
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর

পবিত্র হজের খুতবা দিলেন ড. সালেহ আল হুমাইদ

গাজার পথে গ্রেটা, যা বলল ইসরাইল

নেতানিয়াহু ও ইসরায়েল এখন বিশ্বদৃষ্টিতে বিতর্কিত : জরিপ

পাকিস্তানে যৌথ অভিযানে খতম ১৪ ‘ভারতীয় মদতপুষ্ট’ সন্ত্রাসী

২৪ ঘণ্টায় আরও ৯৭ ফিলিস্তিনিকে হত্যা

ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বন্যায় মৃত বেড়ে ৪৪

ইউক্রেনকে কেন ‘সন্ত্রাসী’ ও ‘নাৎসি’ বললেন মাদুরো
জাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গে বিলাওয়ালের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তানি প্রতিনিধি দলের বৈঠক

এশিয়ায় শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসের সঙ্গে বৈঠক করেছেন পাকিস্তানের পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি নেতৃত্বাধীন একটি উচ্চপর্যায়ের সংসদীয় প্রতিনিধি দল। নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদরদপ্তরে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বুধবার (৪ জুন) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে এআরওয়াই নিউজ।
সম্প্রতি ভারতের সামরিক তৎপরতা ও আঞ্চলিক উত্তেজনা বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে পাকিস্তানের কূটনৈতিক উদ্যোগের অংশ হিসেবেই এই বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক জাতিসংঘ মহাসচিবের উদ্দেশে লেখা একটি চিঠি হস্তান্তর করেন বিলাওয়াল ভুট্টো। একইসঙ্গে সংযম, সংলাপ ও কূটনীতির ওপর গুরুত্ব আরোপ করায় মহাসচিবের ভূমিকার প্রশংসা করেন তিনি।
২২ এপ্রিল পেহেলগামে সংঘটিত হামলার পর পাকিস্তানের অবস্থান সম্পর্কে মহাসচিবকে অবহিত করেন বিলাওয়াল। তিনি
জোর দিয়ে বলেন, এই ঘটনায় ভারতের পক্ষ থেকে প্রমাণ ও বিশ্বাসযোগ্য তদন্ত ছাড়াই পাকিস্তানকে দায়ী করা হয়েছে, যা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও অগ্রহণযোগ্য। বিলাওয়াল আরও বলেন, ভারতের একতরফা সামরিক পদক্ষেপ, যার মধ্যে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর হামলা, মৃত্যুর ঘটনা, অবকাঠামোর ক্ষয়ক্ষতি এবং ইন্দাস পানি চুক্তি স্থগিত রাখার মতো পদক্ষেপগুলো পুরো অঞ্চলকে অস্থিতিশীল করে তোলার ঝুঁকি তৈরি করছে। পাকিস্তানের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে বিলাওয়াল এই পরিস্থিতিতে তার দেশের দায়িত্বশীল, সংযত ও পরিপক্ক অবস্থানের কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, পাকিস্তান আন্তর্জাতিক আইন এবং জাতিসংঘ সনদে বর্ণিত আত্মরক্ষার অধিকারসহ সব নীতির প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তিনি সতর্ক করে বলেন, ভারত একতরফা বলপ্রয়োগ, দায়মুক্তির সংস্কৃতি এবং নতুন স্বাভাবিক প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে দক্ষিণ
এশিয়ায় একটি বৃহৎ সংঘাতের পরিস্থিতি তৈরি করছে, যা পারমাণবিক অস্ত্রসজ্জিত এই অঞ্চলের জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক। বৈঠকে বিলাওয়াল জাতিসংঘ মহাসচিবকে উত্তেজনা প্রশমনে সক্রিয় ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান। তিনি অনুরোধ করেন, মহাসচিব যেন তার ‘সু-দপ্তর’ ব্যবহার করে পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে সিন্ধু পানি চুক্তির পূর্ণ কার্যকারিতা পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও বিশেষ করে কাশ্মীর ইস্যুতে একটি অর্থবহ সংলাপ শুরু করতে সহায়তা করেন। প্রতিনিধি দলটি সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিত রাখার মানবিক প্রভাব, ভারতের উসকানিমূলক আগ্রাসন এবং জাতিসংঘ সনদ ও আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘনের বিষয়গুলোতেও আলোকপাত করে। তারা দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, পাকিস্তানের ওপর কার্যত একটি ‘জল-যুদ্ধ’ চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। বৈঠকে জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস পাকিস্তানের শান্তিপূর্ণ সমাধানে আগ্রহকে স্বাগত জানান
এবং দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি, সংযম ও কূটনৈতিক সমাধান বজায় রাখার প্রতি জাতিসংঘের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, জাতিসংঘ শান্তিপূর্ণ সংলাপ ও উত্তেজনা হ্রাসে যেকোনো প্রচেষ্টাকে সমর্থন দিয়ে যাবে এবং জাতিসংঘ সনদ ও প্রাসঙ্গিক নিরাপত্তা পরিষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিরোধ নিরসনে সহায়তা করবে। জাতিসংঘ মহাসচিব প্রতিনিধি দলকে আশ্বস্ত করেন যে, দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় জাতিসংঘ সক্রিয়ভাবে সম্পৃক্ত থাকবে এবং ভবিষ্যতেও এ ধরনের প্রচেষ্টায় সহায়তা অব্যাহত রাখবে।
জোর দিয়ে বলেন, এই ঘটনায় ভারতের পক্ষ থেকে প্রমাণ ও বিশ্বাসযোগ্য তদন্ত ছাড়াই পাকিস্তানকে দায়ী করা হয়েছে, যা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও অগ্রহণযোগ্য। বিলাওয়াল আরও বলেন, ভারতের একতরফা সামরিক পদক্ষেপ, যার মধ্যে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর হামলা, মৃত্যুর ঘটনা, অবকাঠামোর ক্ষয়ক্ষতি এবং ইন্দাস পানি চুক্তি স্থগিত রাখার মতো পদক্ষেপগুলো পুরো অঞ্চলকে অস্থিতিশীল করে তোলার ঝুঁকি তৈরি করছে। পাকিস্তানের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে বিলাওয়াল এই পরিস্থিতিতে তার দেশের দায়িত্বশীল, সংযত ও পরিপক্ক অবস্থানের কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, পাকিস্তান আন্তর্জাতিক আইন এবং জাতিসংঘ সনদে বর্ণিত আত্মরক্ষার অধিকারসহ সব নীতির প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তিনি সতর্ক করে বলেন, ভারত একতরফা বলপ্রয়োগ, দায়মুক্তির সংস্কৃতি এবং নতুন স্বাভাবিক প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে দক্ষিণ
এশিয়ায় একটি বৃহৎ সংঘাতের পরিস্থিতি তৈরি করছে, যা পারমাণবিক অস্ত্রসজ্জিত এই অঞ্চলের জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক। বৈঠকে বিলাওয়াল জাতিসংঘ মহাসচিবকে উত্তেজনা প্রশমনে সক্রিয় ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান। তিনি অনুরোধ করেন, মহাসচিব যেন তার ‘সু-দপ্তর’ ব্যবহার করে পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে সিন্ধু পানি চুক্তির পূর্ণ কার্যকারিতা পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও বিশেষ করে কাশ্মীর ইস্যুতে একটি অর্থবহ সংলাপ শুরু করতে সহায়তা করেন। প্রতিনিধি দলটি সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিত রাখার মানবিক প্রভাব, ভারতের উসকানিমূলক আগ্রাসন এবং জাতিসংঘ সনদ ও আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘনের বিষয়গুলোতেও আলোকপাত করে। তারা দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, পাকিস্তানের ওপর কার্যত একটি ‘জল-যুদ্ধ’ চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। বৈঠকে জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস পাকিস্তানের শান্তিপূর্ণ সমাধানে আগ্রহকে স্বাগত জানান
এবং দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি, সংযম ও কূটনৈতিক সমাধান বজায় রাখার প্রতি জাতিসংঘের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, জাতিসংঘ শান্তিপূর্ণ সংলাপ ও উত্তেজনা হ্রাসে যেকোনো প্রচেষ্টাকে সমর্থন দিয়ে যাবে এবং জাতিসংঘ সনদ ও প্রাসঙ্গিক নিরাপত্তা পরিষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিরোধ নিরসনে সহায়তা করবে। জাতিসংঘ মহাসচিব প্রতিনিধি দলকে আশ্বস্ত করেন যে, দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় জাতিসংঘ সক্রিয়ভাবে সম্পৃক্ত থাকবে এবং ভবিষ্যতেও এ ধরনের প্রচেষ্টায় সহায়তা অব্যাহত রাখবে।