ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
ঢাকা কলেজের ‘দেড়শ’ শিক্ষার্থী আহত, সিটি কলেজ সরিয়ে নেওয়ার দাবি
প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ হাইকোর্টে স্থগিত
গোপালগঞ্জ জেলার বশেমুর বিপ্রবিতে দু’ গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ১৫
দায়ীদের শনাক্ত করার চেষ্টা চালাচ্ছেন তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা
কমিটি গঠনের আশ্বাসে তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীদের আন্দোলন স্থগিত
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ছাত্রলীগের সভাপতি গ্রেফতার
বন্ধ তিতুমীর!
‘তোকে যদি জেলের ভাত খাওয়াতে না পারি, তবে আমার নাম মুসতাক না’
অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম থেকে সাময়িক অব্যাহতি পাওয়া রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সাবেক সভাপতি অধ্যাপক মুসতাক আহমেদের বিরুদ্ধে একই বিভাগের এক কর্মকর্তাকে ল্যান্ডফোনে প্রাণনাশের হুমকি ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করার অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ওই কর্মকর্তা নিরাপত্তার জন্য এ রাতে নগরের মতিহার থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।
সাধারণ ডায়েরি দায়ের করা ওই কর্মকর্তার নাম মো. রেজাউল করিম হাওলাদার (৫৮)। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের উপ-রেজিস্ট্রার পদে কর্মরত আছেন।
জিডিতে রেজাউল করিম হাওলাদার উল্লেখ করেছেন, বুধবার দুপুর ১২ টার দিকে অধ্যাপক মুসতাক আহমেদের স্ত্রী নুসরাত পারভীন শান্তা ভাবী বিভাগের অফিসে আসেন। তিনি আমার হাতে
স্যারের (অধ্যাপক মুসতাক আহমেদ) ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসের একটি পত্র দিয়ে বলেন, ‘আপনার স্যার আপনাকে সভাপতির কাছ থেকে এটি রিসিভ করিয়ে দিতে বলেছেন।’ তখন আমি তাকে জানাই, ‘ভাবি, এটা তো সভাপতি স্যারকে লেখা পত্র। আর সভাপতি স্যার আজ ছুটিতে আছেন। আপনি আজকে রেখে যান। সভাপতি স্যার অফিসে এলে আমি তাকে দিয়ে রিসিভ করিয়ে পিয়নের মাধ্যমে রিসিভ কপি পাঠিয়ে দিব।’ এরপর ভাবি আমার কাছে জানতে চান, ‘বিভাগে টাকা-পয়সার ব্যাপারে কী হয়েছে। আপনাদের স্যার তো সব টাকা পরিশোধ করে দিয়েছেন।’ তখন আমি তাকে জানাই, বর্তমান সভাপতি অধ্যাপক মো. মোজাম্মেল হোসেন বকুল বলেছেন, সাবেক সভাপতি অধ্যাপক মুসতাক আহমেদ এ যাবৎ পর্যন্ত ১০ লাখ
নাকি ২০ লাখ টাকা জমা দিয়েছেন, তা তো আমি জানি না। তাকে সব জমার তালিকাসহ রসিদের ফটোকপি সংযুক্ত করে সভাপতি বরাবর জমা প্রদান করতে বা পাঠাতে বলবেন। এরপর ভাবি ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যাপক এ বি এম সাইফুল ইসলাম স্যার এর সঙ্গে আরও কিছুক্ষণ কথা বলে অফিস ত্যাগ করেন। তিনি অফিস ত্যাগ করার কিছুক্ষণ পরে দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে অফিসের ল্যান্ডফোনে কল এলে আমি নিজেই তা রিসিভ করি। ফোন রিসিভ করার পর ফোনের অপর প্রান্ত থেকে অধ্যাপক মুসতাক আহমেদ আমার কণ্ঠ শোনা মাত্রই আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং প্রাণনাশের হুমকি দেন।’ তিনি আরও উল্লেখ করেছেন, ‘অধ্যাপক মুসতাক আহমেদের সভাপতির দায়িত্ব হস্তান্তরের
কয়েকদিন পর বিভাগের অফিস কক্ষে ঢুকে কয়েকজন সহকর্মীর সামনে আমাকে হুমকি প্রদান পূর্বক বলেন যে, তাকে যদি জেলের ভাত খাওয়াতে না পারি, তবে আমার নাম মুসতাক না। তুই কী পেয়েছিস?’ এ বিষয়ে জানতে চাইলে রেজাউল করিম হাওলাদার বলেন, ‘অধ্যাপক মুসতাক আহমেদ বিভাগ থেকে যে টাকা-পয়সা নিয়েছেন, সেগুলো তিনি আমাকে সমন্বয় করতে বলেছিলেন। কিন্তু আমি তা করতে রাজি না হওয়ায় আমাকে অকথ্যভাষায় গালিগালাজ ও প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছেন। আমি কিভাবে কাজলায় থাকি, তিনি দেখে নেওয়ার হুমকিও দিয়েছেন। আমি এখন কোনো আইনি প্রক্রিয়ায় যাবো না। আমার জীবনের নিরাপত্তার জন্য সাধারণ ডায়েরি করে রেখেছি।’ অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে অধ্যাপক মুসতাক আহমেদ বলেন, ‘অভিযোগটি সম্পূর্ণ মিথ্যা,
এ রকম কোনো ঘটনা ঘটেনি। আমার অ্যাকাডেমিক অবস্থান ও সুনাম নষ্ট করার জন্য বিভাগের অভ্যন্তরীণ কিছু কতিপয় ব্যক্তি ষড়যন্ত্র করছে। আমি সভাপতির দায়িত্ব হস্তান্তরের তিন মাস পর পর্যন্ত কোনো অভিযোগ উপস্থাপিত হয়নি। কিন্তু ৫ আগস্টের পর অস্বাভাবিক পরিস্থিতিতে কিছু সুযোগ সন্ধানী এ বিষয়গুলো করে যাচ্ছে।’ এ বিষয়ে মতিহার থানার ওসি মো. আব্দুল মালেক বলেন, ‘অভিযোগ পত্রটি পেয়েছি। অভিযোগকারী ব্যক্তি পরবর্তীতে যেমন চাইবেন, সেভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’ উল্লেখ্য, গত ১ সেপ্টেম্বর অধ্যাপক মুসতাক আহমেদের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ, ছাত্রলীগ নেতাকে ভুয়া প্রত্যয়নপত্র প্রদান, অ্যাকাডেমিক পরিসরে দুর্নীতিসহ নানা অভিযোগ তুলে অপসারণের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন বিভাগের স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা।
স্যারের (অধ্যাপক মুসতাক আহমেদ) ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসের একটি পত্র দিয়ে বলেন, ‘আপনার স্যার আপনাকে সভাপতির কাছ থেকে এটি রিসিভ করিয়ে দিতে বলেছেন।’ তখন আমি তাকে জানাই, ‘ভাবি, এটা তো সভাপতি স্যারকে লেখা পত্র। আর সভাপতি স্যার আজ ছুটিতে আছেন। আপনি আজকে রেখে যান। সভাপতি স্যার অফিসে এলে আমি তাকে দিয়ে রিসিভ করিয়ে পিয়নের মাধ্যমে রিসিভ কপি পাঠিয়ে দিব।’ এরপর ভাবি আমার কাছে জানতে চান, ‘বিভাগে টাকা-পয়সার ব্যাপারে কী হয়েছে। আপনাদের স্যার তো সব টাকা পরিশোধ করে দিয়েছেন।’ তখন আমি তাকে জানাই, বর্তমান সভাপতি অধ্যাপক মো. মোজাম্মেল হোসেন বকুল বলেছেন, সাবেক সভাপতি অধ্যাপক মুসতাক আহমেদ এ যাবৎ পর্যন্ত ১০ লাখ
নাকি ২০ লাখ টাকা জমা দিয়েছেন, তা তো আমি জানি না। তাকে সব জমার তালিকাসহ রসিদের ফটোকপি সংযুক্ত করে সভাপতি বরাবর জমা প্রদান করতে বা পাঠাতে বলবেন। এরপর ভাবি ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যাপক এ বি এম সাইফুল ইসলাম স্যার এর সঙ্গে আরও কিছুক্ষণ কথা বলে অফিস ত্যাগ করেন। তিনি অফিস ত্যাগ করার কিছুক্ষণ পরে দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে অফিসের ল্যান্ডফোনে কল এলে আমি নিজেই তা রিসিভ করি। ফোন রিসিভ করার পর ফোনের অপর প্রান্ত থেকে অধ্যাপক মুসতাক আহমেদ আমার কণ্ঠ শোনা মাত্রই আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং প্রাণনাশের হুমকি দেন।’ তিনি আরও উল্লেখ করেছেন, ‘অধ্যাপক মুসতাক আহমেদের সভাপতির দায়িত্ব হস্তান্তরের
কয়েকদিন পর বিভাগের অফিস কক্ষে ঢুকে কয়েকজন সহকর্মীর সামনে আমাকে হুমকি প্রদান পূর্বক বলেন যে, তাকে যদি জেলের ভাত খাওয়াতে না পারি, তবে আমার নাম মুসতাক না। তুই কী পেয়েছিস?’ এ বিষয়ে জানতে চাইলে রেজাউল করিম হাওলাদার বলেন, ‘অধ্যাপক মুসতাক আহমেদ বিভাগ থেকে যে টাকা-পয়সা নিয়েছেন, সেগুলো তিনি আমাকে সমন্বয় করতে বলেছিলেন। কিন্তু আমি তা করতে রাজি না হওয়ায় আমাকে অকথ্যভাষায় গালিগালাজ ও প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছেন। আমি কিভাবে কাজলায় থাকি, তিনি দেখে নেওয়ার হুমকিও দিয়েছেন। আমি এখন কোনো আইনি প্রক্রিয়ায় যাবো না। আমার জীবনের নিরাপত্তার জন্য সাধারণ ডায়েরি করে রেখেছি।’ অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে অধ্যাপক মুসতাক আহমেদ বলেন, ‘অভিযোগটি সম্পূর্ণ মিথ্যা,
এ রকম কোনো ঘটনা ঘটেনি। আমার অ্যাকাডেমিক অবস্থান ও সুনাম নষ্ট করার জন্য বিভাগের অভ্যন্তরীণ কিছু কতিপয় ব্যক্তি ষড়যন্ত্র করছে। আমি সভাপতির দায়িত্ব হস্তান্তরের তিন মাস পর পর্যন্ত কোনো অভিযোগ উপস্থাপিত হয়নি। কিন্তু ৫ আগস্টের পর অস্বাভাবিক পরিস্থিতিতে কিছু সুযোগ সন্ধানী এ বিষয়গুলো করে যাচ্ছে।’ এ বিষয়ে মতিহার থানার ওসি মো. আব্দুল মালেক বলেন, ‘অভিযোগ পত্রটি পেয়েছি। অভিযোগকারী ব্যক্তি পরবর্তীতে যেমন চাইবেন, সেভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’ উল্লেখ্য, গত ১ সেপ্টেম্বর অধ্যাপক মুসতাক আহমেদের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ, ছাত্রলীগ নেতাকে ভুয়া প্রত্যয়নপত্র প্রদান, অ্যাকাডেমিক পরিসরে দুর্নীতিসহ নানা অভিযোগ তুলে অপসারণের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন বিভাগের স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা।