দখলদার ইসরায়েলের সেই পুরোনো খায়েশ পুনর্ব্যক্ত করলেন মন্ত্রী – ইউ এস বাংলা নিউজ




দখলদার ইসরায়েলের সেই পুরোনো খায়েশ পুনর্ব্যক্ত করলেন মন্ত্রী

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ১৩ অক্টোবর, ২০২৪ | ৭:০৯ 46 ভিউ
ইহুদিবাদী রাষ্ট্র ইসরায়েলের সীমানাবৃদ্ধির রূপরেখা জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী মন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচ। তার ভাষ্য অনুযায়ী, ভবিষ্যতে জর্ডান নদীর ওপারের ভূমি ইসরায়েল দখল করে নেবে। সাম্প্রতিক একটি ডকুমেন্টারিতে তিনি ওই মন্তব্য করেন। যদিও এই প্রত্যাশা ইহুদি জনগণের বেশ পুরোনো। টিআরটি ওয়ার্ল্ডের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, তারা ‘গ্রেটার ইসরায়েলের’ স্বপ্ন দেখেন। সে ভবিষ্যত রাষ্ট্রের সীমানা হবে জর্ডান নদীর ওপার পর্যন্ত প্রসারিত। অল্প অল্প করে তা দখল করে ইসরায়েল এ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করবে। অতি-ডানপন্থী এ মন্ত্রী আরও দাবি করেন, জেরুজালেম শেষ পর্যন্ত সিরিয়ার দামেস্ক পর্যন্ত বিস্তৃত হবে। এর ব্যাখ্যায় তিনি ধর্মের প্রসঙ্গ টেনে আনেন। যেখানে বৃহত্তর ইসরায়েল আদর্শের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ ‘প্রতিশ্রুত ভূমির’ কথা বলা হয়েছে। সেই ভূমিতে

একটি ইহুদি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হবে। স্মোট্রিচের মন্তব্যটি তার আগের মনোভাবই প্রকাশ করে। এর আগেও তিনি বিভিন্ন সময় ফিলিস্তিনি জনগণের অস্তিত্ব অস্বীকার করেছিলেন এবং বলেছিলেন, ফিলিস্তিন শহরকে পৃথিবী থেকে মুছে ফেলা উচিত। বৃহত্তর ইসরায়েল ধারণাটি ইহুদিদের ধর্মীয় গ্রন্থে উল্লেখ আছে। সেই ধারণা মতে উগ্র ডানপন্থি ইসরায়েলি নেতারা ফিলিস্তিন, সিরিয়া ও জর্ডানের কিছু অংশ দখলের চেষ্টারত। যদিও ধর্মে ইহুদি রাষ্ট্রটির সঠিক সীমানা অনির্ধারিত; তবুও ইসরায়েলিরা ধারণাটি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এগোচ্ছেন। মন্ত্রীর ওই মন্তব্য তারই একটি সুচিন্তিত চিত্রায়ন। জর্দান নদী মধ্যপ্রাচ্যে শরিয়ত নদী নামেও পরিচিত। মধ্যপ্রাচ্যের ২৫১-কিলোমিটার দীর্ঘ (১৫৬ মা) নদীটি গালীল সাগরের উত্তর থেকে দক্ষিণ দিকে বয়ে চলে মৃত সাগরে গিয়ে পতিত হয়। নদীটির পূর্ব সীমান্তে

রয়েছে জর্ডান ও গোলান মালভূমি এবং পশ্চিম সীমান্তে রয়েছে ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীর ও ইসরায়েল। জর্ডান ও পশ্চিম তীর উভয়ই নদীটির কাছ থেকে তাদের নাম গ্রহণ করে। মধ্যপ্রাচ্যের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ নদীটি ইহুদিধর্ম ও খ্রিস্টধর্মে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। এ নদী ঘিরেই ইহুদিদের ‘প্রতিশ্রুত ভূমির’ কাহিনি প্রাচীনকাল থেকে আবর্তিত। ইহুদি ছাড়াও অনেক ধর্মের মানুষ বিশ্বাস করেন ইহুদিরা একদিন তাদের প্রতিশ্রুত ভূমির দখল নেবে। যদি তাই হয় তবে মধ্যপ্রাচ্যের অনেক স্বাধীন দেশের বিলুপ্তি ঘটবে।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
মুসলিম ‘গণহত্যার’ জন্য ক্ষমা চাইলেন থাইল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ট্রাম্পের মস্কোঘেঁষা নীতি, উদ্বেগে ইউরোপ জার্মানিতে নির্বাচনে এগিয়ে ডানপন্থি সিডিইউ আজ থেকেই র‌্যাব, পুলিশ ও এন্টি টেরোরিজম ইউনিটের যৌথ অভিযান: আইজিপি সংসদ নির্বাচন আয়োজনে ইসি পুরোনো পথে ‘সারাদিন কষ্ট করে যে টাকা পাই, তা নিয়ে বাড়ি ফিরতে ভয় হয়’ মধ্যরাতে বুয়েট শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ‘মেঘমল্লার’ সিনেমার নির্মাতা জাহিদুর রহিম অঞ্জন মারা গেছেন রাচিনের সেঞ্চুরিতে হেরে বাংলাদেশের সেমির আশা শেষ সাজেকে পুড়ে ছাই ৯৪ রিসোর্ট রেস্তোরাঁ দোকান সাজেক ভ্রমণে পর্যটকদের নিরুৎসাহিত করল প্রশাসন তিন শিক্ষকের সঙ্গে সম্পর্ক না রাখার সিদ্ধান্ত ঢাবি সাদা দলের মাস্কের পায়ে ট্রাম্পের চুম্বনের ভিডিও নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে তোলপাড় আ.লীগ কর্মীদের তোপের মুখে ওয়াশিংটন ডিসির দূতাবাস কর্মকর্তা জনকণ্ঠে প্রকাশিত ‘৬৫ ঘণ্টায় ৭২ ধর্ষণ’ খবরটি সত্য নয় সাজা শেষে ২৮ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠাল মালয়েশিয়া চট্টগ্রামে আ.লীগ-ছাত্রলীগের ১৯ নেতাকর্মী গ্রেফতার ইমরান খানের মামলা নিয়ে বিলম্ব, বিক্ষোভের ডাক দিল পিটিআই অবৈধ অভিবাসী শিশুদের বিরুদ্ধে ট্রাম্প প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপ মাস্কের ই-মেইলের জবাব না দিতে কর্মীদের নির্দেশ দিল পেন্টাগন