ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন কি মামদানি?
শব্দের চেয়ে তিনগুণ গতির পারমাণবিক মিসাইল তৈরির ঘোষণা পুতিনের
ভারতে দেবমূর্তির সাড়ে চার কেজি সোনা চুরি, পুরোহিতসহ গ্রেপ্তার ৩
যুদ্ধবিরতি থাকা সত্ত্বেও গাজায় ত্রাণ পৌঁছাতে বাধা, ক্ষুধা-দুর্ভোগে কাতর ফিলিস্তিনিরা
মার্কিন তিন নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটদের বিপুল জয়, প্রথম পরীক্ষায় ব্যর্থ ট্রাম্প
লন্ডনের মেয়র সাদিক খান অভিনন্দন জানালেন মামদানিকে
ফিলিপাইনে টাইফুন কালমেগির তাণ্ডবে ৪০ জনের প্রাণহানি
তুরস্কে ৪ দশকের বিদ্রোহ সমাপ্তির আশা
অস্ত্র সমর্পণ করছে তুরস্কে নিষিদ্ধ কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টি (পিকেকে)। ফলে দেশটিতে ৪০ বছর ধরে চলা বিদ্রোহ সমাপ্তির আশা জেগেছে। দীর্ঘ এ সংঘাত বিলুপ্ত করে তুরস্ক রাষ্ট্রের সঙ্গে বিদ্রোহ অবসানের ঐতিহাসিক আহবান জানিয়েছেন বিদ্রোহী নেতা আবদুল্লাহ ওকালান। তিনি সংগঠনের সদস্যদের অস্ত্র জমা দিতে বলেছেন।
বৃহস্পতিবার সকালে তুরস্কের কুর্দিপন্থি ডিইএম পার্টির এমপিরা বিদ্রোহী প্রধানের সঙ্গে নির্জন কারাগারে সাক্ষাৎ করতে যান। সেখান থেকেই পিকেকে সংগঠনটিকে চিরতরে বিলুপ্ত করার আহবান জানালেন তিনি। এএফপি।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমি অস্ত্র সমর্পণের আহবান জানাচ্ছি এবং আমি এই আহবানের ঐতিহাসিক দায় নিচ্ছি।’ বিবৃতিতে ওচালান আরও বলেন, ‘আপনারা (দলের) সম্মেলন করুন এবং সিদ্ধান্ত নিন। সংগঠনের সবাইকে অবশ্যই অস্ত্র সমর্পণ
করতে হবে। পিকেকেকে অবশ্যই নিজেদের বিলুপ্ত করতে হবে।’ বিদ্রোহী নেতা আবদুল্লাহ ওকালানের এই আহবান ৪০ বছরের বেশি সময় ধরে চলা সংঘাতের অবসান ঘটাতে পারে এবং হাজার হাজার মানুষের প্রাণহানি রুখতে পারে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, জাতীয়তাবাদী আন্দোলন পার্টির নেতা দেভলেত বাহচেলির আহবান, প্রেসিডেন্টের (রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান) প্রদর্শিত ইচ্ছা ও আহবানের প্রতি অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির মাধ্যমে সৃষ্ট এই আবহে, আমি অস্ত্র সমর্পণ করার এবং এই আহবানের ঐতিহাসিক দায়িত্ব গ্রহণ করার আহবান জানাচ্ছি। এছাড়াও পিকেকে নেতার এই ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছে তুরস্ক সরকার। এ বিষয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানের ক্ষমতাসীন একে পার্টির ডেপুটি চেয়ারম্যান এফকান আলা বলেন, ‘পিকেকে
যদি অস্ত্র সমর্পণ করে এবং নিজেদের বিলুপ্তির ঘোষণা দেয়, তাহলে এই দেশ শৃঙ্খল থেকে মুক্ত হবে।’ আলা আরও বলেন, ‘সরকার আশা করছে, পিকেকে যোদ্ধারা ওকালানের আহবান মেনে নেবে।’ ১৯৮৪ সালে কুর্দিদের জন্য একটি পৃথক আবাসভূমি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে লড়াই শুরু করে পিকেকে। সেই লড়ইয়ে এখন পর্যন্ত ৪০ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। পরে কুর্দিরা তাদের বিচ্ছিন্নতাবাদী লক্ষ্য থেকে সরে এসে দক্ষিণ-পূর্ব আনাতোলিয়ায় একটি স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল এবং কুর্দিদের জন্য বৃহত্তর অধিকারের দাবি জানাতে থাকে। পিকেকের সঙ্গে যুক্ত গোষ্ঠীগুলো তুরস্কে মাঝেমধ্যেই হামলা চালায়। তারা সাধারণত গাড়ি বোমা ও অন্যান্য উপায় ব্যবহার করে তুরস্কের সেনা ও সামরিক অবকাঠামোর ওপর হামলা করে থাকে। তুরস্কের পাশাপাশি সিরিয়া
ও ইরাকেও এই গোষ্ঠীর সদস্যদের অবস্থান রয়েছে। তুরস্ক ও এর মিত্র পশ্চিমা দেশগুলো পিকেকেকে একটি ‘সন্ত্রাসী’ সংগঠন হিসাবে বিবেচনা করে। ৭৫ বছর বয়সি ওকালান রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর ১৯৯৯ সাল থেকে ইস্তাম্বুলের কাছে ইমরালি দ্বীপে বন্দি রয়েছেন। কারাবাস সত্ত্বেও পিকেকে-র ওপর তার উল্লেখযোগ্য প্রভাব রয়েছে এবং গোষ্ঠীটির অন্যান্য নেতারা তার আহ্বানে সাড়া দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে। বিশ্লেষকদের মতে, ওকালানের এই গুরত্বপূর্ণ ঘোষণাটি পিকেকে ও তুর্কি রাষ্ট্রের মধ্যে শান্তির প্রচেষ্টার অংশ, যা গত অক্টোবরে প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের জোট সরকারের অংশীদার ডিইএমের মাধ্যমে শুরু হয়। জাতীয়তাবাদী রাজনীতিবিদরা পরামর্শ দিয়েছিলেন, ওকালান যদি তার দলকে সহিংসতা ও বিচ্ছিন্নতাবাদী চিন্তা থেকে সরিয়ে আনতে
পারে তাহলে তাকে প্যারোলে মুক্তি দেওয়া যেতে পারে।
করতে হবে। পিকেকেকে অবশ্যই নিজেদের বিলুপ্ত করতে হবে।’ বিদ্রোহী নেতা আবদুল্লাহ ওকালানের এই আহবান ৪০ বছরের বেশি সময় ধরে চলা সংঘাতের অবসান ঘটাতে পারে এবং হাজার হাজার মানুষের প্রাণহানি রুখতে পারে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, জাতীয়তাবাদী আন্দোলন পার্টির নেতা দেভলেত বাহচেলির আহবান, প্রেসিডেন্টের (রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান) প্রদর্শিত ইচ্ছা ও আহবানের প্রতি অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির মাধ্যমে সৃষ্ট এই আবহে, আমি অস্ত্র সমর্পণ করার এবং এই আহবানের ঐতিহাসিক দায়িত্ব গ্রহণ করার আহবান জানাচ্ছি। এছাড়াও পিকেকে নেতার এই ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছে তুরস্ক সরকার। এ বিষয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানের ক্ষমতাসীন একে পার্টির ডেপুটি চেয়ারম্যান এফকান আলা বলেন, ‘পিকেকে
যদি অস্ত্র সমর্পণ করে এবং নিজেদের বিলুপ্তির ঘোষণা দেয়, তাহলে এই দেশ শৃঙ্খল থেকে মুক্ত হবে।’ আলা আরও বলেন, ‘সরকার আশা করছে, পিকেকে যোদ্ধারা ওকালানের আহবান মেনে নেবে।’ ১৯৮৪ সালে কুর্দিদের জন্য একটি পৃথক আবাসভূমি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে লড়াই শুরু করে পিকেকে। সেই লড়ইয়ে এখন পর্যন্ত ৪০ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। পরে কুর্দিরা তাদের বিচ্ছিন্নতাবাদী লক্ষ্য থেকে সরে এসে দক্ষিণ-পূর্ব আনাতোলিয়ায় একটি স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল এবং কুর্দিদের জন্য বৃহত্তর অধিকারের দাবি জানাতে থাকে। পিকেকের সঙ্গে যুক্ত গোষ্ঠীগুলো তুরস্কে মাঝেমধ্যেই হামলা চালায়। তারা সাধারণত গাড়ি বোমা ও অন্যান্য উপায় ব্যবহার করে তুরস্কের সেনা ও সামরিক অবকাঠামোর ওপর হামলা করে থাকে। তুরস্কের পাশাপাশি সিরিয়া
ও ইরাকেও এই গোষ্ঠীর সদস্যদের অবস্থান রয়েছে। তুরস্ক ও এর মিত্র পশ্চিমা দেশগুলো পিকেকেকে একটি ‘সন্ত্রাসী’ সংগঠন হিসাবে বিবেচনা করে। ৭৫ বছর বয়সি ওকালান রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর ১৯৯৯ সাল থেকে ইস্তাম্বুলের কাছে ইমরালি দ্বীপে বন্দি রয়েছেন। কারাবাস সত্ত্বেও পিকেকে-র ওপর তার উল্লেখযোগ্য প্রভাব রয়েছে এবং গোষ্ঠীটির অন্যান্য নেতারা তার আহ্বানে সাড়া দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে। বিশ্লেষকদের মতে, ওকালানের এই গুরত্বপূর্ণ ঘোষণাটি পিকেকে ও তুর্কি রাষ্ট্রের মধ্যে শান্তির প্রচেষ্টার অংশ, যা গত অক্টোবরে প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের জোট সরকারের অংশীদার ডিইএমের মাধ্যমে শুরু হয়। জাতীয়তাবাদী রাজনীতিবিদরা পরামর্শ দিয়েছিলেন, ওকালান যদি তার দলকে সহিংসতা ও বিচ্ছিন্নতাবাদী চিন্তা থেকে সরিয়ে আনতে
পারে তাহলে তাকে প্যারোলে মুক্তি দেওয়া যেতে পারে।



