
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর

রাতেই ইংল্যান্ডে উড়াল দেবেন তাসকিন

আইপিএলের মাঝেই ভারত ছাড়লেন হায়দরাবাদের ক্রিকেটাররা

এল ক্লাসিকো জিতে কোপার চ্যাম্পিয়ন বার্সা

৫ গোল, লাল কার্ডের মহাকাব্যিক লড়াইয়ে রিয়ালকে হারিয়ে কোপা দেল রে বার্সার

৫ গোল, লাল কার্ডের মহাকাব্যিক লড়াইয়ে রিয়ালকে হারিয়ে কোপা দেল রে বার্সার

মোদি যা বলে তাই করেন জয় শাহ: আফ্রিদি

২৩৮ কোটি টাকা অন্য ব্যাংকে স্থানান্তরের ব্যাখ্যা দিল বিসিবি
দেশের ক্রিকেটের নতুন ‘ব্যাডবয়’ হৃদয়ের কাণ্ডে অতিষ্ঠ ক্রিকেটপ্রেমীরা

‘এটারে আজীবন নিষিদ্ধ করেন’- ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) অসদাচরণের দায়ে দ্বিতীয় দফায় শাস্তি পাওয়ার পর তাওহীদ হৃদয়ের ওপর সামাজিক মাধ্যমে এভাবেই ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন এক ক্রিকেট অনুরাগী। ঘরোয়া ক্রিকেটের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আসর ডিপিএল চলছে, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ খেলছে জাতীয় ক্রিকেট দল। অথচ এসব ছাপিয়ে ক্রিকেট অঙ্গনের ‘হট টপিক’ এখন হৃদয় এবং তার বিতর্কিত কর্মকাণ্ড।
ডিপিএলে আবাহনী-মোহামেডানের হাইভোল্টেজ ম্যাচে দেশের প্রথম এলিট আম্পায়ার শরফুদ্দৌলার সঙ্গে মাঠে অভব্য আচরণ দিয়ে শুরু হৃদয়ের। মাঠে আম্পায়ারের সঙ্গে তার আগ্রাসী অঙ্গভঙ্গি দেখে ক্ষুব্ধ হয়েছেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। হৃদয় অবশ্য সেখানেই থামেননি।
ম্যাচের পর গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপে দম্ভভরে হৃদয় বলেছেন, ‘তিনি (শরফুদ্দৌলা) আন্তর্জাতিক আম্পায়ার হলে আমিও আন্তর্জাতিক খেলোয়াড়।’ আম্পায়ারের
সঙ্গে মাঠে অসদাচরণ আর গণমাধ্যমের সামনে এমন ঔদ্ধত্যপূর্ণ মন্তব্যের জেরে তাকে দুই ম্যাচ নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয় ডিপিএলের টেকনিক্যাল কমিটি। কিন্তু মোহামেডান আপিল করলে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) নিজেদের ডিমেরিট পয়েন্টের নিয়ম পালটে হৃদয়ের শাস্তি কমিয়ে এক ম্যাচে নামিয়ে আনে। এক ম্যাচ নিষেধাজ্ঞা ভোগ করে হৃদয় মাঠেও নামেন। এতে আম্পায়াররা ক্ষোভ প্রকাশ করলে পরে আবার দুই ম্যাচ নিষেধাজ্ঞার শাস্তি বহাল করা হয়। এরপরের ঘটনা তো দেশের ক্রিকেটে-ই নজিরবিহীন। একজন ক্রিকেটারের শাস্তির প্রতিবাদ জানাতে বোর্ড সভাপতির কক্ষে হাজির হন তামিম ইকবালের নেতৃত্বে একদল ক্রিকেটার। তাদের চাপে পড়ে হৃদয়ের বাকি এক ম্যাচ নিষেধাজ্ঞার শাস্তি অভাবনীয় কায়দায় এক বছর স্থগিত করা হয়। কেউ কেউ তামিমদের
এমন চাপপ্রয়োগকে ক্রিকেটের ‘মব জাস্টিস’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। তবে নিজের অসদাচরণ নিয়ে হৃদয়কে একটুও অনুতপ্ত হতে দেখা যায়নি। বরং বিসিবি সভাপতির কাছে ক্রিকেটাররা গিয়ে তার শাস্তি একবছর কমিয়ে আনার পর তামিমের সঙ্গে আকর্ণবিস্তৃত হাসি দিতে দেখা গেছে তাকে। এই কাণ্ডের পরদিনই দ্বিতীয় দফায় শাস্তি পেতে হয়েছে হৃদয়কে। গাজী গ্রুপের বিপক্ষে মাঠে নেমেছিলেন মোহামেডানের এই ক্রিকেটার। এই ম্যাচে ফের অপেশাদার আচরণ করতে দেখা যায় তাকে। এবার আউট হয়েও ঠাঁয় দাঁড়িয়ে থাকেন ক্রিজে। আম্পায়ার্স কমিটির ইনচার্জ ও ডিপিএলের টেকনিক্যাল কমিটির সদস্য অভি আবদুল্লাহ আল নোমান জানান, শাস্তি মেনে না নেওয়ায় ম্যাচশেষে শুনানিতেও যাননি হৃদয়। অভি আবদুল্লাহ বলেন, ‘আম্পায়ারের সঙ্গে হতাশা প্রকাশ এবং ম্যাচ শেষে ডাকা
হলেও শুনানিতে না যাওয়ায় হৃদয়কে ম্যাচ রেফারি এই শাস্তি (একটি ডিমেরিট পয়েন্ট ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা) দিয়েছেন।’ হৃদয়ের কাঁধে আগে থেকেই ছিল ৭ ডিমেরিট পয়েন্ট, নতুন করে শাস্তি পাওয়ার পর তার ডিমেরিট পয়েন্টের সংখ্যা দাঁড়াল ৮-এ। নিয়ম অনুযায়ী, ৮ থেকে ১১ ডিমেরিট পয়েন্টের জন্য চার ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। যার ফলে আবাহনীর বিপক্ষে মোহামেডানের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে তার খেলার সম্ভাবনা ক্ষীণ। ডিপিএলে হৃদয়ের আগের নিষেধাজ্ঞা নিয়ে কম নাটক হয়নি। এবার ৮ ডিমেরিট পয়েন্টের জন্য তার চার ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা হয় কিনা-সেটাই এখন দেখার বিষয়। কারণ আগের দফায় শাস্তি নিয়ে যত নাটক হয়েছে, এর ফলে এ যাত্রায় তাকে বিসিবি শাস্তি দিতে পারবে কিনা,
তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। তবে বিসিবি তার বিরুদ্ধে কোনো কড়া পদক্ষেপ নিক বা না নিক, দেশের ক্রিকেটপ্রেমীরা হৃদয়ের এমন আচরণে অতিষ্ঠ। তার ওপর ক্ষোভ জানিয়ে নেসার আহমেদ খান সুমন নামের এক নেটিজেন জানিয়েছে, ‘ওর খুব তেল হইছে, ওকে দু'বছরের জন্য সাসপেন্ড করা উচিৎ।’ শাওন ইসলাম নামে অপর এক ক্রিকেটপ্রেমী সামাজিক মাধ্যমে লিখেছেন, ‘তাকে এক বছরের জন্য ঘরোয়া ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ কড়া উচিত।’ মইনুল ইসলাম জুয়েল নামের আরেক ফেসবুক ব্যবহারকারী হৃদয়কে এক বছরের জন্য জাতীয় দল থেকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছেন।
সঙ্গে মাঠে অসদাচরণ আর গণমাধ্যমের সামনে এমন ঔদ্ধত্যপূর্ণ মন্তব্যের জেরে তাকে দুই ম্যাচ নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয় ডিপিএলের টেকনিক্যাল কমিটি। কিন্তু মোহামেডান আপিল করলে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) নিজেদের ডিমেরিট পয়েন্টের নিয়ম পালটে হৃদয়ের শাস্তি কমিয়ে এক ম্যাচে নামিয়ে আনে। এক ম্যাচ নিষেধাজ্ঞা ভোগ করে হৃদয় মাঠেও নামেন। এতে আম্পায়াররা ক্ষোভ প্রকাশ করলে পরে আবার দুই ম্যাচ নিষেধাজ্ঞার শাস্তি বহাল করা হয়। এরপরের ঘটনা তো দেশের ক্রিকেটে-ই নজিরবিহীন। একজন ক্রিকেটারের শাস্তির প্রতিবাদ জানাতে বোর্ড সভাপতির কক্ষে হাজির হন তামিম ইকবালের নেতৃত্বে একদল ক্রিকেটার। তাদের চাপে পড়ে হৃদয়ের বাকি এক ম্যাচ নিষেধাজ্ঞার শাস্তি অভাবনীয় কায়দায় এক বছর স্থগিত করা হয়। কেউ কেউ তামিমদের
এমন চাপপ্রয়োগকে ক্রিকেটের ‘মব জাস্টিস’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। তবে নিজের অসদাচরণ নিয়ে হৃদয়কে একটুও অনুতপ্ত হতে দেখা যায়নি। বরং বিসিবি সভাপতির কাছে ক্রিকেটাররা গিয়ে তার শাস্তি একবছর কমিয়ে আনার পর তামিমের সঙ্গে আকর্ণবিস্তৃত হাসি দিতে দেখা গেছে তাকে। এই কাণ্ডের পরদিনই দ্বিতীয় দফায় শাস্তি পেতে হয়েছে হৃদয়কে। গাজী গ্রুপের বিপক্ষে মাঠে নেমেছিলেন মোহামেডানের এই ক্রিকেটার। এই ম্যাচে ফের অপেশাদার আচরণ করতে দেখা যায় তাকে। এবার আউট হয়েও ঠাঁয় দাঁড়িয়ে থাকেন ক্রিজে। আম্পায়ার্স কমিটির ইনচার্জ ও ডিপিএলের টেকনিক্যাল কমিটির সদস্য অভি আবদুল্লাহ আল নোমান জানান, শাস্তি মেনে না নেওয়ায় ম্যাচশেষে শুনানিতেও যাননি হৃদয়। অভি আবদুল্লাহ বলেন, ‘আম্পায়ারের সঙ্গে হতাশা প্রকাশ এবং ম্যাচ শেষে ডাকা
হলেও শুনানিতে না যাওয়ায় হৃদয়কে ম্যাচ রেফারি এই শাস্তি (একটি ডিমেরিট পয়েন্ট ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা) দিয়েছেন।’ হৃদয়ের কাঁধে আগে থেকেই ছিল ৭ ডিমেরিট পয়েন্ট, নতুন করে শাস্তি পাওয়ার পর তার ডিমেরিট পয়েন্টের সংখ্যা দাঁড়াল ৮-এ। নিয়ম অনুযায়ী, ৮ থেকে ১১ ডিমেরিট পয়েন্টের জন্য চার ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। যার ফলে আবাহনীর বিপক্ষে মোহামেডানের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে তার খেলার সম্ভাবনা ক্ষীণ। ডিপিএলে হৃদয়ের আগের নিষেধাজ্ঞা নিয়ে কম নাটক হয়নি। এবার ৮ ডিমেরিট পয়েন্টের জন্য তার চার ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা হয় কিনা-সেটাই এখন দেখার বিষয়। কারণ আগের দফায় শাস্তি নিয়ে যত নাটক হয়েছে, এর ফলে এ যাত্রায় তাকে বিসিবি শাস্তি দিতে পারবে কিনা,
তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। তবে বিসিবি তার বিরুদ্ধে কোনো কড়া পদক্ষেপ নিক বা না নিক, দেশের ক্রিকেটপ্রেমীরা হৃদয়ের এমন আচরণে অতিষ্ঠ। তার ওপর ক্ষোভ জানিয়ে নেসার আহমেদ খান সুমন নামের এক নেটিজেন জানিয়েছে, ‘ওর খুব তেল হইছে, ওকে দু'বছরের জন্য সাসপেন্ড করা উচিৎ।’ শাওন ইসলাম নামে অপর এক ক্রিকেটপ্রেমী সামাজিক মাধ্যমে লিখেছেন, ‘তাকে এক বছরের জন্য ঘরোয়া ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ কড়া উচিত।’ মইনুল ইসলাম জুয়েল নামের আরেক ফেসবুক ব্যবহারকারী হৃদয়কে এক বছরের জন্য জাতীয় দল থেকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছেন।