দাম্পত্য যেমন সন্তান কি তেমন? – ইউ এস বাংলা নিউজ




ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আপডেটঃ ১৩ মার্চ, ২০২৫
     ৫:৪১ পূর্বাহ্ণ

দাম্পত্য যেমন সন্তান কি তেমন?

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ১৩ মার্চ, ২০২৫ | ৫:৪১ 86 ভিউ
দাম্পত্য মানে নারী-পুরুষের বৈবাহিক জীবন। দাম্পত্য সামাজিক, ধর্মীয় ও আইনগতভাবে বৈধ। আমাদের দেশে দাম্পত্য শুরুর আগে কোনো প্রশিক্ষণ নেওয়া হয় না। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধবরা দাম্পত্য বিষয়ে ওরিয়েন্টেশন দেয়। বিশেষ করে যারা বিয়ে করেন তারা দাম্পত্যের চ্যালেঞ্জগুলো প্রেম ভালোবাসা দিয়ে মোকাবিলা করার মানসিক প্রস্তুতি নিয়ে নেন। দাম্পত্য জীবনের নানান চ্যালেঞ্জ কেউ কেউ তেমন একটা পাত্তা দিতে চায় না। দাম্পত্য জীবন বেশির ভাগ মানুষই সহজ করে নিতে পছন্দ করে। এটা অবশ্যই ইতিবাচক ভাবনা। দাম্পত্য জীবন নানাভাবে পরিবেশ, পরিস্থিতি, আত্মীয়, বন্ধু, পরিবারের সদস্যদের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে থাকে। সবাই কমবেশি পরামর্শ দিয়ে দাম্পত্যকে কঠিন করে তুলতে পছন্দ করেন। আমরা দাম্পত্যের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় স্বামী-স্ত্রীর

ওপর আস্থা রাখতে পছন্দ করি না; বরং এক পা বাড়িয়ে দিয়ে উপদেশ বিতরণে আকুল হয়ে উঠি। আমরা যদি কোনো দম্পতিকে জিজ্ঞেস করি, কেন সন্তান নিয়েছেন তাহলে কয়েকটি উত্তর শুনতে পাবেন : বাবা-মা, শ্বশুর-শাশুড়ি ও আত্মীয়স্বজনের চাপে, সক্ষম দম্পতি হিসেবে স্বীকৃতি পেতে, নিজের স্বপ্ন সন্তানকে দিয়ে পূরণ করতে, দাম্পত্য জীবনের ঝগড়াঝাঁটি থামাতে সন্তান নেওয়া হয়েছে। আমাদের দম্পতিরা সাধারণত চার ধরনের দাম্পত্য জীবন অতিবাহিত করেন। ১. ঝগড়া বিবাদ ও মিলমিশের দাম্পত্য, ২. সম্মান মর্যাদা ভালোবাসার দাম্পত্য, ৩.সময় কাটানোর দাম্পত্য, ৪. উপায়হীন দাম্পত্য। ঝগড়া-বিবাদ ও মিলমিশের দাম্পত্য আমাদের সমাজে সবচেয়ে বেশি নজরে পড়ে। মতের অমিল কিংবা ইচ্ছার বিরুদ্ধে কোনো কাজকর্মকে কেন্দ্র করে মনোমালিন্য,

ঝগড়া-বিবাদ এমনকি অপরকে শারীরিকভাবে আঘাত করে। শিশুরা বাবা মার এমন কর্মকাণ্ডে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। সম্মান মর্যাদা ও ভালোবাসার দাম্পত্য আমাদের সবারই কাম্য। স্বামী-স্ত্রী উভয়ই পরস্পরের প্রতি সম্মান মর্যাদা, দায়িত্ব-কর্তব্য, সহনশীলতা, বিশ্বস্ততা নিয়ে দাম্পত্যে থাকলে সন্তানরা বাবা-মায়ের প্রতি ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে বড় হয়। উপায়হীন দাম্পত্য হলো স্বামী-স্ত্রী একে অপরকে অপছন্দ করে, ঘৃণা করে, মতের ভিন্নতা থাকে, আলাদা বিছানায় শোয়, ছেলেমেয়ের দিকে তাকিয়ে একই বাসায় থাকে, আর্থিক সামাজিক বিষয় এমনভাবে থাকে যে কেউ কাউকে ছেড়ে যেতে পারছে না। কিন্তু দাম্পত্যের সংকট ছেলেমেয়েরা শিশু বয়সেই বুঝতে পারে। বাবা-মায়ের আচরণ, চলাফেরা, কথাবার্তা, শিশু মনে গভীর দাগ কাটে। বাবা-মা অনেক সময়ই সন্তানকে নিজের পক্ষে আনতে, সহানুভূতি পেতে একে

অপরের চরিত্র সম্মানহানি করতে সচেষ্ট হয়। শিশুরা বাড়িতে সহিংসতার বড় সাক্ষী হয়ে যায় এবং সহিংসতা কিংবা যৌন নিপীড়নের শিকার হতে পারে। বাচ্চারা উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় ভোগে, বিছানায় প্রস্রাব করে দেয়, অকারণে পেটব্যথা হয়, স্কুলে যেতে অনাগ্রহী হয়ে ওঠে, সামাজিক মেলামেশায় উৎসাহ পায় না, নিজ ঘরে একাকী থাকতে পছন্দ করে, কোনো কাজে উৎসাহ বোধ করে না, হতাশায় ভুগতে থাকে। উপরের সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে শিশুরা যৌবনে উপনীত হয় এবং নিজেরা দাম্পত্য জীবনে প্রবেশ করে। কিছু সংখ্যক যুবক-যুবতিকে দাম্পত্য জীবনে অনাগ্রহী হয়ে উঠতে দেখা যায়। বাবা-মায়ের কাছ থেকে প্রাপ্ত জীবন শিক্ষা শিশুরা সারা জীবন বয়ে বেড়ায়। বাবা মায়ের কাছ থেকে প্রাপ্ত গুণাবলি শিশুকে পরিণত বয়সে সাহসী, সৎ,

মেধাবী, জ্ঞানী, বুদ্ধিমান মানবিক মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কথায় আছে যেমন গাছ তেমনই ফল ! দাম্পত্য জীবনে প্রতারণা, নিষ্ঠুরতা, অপমান, অসম্মান, মিথ্যা, লুকোচুরি সন্তানকে মানসিকভাবে দুর্বল হিসেবে গড়ে উঠতে সহায়তা করে। অন্যদিকে একটি মানবিক, ন্যায়ভিত্তিক সমাজ পরিবারে গড়ে ওঠা শিশুরাই ভবিষ্যতে প্রবীরে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বড় ধরনের ভূমিকা পালন করতে পারে। আমরা শিশুকে পরিবারে, স্কুলে শিশু, নারী ও প্রবীণদের প্রতি কেমন আচরণ করতে হবে সে বিষয়ে কার্যকর কোনো প্রশিক্ষণ দিতে পারছি না। ফলে তরুণরা রাস্তা-ঘাট, গণপরিবহন, সেবাপ্রতিষ্ঠান, অফিস-আদালতে কাঙ্ক্ষিত আচরণ করতে পারছে না। আমরা ভুলে যাই যে, সন্তান শেষ পর্যন্ত সমাজের হয়ে যায়। সন্তানকে গড়ে তোলা হয় সমাজে

ইতিবাচক ভূমিকা পালনের মধ্য দিয়ে শান্তিপূর্ণ এবং স্বস্তিদায়ক সামাজিক জীবন গড়ে তোলার জন্য। দাম্পত্য জীবনে যেসব চাহিদা থাকে তা হলো, সুশ্রী সুদর্শন, শিক্ষিত, আর্থিকভাবে সামর্থ্যবান, সহনশীল, মানবিক গুণাবলিসম্পন্ন একজন সঙ্গী। আমার কাছে মনে হয়েছে দাম্পত্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধা-ভালোবাসা আর সাধারণ কাণ্ডজ্ঞান সম্পন্ন সঙ্গীর গুরুত্ব সবচেয়ে বেশি। যারা সঙ্গীকে অপমান অপদস্ত নির্যাতন-নিপীড়ন করে বিকৃত সুখ লাভের চেষ্টা করে, তারা নিজেদের ক্ষতির পাশাপাশি সন্তানদের বিরাট ক্ষতি করেন। আমাদের সন্তানরা ঝগড়া-বিবাদের দাম্পত্য দেখে বড় হয়ে দাম্পত্য যাপনে অনাগ্রহী হয়ে উঠতে পারে। দাম্পত্য শুধু জৈবিক চাহিদা পূরণের বিষয় নয়। পৃথিবীর জন্য মানবিক গুণাবলিসম্পন্ন মানুষ তৈরিরও পীঠস্থান।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
নিউইয়র্কের নতুন মেয়র জোহরান মামদানি রোমাঞ্চকর ম্যাচে প্রোটিয়াদের হারিয়ে এগিয়ে গেলো পাকিস্তান দিনে ১২ ঘণ্টা কাজ করেও ক্লান্তি নেই রাশমিকার! ঋত্বিক ঘটকের ভাঙা বাড়িতে জন্মশতবর্ষ উদযাপন চালু হচ্ছে বিশ্বের প্রথম উড়ন্ত গাড়ি নির্মাণ কারখানা ফিলিপাইনে টাইফুন কালমেগির তাণ্ডবে ৪০ জনের প্রাণহানি ওপেন এআই-অ্যামাজনের ৩৮ বিলিয়ন ডলারের চুক্তি কুষ্টিয়ায় মনোনয়নবঞ্চিত বিএনপি নেতার সমর্থকদের দ্বিতীয় দিনে সড়ক অবরোধ সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে করা অপরাধের দায়মুক্তির অবসান চায় ১৩ দেশ ‘জুলাই সনদ’ কড়চা এবং অতঃপর … আজ সংবিধান দিবসঃ বাংলাদেশের সংবিধানের পটভূমি বিএনপি-এনসিপি সমঝোতায় বঞ্চিত হলো জুলাই এর নারী নেত্রীরা রপ্তানি পতন অব্যাহত: অক্টোবরে ৭.৪৩% কমে ৩.৬৩ বিলিয়ন ডলার, আমদানিও নেমে আসছে ধীরে ধীরে বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা সম্পর্ক চীনের দিকে ঝোঁকার কারণে উদ্বেগ বাড়ছে যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্রং ভল্টে সোনা-হীরা থাকলেও চুরি শুধু অস্ত্র, বাড়ছে শাহজালাল আগুনের রহস্য প্রধান রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ: পশ্চিমা হস্তক্ষেপ চাইলেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন ড. ইউনুসের পতনের ডাক যুবলীগের, ১৩ নভেম্বর ঢাকায় লকডাউন ঘোষণা চার দিনের সফরে ঢাকায় পাকিস্তান নৌপ্রধান, সেনাপ্রধানকে পাশ কাটিয়ে পাকিস্তান নৌপ্রধানকে গলফ ও ভোজে আপ্যায়ন সশস্ত্র বাহিনীতে বিভেদ ও অস্বস্তিকর পরিস্থিতি সৃষ্টির ইঙ্গিত দিচ্ছে। সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগ (FDI) নিয়ে ড. ইউনূসের ফেসবুক পোস্ট ঘিরে বিতর্ক: তথ্য বিকৃতি ও বিভ্রান্তির অভিযোগ ‘লাশের শহর’ ছাড়ছে নিরুপায় বাসিন্দারা