তালেবান মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর কাবুলে দূতাবাস চালুর ঘোষণা ভারতের, ভারতকে ‘ঘনিষ্ঠ বন্ধু’ আখ্যা – ইউ এস বাংলা নিউজ




তালেবান মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর কাবুলে দূতাবাস চালুর ঘোষণা ভারতের, ভারতকে ‘ঘনিষ্ঠ বন্ধু’ আখ্যা

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ১০ অক্টোবর, ২০২৫ | ১১:৪৪ 15 ভিউ
আফগানিস্তানের তালেবান প্রশাসনের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক জোরদারের ঘোষণা দিয়েছে ভারত। ২০২১ সালে বন্ধ করে দেওয়া কাবুলস্থ ভারতীয় দূতাবাস আবার চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নয়াদিল্লি। আজ ১০ই অক্টোবর, শুক্রবার আফগান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকির সঙ্গে বৈঠকের পর ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এ ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, “আমরা কাবুলে ভারতের টেকনিক্যাল মিশনকে পূর্ণাঙ্গ রাষ্ট্রীয় দূতাবাসে উন্নীত করছি। ভারত আফগানিস্তানের সার্বভৌমত্ব, ভৌগোলিক অখণ্ডতা ও স্বাধীনতা রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।” তালেবান ক্ষমতা দখলের পর ২০২১ সালে ভারত কাবুলের দূতাবাস বন্ধ করে দেয় এবং সীমিত পরিসরে একটি ‘টেকনিক্যাল মিশন’ পরিচালনা করে আসছিল। ছোট শহরগুলোর কনস্যুলেটও বন্ধ ছিল। বৈঠকের পর তালেবান পররাষ্ট্রমন্ত্রী মুত্তাকি বলেন, “আশা করি দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ

হবে, যোগাযোগ ও বিনিময় বৃদ্ধি পাবে।” ভারতকে তিনি ‘ঘনিষ্ঠ বন্ধু’ বলে অভিহিত করেন। বর্তমানে কাবুলে চীন, রাশিয়া, ইরান, পাকিস্তান ও তুরস্কসহ প্রায় ডজনখানেক দেশের দূতাবাস কার্যক্রম চালু আছে। এর মধ্যে রাশিয়া তালেবান প্রশাসনকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দিয়েছে। মুত্তাকি রাশিয়া সফর শেষে ৬ দিনের সফরে ভারতে গেছেন। জাতিসংঘ তার ওপর আরোপিত ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞায় সাময়িক ছাড় দিয়েছে। ২০২১ সালের পর এটি কোনো তালেবান মন্ত্রীর প্রথম ভারত সফর। ভারতের এই পদক্ষেপকে দক্ষিণ এশিয়ার কূটনৈতিক ভারসাম্যের প্রেক্ষাপটে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। ভারতের অবজার্ভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের নীতি বিশ্লেষক হার্শ পান্ত বলেন, “এটি তালেবানকে সমর্থনের ইঙ্গিত নয়; বরং বাস্তববাদী পদক্ষেপ। সংখ্যালঘু, নারী ও মানবাধিকার বিষয়ে ভারতের আপত্তি থাকলেও কৌশলগত

কারণে তারা সম্পর্ক জোরদার করছে।” মুত্তাকি বলেন, আফগানিস্তান অন্য কোনো দেশের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জন্য ব্যবহৃত হতে দেবে না। অন্যদিকে জয়শঙ্কর বলেন, “এই উদ্যোগ ভারতের বাস্তব প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন।” নতুন দূতাবাস কবে থেকে কার্যক্রম শুরু করবে তা এখনো নির্ধারিত হয়নি। তবে এটি দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
বাংলাদেশের জন্য দুঃসংবাদ: জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বড় ছাঁটাই আসছে বাজারে সবজির সেঞ্চুরি: ১০০ টাকার নিচে মিলছে না কিছুই রাজনৈতিক অস্থিরতায় রপ্তানিতে ধাক্কা, বিনিয়োগে স্থবিরতা, উচ্চ মূল্যস্ফীতি: ভয়াবহ সংকটে অর্থনীতি পুলিশি বাধায় চারুকলার পর গেণ্ডারিয়াতেও পণ্ড ‘শরৎ উৎসব’: ১৯ বছরের ধারাবাহিকতায় ছেদ তালেবান মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর কাবুলে দূতাবাস চালুর ঘোষণা ভারতের, ভারতকে ‘ঘনিষ্ঠ বন্ধু’ আখ্যা আওয়ামী লীগ কি সশস্ত্র সংগ্রাম করবে? কারাবন্দীদের উপর নির্যাতন: সংবিধান ও গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন দেশের সব বিমানবন্দরে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি বেবিচকের এ কেমন সংস্কার! দুদকের মামলার একদিন পরই আসামী উল্টো পুরস্কৃত, পেলেন আরও বড় দায়িত্ব নৃশংস বর্বরতা আর নরকীয়তার ঘৃণ্য দৃষ্টান্ত স্থাপিত হল – নূরুল মজিদ হুমায়ূনের নিথর দেহে হাতকড়া লাগিয়ে। ন্যায়বিচারের পথে এক ধাপ এগোল বাংলাদেশ ট্রাম্প নয় শান্তিতে নোবেল পেলেন ভেনেজুয়েলার মারিয়া ট্রাম্পকে হারিয়ে নোবেল জেতা কে এই মাচাদো? শিশুদের ‘নোবেল’ শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত সাতক্ষীরার তরুণ সুদীপ্ত শাহজালাল বিমানবন্দরে ৬৫ ভরি স্বর্ণসহ গ্রেপ্তার ২ টস হেরে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ ১৯ বছর ধরে ইসরায়েলে বন্দি কে এই ‘দ্বিতীয় ইয়াহিয়া সিনওয়ার’? হংকংয়ের কাছে হেরেও যে সমীকরণে এশিয়ান কাপে খেলবে বাংলাদেশ মিরপুরে কুড়িয়ে পাওয়া ককটেল বিস্ফোরণ, শিশু আহত শাহবাগ এলাকা থেকে ৩ লাশ উদ্ধার