্যার সমাধান করা উচিত। নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস ও দর্শন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান মনে করেন, আলোচনার মাধ্যমে দ্রুত সমস্যার সমাধান করতে হবে। যাতে কোনো ধরনের বিভ্রান্তি, অস্পষ্টতা ও অনিশ্চয়তা না থাকে। প্রয়োজনীয় কাজ শেষ করে কীভাবে ভালো নির্বাচন আয়োজন করা যায়, সে বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সরকারকে চূড়ান্ত রোডম্যাপ দিতে হবে।
উত্তাপের এ রাজনীতি মাঠে গড়াবেই। এমন আশঙ্কার কথা বলছেন বিশ্লেষকরা। এ প্রসঙ্গে বৃহস্পতিবার কাছে কয়েকজন রাজনৈতিক বিশ্লেষক বলেন, সরকার জাতীয় নির্বাচনকে কেন জুন পর্যন্ত টেনে নিয়ে যেতে চায়, তা বোধগম্য নয়। কেননা সরকার চাইলেও তো মধ্য ফেব্রুয়ারির পর জুনের মধ্যে নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করতে পারবে না। কারণ, মধ্য ফেব্রুয়ারির পর শুরু হবে রোজা। এরপর ঈদ, এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা। এছাড়া মে-জুন থেকে শুরু হয়ে যায় বর্ষাকাল। তাহলে সেসময় নির্বাচনটা কীভাবে হবে। নির্বাচনের জন্য এ বিষয়গুলো মাথায় রাখতে হয়। এ কারণে আমাদের দেশে জাতীয় নির্বাচনের সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য সময় হলো শীতকাল। অর্থাৎ নভেম্বর থেকে জানুয়ারি। বড়জোর গড়াতে পারে ফেব্রুয়ারিতে। এ প্রসঙ্গে আরেক রাজনৈতিক বিশ্লেষক
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক কাজী মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান বলেন, নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ নিয়ে সরকারের ব্যাপারে ইতোমধ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর একটা সন্দেহ তৈরি হয়েছে। ক্রমেই সন্দেহের ডালপালা বিস্তারলাভ করছে। আবার সরকারও ভেতরে ভেতরে একটি দলকে প্রতিপক্ষ ভাবছে। এর মধ্যে বিএনপি নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ নিয়ে এখন কঠোর অবস্থান নিয়েছে। দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান তারুণ্যের সমাবেশ থেকে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, নির্বাচন ডিসেম্বরেই দিতে হবে। বিপরীতে প্রধান উপদেষ্টা বলে আসছেন ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচন দেবেন। জাপান সফররত প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বৃহস্পতিবার একধাপ এগিয়ে বলেন, ডিসেম্বরে নির্বাচনের দাবি জানাচ্ছে একটি দল। তিনি বলেন, তাহলে এখন কী হবে? বাস্তবতা হলো-যে দলটি
ডিসেম্বরে নির্বাচন চাচ্ছে, সেটি এ মুহূর্তের সর্ববৃহৎ দল বিএনপি। আবার ডিসেম্বরে নির্বাচন দিলে জামায়াত তো আপত্তি করবে বলে মনে হয় না। ফলে বিষয়টিকে সরকারের খাটো করে দেখা উচিত হবে না। জাতীয় নির্বাচনের সময় নির্ধারণ নিয়ে গত কয়েক মাস ধরে রাজনীতির মাঠ একরকম সরগরম। প্রতিটি দলই সরকারের কাছে নির্বাচনের রোডম্যাপ চেয়েছে। এর মধ্যে কোনো কোনো দল নির্বাচনের চেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে চায় সংস্কার ও বিচারের ওপর। বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় দেশে এখন সবচেয়ে শক্তিশালী দল বিএনপি। এর পরে রয়েছে জামায়াত। ভোটের মাঠে পরিচিত না হলেও গণ-অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্ল্যাটফর্ম থেকে সৃষ্টি হওয়া নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টি
(এনসিপি) এখন বেশ আলোচনায়। দলটির নেতারা ইতোমধ্যে বক্তৃতা, বিবৃতি, টকশোসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বলতে শুরু করেছেন-জনগণ বিকল্প হিসাবে তাদেরই বেছে নেবে। অবশ্য বিএনপির অনেক নেতা কিছুদিন থেকে বলে আসছেন এনসিপি সরকারি দল। অন্তর্বর্তী সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় দলটি প্রশাসনসহ বিভিন্ন জায়গায় প্রভাব বিস্তার করছে। দুই দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা প্রতিদিন একে-অপরের বিরুদ্ধে কথা বলছেন। এ অবস্থায় দিন যত যাচ্ছে, তত বিএনপির সঙ্গে এনসিপির বিরোধ বাড়ছে। এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার উত্তাপ। বুধবার বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নয়াপল্টনে তারুণ্যের সমাবেশে বলেছেন, চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন হতে হবে। দলের নেতাকর্মীদের সেভাবে প্রস্তুতি নিতেও বলা হয়। বৃহস্পতিবার তিনি অপর এক আলোচনা সভায়
ডিসেম্বরের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট দিন-তারিখ ঘোষণার আহ্বান জানান। অপরদিকে জাপান সফররত প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং জাপান-বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফ্রেন্ডশিপ লীগের (জেবিপিএফএল) সভাপতি তারো আসো টোকিওর ইম্পেরিয়াল হোটেলে সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠানে ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন। বৃহস্পতিবার এক অনুষ্ঠানে প্রশ্নের জবাবে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘সব দল নয়, শুধু একটি রাজনৈতিক দলই চলতি বছর ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন চায়।’ এমন পরিস্থিতিতে দেশের রাজনীতি ও নির্বাচন কোন পথে যাচ্ছে, তা নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ চলছে নানা মহলে। অধ্যাপক কাজী মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান মনে করেন, এখন জাতির সামনে সবচেয়ে বড় সমস্যা নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ। সেটি সমাধানে না
এলে দেশ অনিশ্চয়তার দিকে চলে যেতে পারে। রাজনৈতিক বিশ্লেষক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম বলেন, শুধু বিএনপি নয়, দেশের বেশির ভাগ নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলই ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন চায়। এছাড়া জুনে নির্বাচন হওয়া সম্ভব না। ফেব্রুয়ারির পরে করতে গেলে অনেক সমস্যা হবে। সরকারকে বুঝতে হবে নির্বাচনের একটি মৌসুম আছে। এখানে যখন-তখন ইচ্ছা করলেই নির্বাচন করা যায় না। নির্বাচন সাধারণত শীতকালে হয়। ডিসেম্বর, জানুয়ারি বা ফেব্রুয়ারিত। তাছাড়া এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা, রমজান, ঈদ-এসব কারণে ওইসময় নির্বাচন করা যাবে না। ফলে মধ্য ফেব্রুয়ারির আগেই করতে হবে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী বলেন, একটা ভালো নির্বাচন করার জন্য কিছু মৌলিক সংস্কার করতে হবে। বিচারের কাজও করতে হবে। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সরকারকে সবার সহযোগিতা করা উচিত। সরকারেরও রাজনৈতিক দলগুলোকে আস্থায় নিয়ে সমস্যার সমাধান করা উচিত। নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস ও দর্শন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান মনে করেন, আলোচনার মাধ্যমে দ্রুত সমস্যার সমাধান করতে হবে। যাতে কোনো ধরনের বিভ্রান্তি, অস্পষ্টতা ও অনিশ্চয়তা না থাকে। প্রয়োজনীয় কাজ শেষ করে কীভাবে ভালো নির্বাচন আয়োজন করা যায়, সে বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সরকারকে চূড়ান্ত রোডম্যাপ দিতে হবে।