ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
ডিমের দামও ঊর্ধ্বমুখী সব ধরনের চালের দাম বেড়েছে
প্রশাসনের নজরদারি ও তদারকি সংস্থার কঠোর মনিটরিংয়ে গত সপ্তাহে কমতে শুরু করেছিল ডিমের দাম। তবে সরবরাহ সংকটের অজুহাতে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যটির দাম ফের বাড়তে শুরু করেছে।
সপ্তাহের ব্যবধানে খুচরা বাজারে ডজনপ্রতি ৬ টাকা বেড়ে ১৫৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে পাড়া-মহল্লার মুদি দোকানে ৮-১০ টাকা বেড়ে ১৫৮-১৬০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে। পাশাপাশি খুচরা বাজারে সপ্তাহের ব্যবধানে সব ধরনের চালের দাম বেড়েছে। প্রকারভেদে চালের দাম ২ থেকে ৫ টাকা বেড়েছে।
এছাড়া মসুর ডাল, ভোজ্যতেল, আলু, পেঁয়াজ ও রসুনও বাড়তি দরে বিক্রি হচ্ছে। ফলে এসব পণ্য কিনতে ক্রেতার বাড়তি টাকা ব্যয় হচ্ছে। ক্ষুব্ধ ক্রেতা বলছে, বাজারে কারও নিয়ন্ত্রণ নেই। যে যার মতো করে
দাম নিচ্ছে। বৃহস্পতিবার রাজধানীর কাওরান বাজার, নয়াবাজার, রামপুরা ও মালিবাগ কাঁচাবাজার ঘুরে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য জানা গেছে। খুচরা বিক্রেতারা জানান, রাজধানীর বাজারগুলোয় প্রতি হালি ডিম ৫২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ডজন হিসাবে বিক্রি হচ্ছে ১৫৬ টাকা, যা সাতদিন আগেও ১৫০ টাকা ছিল। এছাড়া পাড়া-মহল্লার মুদি দোকানে প্রতি ডজন ডিম ১৫৮-১৬০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে। নয়াবাজারের ডিম বিক্রেতা মো. জিহাদুল ইসলাম বলেন, পাইকাররা ফের ডিম নিয়ে কারসাজি করছেন। আড়তে সংকট দেখিয়ে পণ্যটির দাম বাড়িয়েছেন। তিনি জানান, কয়েকদিন আগেই প্রশাসনের নজরদারিতে তারা ডিমের দাম কমিয়ে বিক্রি করেছেন। নজরদারি একটু কমতে না কমতেই দাম আবারও বাড়িয়েছেন। যে কারণে খুচরা
পর্যায়ে দাম বেড়েছে। এদিকে তেজগাঁও পাইকারি ডিম আড়তদাররা জানান, করপোরেট কোম্পানিগুলো ঢাকার দুই পাইকারি আড়তে প্রতিদিন ১০ লাখ করে ২০ লাখ ডিম সরবরাহ করার কথা। কিন্তু তারা সম্পূর্ণ ডিম সরবরাহ করছেন না। পাশাপাশি দামও বাড়তি রাখছেন। যে কারণে পাইকারি পর্যায়ে ডিমের দাম আবারও বাড়িয়ে বিক্রি করতে হচ্ছে। তাই তদারকি সংস্থার উচিত উৎপাদক পর্যায়ে তদারকি করা। সেক্ষেত্রে দাম আবারও কমে আসবে। অন্যদিকে রাজধানীর খুচরা বাজারে চালের দাম আরেক দফা বেড়েছে। সাতদিন আগে প্রতি কেজি মিনিকেট সর্বনিম্ন ৬৪-৬৫ টাকায় বিক্রি হলেও বৃহস্পতিবার ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাইজাম ও বিআর-২৮ জাতের চাল প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬৫ টাকা, যা গত সপ্তাহে ৬২ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
পাশাপাশি মোটা চালের মধ্যে স্বর্ণা জাতের চাল প্রতি কেজি সর্বনিম্ন বিক্রি হচ্ছে ৫২ টাকা, যা সাতদিন আগেও ছিল ৫০ টাকা। কাওরান বাজারে নিত্যপণ্য কিনতে আসা মো. শাকিল বলেন, বাজারে কারও নিয়ন্ত্রণ নেই। সবাই সবার মতো করে দেশ চালাতে ব্যস্ত। কিন্তু বিক্রেতারা এখানে পণ্যের দাম বাড়ানোর উৎসব করছে। প্রতিদিন কিছু না কিছু পণ্যের দাম বাড়িয়ে ক্রেতাকে নাজেহাল করছে। ডিমের দাম আবারও বেড়েছে। সঙ্গে বেশি দামে চাল কিনতে হচ্ছে। সংকট থাকলে কথা ছিল। কিন্তু বাজারে চালের পর্যাপ্ত সরবরাহ আছে। একই বাজারের আল্লাহর দান রাইস এজেন্সির মালিক দিদার হোসেন বলেন, বাজারে চালের সংকট আছে, তা বলা যাবে না। মিলাররা মিল পর্যায়ে দাম বাড়ানোয় পাইকারি ও
খুচরা পর্যায়ে দাম বেড়েছে। মিলারদের কাছে চাল থাকলেও তারা বলছে নেই। আর অল্প পরিমাণে সরবরাহ করছে। তিনি জানান, বছরের এ সময় মিলাররা চালের দাম নিয়ে কারসাজি করে। এবারও একই চিত্র দেখা যাচ্ছে। খুচরা বাজারে বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ডিম ও চালের পাশাপাশি সয়াবিন তেল, পাম তেল, মসুর ডাল, আলু, পেঁয়াজ, রসুন ও দারুচিনি বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। এদিন খুচরা বাজারে প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে সর্বনিন্ম ১৫৮ টাকা, যা সাতদিন আগে ১৫৫ টাকা ছিল। প্রতি লিটার পাম তেল সুপার বিক্রি হচ্ছে ১৫১-১৫৪ টাকায়, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ১৫০-১৫৩ টাকা। মাঝারি দানার প্রতি কেজি মসুর ডাল বিক্রি
হচ্ছে ১২০ টাকা, সাতদিন আগে খুচরা পর্যায়ে এ ডাল বিক্রি হয়েছে ১১৫ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিপ্রতি ৫ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। পাশাপাশি প্রতি কেজি আলু ৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা সাতদিন আগেও ৬০ টাকা ছিল। প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা, যা সাতদিন আগে ১৩০ টাকা ছিল। আমদানি করা প্রতি কেজি ভারতের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকা, যা আগে ১১০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। প্রতি কেজি দেশি রসুন ২৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা সাতদিন আগে ২৪০ টাকা ছিল। আমদানি করা রসুন বিক্রি হচ্ছে ২৩০ টাকা। যা আগে ২২০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। সঙ্গে প্রতি কেজি ৫৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে
দারুচিনি, যা সাতদিন আগেও ৫৫০ টাকা ছিল।
দাম নিচ্ছে। বৃহস্পতিবার রাজধানীর কাওরান বাজার, নয়াবাজার, রামপুরা ও মালিবাগ কাঁচাবাজার ঘুরে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য জানা গেছে। খুচরা বিক্রেতারা জানান, রাজধানীর বাজারগুলোয় প্রতি হালি ডিম ৫২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ডজন হিসাবে বিক্রি হচ্ছে ১৫৬ টাকা, যা সাতদিন আগেও ১৫০ টাকা ছিল। এছাড়া পাড়া-মহল্লার মুদি দোকানে প্রতি ডজন ডিম ১৫৮-১৬০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে। নয়াবাজারের ডিম বিক্রেতা মো. জিহাদুল ইসলাম বলেন, পাইকাররা ফের ডিম নিয়ে কারসাজি করছেন। আড়তে সংকট দেখিয়ে পণ্যটির দাম বাড়িয়েছেন। তিনি জানান, কয়েকদিন আগেই প্রশাসনের নজরদারিতে তারা ডিমের দাম কমিয়ে বিক্রি করেছেন। নজরদারি একটু কমতে না কমতেই দাম আবারও বাড়িয়েছেন। যে কারণে খুচরা
পর্যায়ে দাম বেড়েছে। এদিকে তেজগাঁও পাইকারি ডিম আড়তদাররা জানান, করপোরেট কোম্পানিগুলো ঢাকার দুই পাইকারি আড়তে প্রতিদিন ১০ লাখ করে ২০ লাখ ডিম সরবরাহ করার কথা। কিন্তু তারা সম্পূর্ণ ডিম সরবরাহ করছেন না। পাশাপাশি দামও বাড়তি রাখছেন। যে কারণে পাইকারি পর্যায়ে ডিমের দাম আবারও বাড়িয়ে বিক্রি করতে হচ্ছে। তাই তদারকি সংস্থার উচিত উৎপাদক পর্যায়ে তদারকি করা। সেক্ষেত্রে দাম আবারও কমে আসবে। অন্যদিকে রাজধানীর খুচরা বাজারে চালের দাম আরেক দফা বেড়েছে। সাতদিন আগে প্রতি কেজি মিনিকেট সর্বনিম্ন ৬৪-৬৫ টাকায় বিক্রি হলেও বৃহস্পতিবার ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাইজাম ও বিআর-২৮ জাতের চাল প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬৫ টাকা, যা গত সপ্তাহে ৬২ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
পাশাপাশি মোটা চালের মধ্যে স্বর্ণা জাতের চাল প্রতি কেজি সর্বনিম্ন বিক্রি হচ্ছে ৫২ টাকা, যা সাতদিন আগেও ছিল ৫০ টাকা। কাওরান বাজারে নিত্যপণ্য কিনতে আসা মো. শাকিল বলেন, বাজারে কারও নিয়ন্ত্রণ নেই। সবাই সবার মতো করে দেশ চালাতে ব্যস্ত। কিন্তু বিক্রেতারা এখানে পণ্যের দাম বাড়ানোর উৎসব করছে। প্রতিদিন কিছু না কিছু পণ্যের দাম বাড়িয়ে ক্রেতাকে নাজেহাল করছে। ডিমের দাম আবারও বেড়েছে। সঙ্গে বেশি দামে চাল কিনতে হচ্ছে। সংকট থাকলে কথা ছিল। কিন্তু বাজারে চালের পর্যাপ্ত সরবরাহ আছে। একই বাজারের আল্লাহর দান রাইস এজেন্সির মালিক দিদার হোসেন বলেন, বাজারে চালের সংকট আছে, তা বলা যাবে না। মিলাররা মিল পর্যায়ে দাম বাড়ানোয় পাইকারি ও
খুচরা পর্যায়ে দাম বেড়েছে। মিলারদের কাছে চাল থাকলেও তারা বলছে নেই। আর অল্প পরিমাণে সরবরাহ করছে। তিনি জানান, বছরের এ সময় মিলাররা চালের দাম নিয়ে কারসাজি করে। এবারও একই চিত্র দেখা যাচ্ছে। খুচরা বাজারে বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ডিম ও চালের পাশাপাশি সয়াবিন তেল, পাম তেল, মসুর ডাল, আলু, পেঁয়াজ, রসুন ও দারুচিনি বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। এদিন খুচরা বাজারে প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে সর্বনিন্ম ১৫৮ টাকা, যা সাতদিন আগে ১৫৫ টাকা ছিল। প্রতি লিটার পাম তেল সুপার বিক্রি হচ্ছে ১৫১-১৫৪ টাকায়, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ১৫০-১৫৩ টাকা। মাঝারি দানার প্রতি কেজি মসুর ডাল বিক্রি
হচ্ছে ১২০ টাকা, সাতদিন আগে খুচরা পর্যায়ে এ ডাল বিক্রি হয়েছে ১১৫ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিপ্রতি ৫ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। পাশাপাশি প্রতি কেজি আলু ৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা সাতদিন আগেও ৬০ টাকা ছিল। প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা, যা সাতদিন আগে ১৩০ টাকা ছিল। আমদানি করা প্রতি কেজি ভারতের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকা, যা আগে ১১০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। প্রতি কেজি দেশি রসুন ২৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা সাতদিন আগে ২৪০ টাকা ছিল। আমদানি করা রসুন বিক্রি হচ্ছে ২৩০ টাকা। যা আগে ২২০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। সঙ্গে প্রতি কেজি ৫৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে
দারুচিনি, যা সাতদিন আগেও ৫৫০ টাকা ছিল।