
ইউ এস বাংলা নিউজ ডেক্স
আরও খবর

জব্দ করা সম্পত্তি বিক্রির কথা নয় : দুদক

স্বজনরা রাজি না হওয়ায় লাশের ময়নাতদন্ত করা সম্ভব হয়নি: হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ

তুলে নেওয়া হলো গোপালগঞ্জের কারফিউ ও ১৪৪ ধারা

শিশু হাসপাতালের সেই ৬৫ চিকিৎসকের নিয়োগ বাতিল

গোপালগঞ্জে সহিংসতা: পুলিশের ৪ হত্যা মামলায় আসামি ৫৪০০

তিব্বতে মেগা বাঁধ প্রকল্প উদ্বোধন চীনের, বিপাকে ভারত ও বাংলাদেশ

যুক্তরাষ্ট্র থেকে বছরে ৭ লাখ টন গম কিনবে সরকার
চীনের মেগা বাঁধ নির্মাণ নিয়ে উদ্বিগ্ন বাংলাদেশ ও ভারত

চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং তিব্বত মালভূমিতে একটি মেগা বাঁধ প্রকল্পের উদ্বোধনের ঘোষণা দিয়েছেন, যা বিশ্বের বৃহত্তম জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র হবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে বাঁধটি ব্রহ্মপুত্রের ওপরে হওয়ায় বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন বাংলাদেশ ও ভারত। কারণ নদীটি এই দুই দেশের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ভয়েস অব আমেরিকার এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।
লি কিয়াং তিব্বত মালভূমিতে এই মেগা বাঁধ প্রকল্পের উদ্বোধনের ঘোষণা দিয়েছেন, যা বিশ্বের বৃহত্তম জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
গতকাল শনিবার তিব্বতের স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের দক্ষিণ-পূর্বে ন্যিংচি শহরে অবস্থিত ইয়ারলুং সাংপো নদীর নিম্নপ্রবাহে এই প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে অংশ নেন চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং। এই ইয়ারলুং
সাংপো নদীই তিব্বত ছাড়িয়ে ভারতের অরুণাচল প্রদেশ ও আসাম রাজ্যে প্রবেশ করার পর ব্রহ্মপুত্র নাম ধারণ করে এবং পরবর্তীতে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। চীনের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা শিনহুয়ার খবরে বলা হয়, ‘এই বাঁধটি পরিবেশগতভাবে নিরাপদ। চীনের কার্বন নিঃসরণ কমানোয় এই প্রকল্প বড় ভূমিকা রাখবে।’ তবে ভারতের পরিবেশবিদরা বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তারা একে পরিবেশের জন্য হুমকি বিবেচনা করছে। তারা বলছে, এই নদীর প্রবাহে চীনের নিয়ন্ত্রণ থাকলে ভারতের উত্তর-পূবাঞ্চলীয় রাজ্য ও বাংলাদেশের মানুষ হুমকির মুখে পড়বে। এই নদীর ওপর লাখ লাখ মানুষ নির্ভরশীল। ভারতের তাকাশশিলা ইনস্টিটিউশনের পরিবেশ গবেষণা বিষয়ক প্রকল্পের প্রধান নিধিয়ানদাম বলেন, ‘এই অঞ্চলে বাঁধ নির্মাণ ঝুঁকিপূর্ণ। ভূতাত্ত্বিকভাবে ফল্টলাইনে থাকায় ভূমিধসের সম্ভাবনাও বেশি।
ভারত ও বাংলাদেশের মানুষের জন্য তা বিপজ্জনক হতে পারে।’ বাংলাদেশের সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্টাল অ্যান্ড জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সার্ভিসের নির্বাহী পরিচালক মালিক ফিদা খান বলেন, এই বাঁধে বাংলাদেশের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। তিনি বলেন, নদীর প্রবাহে যদি বাধা সৃষ্টি হয় তবে পানির স্বল্পতা তৈরি হয় এবং পলি কমে যায় এবং পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হয়। এই পরিবেশ বিশেষজ্ঞ বলেন, নদীভাঙ্গন ও খরা বাড়তে পারে। এতে করে স্থানীয় জীবনযাত্রা ও অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
সাংপো নদীই তিব্বত ছাড়িয়ে ভারতের অরুণাচল প্রদেশ ও আসাম রাজ্যে প্রবেশ করার পর ব্রহ্মপুত্র নাম ধারণ করে এবং পরবর্তীতে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। চীনের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা শিনহুয়ার খবরে বলা হয়, ‘এই বাঁধটি পরিবেশগতভাবে নিরাপদ। চীনের কার্বন নিঃসরণ কমানোয় এই প্রকল্প বড় ভূমিকা রাখবে।’ তবে ভারতের পরিবেশবিদরা বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তারা একে পরিবেশের জন্য হুমকি বিবেচনা করছে। তারা বলছে, এই নদীর প্রবাহে চীনের নিয়ন্ত্রণ থাকলে ভারতের উত্তর-পূবাঞ্চলীয় রাজ্য ও বাংলাদেশের মানুষ হুমকির মুখে পড়বে। এই নদীর ওপর লাখ লাখ মানুষ নির্ভরশীল। ভারতের তাকাশশিলা ইনস্টিটিউশনের পরিবেশ গবেষণা বিষয়ক প্রকল্পের প্রধান নিধিয়ানদাম বলেন, ‘এই অঞ্চলে বাঁধ নির্মাণ ঝুঁকিপূর্ণ। ভূতাত্ত্বিকভাবে ফল্টলাইনে থাকায় ভূমিধসের সম্ভাবনাও বেশি।
ভারত ও বাংলাদেশের মানুষের জন্য তা বিপজ্জনক হতে পারে।’ বাংলাদেশের সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্টাল অ্যান্ড জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সার্ভিসের নির্বাহী পরিচালক মালিক ফিদা খান বলেন, এই বাঁধে বাংলাদেশের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। তিনি বলেন, নদীর প্রবাহে যদি বাধা সৃষ্টি হয় তবে পানির স্বল্পতা তৈরি হয় এবং পলি কমে যায় এবং পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হয়। এই পরিবেশ বিশেষজ্ঞ বলেন, নদীভাঙ্গন ও খরা বাড়তে পারে। এতে করে স্থানীয় জীবনযাত্রা ও অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।