ট্রাম্পের গাড়ির উপর শুল্ক: আমেরিকায় কর্মসংস্থান ও মজুরি বৃদ্ধি – ইউ এস বাংলা নিউজ




ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আপডেটঃ ৪ এপ্রিল, ২০২৫
     ৮:০৯ অপরাহ্ণ

আরও খবর

গাজায় একদিনে ইসরাইলি হামলায় নিহত ৮০, অনাহারে ১৪

শর্তহীন যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া

ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধে ১২০ দেশকে পাশে পেয়েছিল ইরান

খামেনিকে হত্যার হুমকি ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রীর

দেশে বিরাজমান পরিস্থিতিতে রাজধানীর গুলশানে ছাত্র সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন মানুষকে ভয়ভীতি দেখিয়ে চাঁদা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে একটি সংঘবদ্ধ দলের বিরুদ্ধে। গুলশানে সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শাম্মী আহমেদের বাসায় চাঁদাবাজির ঘটনায় মামলায় পাঁচজনকে আদালতে পাঠিয়ে পুলিশ প্রতিবেদনে এ কথা বলেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঢাকা মহানগর শাখার আহ্বায়ক (বহিষ্কৃত) ইব্রাহীম হোসেন মুন্না, সদস্য মো. সাকাদাউন সিয়াম, সাদমান সাদাব, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের আহ্বায়ক সদস্য (বহিষ্কৃত) আব্দুর রাজ্জাক বিন সুলাইমান (রিয়াদ) ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বাড্ডা থানা শাখার সদস্য (বহিষ্কৃত) ১৩ বছর বয়সী এক কিশোরকে আদালতে পাঠানো হয়। তাদের মধ্যে প্রথম চারজনের ১০ দিন করে রিমান্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় অপরজনকে আটক রাখার আবেদন করা হয় পৃথক আবেদনে। দুটি আবেদনেই তদন্ত কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, উল্লেখিত আসামিসহ তাঁদের একটি সংঘবদ্ধ দল দীর্ঘদিন ধরে গুলশান এলাকায় বিভিন্ন বাসায় গ্রেপ্তারের ভয় দেখিয়ে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে চাঁদা আদায় করে আসছে বলে তথ্য পাওয়া গেছে। তদন্ত কর্মকর্তা আবেদনে আরও উল্লেখ করেন, এই সংঘবদ্ধ দলের সদস্যরা দেশে বিরাজমান পরিস্থিতিতে ছাত্র সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন মানুষকে ভয়ভীতি দেখিয়ে চাঁদা আদায় করে। তারা আরও কিছু মানুষের কাছ থেকে চাঁদা নিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসব অভিযোগ তদন্ত করতে এবং এই সংঘবদ্ধ দলের সঙ্গে আর কারা জড়িত তা জানার জন্য চারজনকে রিমান্ডে নেওয়া প্রয়োজন বলে উল্লেখ করেন তদন্ত কর্মকর্তা। তিনি আবেদনে লেখেন, মামলার এজাহারে দেখা যায়, গ্রেপ্তারকৃতরা ইতিমধ্যে মামলার বাদীর কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা নিয়েছেন। ওই টাকা উদ্ধারের জন্যও রিমান্ডে নেওয়া প্রয়োজন। ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াদুর রহমান চারজনকে ৭ দিন করে রিমান্ডে নেওয়ার আদেশ দেন।

ভারতের সবচেয়ে বড় আইটি কোম্পানির কর্মী ছাঁটাইয়ের ঘোষণা

হামাসকে নির্মূল করে পূর্ণ বিজয় অর্জনে ইসরায়েল দৃঢ়প্রতিজ্ঞ: নেতানিয়াহু

ট্রাম্পের গাড়ির উপর শুল্ক: আমেরিকায় কর্মসংস্থান ও মজুরি বৃদ্ধি

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ৪ এপ্রিল, ২০২৫ | ৮:০৯ 32 ভিউ
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে আমেরিকার সাফল্যে অটোমোবাইল শিল্পের বড় অবদান ছিল, যা লক্ষ লক্ষ ট্যাঙ্ক, ট্রাক ও জিপ তৈরি করেছিল। দীর্ঘ দিনের অসঙ্গতিপূর্ণ বাণিজ্যের কারণে এই শিল্প দুর্বল হয়ে পড়ে। এখন আমেরিকা সম্পূর্ণ গাড়ি তৈরি করে না, বরং বিদেশে তৈরি হওয়া গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাংশ এনে এখানে জোড়া লাগায়। অটোমোবাইল শিল্পকে শক্তিশালী করতে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন বিদেশে তৈরি গাড়ি ও যন্ত্রাংশের ওপর। এই নতুন শুল্ক নীতির ফলে গাড়ি নির্মাতারা ইঞ্জিন, ট্রান্সমিশন ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাংশ আমেরিকায় তৈরি করতে আগ্রহী হবে। প্রতি বছর আমেরিকানরা প্রায় ১৬ মিলিয়ন যাত্রীবাহী গাড়ি, এসইউভি ও ট্রাক কেনে। এর মধ্যে প্রায় ৮ মিলিয়ন গাড়ি আমদানি

করা হয়, মূলত জার্মানি, জাপান, মেক্সিকো ও দক্ষিণ কোরিয়া থেকে। বাকি ৮ মিলিয়ন গাড়ি আমেরিকায় সংযোজন করা হলেও, তাদের মাত্র ৫০ শতাংশ দেশেই তৈরি হয়। এর অর্থ হল আমেরিকানরা যে গাড়ি কেনে, তার মোট মূল্যর মাত্র ২৫ শতাংশ আসলে দেশীয় উৎপাদনকে সমর্থন করে। বাকি অর্থ বিদেশি যন্ত্রাংশ ও শ্রমের জন্য ব্যয় হয়। আমেরিকার এক সময়ের শক্তিশালী অটোমোবাইল শিল্প কেন দুর্বল হয়ে পড়লো? এর কারণ- অন্য দেশগুলো অন্যায্য বাণিজ্য নীতি ও লুণ্ঠনমূলক শিল্পনীতি ব্যবহার করে। তারা সরকারিভাবে ভর্তুকি দিয়ে সস্তায় গাড়ি ও যন্ত্রাংশ আমেরিকার বাজারে পাঠায়, অথচ নিজেদের বাজারে আমেরিকান গাড়ি ঢুকতে দিচ্ছে না। উদাহরণস্বরূপ- জার্মানি আমদানিকৃত গাড়ির ওপর ১০ শতাংশ শুল্ক

বসিয়েছে, যা আমেরিকার ২ দশমিক ৫ শতাংশের শুল্কের চার গুণ। তারা রপ্তানির জন্য বড় ভর্তুকি দেয়, কর ছাড় দেয় এবং নানা ধরনের কারিগরি বাধা সৃষ্টি করে। উদ্ভট নিরাপত্তা মানদণ্ড তৈরি করে এমনভাবে শর্ত বসায়, যাতে আমেরিকান গাড়িগুলো বাতিল হয়ে যায়। এর ফলে, জার্মানি আমেরিকায় যে পরিমাণ গাড়ি রপ্তানি করে, আমেরিকা তার ছয় ভাগের এক ভাগও জার্মানিতে পাঠাতে পারে না। আবার জাপানে গাড়ির শুল্ক কম হলেও সমস্যা তা নয়। তাদের বাজার বিদেশি গাড়ির জন্য কঠিন নিয়মের মাধ্যমে প্রায় বন্ধ রাখা হয়েছে। যেমন- আমেরিকান গাড়িগুলোকে হুড ইমপ্যাক্ট টেস্ট পাস করতে হয়- একটি বিশেষ নিরাপত্তা পরীক্ষা যেখানে হুডের এমনভাবে বিকৃত হতে হবে, যাতে এটি

মানুষের মাথার আঘাত শোষণ করতে পারে। এই পরীক্ষায় ব্যর্থ হলে গাড়ি জাপানে বিক্রি করা যায় না। ফলে, জাপানে বিক্রি হওয়া ৯৫ শতাংশ গাড়িই দেশীয়ভাবে তৈরি। জার্মানি ও জাপান শুধু গাড়ি তৈরি করেই ক্ষান্ত নয়, তারা গাড়ির গুরুত্বপূর্ণ অংশ যেমন ইঞ্জিন, ট্রান্সমিশন ও ড্রাইভট্রেন তৈরি করে। এই অংশগুলো সবচেয়ে লাভজনক ও সেগুলোতে সবচেয়ে ভালো বেতন পাওয়া যায় এমন কারখানার কাজও পাওয়া যায়। পাওয়ার ট্রেন তৈরি করতে বিশেষ দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা দরকার, তাই এর জন্য কাজের মজুরি সাধারণত গাড়ি সংযোজন কারখানার তুলনায় ১০-২০ শতাংশ বেশি এবং সবচেয়ে বড় ব্যাপার হলো আমেরিকা তার বিক্রি করা গাড়ির জন্য ২০ শতাংশেরও কম ইঞ্জিন তৈরি করে, কিন্তু

জার্মানি ও জাপান মিলেই আমেরিকার রাস্তায় চলা গাড়ির বেশিরভাগ ইঞ্জিন ও ট্রান্সমিশন তৈরি করে। যেমন- সাউথ ক্যারোলিনার বিএমডব্লিউ প্ল্যান্টে গ্লোবাল রপ্তানির জন্য এসইউভি গাড়ি তৈরি হলেও তাদের ইঞ্জিন এবং ট্রান্সমিশন জার্মানি ও অস্ট্রিয়া থেকে আসে। মার্সিডিজ-বেঞ্জও আলাবামায় একইভাবে কাজ করে। এগুলো আসলে আমেরিকান-মেড গাড়ি নয়, বরং জার্মান-ডিজাইন করা গাড়ি যা কম মজুরির আমেরিকান শ্রমিকদের দ্বারা সংযোজিত হয়। ইন্ডিয়ানায়, সুবারু আউটব্যাক ও অ্যাসেন্ট গাড়ি সংযোজন করলেও তাদের ইঞ্জিনগুলি জাপান থেকে আমদানি করা হয়। টয়োটা ও হোন্ডা বেশি মার্কিন উপকরণ ব্যবহার করলেও তারা এখনও জাপানি পাওয়ারট্রেনের উপর অনেক নির্ভরশীল। ডেট্রয়টের বড় গাড়ি প্রস্তুতকারকরা তাদের গাড়ির মূল অংশ বিদেশে তৈরি করছে। ফর্ডের যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি

গাড়ির অর্ধেকেরও বেশি মেক্সিকান ইঞ্জিন ব্যবহার করে। স্টেলান্টিস বেশ কিছু ইঞ্জিন ইতালি ও মেক্সিকো থেকে সংগ্রহ করে এবং জার্মান ভিত্তিক জেডএফ ফ্রিডরিখশাফেন এজি থেকে ট্রান্সমিশন ব্যবহার করে। জেনারেল মোটরস, যদিও কিছুটা ভারসাম্যপূর্ণ, তবুও মেক্সিকো, অস্ট্রিয়া ও দক্ষিণ কোরিয়া থেকে আমদানি নির্ভর। যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো-কানাডা চুক্তি এই পরিস্থিতি বদলানোর কথা ছিল। কিন্তু, বাইডেন প্রশাসনের শিথিল কার্যকরী নীতির কারণে মেক্সিকো নতুন মিশিগানে পরিণত হয়েছে। এখন মেক্সিকোর বিভিন্ন শহরে মোটর সিটি ডায়াসপোরা গড়ে উঠেছে - পুয়েবলায় ফোক্সওয়াগেন ও অডি, রামোস অরিজপে-এ জেনারেল মোটরস ও স্টেলান্টিস, হারমোসিলো-এ ফরড, আগুয়াসকালিয়েন্টেসে নিসান ও মের্সিডিজ-বেঞ্জ। গাড়ি ও গাড়ির যন্ত্রাংশে শুল্ক বাড়িয়ে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আমেরিকার অর্থনীতি ও জাতীয় নিরাপত্তার জন্য এই হুমকিকে

মোকাবেলা করছেন। তিনি জানেন, পাওয়ারট্রেন ডিজাইন ও উৎপাদন শুধুমাত্র প্রযুক্তিগত চ্যালেঞ্জ নয় - এটি একটি কৌশলগত সক্ষমতা। যদি আমেরিকা এটি হারিয়ে ফেলে, তবে শুধু ভাল কাজ হারাবে না, বরং সেই শিল্প শক্তিও হারাবে যা জাতীয় প্রতিরক্ষার জন্য প্রয়োজন। অনেকেই মনে করছেন, এটি সুরক্ষাবাদী নীতি নয়। এটি পুনঃস্থাপন, বোল্ট থেকে বডি পর্যন্ত পূর্ণ-প্যাটার্ন উৎপাদনের পুনঃস্থাপন। এটি উচ্চ মজুরি ও উচ্চ দক্ষতার কাজের পুনঃস্থাপন এবং আমেরিকার 'আর্সেনাল অফ ডেমোক্রেসির পুনঃস্থাপন।

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েও পড়ালেখা অনিশ্চিত ছাইনুমে মারমার রাউজানে বিএনপির দুপক্ষে সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধসহ আহত ৪০ প্রথমবারের মতো খেলাপি ঋণ ৫ লাখ কোটি টাকা ছাড়াল এক মাসের বিদ্যুৎ বিল ১১ লাখ টাকা, দিশাহারা ঝালমুড়ি বিক্রেতা রাবি প্রশাসন নিয়ন্ত্রণ করছে জামায়াত, দাবি ছাত্রদল সেক্রেটারির তরুণীর প্রেমের টানে চীনা যুবক বাংলাদেশে নিজের বিয়ে ঠেকাতে যা করল স্কুলছাত্রী শাহ আমানতে আমদানি নিষিদ্ধ ক্রিম ও সিগারেট জব্দ বিরতি শেষে কাজে ফিরেছেন টেলর সুইফট নারী এশিয়ান কাপে কঠিন গ্রুপে বাংলাদেশ নিউ ইয়র্ক সিটির অফিসে গুলি: বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত পুলিশ কর্মকর্তাসহ ৪ জন নিহত মুজিবকে ছোট করে তাজউদ্দিনকে কি বড় করা যায়, নাকি সেটা সম্ভব? টাঙ্গাইলে এনসিপির পাহারায় ৯ শতাধিক পুলিশ, গোয়েন্দা ও বিভিন্ন বাহিনীর অজানা সংখ্যক সদস্য রাজশাহীতে ছড়িয়ে পড়েছে ১২৩ চাঁদাবাজের তালিকা, বিএনপি-জামায়াতের অর্ধশতাধিক নেতা যুক্ত ইউনূস সরকার ব্যস্ত দমন-পীড়নে: বাজারে আগুন, ভোগান্তি চরমে দেশে বিনিয়োগে ধস: থমকে যাওয়া শিল্প খাতের উদ্যোক্তারা হতাশ দলীয় নেতার যৌন কুপ্রস্তাবের পর এবার দুর্ণীতির অভিযোগে এনসিপি ছাড়লেন নীলা ইসরাফিল সমাজের সবচেয়ে খারাপ নারী হিসেবে চিহ্নিত হয়েছি আমি চাঁদা না পেয়ে ব্যবসায়ীদের নিপীড়ন: সভাপতিসহ জামায়াতের ৪ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার জয় বাংলার মোড়ে ভুয়া র‍্যাব বনাম আসল র‍্যাব দুই টিমকেই কনফিউজড জনতার ধোলাই