ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
দেশ আবার সারের জন্য ফেটে পড়ছে—এই হলো বিদেশিদের পোষ্য জামাতি ইউনুস সরকারের আসল চেহারা!
‘আওয়ামী লীগ দুর্নীতি করলেও কাজ করেছে, এরা শুধুই পকেট ভরেছে’—সমন্বয়কদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ ঝাড়লেন রিকশাচালক
আসিফ মাহমুদের বিরুদ্ধে হাজার কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ ও আল্টিমেটাম দিলেন ডাল্টন হীরা
‘ওই নূতনের কেতন ওড়ে’
সবাইকে নিয়ে নির্বাচন না হলে আমরা অংশগ্রহণ করব না : কাদের সিদ্দিকী
তানিয়া রবের গাড়ি বহরে হামলা নব্য ফ্যাসিবাদের পদধ্বনি : জেএসডি
আওয়ামী লীগের জনপ্রিয় নেতৃত্বকে দুর্বল করতে পরিকল্পিত আগুন–সন্ত্রাস?
ঝিনাইদহে সাবেক এমপি নাসের শাহরিয়ার জাহেদীর বাড়িতে হামলা,
ঝিনাইদহ-২ (সদর–হরিণাকুণ্ডু) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য, বাফুফে সহ-সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি নাসের শাহরিয়ার জাহেদীর বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে শহরের বঙ্গবন্ধু সড়কে তার বাসভবনে ১০-১২ জন দুর্বৃত্ত এ হামলা চালায়।
বাড়ির নিরাপত্তা প্রহরী ফেরদৌস হাসান জানান, মাগরিবের আজানের সময় হঠাৎ কয়েকজন ব্যক্তি বাড়িতে ঢোকার চেষ্টা করে। তাদের মধ্যে দুজন ভেতরে প্রবেশ করে তিনটি মোটরসাইকেল, কয়েকটি চেয়ার ও সিসিটিভি ক্যামেরা ভাঙচুর করে এবং তাকে মারধর করে। তবে মূল ভবনের ভেতরের ফটক তালাবদ্ধ থাকায় তারা সেখানে প্রবেশ করতে পারেনি।
নাসের শাহরিয়ার জাহেদী বর্তমানে চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে অবস্থান করছেন। তার পরিচালিত জাহেদী ফাউন্ডেশনের সমন্বয়কারী তবিবুর
রহমান বলেন, “মণ্ডল সাহেব (জাহেদী) দেশের বাইরে থাকায় বাড়িতে নিরাপত্তা কিছুটা শিথিল ছিল। সন্ধ্যায় দুর্বৃত্তরা বাড়িতে ঢুকে ভাঙচুর চালায়। তার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা চলছে এবং তার নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” খবর পেয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তিনি জানান, "আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি, তবে এখনো পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি।" এই হামলার পেছনে জটিল রাজনৈতিক সমীকরণ কাজ করছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। নাসের শাহরিয়ার জাহেদী জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি হওয়া সত্ত্বেও গত নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতাকর্মীদের অভিযোগ, গত ৫ই আগস্টের পর থেকে
দলের কর্মী-সমর্থকরা নানা ধরনের নির্যাতন-নিপীড়নের শিকার হলেও জাহেদী তাদের পাশে দাঁড়াননি বা কোনো আইনি সহায়তা দেননি। আওয়ামী লীগের দলীয় সূত্রমতে, একটি ভার্চুয়াল বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে তিরস্কার করে বলেন, “দলের প্রতি বেইমানির জন্য মূল্য দিতে হবে।” এমন পরিস্থিতিতে জাহেদীর নিরাপদ অবস্থানকে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সন্দেহের চোখে দেখছেন। অন্যদিকে, বারবার রাজনৈতিক অবস্থান পরিবর্তনের কারণে জাহেদী বিএনপি এবং আওয়ামী লীগ উভয় দলেই বিতর্কিত ও অবিশ্বস্ত হিসেবে পরিচিত হয়ে উঠেছেন। রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন রয়েছে, তিনি তথাকথিত "তুর্কি লবি"র মাধ্যমে জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলেছেন। সম্প্রতি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে তার যোগাযোগের তথ্য ফাঁস হলে স্থানীয় বিএনপিতেও তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি
হয়। স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, জাহেদী বিএনপির একটি অংশের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক এবং জামায়াতের পূর্ণ সমর্থন নিয়ে আগামী নির্বাচনে জয়ের পথ সহজ করার চেষ্টা করছিলেন। ধারণা করা হচ্ছে, তারেক রহমানের সঙ্গে যোগাযোগের ঘটনায় ক্ষুব্ধ বিএনপির স্থানীয় নেতারাই এই হামলা চালিয়ে থাকতে পারেন। সব মিলিয়ে এই হামলাকে কেন্দ্র করে ঝিনাইদহের রাজনীতিতে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে।
রহমান বলেন, “মণ্ডল সাহেব (জাহেদী) দেশের বাইরে থাকায় বাড়িতে নিরাপত্তা কিছুটা শিথিল ছিল। সন্ধ্যায় দুর্বৃত্তরা বাড়িতে ঢুকে ভাঙচুর চালায়। তার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা চলছে এবং তার নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” খবর পেয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তিনি জানান, "আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি, তবে এখনো পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি।" এই হামলার পেছনে জটিল রাজনৈতিক সমীকরণ কাজ করছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। নাসের শাহরিয়ার জাহেদী জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি হওয়া সত্ত্বেও গত নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতাকর্মীদের অভিযোগ, গত ৫ই আগস্টের পর থেকে
দলের কর্মী-সমর্থকরা নানা ধরনের নির্যাতন-নিপীড়নের শিকার হলেও জাহেদী তাদের পাশে দাঁড়াননি বা কোনো আইনি সহায়তা দেননি। আওয়ামী লীগের দলীয় সূত্রমতে, একটি ভার্চুয়াল বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে তিরস্কার করে বলেন, “দলের প্রতি বেইমানির জন্য মূল্য দিতে হবে।” এমন পরিস্থিতিতে জাহেদীর নিরাপদ অবস্থানকে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সন্দেহের চোখে দেখছেন। অন্যদিকে, বারবার রাজনৈতিক অবস্থান পরিবর্তনের কারণে জাহেদী বিএনপি এবং আওয়ামী লীগ উভয় দলেই বিতর্কিত ও অবিশ্বস্ত হিসেবে পরিচিত হয়ে উঠেছেন। রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন রয়েছে, তিনি তথাকথিত "তুর্কি লবি"র মাধ্যমে জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলেছেন। সম্প্রতি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে তার যোগাযোগের তথ্য ফাঁস হলে স্থানীয় বিএনপিতেও তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি
হয়। স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, জাহেদী বিএনপির একটি অংশের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক এবং জামায়াতের পূর্ণ সমর্থন নিয়ে আগামী নির্বাচনে জয়ের পথ সহজ করার চেষ্টা করছিলেন। ধারণা করা হচ্ছে, তারেক রহমানের সঙ্গে যোগাযোগের ঘটনায় ক্ষুব্ধ বিএনপির স্থানীয় নেতারাই এই হামলা চালিয়ে থাকতে পারেন। সব মিলিয়ে এই হামলাকে কেন্দ্র করে ঝিনাইদহের রাজনীতিতে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে।



