ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর
ঢাকা কলেজের ‘দেড়শ’ শিক্ষার্থী আহত, সিটি কলেজ সরিয়ে নেওয়ার দাবি
প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ হাইকোর্টে স্থগিত
গোপালগঞ্জ জেলার বশেমুর বিপ্রবিতে দু’ গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ১৫
দায়ীদের শনাক্ত করার চেষ্টা চালাচ্ছেন তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা
কমিটি গঠনের আশ্বাসে তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীদের আন্দোলন স্থগিত
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ছাত্রলীগের সভাপতি গ্রেফতার
বন্ধ তিতুমীর!
জিপিএ-৫ নিয়েও উৎকণ্ঠায় শিক্ষার্থীরা, সামনের বড় চ্যালেঞ্জ ভর্তি পরীক্ষা
উচ্চমাধ্যমিকের ফল হাতে পাওয়ার পরপরই দুশ্চিন্তায় পড়েছেন শিক্ষার্থীরা। পরীক্ষায় ভালো ফল করেও পছন্দের প্রতিষ্ঠানে ভর্তি নিয়ে শঙ্কায় আছেন অনেকেই। প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের নামিদামি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সব মিলিয়ে আসন সংখ্যা রয়েছে ৭০ হাজারের মতো। এবার জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১ লাখ ৪৫ হাজার ৯১১ জন। আর জিপিএ-৫-এর নিচে কিন্তু ৩.৫-এর ওপরে শিক্ষার্থী আছেন ৬ লাখ ৪৪ হাজার ৬৬৬ জন। পছন্দের আসনের জন্য মূলত এসব শিক্ষার্থীর মধ্যেই লড়াই হবে।
যদিও দেশে উচ্চশিক্ষার জন্য সরকারি-বেসরকারি মিলে আসন রয়েছে ১৩ লাখের মতো। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের পছন্দের শীর্ষে। এর জন্য প্রতিযোগিতাও বেশি। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন কলেজগুলোয় আসনসংখ্যা প্রায় সাড়ে ৪ লাখ। এখন সবচেয়ে বড়
চ্যালেঞ্জ হলো সামনে উচ্চশিক্ষায় প্রবেশের জন্য ভর্তি পরীক্ষায় ভালো করা। এ কঠিন ভর্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়েই তাদের কাঙ্ক্ষিত আসনটি অর্জন করতে হবে। প্রসঙ্গত, এবার এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় পাশ করেছেন ১০ লাখ ৩৫ হাজার ৩০৯ জন। গেল বছর এইচএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন ৯২ হাজার ৫৯৫ জন। সে তুলনায় এবার জিপিএ-৫ বেড়েছে ৫৩ হাজার ৩১৬ জন। ভালো প্রতিষ্ঠানে ভর্তি নিয়ে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের কপালে এখন চিন্তার ভাঁজ। শিক্ষার্থীরা বলছেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কারণে এইচএসসির সব বিষয়ে পরীক্ষা হয়নি। সাবজেক্ট ম্যাপিংয়ের মাধ্যমে বেশির ভাগ বিষয়ের ফল দেওয়ায় যে শিক্ষার্থীরা এসএসসিতে ভালো ফল করতে পেরেছিলেন, তারা এইচএসসিতেও ভালো করেছেন। তবে এসএসসিতে অপেক্ষাকৃত ভালো করতে না পারলেও এইচএসসিতে
কঠোর পরিশ্রম করা শিক্ষার্থীদের অপ্রাপ্তির অনুভূতি রয়েই গেছে। এই ফলপ্রাপ্তির পর যদি ভালো মানের বিদ্যাপীঠে ভর্তির সুযোগ না হয়, তাহলে তাদের স্বপ্ন অধরা থেকে যাবে। এবার জিপিএ-৫ পেয়ে রাজধানীর রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজের মানবিক বিভাগ থেকে পাশ করেছেন মোসাদ্দেক আমিন প্রতীক। তিনি বলেন, সর্বোচ্চ সূচক জিপিএ-৫ পেয়ে অনেক শিক্ষার্থীই ভর্তি পরীক্ষায় ছিটকে পড়েন। আমাদের সামনে ভর্তি পরীক্ষা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। বিষয়টি সামনে রেখেই প্রস্তুতি নিচ্ছি। সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, উচ্চশিক্ষায় ভর্তি প্রতিযোগিতা বাড়বে দেশের শীর্ষস্থানীয় পাবলিক ও প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় এবং মেডিকেল কলেজে। কিন্তু মেধাবী শিক্ষার্থীদের পছন্দের প্রতিষ্ঠানে আসনসংখ্যা খুবই সীমিত। যেহেতু গতবারের চেয়ে এবার জিপিএ-৫-এর সংখ্যা অনেক। সব পরীক্ষা না হওয়া আর
সাবজেক্ট ম্যাপিংয়ের মাধ্যমে ফল প্রকাশের ব্যতিক্রমী ঘটনার পর এবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষাই শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নের আসল লড়াই হবে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বুয়েটে আবেদনের জন্য এসএসসিতে কমপক্ষে জিপিএ-৪ এবং এইচএসসিতে জিপিএ-৫ থাকতে হবে। এছাড়া মেডিকেলের আবেদনের জন্য এসএসসি ও এইচএসসি দুটি মিলে সর্বনিু ৯ পয়েন্ট থাকতে হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিজ্ঞান বিভাগে আবেদনের জন্য এসএসসি ও এইচএসসি দুটি মিলে কমপক্ষে ৮ পয়েন্ট থাকতে হবে। এছাড়া মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে ভর্তির আবেদনের জন্য এসএসসি ও এইচএসসি দুটো মিলে কমপক্ষে ৭.৫ পয়েন্ট থাকতে হবে (তবে কোনোটিতে ৩ পয়েন্টের নিচে প্রযোজ্য নয়)। গুচ্ছভুক্ত ২২ বিশ্ববিদ্যালয়ের আবেদনের জন্য বিজ্ঞানে এসএসসি ও এইচএসসি মিলে ৮ পয়েন্ট থাকতে
হবে (তবে কোনোটিতেই ৩.৫০-এর নিচে নয়)। মানবিকে আবেদনের জন্য এসএসসি ও এইচএসসি মিলে ৬ পয়েন্ট থাকতে হবে (তবে কোনোটিতে ৩ পয়েন্টের নিচে নয়)। ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে ভর্তির আবেদনের জন্য এসএসসি ও এইচএসসি মিলে কমপক্ষে ৬.৫ পয়েন্ট থাকতে হবে (তবে কোনোটিতে ৩.০ পয়েন্টের নিচে নয়)। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও অন্যান্য সরকারি উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তির শর্ত অনুযায়ী সাধারণত জিপিএ-৩.৫ পাওয়া শিক্ষার্থীরা আবেদনের সুযোগ পান। এবার (২০২৪ সালে) জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থী ১ লাখ ৪৫ হাজার ৯১১ জন ছাড়াও জিপিএ-৫-এর নিচে (৩.৫ পর্যন্ত) শিক্ষার্থী আছেন ৬ লাখ ৪৪ হাজার ৬৬৬ জন। তবে ৭০ হাজার আসনের জন্যই মূলত এসব শিক্ষার্থীর মধ্যে লড়াই হবে। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য
অধ্যাপক মোহাম্মদ তানজিমুদ্দিন খান বলেন, পছন্দের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও বিষয়ে ভর্তিতে তীব্র প্রতিযোগিতা হবে। জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীদের অনেকেই প্রথম পছন্দের প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে পারবেন না। যেহেতু পরীক্ষার মাধ্যমে উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি করানো হয়, এক্ষেত্রে যারা ভালো করবেন, তারাই চান্স পাবেন। অনেক সময় কম জিপিএ পেয়েও ভালো প্রতিষ্ঠানে চান্স পেয়ে যান শিক্ষার্থীরা। এখানে আসন সংখ্যা সমস্যা নয়, প্রত্যাশা অনুযায়ী ভর্তি হতে পারাটাই মুখ্য। এবার ফলের চেয়েও ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন তিনি। তিনি বলেন, ভর্তি পরীক্ষার আগের সময়টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যারা সময়কে কাজে লাগাতে পারবেন, তারাই সফল হবেন। একক ভর্তি পরীক্ষার বিষয়ে তিনি জানান, গুচ্ছভুক্ত ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে এখনো
কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। শিক্ষার্থীদের কষ্ট ও হয়রানি যেন না হয়, সে বিষয়ে গুরত্ব দিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান তিনি। ইউজিসির তথ্য অনুসারে, উচ্চশিক্ষায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৫৫টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ৫৬ হাজার আসন রয়েছে। এছাড়া ১০৪টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে আসন সোয়া ২ লাখ। তবে এগুলোর মধ্যে ১০-১২টি বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে শিক্ষার্থীদের দৃষ্টি। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন বিভিন্ন কলেজে ডিগ্রি পাশ ও স্নাতকে ১০ লাখের বেশি আসন আছে প্রথম বর্ষে। উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে আসন সংখ্যা নির্ধারিত নেই। মেডিকেল ও ডেন্টালে আসন আছে প্রায় ১৩ হাজার এবং দুটি আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ে আছে (গাজীপুরের আইইউটি ও চট্টগ্রামে এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন) ৮০০টি আসন। শিক্ষার্থীদের অনেকে উচ্চমাধ্যমিকে পাশের পর বিশেষায়িত কারিগরি শিক্ষা নিতে চান। এ ধরনের প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৪টি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ৭২০, ছয়টি টেক্সটাইল কলেজে ৭২০, সরকারি ও বেসরকারি নার্সিং ও মিডওয়াইফারি প্রতিষ্ঠানে আসন আছে ৫ হাজার ৬০০টি। ১৪টি মেরিন অ্যান্ড অ্যারোনটিক্যাল কলেজে ৬৬০টি আসন আছে। যারা ইসলামি বিশেষজ্ঞ হতে চান, তাদের জন্য ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ফাজিল (ডিগ্রি) ও অনার্সে ভর্তির জন্য ৬৪ হাজার ৫২৯টি আসন আছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন ৭টি সরকারি কলেজে রয়েছে প্রায় ২৪ হাজার আসন। তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আসন যতই থাকুক না কেন, শেষ পর্যন্ত অর্ধশতাধিক পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, ৫-৭টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, ৪৭টি সরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজ এবং কয়েকটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজেও শিক্ষার্থীরা ভর্তি হতে চান। এ ধরনের প্রতিষ্ঠানে আসন আছে প্রায় ৬০ হাজার। কেবল জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন কলেজগুলোয় ভর্তি পরীক্ষা দিতে হয় না। আবেদন করলে ফলাফলের ওপর নির্ভর করে ভর্তির সুযোগ পান শিক্ষার্থীরা। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) উপাচার্য ড. আবু বোরহান মোহাম্মদ বদরুজ্জামান বলেন, এবারের উচ্চমাধ্যমিকে পাশ করা শিক্ষার্থীরা রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে সব পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেননি। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও পরীক্ষায় অংশগ্রহণ না করার কারণে দীর্ঘদিন তারা পড়াশোনার বাইরে রয়েছেন। ফলে তাদের জন্য আগামী ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি খুবই কঠিন হবে। যেহেতু এবার জিপিএ-৫ও অনেক বেশি পেয়েছে, তাই সব বিবেচনা করে ভর্তি পরীক্ষার জন্য আমরা একটা সিদ্ধান্ত নেব। এবার এইচএসসি পাশ করা পরীক্ষার্থীদের বুয়েটে ভর্তি পরীক্ষা দেওয়াটা যেমন চ্যালেঞ্জ হবে, তাদের পরীক্ষা নেওয়াটাও চ্যালেঞ্জ হবে।
চ্যালেঞ্জ হলো সামনে উচ্চশিক্ষায় প্রবেশের জন্য ভর্তি পরীক্ষায় ভালো করা। এ কঠিন ভর্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়েই তাদের কাঙ্ক্ষিত আসনটি অর্জন করতে হবে। প্রসঙ্গত, এবার এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় পাশ করেছেন ১০ লাখ ৩৫ হাজার ৩০৯ জন। গেল বছর এইচএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন ৯২ হাজার ৫৯৫ জন। সে তুলনায় এবার জিপিএ-৫ বেড়েছে ৫৩ হাজার ৩১৬ জন। ভালো প্রতিষ্ঠানে ভর্তি নিয়ে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের কপালে এখন চিন্তার ভাঁজ। শিক্ষার্থীরা বলছেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কারণে এইচএসসির সব বিষয়ে পরীক্ষা হয়নি। সাবজেক্ট ম্যাপিংয়ের মাধ্যমে বেশির ভাগ বিষয়ের ফল দেওয়ায় যে শিক্ষার্থীরা এসএসসিতে ভালো ফল করতে পেরেছিলেন, তারা এইচএসসিতেও ভালো করেছেন। তবে এসএসসিতে অপেক্ষাকৃত ভালো করতে না পারলেও এইচএসসিতে
কঠোর পরিশ্রম করা শিক্ষার্থীদের অপ্রাপ্তির অনুভূতি রয়েই গেছে। এই ফলপ্রাপ্তির পর যদি ভালো মানের বিদ্যাপীঠে ভর্তির সুযোগ না হয়, তাহলে তাদের স্বপ্ন অধরা থেকে যাবে। এবার জিপিএ-৫ পেয়ে রাজধানীর রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজের মানবিক বিভাগ থেকে পাশ করেছেন মোসাদ্দেক আমিন প্রতীক। তিনি বলেন, সর্বোচ্চ সূচক জিপিএ-৫ পেয়ে অনেক শিক্ষার্থীই ভর্তি পরীক্ষায় ছিটকে পড়েন। আমাদের সামনে ভর্তি পরীক্ষা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। বিষয়টি সামনে রেখেই প্রস্তুতি নিচ্ছি। সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, উচ্চশিক্ষায় ভর্তি প্রতিযোগিতা বাড়বে দেশের শীর্ষস্থানীয় পাবলিক ও প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় এবং মেডিকেল কলেজে। কিন্তু মেধাবী শিক্ষার্থীদের পছন্দের প্রতিষ্ঠানে আসনসংখ্যা খুবই সীমিত। যেহেতু গতবারের চেয়ে এবার জিপিএ-৫-এর সংখ্যা অনেক। সব পরীক্ষা না হওয়া আর
সাবজেক্ট ম্যাপিংয়ের মাধ্যমে ফল প্রকাশের ব্যতিক্রমী ঘটনার পর এবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষাই শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নের আসল লড়াই হবে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বুয়েটে আবেদনের জন্য এসএসসিতে কমপক্ষে জিপিএ-৪ এবং এইচএসসিতে জিপিএ-৫ থাকতে হবে। এছাড়া মেডিকেলের আবেদনের জন্য এসএসসি ও এইচএসসি দুটি মিলে সর্বনিু ৯ পয়েন্ট থাকতে হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিজ্ঞান বিভাগে আবেদনের জন্য এসএসসি ও এইচএসসি দুটি মিলে কমপক্ষে ৮ পয়েন্ট থাকতে হবে। এছাড়া মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে ভর্তির আবেদনের জন্য এসএসসি ও এইচএসসি দুটো মিলে কমপক্ষে ৭.৫ পয়েন্ট থাকতে হবে (তবে কোনোটিতে ৩ পয়েন্টের নিচে প্রযোজ্য নয়)। গুচ্ছভুক্ত ২২ বিশ্ববিদ্যালয়ের আবেদনের জন্য বিজ্ঞানে এসএসসি ও এইচএসসি মিলে ৮ পয়েন্ট থাকতে
হবে (তবে কোনোটিতেই ৩.৫০-এর নিচে নয়)। মানবিকে আবেদনের জন্য এসএসসি ও এইচএসসি মিলে ৬ পয়েন্ট থাকতে হবে (তবে কোনোটিতে ৩ পয়েন্টের নিচে নয়)। ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে ভর্তির আবেদনের জন্য এসএসসি ও এইচএসসি মিলে কমপক্ষে ৬.৫ পয়েন্ট থাকতে হবে (তবে কোনোটিতে ৩.০ পয়েন্টের নিচে নয়)। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও অন্যান্য সরকারি উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তির শর্ত অনুযায়ী সাধারণত জিপিএ-৩.৫ পাওয়া শিক্ষার্থীরা আবেদনের সুযোগ পান। এবার (২০২৪ সালে) জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থী ১ লাখ ৪৫ হাজার ৯১১ জন ছাড়াও জিপিএ-৫-এর নিচে (৩.৫ পর্যন্ত) শিক্ষার্থী আছেন ৬ লাখ ৪৪ হাজার ৬৬৬ জন। তবে ৭০ হাজার আসনের জন্যই মূলত এসব শিক্ষার্থীর মধ্যে লড়াই হবে। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য
অধ্যাপক মোহাম্মদ তানজিমুদ্দিন খান বলেন, পছন্দের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও বিষয়ে ভর্তিতে তীব্র প্রতিযোগিতা হবে। জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীদের অনেকেই প্রথম পছন্দের প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে পারবেন না। যেহেতু পরীক্ষার মাধ্যমে উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি করানো হয়, এক্ষেত্রে যারা ভালো করবেন, তারাই চান্স পাবেন। অনেক সময় কম জিপিএ পেয়েও ভালো প্রতিষ্ঠানে চান্স পেয়ে যান শিক্ষার্থীরা। এখানে আসন সংখ্যা সমস্যা নয়, প্রত্যাশা অনুযায়ী ভর্তি হতে পারাটাই মুখ্য। এবার ফলের চেয়েও ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন তিনি। তিনি বলেন, ভর্তি পরীক্ষার আগের সময়টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যারা সময়কে কাজে লাগাতে পারবেন, তারাই সফল হবেন। একক ভর্তি পরীক্ষার বিষয়ে তিনি জানান, গুচ্ছভুক্ত ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে এখনো
কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। শিক্ষার্থীদের কষ্ট ও হয়রানি যেন না হয়, সে বিষয়ে গুরত্ব দিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান তিনি। ইউজিসির তথ্য অনুসারে, উচ্চশিক্ষায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৫৫টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ৫৬ হাজার আসন রয়েছে। এছাড়া ১০৪টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে আসন সোয়া ২ লাখ। তবে এগুলোর মধ্যে ১০-১২টি বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে শিক্ষার্থীদের দৃষ্টি। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন বিভিন্ন কলেজে ডিগ্রি পাশ ও স্নাতকে ১০ লাখের বেশি আসন আছে প্রথম বর্ষে। উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে আসন সংখ্যা নির্ধারিত নেই। মেডিকেল ও ডেন্টালে আসন আছে প্রায় ১৩ হাজার এবং দুটি আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ে আছে (গাজীপুরের আইইউটি ও চট্টগ্রামে এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন) ৮০০টি আসন। শিক্ষার্থীদের অনেকে উচ্চমাধ্যমিকে পাশের পর বিশেষায়িত কারিগরি শিক্ষা নিতে চান। এ ধরনের প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৪টি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ৭২০, ছয়টি টেক্সটাইল কলেজে ৭২০, সরকারি ও বেসরকারি নার্সিং ও মিডওয়াইফারি প্রতিষ্ঠানে আসন আছে ৫ হাজার ৬০০টি। ১৪টি মেরিন অ্যান্ড অ্যারোনটিক্যাল কলেজে ৬৬০টি আসন আছে। যারা ইসলামি বিশেষজ্ঞ হতে চান, তাদের জন্য ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ফাজিল (ডিগ্রি) ও অনার্সে ভর্তির জন্য ৬৪ হাজার ৫২৯টি আসন আছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন ৭টি সরকারি কলেজে রয়েছে প্রায় ২৪ হাজার আসন। তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আসন যতই থাকুক না কেন, শেষ পর্যন্ত অর্ধশতাধিক পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, ৫-৭টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, ৪৭টি সরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজ এবং কয়েকটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজেও শিক্ষার্থীরা ভর্তি হতে চান। এ ধরনের প্রতিষ্ঠানে আসন আছে প্রায় ৬০ হাজার। কেবল জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন কলেজগুলোয় ভর্তি পরীক্ষা দিতে হয় না। আবেদন করলে ফলাফলের ওপর নির্ভর করে ভর্তির সুযোগ পান শিক্ষার্থীরা। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) উপাচার্য ড. আবু বোরহান মোহাম্মদ বদরুজ্জামান বলেন, এবারের উচ্চমাধ্যমিকে পাশ করা শিক্ষার্থীরা রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে সব পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেননি। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও পরীক্ষায় অংশগ্রহণ না করার কারণে দীর্ঘদিন তারা পড়াশোনার বাইরে রয়েছেন। ফলে তাদের জন্য আগামী ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি খুবই কঠিন হবে। যেহেতু এবার জিপিএ-৫ও অনেক বেশি পেয়েছে, তাই সব বিবেচনা করে ভর্তি পরীক্ষার জন্য আমরা একটা সিদ্ধান্ত নেব। এবার এইচএসসি পাশ করা পরীক্ষার্থীদের বুয়েটে ভর্তি পরীক্ষা দেওয়াটা যেমন চ্যালেঞ্জ হবে, তাদের পরীক্ষা নেওয়াটাও চ্যালেঞ্জ হবে।